নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৬ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বিশ্বে প্রথম চালিত অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ১০ বছর পূর্তি হলো আজ। আজ থেকে ঠিক ১০ বছর আগে প্রথম অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত ফোন উন্মোচন করা হয়। গুগল, টি মোবাইল ও এইচটিসির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি ছিল বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোনের নাম ছিল টি-মোবাইল জি-১। সেটির অপারেটিং সিস্টেম ছিল অ্যান্ড্রয়েড ১.০।
২০০৮ সালের আজকের দিনে ফোনটির মোড়ক উন্মোচন করা হলেও, এটি বাজারে আসে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে। সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জি-১ নামে ফোনটি বাজারে আসে। তবে অন্যান্য দেশে ফোনটি প্রবেশ করে এইচটিসি ড্রিম নামে।
টাচস্ক্রিন ফোন না হওয়ায় এতে কোনো ভার্চুয়াল কি-বোর্ড ছিলো না। এর বদলে এতে ছিল স্লাইডার কি-বোর্ড ও একটি ট্র্যাকবল। তবে জি-১ থেকেই আজকের শীর্ষ অ্যান্ড্রয়েড নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলো বুঝতে শুরু করে ক্রেতাদের চাহিদা সম্পর্কে।
ফোনটি বাজারে আসার পর পরই ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। প্রথম ৬ মাসেই জি-১ এর বিক্রি ছাড়িয়ে যায় ১০ লাখ ইউনিট। তবে প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে থাকার কারণে বাজারে আসার ২ বছর পরেই ফোনটির উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন