ইনসাইড সাইন্স

দেশে এবার সাইবার হামলার আশঙ্কা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ২৯ জুন, ২০২০


Thumbnail

‘কারো সর্বনাশ আর কারো পৌষ মাস’ বলে যে কথা আমাদের দেশে প্রচলিত আছে, তার আরেকটি প্রমাণের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রচারের আড়ালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা ভারত, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এই ৬টি দেশে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরের এক সংস্থা। সিঙ্গাপুরের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা সাইফার্মা এ বিষয়ে ভারতকে সতর্ক করে গত রবিবার।
 
সিঙ্গাপুরের এই সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আর্থিকভাবে লাভবান হওয়াই উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই তারা বহু মানুষকে ই-মেল করে একটি ওয়েবসাইটে যেতে বলবে। এরপর নানা প্রলোভন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য দিতে বলা হবে। এই হ্যাকাররা লাজারাস গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। তারা ভারত, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও ব্রিটেনের ৫০ লক্ষেরও বেশি ব্যবসায়ী ও অন্য পেশার লোকজনের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। হ্যাকাররা ইতিমধ্যেই জাপানে ১১ লক্ষ ব্যক্তির, ভারতে ২০ লক্ষ ব্যক্তির এবং ব্রিটেনে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ১,৮০,০০ ব্যক্তির ই-মেল আইডি`র তথ্য পেয়ে গেছে। তারা সিঙ্গাপুরের ৮,০০০ সংস্থায় সাইবার হামলা চালাতে পারে।’

সাইফার্মার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জানিয়েছেন, ‘আমরা এই হ্যাকারদের বিষয়ে সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সংস্থাকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছি। ৬টি সংস্থাই আমাদের এই সতর্কবার্তা পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে। গত ৬ মাস ধরেই আমরা করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ভুয়ো ই-মেল, সাইবার হামলা, হ্যাকিংয়ের উপর নজর রাখছি। তার ভিত্তিতেই ৬টি দেশকে সতর্ক করে দিয়েছি।’

এর আগে একাধিকবার সাইবার হামলা হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৪ সালে সোনি পিকচার্স এন্টারটেইনমেন্টে সাইবার হামলা এবং ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে সাইবার হামলা থেকে শুরু ভারতে এটিএম থেকে তথ্য চুরি পর্যন্ত রয়েছে লাজারাস গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণ করে উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা।
 
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। এই রিজার্ভ চুরির ঘটনায়ও উত্তর কোরিয়ান হ্যাকারদের নাম এসেছিল।
 
আমাদের দেশে অফিসে ব্যবহারের কম্পিউটার কেনাকাটার কেলেঙ্কারি বহু পুরাতন। অনেক নামি দামি লোকের ছেলে বা পরিবারের সদস্য কম্পিউটার কেনা, ওয়েব সাইট বা সফটওয়্যার ডেভলপমেন্টের নামে দুর্নীতি করে টাকা কামান। হালের স্বাস্থ্য-দপ্তরের আইটি বিষয়ক দুর্নীতি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। হ্যাকারদের জন্য, বাংলাদেশ একটা উর্বর ক্ষেত্র। তারা এই সুযোগ যে এখনো নিচ্ছে না তার কী কোন গ্যারান্টি আছে! মাত্র ২ বছর আগে মাইক্রোপ্রসেসরের ত্রুটির সুযোগ নিয়ে ‘মেল্টডাউন’ ও ‘স্পেকটার’ নামের সাইবার হামলার আশঙ্কা দেখা দেয় পৃথিবীর প্রায় সব ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট কম্পিউটার, স্মার্টফোনসহ বিভিন্ন যন্ত্রে। প্রচলিত কোনো অ্যান্টি ভাইরাস বা কম্পিউটার নিরাপত্তা সফটওয়্যার এমন হামলাকে ধরতে পারে না। আবার কম্পিউটারে ঢুকে তথ্য নিয়ে তা পাচার করা হচ্ছে কি না, তা ব্যবহারকারী সহজে বুঝতেও পারে না।
 
