নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ০২ এপ্রিল, ২০১৯
চলে এসেছে অপোর নতুন ফোনের ছবি। ছবি দেখেই ধারণা করা যাচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের সেলফি এক্সপার্ট ফোনে নতুন কী ধরনের ফিচার নিয়ে আসছে! ফোনটির মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ৪৮+৫ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা। এই ক্যামেরা লো-লাইটেও অসাধারণ সব ছবি ধারণ করতে সক্ষম। এতে চমকপ্রদ সেলফি তোলার জন্য থাকছে ১৬ মেগাপিক্সেলের অটো সেলফ প্রটেকশন রাইজিং ক্যামেরা।
ধারণা অনুযায়ী, অপোর এফ১১ প্রো’তে রয়েছে ২৩৪০*১০৮০ পিক্সেলের ৬.৫ ইঞ্চির প্যানারোমিক স্ক্রিন, ফুল এইচডি+ ডিসপ্লে; যেখানে পিক্সেল পার ইঞ্চি (পিপিআই) হচ্ছে ৩৯৭ এবং ফোনের বডি টু স্ক্রিন রেশিও ৯০.৯%। এফ১১ প্রো’তে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেকের চিপসেট। তবে কোন ধরনের সংস্করণ থাকছে তা নিয়ে এখনো কিছু বলা হয়নি।
ফোনটিতে থাকবে ৬ জিবি র্যাম আর ইন্টারনাল স্টোরেজ থাকছে ১২৮ জিবি। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে এতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ পাই এর সঙ্গে কাস্টমাইজড অপো কালার ওএস ৬.০।
এখন পর্যন্ত জানা ফোনটির অন্যান্য ফিচারগুলো হচ্ছে: সুপার স্লিম বেজেল ও নচবিহীন ফোনটির দৈর্ঘ্য ১৬১.৩ মি.মি., প্রস্থ ৭৬.১ মি.মি. এবং ফোনটির পুরুত্ব ৮.৮ মি.লি.। ফোনটির ওজন ১৯০ গ্রাম। ফোনটি থান্ডার ব্ল্যাক এবং অরোরা গ্রিন রঙে পাওয়া যাবে। সঙ্গে থাকছে ৪০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ারের (এমএএইচ) বিশাল ব্যাটারি, আর থাকছে দ্রুত চার্জের জন্য ভুক ফ্ল্যাশ ৩.০।
এটি হবে অপোর দ্বিতীয় স্মার্টফোন যার সঙ্গে রয়েছে মোটরাইজড রাইজিং সেলফি ক্যামেরা। ফোনটিতে একদম ওপরের দিকে মাঝামাঝি ক্যামেরা থাকছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন