নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০
বাংলাদেশসহ উত্তর গোলার্ধে চলতি বছরের দীর্ঘতম রাত আজ সোমবার। ফলে আগামীকাল মঙ্গলবার হবে ক্ষুদ্রতম দিন। সৌরজগতে সূর্যকে ঘিরে পৃথিবীর ঘূর্ণন নিয়মের কারণেই প্রতিবছর ২১ ডিসেম্বর উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম রাত এবং এর পর দিন ২২ ডিসেম্বর ক্ষুদ্রতম দিন হয়ে থাকে।
২১ ডিসেম্বর সূর্য পৃথিবীর মকরক্রান্তি রেখা বরাবর অবস্থান করে। তাই উত্তর মেরু সূর্য থেকে কিছুটা দূরে হেলে থাকে। সূর্যের অবস্থানের কারণে এদিন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দ্রুত সন্ধ্যা নেমে আসে এবং এর পর দিন ভোর হয় দেরিতে। এর ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে ২১ ডিসেম্বর দীর্ঘতম রাত এবং এর পরদিন ২২ ডিসেম্বর ক্ষুদ্রতম দিন হয়ে থাকে।
অন্যদিকে, পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু সূর্যের কাছাকাছি থাকায় পুরোপুরি বিপরীত চিত্র দেখা যায় সেখানে। ২১ ডিসেম্বর দক্ষিণ গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন এবং ক্ষুদ্রতম রাত হয়ে থাকে। একে বলা হয় দক্ষিণ অয়নায়ন।
২১ ডিসেম্বররের পর থেকে উত্তর মেরুতে রাতের অবস্থান কমতে শুরু করে। পাশাপাশি দিন বড় হতে শুরু করে। ২১ মার্চ সূর্য বিষুব রেখা (বাসন্ত) বরাবর অবস্থান নিলে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে দিন-রাত্রি সমান হয়ে থাকে। এর পর ২১ জুন সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখা বরাবর অবস্থান নিলে উত্তর গোলার্ধে মানুষরা দীর্ঘতম দিন এবং ক্ষুদ্রতম রাতের অভিজ্ঞতা পান। একে বলে উত্তর অয়নায়ন।
দক্ষিণ গোলার্ধে সম্পূর্ণ বিপরীত। অর্থাৎ ২১ জুন সেখানে দীর্ঘতম রাত এবং ২২ জুন ক্ষুদ্রতম দিন। এরপর পর্যাক্রমে সূর্য ফের বিষুব রেখা বরাবর অবস্থান নিয়ে দুই গোলার্ধেই দিন-রাত্রি সমান হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন