নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৯ এএম, ১২ মে, ২০২০
বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ এর সফল উৎক্ষেপণের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। ২০১৮ সালের ১২ মে-তেই মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল স্যাটেলাইটটি। ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। করোনা মহামারির কারণে এবার বিশেষ এই দিনটি তেমন ঘটা করে উদযাপন করা হচ্ছে না।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট (বিএস-১) দেশের সবগুলো বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকেই সম্প্রচার সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিশেষ আগ্রহের কারণে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সম্প্রচার সুবিধা এপ্রিল মাস থেকে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে পৌঁছে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএসসিএল) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ জানান, ‘আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে দেশের সবগুলো ক্যাবল অপারেটরকে তাদের সব গ্রাহকের কাছে সেট টপ বক্স (এসটিবি) বিতরণ বাধ্যতামূলক করা হবে।’
ড. মাহমুদ বলেন, বিসিএসসিএলের ভবিষ্যত পরিকল্পনায় আরও রয়েছে- তারা দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করার জন্য পরামর্শক নিয়োগ করেছেন। তবে, কোভিড-১৯ মহামারি তাদের সেই কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত ১০ এপ্রিল, থাই উপগ্রহ সিরিজ থাইকোম-৬ এর সহযোগিতায় বিএস-১ বিটিভির উপগ্রহ ভিত্তিক শাখা বিটিভি ওয়ার্ল্ডের মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছে।’
প্রসঙ্গত যে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণ এবং উৎক্ষেপণের পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যয় হয়েছিল প্রায় দুই হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। উৎক্ষেপণের সময় থেকে স্যাটেলাইটটির মেয়াদকাল ১৫ বছর।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন