নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৩ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮
প্রযুক্তির এই যুগে সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ট্যাবলেট না থাকলে তো চলেই না। প্রযুক্তি দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকতে হলে তো এই পণ্যগুলোর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু একজন বিখ্যাত প্রযুক্তিবিদ, সারাদিন প্রযুক্তি নিয়েই যার কাজ তার যদি নিজের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ না থাকে তাহলে সেটা আমাদের অবাক করেই।
বলছিলাম জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার ও মোবাইল পেমেন্ট কোম্পানি স্কোয়ারের সিইও আর সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসির কথা। তিনি নাকি ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কিংবা ট্যাবলেট কোনোটাই ব্যবহার করেন না। অন্তত টুইটারে এমনটাই দাবি করেছেন জ্যাক ডরসি। তার মতে, এগুলো না থাকলে খুব একটা সমস্যা নেই।
তিনি প্রতিটি টুইট করেন তাঁর মোবাইল দিয়ে। তাই সংবাদ মাধ্যম কোর্টসের সাংবাদিক ডেভ গার্সগন কৌতুহলবশত তাকে সরাসরি প্রশ্নটি করেন।
গার্সগন প্রথমেই প্রশ্ন করেন যে আপনি কী কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন? এর উত্তরে ডরসি লেখেন, ‘না’।
এর পরপরই অ্যাডউইকসের সাংবাদিক মার্টি সোয়ান্ট প্রশ্ন করেন, ট্যাবলেট ব্যবহার করেন? প্রশ্নের উত্তরে আবারও ‘না’ লেখেন টুইটার প্রধান।
এটা নিয়ে বেশ হইচই পড়ে যায় তখন। এই অবস্থা দেখে শেষপর্যন্ত তাকে একটি সার্ফেস গো উপহার দিতে চেয়েছেন মাইক্রোসফটের কমিউনিকেশন বিভাগের ডিরেক্টর পল ফ্যাবরেটি। কিন্তু তাতেও রাজি হননি কম্পিউটার বিমুখ এই টুইটার প্রধান। ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘না’। দুটি কোম্পানির প্রধান হয়েও ফোন দিয়েই সব কাজ করাটা কিছুটা অদ্ভুতই বটে।কিন্তু কেন এগুলো ব্যবহার করেন না, তা নিয়ে কিছু অবশ্য বলেনি জ্যাক ডরসি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন