নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০১৯
চাঁদে যাওয়া হয়েছে আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে। আজ্যবধি তা নিয়ে কম মজার তথ্য প্রকাশ পায়নি। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ সম্পর্কে এমনই কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক:
উত্তাপ হারাচ্ছে চাঁদ:
নাসার গবেষণা বলছে, ক্রমান্বয়ে উত্তাপ হারাচ্ছে চাঁদ। এ কারণে চাঁদের উপরিভাগ আঙ্গুর থেকে কিশমিশের রূপ ধারণ করছে। শুধু তাই নয়, চাঁদের ভেতরের অংশও সঙ্কুচিত হচ্ছে ক্রমান্বয়ে। কয়েক লাখ বছর ধরে এটি দাঁড়িয়েছে ৫০ মিটারে।
আমেরিকার পতাকা উড়ার গল্প:
অনেকে বলেন, চাঁদে পা রাখার ঘটনা ছিল ভুয়া। চাঁদের পরে কোনো একটি মঞ্চে অভিনয় করেছিলেন নেইল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিন। কারণ, অলড্রিনের রাখা আমেরিকার পতাকা উড়তেছিল, অথচ মহাশূন্যে তা উড়ার কথা না। তবে, পতাকা ওড়ার কারণ হিসাবে নাসা বলছে, বাজ অলড্রিন পতাকার দণ্ড নাড়ানোয় অমন দেখা গিয়েছিল।
চরম গরম অথবা হঠাৎ ঠাণ্ডা:
তাপমাত্রার উঠানামায় আমাদের নাভিশ্বাস উঠে, তা ঠিক। কিন্তু এই উঠানামা চাঁদের তুলনায় কিছু্ই না। কারণ, চাঁদের গায়ে যখন সূর্যের তাপ পড়ে, তখন এর তাপমাত্রা ১২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে। আবার সূর্যের আলো সরলেই মাইনাস ১৫৩ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যায় তাপমাত্রা।
চাঁদের বুড়ি:
চাঁদের বয়স যত, চাঁদে মানুষ বা বুড়ি আছে এমন রূপকতার বয়সও তত। অনেকেই পূর্ণ চন্দ্রের মধ্যে একজন মানুষের মুখ দেখতে পান। অনেকে বলেন, পাপ করার কারণে ওই ব্যক্তিকে গ্রাস করেছে চাঁদ। চাঁদের বুড়ির গল্পতো কতো শুনতে হয় আমাদের! আর যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে, বাংলাদেশে এমন গুজব রটার বয়সওতো বেশিদিন হয়নি।
চাঁদ কি দূরে সরে যায়?
প্রতিবছর চার সেন্টিমিটার করে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যায় চাঁদ। দূরে সরে গেলে আমাদের কাছে সেটাকে ছোটো দেখায়। এভাবে ৫৫০ মিলিয়ন বছর পরে এটাকে সবচেয়ে ছোটো দেখা যাবে। এরপর আর কোনো পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হবে না।
চাঁদকে পরোয়া করে না নেকড়ে:
সিনেমার দৃশ্যের কথা মনে পড়ে? যেখানে চাঁদের দিকে নেকড়ের ভীতিকর গর্জনে শেষ হয় হরর সিনেমা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পূর্ণ জোৎস্না হলেও নেকড়ের কিছু যায় আসে না। এমনকি তারা সেদিকে তাকিয়ে গর্জনও দেয় না। তবে, রাতে নেকডের গর্জনের কারণে আমাদের পূর্বপুরুষরা দুটোর সংযোগ ঘটিয়েছেন হয়ত।
চন্দ্রারোহী সবাই আমেরিকান ও পুরুষ:
এখন পর্যন্ত ১২ জন মানুষ চাঁদে হেঁটেছেন। নানান পেশা থেকে আসলেও কিছু ক্ষেত্রে মিল রয়েছে তাঁদের। মিলগুলো হচ্ছে-তারা সবাই আমেরিকার, সবাই সাদা এবং সবাই পুরুষ। আমেরিকানের বাইরে কিংবা নারীদের চাঁদে যাওয়ার জন্য আরো অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে বোধহয়।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।