এই করোনা দুর্যোগের সময় বাংলাদেশের প্রায় সব সরকারী, বেসরকারি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলতে গেলে বাসায় বসে কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হচ্ছে তাই বাংলাদেশের সব কম্পিউটার, স্মার্টফোনেও যেহেতু ইন্টেল ও অন্যান্য প্রসেসর বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে, তাই সব ব্যবহারকারীই তথ্য চুরি যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। ঝুঁকিতে আছে ক্লাউড কম্পিউটিং সেবায় ব্যবহৃত সার্ভারগুলোও। তার আরেকটি কারণ হচ্ছে আমাদের ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়েতে ফিল্টারিং সিস্টেম খুব দুর্বল। তাই একদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন অপপ্রচার ঠেকানো যাচ্ছে না, তেমনি তথ্য চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অনেকেই সন্দেহ করছেন।  
বিশেষজ্ঞদের মতে ভয়ংকর এই সাইবার হামলা থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে যিনি যে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছেন, তাঁকে সেটি নিয়মিত হালনাগাদ করে নিতে হবে। আর সেক্ষেত্রে  তাদের সফটওয়্যার হতে হবে অরিজিনাল। কিন্তু আমাদের দেশে অরিজিনাল সফটওয়্যারের টাকা নিলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেও দেওয়া হয় ক্র্যাক ভার্সন। তবে এই হালনাগাদ ইন্সটল করার পর ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট কম্পিউটার, মুঠোফোন ইত্যাদির কাজ করার গতি ৩ থেকে ৪ শতাংশ কমে যায়। এএমডি প্রসেসরে মেল্টডাউন আঘাত হানতে পারে না, তবে স্পেকটার কাজ করে।
 
এছাড়াও একই ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারের অধীনে যারা ইন্টারনেট লাইন ব্যবহার করেন,  সেই লাইন ব্যবহারকারী কোন  হ্যাকার বা ক্র্যাকার থাকলে তার পক্ষে একই ইন্টারনেট লাইন ব্যবহারকারীর লক্ষিত কম্পিউটারের কী বোর্ডের দখল নেওয়াও খুব সহজ। জর্জ হটজ হলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি আইফোন অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা বলয় ভাঙতে পেরেছিলেন, ২০০৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে। আর মাত্র ২৬ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক তারকা স্ট্যাটাস অর্জন করে ফেলেছিলেন জর্জ হটজ। হ্যাকার হিসেবে শুরু করে শেষ পর্যন্ত চালকবিহীন গাড়ি তৈরির কাজ করেন তিনি।
 
বাংলাদেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত অনেক হ্যাকার রয়েছে যারা দেশ ও সরকার বিরোধী তাঁরা এই দুর্দিনে বাংলাদেশকে টার্গেট করবে না, বা বিভিন্ন ব্যাংকের টাকা চুরি করবে না তার কি কোন গ্যারান্টি আছে? বাংলাদেশের যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারদের কেউ কেউ সরকারী, বেসরকারি ব্যাংক, বড় বড় কর্পোরেট হাউজ, সরকারী দপ্তর বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তথ্য চুরি করবে না বা করছে না তার কি গ্যারান্টি আছে? তা না হলে আদালত সহ সরকারী দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহের খসড়া কীভাবে আগে ভাগেই পাচার হয়ে যায়। এই নিরিখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তথ্য নিরাপত্তা কতটুকু! সেটা ভাববার সময় এখন আমাদের চিন্তার দরজায় কড়া নাড়ছে।

সুত্রঃ ZDNet report, অন্যান্য    



মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

বাংলাদেশের দেড় লাখ ভিডিও মুছে ফেলল ইউটিউব

প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গত তিন মাসে বাংলাদেশ থেকে আপলোড হওয়া দেড় লাখের বেশি ভিডিও অপসারণ করেছে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব।

নিজেদের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ডিসমিসল্যাবের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট অনুসারে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর- এই তিন মাসে ভিডিওগুলো সরানো হয়। এই প্রান্তিকে প্ল্যাটফর্মটি সব মিলিয়ে সারা বিশ্বের ৯০ লাখেরও বেশি ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে। 

তালিকায় আনা মোট ৩০টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিডিও অপসারণ করা হয়েছে ভারতের। অপসারণ সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে আপলোড হওয়া প্রায় দেড় লাখ ভিডিও মুছে ফেলার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারকারীদের মতামতও মুছে ফেলেছে ভিডিও বিনিময়ের সাইটটি। 

উগ্রপন্থা, নগ্নতা এবং স্প্যাম ভিডিও প্রচার এবং শিশুবান্ধব না হওয়ার কারণে এসব ভিডিও ও মতামত মুছে ফেলা হয়। এই তিন মাসে বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখের বেশি ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য ভিডিও সরানো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক কনটেন্ট; যার হার ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ। সহিংসতা ছড়ানো বা তাৎক্ষণিক ক্ষতির ঝুঁকি থাকায় কনটেন্টগুলো অপসারণ করা হয়। 

এরপরই সবচেয়ে বেশি সরানো হয়েছে শিশুদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে এমন ভিডিও। এর হার ছিল ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ। শিশুদের হয়রানি ও তাদের কেন্দ্র করে নানা অনলাইন অপব্যবহার রোধে ভিডিওগুলো সরানো হয়। 

তৃতীয় যে শ্রেণির ভিডিও সরানো হয়েছে সবচেয়ে বেশি সেগুলো ছিল হিংসাত্মক বা গ্রাফিক কনটেন্ট। এর হার ছিল সাড়ে সাত শতাংশ। মানুষের মনে আতঙ্ক বা উদ্বেগ ছড়াতে পারে এমন সংবেদনশীল দৃশ্য যেমন দাঙ্গা, রক্তপাত ইত্যাদিকে হিংসাত্মক বা গ্রাফিক কনটেন্ট হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে ইউটিউব।

উল্লেখ্য, ইউটিউব ব্যক্তিমানুষ ও মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এই দুইয়ের প্রয়োগ ঘটিয়ে নীতিমালা লঙ্ঘনের বিষয়গুলো যাচাই করে। 

তবে মুছে ফেলা এসব ভিডিওর ৯৬ শতাংশের ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআই। বাকি ৪ শতাংশ ভিডিও অপসারণে ইউটিউবের সাধারণ ব্যবহারকারী ও ‘প্রায়োরিটি ফ্ল্যাগার প্রোগ্রামের’ সদস্যদের অভিযোগ বা পরামর্শ বিবেচনা করা হয়েছে।

ইউটিউব   বাংলাদেশি কনটেন্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

৭ দিন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রমে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে

প্রকাশ: ০৮:২৩ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

সৌর ব্যতিচারের কারণে আগামী ৭ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্নিত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি (বিএসসিএল)।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নুজহাত তানজিনা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন সৌর ব্যতিচারের কারণে আগামী ৭ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর ব্রডকাস্ট সেবায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। ফলে ওই দিনগুলোতে প্রতিদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত স্যাটেলাইটটির কার্যক্রমে বিঘ্ন দেখা দিতে পারে।
  
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সম্প্রচার কার্যক্রম সাময়িক বিঘ্ন ঘটার সময়গুলো হচ্ছে ৭ মার্চ স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৩ মিনিট থেকে ১০টা ২ মিনিট পর্যন্ত ৯ মিনিট; ৮ মার্চ সকাল ৯টা ৫১ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত মোট ১২ মিনিট; ৯ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত ১৩ মিনিট; ১০ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত মোট ১৩ মিনিট; ১১ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ২ মিনিট পর্যন্ত মোট ১২ মিনিট; ১২ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত মোট ১১ মিনিট এবং ১৩ মার্চ সকাল ৯টা ৫২ মিনিট থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট ৮ মিনিট।
 
প্রাকৃতিক কারণে ঘটিত এই সাময়িক বিঘ্নের জন্য বিএসসিএল আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট   বিএসসিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

বিরল সূর্যগ্রহণ, দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার!

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ এপ্রিল বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একই সাথে পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে দেখা যাবে না এটি। সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ২০২৪ সালের প্রথম এ সূর্যগ্রহণ হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

নাসা বলছে, এই সূর্যগ্রহণ খুবই বিশেষ। কারণ এই ঘটনা ঘটছে ৫৪ বছর পর। এর আগে ১৯৭০ সালে এই সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। এর পরে এটি ২০৭৮ সালে ঘটবে।  

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে একই রেখায় থাকে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী। তখন সূর্য পুরোপুরি ঘূর্ণায়মান চাঁদের পেছনে ঢাকা পড়ে যায়। এ কারণে দিনের বেলাতেই রাতের অন্ধকার নামবে পৃথিবীতে। বিভ্রান্তে নিশাচর প্রাণিরা এ সময় সক্রিয় হয়ে উঠবে।
 
সূর্যগ্রহণটি যে অঞ্চলব্যাপী দৃশ্যমান থাকবে সেখানে প্রায় ৪ কোটি মানুষের বাস, যারা এটি উপভোগ করতে পারবে। ব্রহ্মাণ্ডের এই প্রাকৃতিক ঘটনায় চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চলে আসবে, সেসময় চাঁদের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ২৪০০ কিলোমিটার।
 
এই গ্রহণ রাত ০৯ টা ১২ মিনিট থেকে রাত ০১ টা ২৫ মিনিট মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। এই সূর্যগ্রহণের মোট সময়কাল ৪ ঘণ্টা ২৫ মিনিট স্থায়ী হবে।
 
নাসা জানিয়েছে, মহাজাগতিক এ দৃশ্য দেখা যাবে আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকো, পশ্চিম ইউরোপ প্যাসিফিক, আটলান্টিক, আর্কটিক, আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে। তবে বাংলাদেশ থেকে এ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না।

সূর্যগ্রহণ   নাসা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

৫২ বছর পর ফের চাঁদে নামল মার্কিন মহাকাশযান

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

৫২ বছর পর চাঁদে আবার মার্কিন মহাকাশযান। তবে এবার মহাকাশযানটি বেসরকারি সংস্থার তৈরি। এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম কোনো বেসরকারি সংস্থার তৈরি মহাকাশযান চাঁদের মাটি ছুঁল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মালার্পেট নামে একটা চন্দ্রখাতের কাছে নেমেছে এই চন্দ্রযান।

অ্যাপোলো ১৭ চন্দ্রাভিযান করেছিল ১৯৭২ সালে। এবার অডিসিয়াস মিশন চাঁদে সফলভাবে চাঁদে নামলো। এই মহাকাশযানটি তৈরি করা এবং তার উড়ানের পিছনে ছিল হিউস্টনের সংস্থা ইনটুইটিভ মেশিন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২৩ মিনিটে(জিএমটি) তা চাঁদে নামে। এই প্রথম একটি বেসরকারি সংস্থার চন্দ্রাভিযান সফল হলো।

ইনটুইটিভ মেশিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ''আমরা চাঁদের মাটিতে নামতে পেরেছি। সিগন্যাল পাঠাতে পারছে চন্দ্রযানটি।'' মিশন ডিরেক্টর টিম ক্রেইন বলেছেন, ''এখনো সিগন্যাল একটু দুর্বল আছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে আরো স্পষ্ট সিগন্যাল আসে। তবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই, আমাদের মেসিনপত্র এখন চাঁদে আছে। সেখান থেকে বার্তাও আসছে।''

ছয় পেয়ে রোবট অডিসিয়াস চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মালাপের্ট নামে চন্দ্রখাতের কাছে নেমেছে। এবার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি দিয়ে উচ্চপ্রযুক্তির সাহায্য়ে তা কাজ করবে। এটি চলবে সৌরশক্তির সাহায্যে। চন্দ্রপৃষ্ঠ, চাঁদের পরিবেশ-সহ অনেক বিষয়ে নতুন তথ্য পাঠাবে এই ল্যান্ডার।

অডিসিয়াস ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে। স্পেস এক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট তাকে মহাকাশে নিয়ে যায়। এখানে এই প্রথম সুপারকুল তরল অক্সিজেন, তরল মিথেন প্রোপালশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে খুবই তাড়াতাড়ি তা মহাকাশে পৌঁছে গেছে। 

মার্কিন মহাকাশযান   চাঁদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করলেন, ধানের ভেতরে গরুর মাংস

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।

ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।

এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।

গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।

গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।

বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।

পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।

গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।


উদ্ভাবন   চাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন