নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৬ এএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
ব্লক চেন ডেভেলপার না বিজনেস অ্যনালিস্ট? হসপিটালিটি না কি হিউম্যান রিসোর্সেস? বুঝতে পারছেন না কোন বিষয়টি নিজের ক্যারিয়ারের জন্য সঠিক? এবার কয়েকটি ক্লিকেই মিলবে সমস্ত সমস্যার সমাধান! ইসিপিটি, একটি অনলাইন ক্যারিয়ার অ্যাসিসটেন্ট, যেখানে রয়েছে এআই অর্থাৎ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এবং ডিএল অর্থাৎ ডিপ লার্নিং, যা সহজেই ক্যারিয়ারের পথ বাছার ক্ষেত্রে আপনার বন্ধু বা অভিভাবক হয়ে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। সম্প্রতি ৫ সেপ্টেম্বর এডুগাই এবং আইবিএম একত্রিত হয়ে একটি অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কেরিয়ার প্রেডিকশন টুলটির পথ চলা শুরু করে।
ইসিপিটি, এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের ১২০ মিনিট ধরে তিনটি আলাদা পর্যায় বিশ্লেষণ করে। প্রথমে অ্যাটিটিউড লেভেল অর্থাৎ মনোভাব, দ্বিতীয় ভাগে অ্যাপটিটিউড লেভেল অর্থাৎ তাদের প্রবণতা, এবং তৃতীয় ভাগে অ্য়াসপিরেশন লেভেল অর্থাৎ তাদের আকাঙ্ক্ষার স্তর— এই তিনটি ধাপে বিভিন্ন গ্রাফ ও স্কেলে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীদের ইচ্ছে বা পছন্দের জায়গাটিকে চিহ্নিত করা হয়।
যদি কোনও ছাত্র বা ছাত্রীর এই অনলাইন রেজাল্ট মনের মতো না হয়, তাহলে সে আবারও চেষ্টা করতে পারে। এডুগাই-এর বর্তমান সিইও সুবর্ণ বোস এই ডিজিটাল ক্যারিয়ার অ্যসিস্টেন্টের প্রধান উদ্যোক্তা। কিন্তু এর শুরুটা কোথায়। জানা গিয়েছে, উচ্চশিক্ষার জন্য নিজের ছেলেকে এবং ছেলের বন্ধুকে বিষয় পছন্দ করা নিয়ে বেশ দ্বন্দ্বে পড়তে দেখেই এমন ভাবনার উদ্ভাবন করেছিলেন তিনি।
সুবর্ণ বোস জানিয়েছেন, ‘ইসিপিটি হল এডুগাই কেরিয়ার প্রেডিক্টিভ টেস্ট। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের ১২০ মিনিট খরচ করলেই বুঝতে পারবেন নিজের পছন্দের বিষয় ঠিক কোনটা। যা কিনা ঠিক করতে অনেক শিক্ষার্থীই হয়তো অনেকটা সময় খরচ করে ফেলেন। এই ১২০ মিনিটই বলে দেবে কোন কেরিয়ারটা কোন শিক্ষার্থীর জন্য সব থেকে ভাল। কিংবা কোন ৩টি কেরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোত্তম। প্রাথমিক পর্যায়ে এই কেরিয়ার টেস্টটি পাওয়া যাবে মাত্র ১৯৯৯ টাকায়।’
এটি অবশ্য ইন্ট্রোডাক্টারি অফার। অফার শেষ হয়ে গেলে এই টেস্টটির খরচ পরবে ২৪৯৯ টাকা। শুধু নতুন শিক্ষার্থীরাই নন, যারা নিজেদের ক্যারিয়ার বদলানোর কথা ভাবছেন তারাও এই টেস্টের মাধ্যমে বেছে নিতে পারেন নিজের পছন্দসই বিষয়। সারা পৃথিবী ঘুরে, বড় বড় টেকনোলজি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে, তথ্য সঞ্চয় করার পরেই ইসিপিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এডুগাইের সঙ্গে মিলিত উদ্যোগে আইবিএমের বিশেষজ্ঞরা এটির রূপরেখা তৈরি করেছেন।
ভারত এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আইবিএম-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সন্দীপ পটেল এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘আইবিএম সবসময়েই তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। ব্যবসা এবং সমাজের জন্য আমরা যা করছি, পড়াশুনা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি, এবং ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের জন্য আর্টিফিসিয়াল বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসা।’
সুত্রঃ আনন্দবাজার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন