ইনসাইড বাংলাদেশ

‘কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন তিনি?’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৪২ পিএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বেজায় ক্ষেপেছেন বেগম খালেদা জিয়া। আদালতের বিরতিতে তাঁর আইনজীবীদের কাছে বলেছেন, ‘তিনি (ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী) কি চান? কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন তিনি?’ গত সোমবার মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানির ওপর এক আলোচনা সভায় ডা. জাফরুল্লাহ বিএনপি এবং বেগম জিয়ার তীব্র সমালোচনা করেন। ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বিএনপি দুপুর বেলায় মনে করছে রাত শেষ হয়নি। সে কারণেই তারা জনগণের কাছে যেতে পারছে না। নিরাপত্তার নামে খালেদা জিয়া নিজেই গৃহবন্দী হয়ে থাকছেন।’

মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালতে উপস্থিত হন বেগম জিয়া। এ সময় একটি দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবরটির প্রতি দৃষ্টি যায় বেগম জিয়ার। বিরক্ত হয়েই এ মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। বেগম জিয়া বলেন, ‘এসব বক্তব্য কর্মীদের হতাশ করে।’ এরপর তিনি অন্য প্রসঙ্গে কথা বলেন।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশ: ০৩:৪৫ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ঈদযাত্রায় টাঙ্গাইলে মহাসড়কে প্রায় ১০ ঘণ্টা পর যানজট ও পরিবহন চলাচলে ধীরগতির অবসান হয়েছে। এর আগে রাত ১২টার পর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দুর্ঘটনা, টোল আদায় বন্ধ, চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে মহাসড়কের যানজট ও ধীরগতির সৃষ্টি হয়। 

শনিবার (১৫) সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অংশে কোথাও যানজট আবার কোথাও ধীরগতির সৃষ্টি হয়। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার পর মহাসড়ক স্বাভাবিক হয়। এখনও বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানা হতে সেতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত পরিবহনের ধীরগতি রয়েছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ভোর রাতে যানবাহন বিকল ও টোল প্লাজা কয়েকবার বন্ধ থাকার কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।


টাঙ্গাইল   মহাসড়ক   যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সদরঘাটে ২ লঞ্চকে জরিমানা

প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সিঁড়িতে রেলিং না দেওয়ায় ও নিয়ম না মেনে পন্টুনে ভেড়ানোর চেষ্টা করায় রাজধানীর সদরঘাটে দুটি লঞ্চকে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে এ জরিমানা করা হয় বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক এহতেশামুল পারভেজ।

তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকা নদী বন্দরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় এমভি গ্লোরী অব শ্রীনগর-৭ লঞ্চটির সিঁড়িতে রেলিং না দেওয়ায় ৩ হাজার টাকা এবং এমভি জামাল-৯ লঞ্চটি নিয়ম না মেনে বার্দিং করার চেষ্টা করলে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় নৌ-পুলিশ, আনসার ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান ।

তিনি বলেন, সকালের দিকে সদরঘাটে যাত্রীদের তেমন ভিড় ছিল না। বিকেলে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে। আমরা সদরঘাটে গিয়ে কিছু অনিয়ম পেয়েছি। এজন্য দুটি লঞ্চকে জরিমানা করা হয়েছে।


সদরঘাট   জরিমানা   লঞ্চ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আজিজুলের লাগাম টানবে কে?

প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

একের পর এক অপকর্ম, দুর্নীতি করেও সম্প্রতি পরিচালক পদমর্যাদার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে পদায়ন পেয়েছিলেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম। কিন্তু পুনবায় অপকর্মের অভিযোগ উঠায় আপাতত তার পদায়ন বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমানের বাসার লিফটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে রাজধানীর পরীবাগ এলাকার দিগন্ত টাওয়ারে মন্ত্রীর বাসার লিফটে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে অভিযোগ ওঠার পর ‘হামলাকারী’ কর্মকর্তার নতুন পদায়ন বাতিল করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী কর্মকর্তা হলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মলয় কুমার শূর। আর যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অধিদপ্তরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলাম।

আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শুক্রবার (১৪  জুন) এজাহার দাখিল করেন মলয় কুমার। সেটি মামলায় রূপান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিরুর রহমান। তবে আসামি আজিজুলকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

মলয় কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শেষে ফেরার পথে লিফট থেকে নামতে যাব, তখনই আজিজুল আমাকে অতর্কিত আক্রমণ করেন। হত্যার উদ্দেশ্যে কোনো ভোঁতা বস্তু দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন।’

এ বিষয়ে কথা বলতে আজিজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করে ও মেসেজ দিয়েও প্রতি উত্তর পাওয়া যায় নি।

হামলার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে মলয় শূর বলেন, আজিজুল ইসলামকে মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার পরিচালক পদমর্যাদার একটি পদে পদায়ন করে। যেহেতু তিনি (মলয়) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন), তাই এ বিষয়ে মন্ত্রীকে মতামত দিয়েছিলেন। বিভাগীয় মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত অবস্থায় আজিজুলের নতুন পদায়ন হয়। আইন অনুযায়ী তিনি কথা বলেছেন। এটা কারও পক্ষে যেতে পারে, বিপক্ষেও যেতে পারে। এ কারণে আজিজুল তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে থাকতে পারেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদ থেকে আজিজুল ইসলামকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অ্যান্ডোপ্যারাসাইটোলজি অনুবিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে চলতি দায়িত্বে পদায়ন করেছিল। কিন্তু মলয় শূরকে মেরে আহত করার অভিযোগ উঠলে ওই দিন রাতেই এ পদায়ন বাতিল করে মন্ত্রণালয়।

আজিজুলের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (লিভ, ডেপুটেশন অ্যান্ড ট্রেনিং রিজার্ভ) পদটি পঞ্চম গ্রেডের জুনিয়র কর্মকর্তা পদমর্যাদার। দুটি বিভাগীয় মামলায় তাঁর দুটি ইনক্রিমেন্ট (বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি) কাটা গেলে আজিজুল এই পদে চলে যান। অন্যদিকে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার পদ ছিল পরিচালক পদমর্যাদার তৃতীয় গ্রেডের।

ঘটনাটি সম্পর্কে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, ‘শুনেছি একজন কর্মকর্তাকে আরেকজন কর্মকর্তা মেরেছেন। একজন কর্মকর্তা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত প্রতিবেদন চেয়েছি। প্রতিবেদন পেলে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সেই প্রতিবেদন দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর বহিরাগত এক ব্যক্তিকে নিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক এমদাদুল হক তালুকদারের ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ রয়েছে আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তখন আজিজুল সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন।

এ ঘটনায় বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে এক বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিত করা হয় আজিজুলকে।

মহাপরিচালককে লাঞ্ছিত করার এ ঘটনার আগের বছর (২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর) প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অশোভন, অসৌজন্যমূলক ও বিদ্বেষপ্রসূত বার্তা আদান-প্রদান করার অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায়ও দোষী সাব্যস্ত হলে গত ১২ মে তাঁকে বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিত করা হয়।

একসময় জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদারকরণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন আজিজুল ইসলাম। এ প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটি গত ১ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় মামলা হলে তাঁকে প্রকল্প পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। মামলা চলমান রয়েছে।

এ ছাড়া আজিজুলের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


অপকর্ম   দুর্নীতি   আজিজুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রেনে আজ ঢাকা ছাড়বে দেড় লাখ মানুষ

প্রকাশ: ০২:৫৩ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ঈদ যাত্রার চতুর্থ দিনে আজ শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২টি স্পেশালসহ মোট ৬৯টি ট্রেন ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। তিনি বলেন, ‘আশা করছি এসব ট্রেনে এক থেকে দেড় লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারবে।’   

আজ (শনিবার) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ১২ জুন থেকে এবারের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের গন্তব্যে যেসব ট্রেন আমরা পরিচালনা করেছি সেসব ট্রেনের যাত্রীরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে নিরাপদে এবং ভোগান্তিহীনভাবে পৌঁছাতে পেরেছেন। আজ সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে গেছে। সবগুলো ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশন ত্যাগ করেছে। যাত্রীরা আমাদের ব্যবস্থাপনায় অনেকটা আনন্দিত হয়েছে। আমরা এবার বিনা টিকিটে ভ্রমণ করার প্রবণতাটা একটু কম দেখেছি। যাত্রীরা সচেতন হয়েছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, জিআরপি, ডিএমপি, র্যাব এবং বাংলাদেশের অন্যান্য সব বাহিনী সম্মিলিতভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর, ভোগান্তিহীন নিরাপদ ঈদ যাত্রা উপহার দিতে পেরেছি। এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের শিডিউল বিপর্যয়  এড়িয়ে অত্যন্ত নিরাপদে মানুষ নির্দিষ্ট সময়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন। 

 তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমরা ৩৩ হাজার ৫০০ আন্তঃনগর টিকিট বিক্রি করতে পেরেছি। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের ছিল না। কিন্তু এই ৩৩ হাজার ৫০০ টিকিটের বিপরীতে চাহিদা ছিল ব্যাপক। প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে চেয়েছিল। বেশিরভাগ যাত্রী হয়তো অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি। এখন এই টিকিটগুলো পাওয়ার জন্য এই যে ব্যাপক চাওয়া এই চাহিদাকে পুঁজি করে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র টিকিট প্রিন্ট আউট করে, এডিট করে বিভিন্নভাবে অনেককে প্রতারিত করেছেন। তাদের র্যাব ধরেছে।   



ঈদ যাত্রা   চতুর্থ দিন   ঢাকা রেলওয়ে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রূপগঞ্জে বেনজীরের বাড়ি ঘিরে স্থানীয়দের রহস্য

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

এক পাশে ডেমরা-ইছাপুরা (রূপগঞ্জ) সড়ক। অন্য পাশে আনন্দ হাউজিং সোসাইটির কৃত্রিম লেক। লেকের পাশে ২৪ কাঠা জায়গাজুড়ে লাল রঙের আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণবাগ এলাকার এই বাড়ির মালিক পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। আট বছর আগে এলাকার প্রয়াত প্রেমানন্দ সরকারের সন্তানদের কাছ থেকে কোটি ৮৩ লাখ টাকায় ৫৫ শতাংশ জায়গা কেনেন তিনি। পরে বছর চারেক আগে এই জমিতে ওই বাড়ি করেন তাঁর ওই বাড়ি ঘিরে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা গল্প, রহস্য।

বৃহস্পতিবার সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, লাল ইটের দোতলা বাড়ি। কাঠের কারুকাজ করা সদর দরজা। দেয়ালে শীতাতপযন্ত্র আর সিসিটিভি ক্যামেরা। বাড়ির প্রধান ফটকের কাছে যেতেই ভেতর থেকে দুটি কুকুর ঘেউ ঘেউ করে চিৎকার করতে থাকে। ফটকের পাশের একটি কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ। বাড়ির ভেতরে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, দেড় মাস ধরে বাড়ি দেখভালের দায়িত্বে আছেন তিনি। সময় বেনজীরের পরিবারের কেউ এখানে আসেননি। বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে আবদুল্লাহ জানান, ‘বাড়ি দেখভাল করলেও ভবনের ভেতরে প্রবেশে তাঁদের অনুমতি নেই। ভবনের চাবি বেনজীর আহমেদের পরিবারের কাছে।

বেনজীরের বাড়ির ৩০০ মিটার দক্ষিণে কয়েক ঘরের বসতি। কথা হয় সেখানকার বাসিন্দাদেরও সঙ্গে। কুড়িগ্রামের আবদুল গণি ১৭ বছর ধরে ওই এলাকায় ভাড়া থাকেন। গণির ঘর থেকে বেনজীরের বাড়ি দেখা যায়। গণি বলেন, প্রায় সময়ই পুলিশের সাইরেন বাজিয়ে গাড়ির বহর নিয়ে বাড়িতে আসতেন বেনজীর। পুলিশের নিরাপত্তার কড়াকড়ির কারণে তখন বাড়ির পাশের সড়ক দিয়ে লোকজনের চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হতো। বেনজীরের সঙ্গে মাঝেমধ্যে আসতেন চেনা-অচেনা সংগীতশিল্পী নাটক-সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। তখন বাড়িতে গানের আসর বসত। গানের উচ্চ শব্দে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটত স্থানীয় মানুষদের, কিন্তু কখনোই ভয়ে কিছু বলেননি।

স্থানীয় বাসিন্দা আরশাদ আলী জানান, বাড়ি বাড়ির আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বাড়ির কুকুরের চিৎকার আর পাহারায় থাকা লোকজনের খারাপ আচরণের কারণে তাঁরা বাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটতেও ভয় পান।

বেনজীরের এই বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দক্ষিণে ২২ ঘর হিন্দুধর্মাবলম্বীর বসতি। স্থানীয় মানুষেরা জানালেন, ওই হিন্দু পরিবারগুলোর কাছ থেকে জোর করে কেনা জমির ওপর তিনি এই বাড়ি করেছেন।

ওই পাড়ায় কথা হয় স্থানীয় এক কাঠমিস্ত্রির সঙ্গে।  ওই মিস্ত্রির নাম জানতে চাইলে তিনি নাম প্রকাশে নিজের ভীতির কথা জানান। তাঁর কাছে জানতে চাই, বেনজীর দুর্নীতির দায়ে বিদেশে থাকার পরও তিনি ভয় পাচ্ছেন কেন। মিস্ত্রি বলেন, ‘এক বেনজীর দেশ ছাড়ছে, আরও কত বেনজীর এই রূপগঞ্জেই আছে। বেনজীররা দেশ ছাড়ে ঠিকই, কিন্তু ক্ষমতা তাগো ছাড়ে না। তারা দেশের বাইরে থাকলেও আমাগো মতো মানুষরে মশার মতো পিষ্যা (পিষে) ফেলতে পারে।


বেনজীর   রূপগঞ্জ   বাড়ি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন