নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪১ পিএম, ০৬ এপ্রিল, ২০১৭
অনেক সময়েই ভুল করে স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হয়ে যায় অনেক ছবি এবং ভিডিও। স্মার্টফোনে স্টোর থাকা অনেক কিছুর ভিড়ে আমরা বুঝতে পারি না, কোনটা প্রয়োজনীয় আর কন্টা নয়। অনেক সময়ে দেখা যায় কাজের জিনিসগুলোই ডিলিট হয়ে গিয়েছে। তাহলে উপায়? জেনে নিন অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ডিলিট হয়ে যাওয়া ফোটো বা ভিডিও উদ্ধারের উপায় গুলো।
প্রথমে ছবি এবং ভিডিওগুলো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কোথায় স্টোর হচ্ছে তা আগে জেনে নিন। যদি, ছবি বা ভিডিওগুলি মেমরিকার্ডে স্টোর থাকে, তাহলে অনলাইন থেকে একাধিক ‘রিকভার অ্যাপ’র সাহায্য তা রিকভার করা যেতে পারে। এজন্য, ‘রেকভা’ নামে একটি রিকভারি অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারন্যাল মেমরি থেকে ছবি অথবা ভিডিও ডিলিট হলে তা চিন্তার বিষয়। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কিছুটা হলেও আশা দিতে পারে ‘ডিস্ক ডিগার অ্যাপ’।
তবে এই অ্যাপ ব্যবহার করার আগে কিছু সতর্কতা মাথায় রাখা প্রয়োজন, কারণ ‘ডিস্ক ডিগার অ্যাপ’ রুটেড অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস-এর ক্ষেত্রেই কাজ করবে। কী করে অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে রুট করতে হবে, তার জন্য অনলাইনে একাধিক টিউটোরিয়াল রয়েছে যেখান থেকে আপনি সাহায্য নিতে পারবেন। গুগল প্লে-স্টোর থেকেই পেয়ে যাবেন ‘ডিস্ক ডিগার’ অ্যাপ।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে যখন কোনও ফাইল ডিলিট হয়, তখন সিস্টেমে শুধু তথ্যগুলো মুছে যায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই ফাইল স্পেসে অন্যকিছু ওভাররাইট হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা পুনরুদ্ধার করার সম্ভাবনা থাকে।
তাই, ডিলিট হওয়া ফাইল উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত কোনও ধরনের সিস্টেম আপডেশন বা ফোন মেমরিতে ছবি সেভ, ডকুমেন্ট ফাইল সেভ করবেন না।
যেভাবে ফাইল উদ্ধার করবেন ‘ডিস্ক ডিগার’ অ্যাপটি সাহায্যে:
প্রথমে গুগল প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড সম্পূর্ণ হলে ‘ডিস্ক ডিগার’ অ্যাপটি ওপেন করুন। এবং যে স্থান থেকে ফাইল ডিলিট হয়েছে সেটাকে চিহ্নিত করুন।
এরপর ফাইল টাইপ সিলেক্ট করুন, মানে আপনি কোন ফাইল উদ্ধার করতে চাছেন। যেমন- জেপিজি, না পিএনজি না এমপি ফোর। ওকে বাটনে ক্লিক করুন এবং এর পর অ্যাপটি ডিলিট ফোটোর সন্ধানে স্ক্যান করবে।
স্ক্যান শেষ হলে, কোথায় ফাইলগুলি সেভ করবেন সেই জায়গাটা দেখিয়ে দিলে ‘ডিস্ক ডিগার’ ডিলিট ফাইলের তালিকা দেখাবে। এরপর সেভ বাটনে ক্লিক করলেই সেভ হয়ে যাবে আপনার হারানো ফাইলগুলো।
বাংলা ইনসাইডার/আরএস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন