নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৯ পিএম, ২২ জুলাই, ২০১৭
অফিসে কাজ করছেন। কোনো কারণে হয়তো মন খারাপ। বস এসে জানাল সান্ত্বনার কথা। বস কীভাবে জানল আপনার মন খারাপ? জানিয়ে দিয়েছে অফিসের মধ্যে থাকা ওয়াই-ফাই। কল্পনা মনে হলেও এমন প্রযুক্তি বাস্তবেই তৈরি হয়েছে।
ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এর বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এমন এক ধরনের ওয়াই-ফাই আবিষ্কার করেছেন, যার মাধ্যমে বুঝতে পারছেন মানুষের মনের অবস্থা। তাঁরা এক ধরনের অ্যালগরিদম তৈরি করেছেন যা রেডিও ফ্রিকোয়ন্সি (আরএফ) সিগনালের মাধ্যমে মানুষের হৃদকম্পন পরিমাপ করবে।
আরএফ সিগনাল উৎপাদক একটি বিশেষ অ্যালগরিদম সঙ্গে কাজ করে অনেকটা ইলেক্ট্রো কারডিওগ্রামের (ইসিজি) মতো কিন্তু এর প্রয়োজন হয়না মানব দেহের সংস্পর্শ। আর এটাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া হয়েছে ঠিক একই প্রযুক্তি দ্বারা, যা আমরা আমাদের বাসা বা অফিসের রাউটার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে। আর এই প্রযুক্তিকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইকিউ রেডিও’।
ইকিউ এর তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া সাধারণ ইসিজি এর থেকে একটু ভিন্ন। যখন একজন মানুষ ইসিজি যন্ত্রের সংস্পর্শে থাকে, কম্পিউটার অনেকটাই অনুমান করতে পারে হৃদকম্পনের তরঙ্গদৈর্ঘ্য, তথ্যের বিচিত্রতা। কিন্তু যখন সংস্পর্শে থাকেনা তখন ইকিউকে অনুমান করতে অনেকগুলো পরিবর্তনশীল উপাদান সম্পর্কেও ধারনা নিতে হয় যেমন আপনার অবস্থান, আপনার রুমের আকার, তাপমাত্রা ইত্যাদি। ইকিউ প্রথমে এই উপাদানগুলোর তথ্য সংগ্রহ করে এবং তারপরই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির সাহায্যে মানুষের হৃদকম্পন পরিমাপ করে। এভাবে অনুমান করে মনের অবস্থা।
এমআইটি প্রযুক্তি ঠিক কবে নাগাদ বাজারজাত করা হবে তা জানানো হয়নি। তবে এর ব্যবহার আমাদের সমাগ্রিক কর্মকাণ্ড বদলে দেবে তা বলাই যায়। অফিসে কর্মীদের মনের অবস্থা যাচাই করে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা যাবে। এতে বাড়বে উৎপাদনশীলতা। অপরাধীকে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে তাঁর মানসিক উত্তেজনা পরিমাপ করে। হৃদরোগীর জন্য নেওয়া সম্ভব হবে চিকিৎসা ব্যবস্থা। সদ্য পৃথিবীতে আসা শিশুর মনের অবস্থা, ঘুমের পর্যাপ্ততা ইত্যাদি বুঝতে শুধু চোখ বুলাতে হবে ইকিউ এর ওপর। এভাবেই পাল্টে যেতে পারে সমাজের চিত্র।
সূত্র: দ্যা নেক্সট ওয়েব ডট কম
বাংলা ইনসাইডার/এফবি
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।