নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৯ পিএম, ২১ মে, ২০১৮
প্রিয় মোবাইল ফোনটা কিছুতেই হাতছাড়া করতে ইচ্ছে করেনা। সারাক্ষণ গেম খেলা, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করা, গান শোনা, সিনেমা দেখা- ফোনের মাঝেই চলতে থাকে। বিশেষ করে রাতের বেলা গুমের আগে ফোন ব্যবহারের নেশা পেয়ে বসে একেবারে। অন্ধকারে যে মনের সুখে আমরা ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকি, চোখের যে কতো বড় ক্ষতি করি তা আমরা নিজেরাও জানিনা। অন্ধকারে ফোন কীভাবে ক্ষতি করে জানুন আজই-
মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে
ঘুম যদি ঠিকমতো না হয়, তবে আস্তে আস্তে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। ফলে স্মৃতিশক্তি কমে যায়। এছাড়া মস্তিস্কে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ফলে মস্তিস্কের বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তের মারাত্মকভাবে বাড়তেই থাকে।
ঘুম কমে যায়
মোবাইল ফোনের আলো নানাভাবে শরীরে মেলাটনিন হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে সহজে ঘুম আসতে চায় না। কারণ আমাদের ঘুম ভালো হবে নাকি খারাপ হবে তার অনেকটাই নির্ভর করে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণের ওপর।
দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে
অন্ধকারে বেশি সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করলে সেটার নীল আলো সরাসরি চোখের ওপরে গিয়ে পড়ে। এর ফলে চোখে ব্যথা, যন্ত্রণা, খচখচানি শুরু হয়। আর দীর্ঘদিন এমন চলতে থাকলে একসময় দৃষ্টিশক্তি মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে।
চোখের রেটিনা খারাপ হয়ে যায়
মোবাইল ফোন অন্ধকারে ব্য়বহারে তার নীল আলো রেটিনার কর্মক্ষমতা কমে যেতে থাকে। আর যদি দীর্ঘদিন এরকম চলতে থাকলে রেটনিা খারাপ হতে থাকবে। আর তার ফলে চোখের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে। এই যেমন চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে ক্রমাগত খচখচ করা। একটা সময় এসে চোখে ঝাপসা লাগা শুরু হয়। আর ধীরে ধীরে এই অবস্থা থেকে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে দেয়। তাই ফোনটা বেশিক্ষণ হাতে রাখবেন না অন্ধকারে।
হতে পারে ক্যানসার
মোবাইলের নীল আলোর কারণে শুধু মেলাটোনিন হরমোন নয়, আরও অনেক হরমোন ক্ষরণে বাঁধা সৃষ্টি হতে শুরু করে। এর ফলে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ঘাটতি দেখা দেয়, যা ক্যানসার রোগের মূলমন্ত্র। বিশেষ করে ব্রেস্ট এবং প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি বাড়ে।
মোবাইলের ক্ষতিকর নীল আলো চোখের যাতে কোনো ক্ষতি না করতে পারে, তার জন্য মেনে চলুন এই নিয়মগুলো:
বার বার চোখ খুলতে আর বন্ধ করতে হবে
গবেষণায় দেখা গেছে, বার বার চোখ খুললে আর বন্ধ করলে চোখে থাকা স্বাভাবিক পানির পরিমাণ কমার আশঙ্কা কমে। আর চোখ আদ্র থাকলে নীল আলোর কারণে চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে। তাই ফোন ব্যবহারের সময়ে চোখের পলক ফেলুন বার বার।
মোবাইলের ব্রাইটনেসে খেয়াল রাখুন
ফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে মোবাইল স্ক্রিনের ব্রাইটনেস একেবারে কমিয়ে রাখি আমরা। এটা ফোনের জন্য ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, কম আলো চোখের রেটিনার ক্ষতি হয় মারাত্মকভাবে। স্থান বুঝে সেখানকার আলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মোবাইল স্ক্রিনের ব্রাইটনেস ঠিক করে নিতে হবে।
মোবাইল স্ক্রিন পরিষ্কার রাখুন
মোবাইল স্ক্রিনের উপরে জমা ধুলো পরিষ্কার না করলে স্ক্রিন দেখার সময় চোখের উপর মারাত্মক চাপ পড়ে। ফলে রেটিনার ক্ষতি হয়। তাই চশমা মোছার মতো সঙ্গে রাখুন একটি ড্রাই কাপড়। মাঝে মাঝে মুছে ফেলুন মোবাইল স্ক্রিন।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন