নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৮
এবার মাইক্রোসফটের নতুন ডিভাইস সারফেস প্রো ৬ এর আদলে স্যামসাং নিয়ে এসেছে গ্যালাক্সি বুক ২। ‘টু ইন ওয়ান উইন্ডোজ’ ব্যবহারের জন্য এতে এক নতুন নকশা করা হয়েছে। নকশাটি অনেকটাই সারফেস প্রো ৬ এর মতো।
কী থাকছে গ্যালাক্সি বুক ২ তে
৭ দশমিক ৬২ মিলিমিটার পুরু এই ফোনটির ওজন তুলনামূলক কম, মাত্র ৮৪০ গ্রাম। তবে ডিজাইনে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি আগের ডিভাইসগুলোর তুলনায়। ডিসপ্লের চারদিকে বেজেল থাকছে। নতুন এই ডিভাইসে থাকছে এস পেন ব্যবহারের সুবিধা। একই সঙ্গে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সুবিধা। কি বোর্ড ব্যবহার করা যাবে ট্যাবলেটের মতো করে।
গ্যালাক্সি বুক ২ ডিভাইসে রয়েছে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮৫০ প্রসেসর। এতে রয়েছে দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ, বিল্টইন হিসেবে থাকছে দ্রুতগতির এলটিই সংযোগ ব্যবহারের সুবিধা। এটি ক্রোমবুক প্লাস ভি২ এবং গ্যালাক্সি ট্যাব এস৪ এও রয়েছে।
এতে মোবাইল বা অন্য ডিভাইস থেকে ওয়াইফাই বা হটস্পট করে নেট ব্যবহার আরও সহজ করবে বলে জানা গেছে। ডিভাইসটিতে রয়েছে ১২ ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে প্যানেল। যার রেজুলেশন ২১৬০*১৪৪০ পিক্সেল। রয়েছে দুটি একেজি স্পিকার। ৪ জিবি র্যামের সঙ্গে ১২৮ জিবির এসএসডি মেমোরি। এছাড়াও মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা তো থাকছে।
স্যামসাং এতে দিয়েছে দুটি টাইপ সি পোর্ট আর ৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক। পিছনে আট মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা, সঙ্গে সামনে থাকছে ভিডিও চ্যাটিংয়ের জন্য ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। পুরো ফোনটির বডি অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি। ডিভাইসটির দাম এক হাজার ডলার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন