নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩১ পিএম, ১৪ মার্চ, ২০১৮
বিশ্ববাজারে সূচনা হলো উড়ন্ত গাড়ির। প্যাল-ভি নামের একটি ডাচ কোম্পানি তাদের প্রথম উড়ন্ত গাড়ি বাজারে ছেড়েছে। জেনেভা মোটর শোতে এই কোম্পনি তাদের তৈরি এই তিন চাকার গাড়ি-কাম-হেলিকপ্টার প্রদর্শন করেছে। এর মাথার ওপর হেলিকপ্টারের মতোই রোটর বা পাখা রয়েছে যা ভাঁজ করে রাখা যায়। এর পেছন দিকে আরও একটি প্রপেলার রয়েছে।
গাড়িটির নাম দেওয়া হয়েছে `লিবার্টি` । মাটির ওপর গাড়ি হিসেবে চলার সময় এই যানটির সর্বোচ্চ গতি হবে ঘন্টায় ৯৯ মাইল। আর ওড়ার সময় সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ১১২ মাইল। ব্রিটিশ মুদ্রায় এর দাম হবে দুই লাখ ৬৮ হাজার পাউন্ড। লিবার্টি আকারে অনেক বড় এবং বিলাসবহুল।
প্যাল ভি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী রবার্ট ডিঙ্গেমান্স বিবিসিকে বলেন, "লিবার্টিকে নিয়ে আপনি আপনার গ্যারেজ থেকে যাত্রা শুরু করতে পারবেন এবং সোজা আপনি যেখানে যেতে চান সেখানে গিয়ে নামতে পারবেন।’
কিন্তু ল্যাংকাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি রিসার্চ সেন্টারের প্রধান হ্যারি হোস্টার বলছেন, জাইরোকপ্টারের সুবিধে হলো এটা খুব কম জায়গার মধ্যে নামতে পারে। কিন্তু ওড়ার সময় তাকে সামনের দিকে ছুটে একটা গতিবেগ সঞ্চয় করতে হয়। তাই বাড়ির ছাদ থেকে এটা উড়তে পারবে না।
তা ছাড়া ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায় এটা ওড়ানোর সমস্যা রয়েছে। কারণ এর পাখা ঘোরার জন্য চারপাশে অনেকটা ফাঁকা জায়গা দরকার। তার পর রয়েছে শব্দের সমস্যা।
প্যাল-ভি অবশ্য একমাত্র কোম্পানি নয় যারা বাণিজ্যিকভাবে উড়ন্ত গাড়ি তৈরির চেষ্টা করছে।
আমেরিকান কোম্পানি টেরাফুগিয়া এক ধরণের উড়ন্ত গাড়ি তৈরি করেছে, যার প্লেনের মতোই পাখা আছে, এবং তা মাটিতে নামার পর সুন্দরভাবে ভাঁজ করে রাখা যায়।
এর প্রধান নির্বাহী ক্রিস জারান বলছেন, "এ গাড়ি আপনার গ্যারেজে থাকতে পারে। আপনি এটা চালিয়ে এয়ারপোর্টে যাবেন, তার পর উড়ে অন্য এয়ারপোর্টে যাবেন, তার পর পাখা ভাঁজ করে নিয়ে আবার গাড়িতে পরিণত হয়ে আপনার গন্তব্যে চলে যাবেন।" এর দাম হবে দু`লাখ আশি হাজার মার্কিন ডলার।
এরকম আরো কিছু কোম্পানি উড়ন্ত গাড়ি তৈরি করছে। কিন্তু তবু ব্যক্তিগত উড়ন্ত গাড়ির সামনে এখনো বহু সমস্যা রয়েছে ।কারণ গাড়ি চালানো আর যে কোন রকম বিমান ওড়ানোর মধ্যে অনেক পার্থক্য। উড়ন্ত গাড়ি চালাতে হলে আপনার পাইলটের লাইসেন্স লাগবে।
সূত্র: বিবিসি
বাংলা ইনসাইডার/ এএফ/ জেডএ
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।