নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৭ এএম, ১১ মার্চ, ২০২০
সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকের বিরুদ্ধে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করেছে অস্ট্রেলিয়া। মামলায় বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার তিনলাখের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই ব্যক্তিগত তথ্য রাজনৈতিক পরামর্শক ও তথ্য বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল কোর্টে মামলাটি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার।
এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ার তথ্য কমিশনার অ্যাঞ্জেলিন ফোক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সোস্যাল জায়ান্টটি একটি জরিপ পরিচালনার নামে দেশটির ৩ লাখ ১১ হাজার ১২৭ জন ফেসবুক গ্রাহকের রাজনৈতিক পটভূমিসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছিল। এসব ব্যক্তিগত তথ্য পরে সরকারের কোনো সম্মতি না নিয়ে তা তৃতীয় পক্ষের কাছে প্রকাশ করেছে। এর মধ্য দিয়ে ফেসবুক দেশটির নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
অ্যাঞ্জেলিন ফোক আরও জানান, ফেসবুক প্লাটফর্মটির ডিজাইন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেখান থেকে কোনো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য একবার ফাঁস হয়ে গেলে সে বিষয়ে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না ফেসবুক।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওই ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঘটনায় দেশের অপরিসীম ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যক্তিগত আইন লঙ্ঘনের ফলে শাস্তিস্বরূপ প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য ১৭ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আদালত যদি ফেসবুককে জরিমানা করেন, সেক্ষেত্রে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটিকে মোট ৫২৯ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।
এ ব্যাপারে ফেসবুকের বিবৃতিতে এক মুখপাত্র জানান, ওই ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের অংশ হিসেবে তার প্রতিষ্ঠানটি দুই বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার তথ্য কমিশনারের কার্যালয়ের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। তাই আন্তর্জাতিক আইনকানুনের সঙ্গে মিল রেখে ফেসবুক প্লাটফর্মে তথ্য সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছি। এছাড়া বিভিন্ন অ্যাপস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য চলে যাওয়া ঠেকাতে নতুন সব নিয়মকানুন তৈরি এবং ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করছে ফেসবুক। মূলত ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবস্থাপনার কারণে এমনটা করা হয়েছে বলেও তিনি নিশ্চয়তা দেন।
গত বছরের জুলাইয়ে ফেসবুককে ২০১৪-১৫ সাল পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন ৫০০ কোটি ডলার রেকর্ড পরিমাণ জরিমানা করেছিল। সব মিলিয়ে ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ব্রিটিশ সংস্থা ক্যামব্রিজ অ্যানলিটিকার কাছে হস্তান্তর করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন