ইনসাইড বাংলাদেশ

সাক্ষীর অভাবে বারবার পেছায় কিবরিয়া হত্যা মামলার বিচার

প্রকাশ: ১১:১৬ এএম, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

সাবেক অর্থমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ১৮ বছর আজ। তবে দেড় যুগেও কিবরিয়া হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি। নিয়মিত সাক্ষী হাজির না হওয়ায় বারবার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পেছাচ্ছে। সরকারি কৌঁসুলিরা বলছেন, অনেক সাক্ষীর মারা যাওয়া, সাক্ষী হিসেবে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরে চলে যাওয়াসহ নানা কারণে সাক্ষীরা ধার্য তারিখে সাক্ষ্য দিতে না আসায় মামলার বিচারকাজ শেষ হচ্ছে না।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে একটি জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন সিদ্দিক আলী নিহত হন। আহত হন আরও ৭০ জন। ঘটনার পরদিন হত্যা বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়।

এদিকে এত দিনেও মামলার বিচারকাজ শেষ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা। নিহত ব্যক্তির ছেলে রেজা কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ১৮ বছর অপেক্ষা করেছেন, আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করবেন। তাঁর মা বিচারের দাবিতেশান্তির সপক্ষে নীলিমানামে একটা কর্মসূচি করতেন। প্রতি বৃহস্পতিবার তিনি রাস্তায় দাঁড়াতেন। শারীরিক দুর্বলতার কারণে এখন পারেন না।

তিনি বলেন, ‘আমার মায়ের মতো এভাবে কাউকে যেন রাস্তায় দাঁড়াতে না হয়, এটাই আমরা চাই। যাঁরা আসল খুনি, তাঁদের যদি চিহ্নিত করতে পারি, তাহলে তাঁদের আপনজনদের রাস্তায় দাঁড়াতে হবে না।

আদালত সূত্র জানায়, মামলা দুটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাইউমসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করে বাদীপক্ষ। পরে মামলার পুনর্তদন্তের পর ২০১১ সালের ২০ জুন আসামির সংখ্যা ১৬ বাড়িয়ে ২৬ জনের নামে দ্বিতীয় দফা অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এটি নিয়েও আপত্তি জানায় নিহত ব্যক্তির পরিবার।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে নতুন করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

সরকারি কৌঁসুলিরা বলছেন, একের পর এক তদন্ত এবং বাদীপক্ষের নারাজির কারণে মামলার বিচারকাজ শুরু হতে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। মূলত হত্যাকাণ্ডের সাড়ে ১০ বছর পর মামলার বিচার শুরু হয়। হত্যা মামলার ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আর বিস্ফোরক মামলায় ১৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ১১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। অনেক সাক্ষীর মারা যাওয়া, সাক্ষী হিসেবে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরে চলে যাওয়াসহ নানা কারণে সাক্ষীরা ধার্য তারিখে অনুপস্থিত থাকছেন। অবস্থায় সাক্ষীদের উপস্থিত করতে সমন জারিসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।

আদালত সূত্র জানায়, সর্বশেষ ১৫ জানুয়ারি সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পেছানো হয়েছে। ওই দিন মো. শাহাদাত হোসেন প্রামাণিকের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। মামলার পরবর্তী তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন আদালত। সর্বশেষ তারিখে উপস্থিত না হওয়া কয়েকজন সাক্ষীর নামে পরোয়ানা সমন জারি করেন আদালত। তবে ওই দিন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছসসহ কয়েকজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ছাড়া মামলায় অভিযুক্ত জামিনে থাকা পাঁচজন আদালতে উপস্থিত হতে না পেরে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।

ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি সরোয়ার আহমদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ধার্য দিনে সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় নিষ্পত্তি হতে সময় লাগছে। তবে সাক্ষীদের হাজির করে দ্রুত মামলা শেষ করার চেষ্টা রয়েছে।

নিহত ব্যক্তির ছেলে রেজা কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ১৮ বছরের মধ্যে বছর বিএনপি, বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১৪ বছর ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেউ বিচার করেনি। আমরা বারবার দুটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার দাবি জানিয়েছি, হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা কে এবং গ্রেনেডের উৎস কি? কিন্তু নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আগ্রহ কম। আছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। জন্য বর্তমান সরকারের সময় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত বিচার আশা করি না। তবে সরকার পরিবর্তন হলে আশা করি সুষ্ঠু বিচার হবে।

এদিকে সাবেক অর্থমন্ত্রীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ঢাকার বনানী কবরস্থানে বেলা ১১টায় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মোনাজাত ফাতেহা পাঠের পর মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মানববন্ধনে গণঅধিকার ফোরামের সভাপতি রেজা কিবরিয়াসহ সংগঠনের নেতাদের উপস্থিত থাকবেন। ছাড়া হবিগঞ্জে কিবরিয়া স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল বৈদ্যের বাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রথম রোজায় নিম্ন আয়ের মানুষের সাথে ইফতার করলেন মেয়র আতিক

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail প্রথম রোজায় নিম্ন আয়ের মানুষের সাথে ইফতার করলেন মেয়র আতিক।

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উদ্যোগে মাহে রমজানে মাসব্যাপী নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। গুলশানস্থ নগরের ভবনের সম্মুখস্থলে এই আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) প্রথম রোজায় এই ইফতার আয়োজনে নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে ইফতার করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ইফতারের কিচ্ছুক্ষণ পূর্বে মেয়র আতিকুল ইসলাম উপস্থিত সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সাথে বসে গল্প করেন। এসময় শিশুরাও মেয়রের সাথে গল্পে আনন্দে মেতে উঠেন। 

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সীমিত আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করেই এই উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে পুরো রমজান মাসব্যাপী ইফতারের ব্যবস্থা থাকবে। তবে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষই নয় সবার জন্যই এটি উন্মুক্ত। যে কেউ এসে এখানে ইফতার করতে পারবেন।’

মেয়র আরও বলেন, ‘আজকে প্রথম রোজায় হয়তো নিজের পরিবারের সাথে ইফতার করলে ভালো লাগতো। কিন্তু এখানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সাথে ইফতার করতে এসে আরও বেশি ভালো লাগছে। এটি তাদের মুখে হাসি ফুটানোর একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। এটি অত্যন্ত আনন্দের, ভালো লাগার। রমজান মাসে সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে আসুন প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগত যেভাবেই হোক, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াই।’

এ সময় অন্যান্যের সাথে ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইসহাক মিয়া, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর আমেনা বেগম এবং অঞ্চল-৩ এর  আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।   


প্রথম রোজা   নিম্ন আয়   মানুষ   ইফতার   মেয়র আতিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আইসিসিবি পুরান ঢাকা ইফতার বাজার ২০২৩

প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) তে ১লা রমজান থেকে নানা  রকম মুখরোচক ঢাকাই ইফতারির আয়োজন নিয়ে চলছে আইসিসিবি পুরান ঢাকা ইফতার বাজার। আইসিসিবি সপ্তম বারের মতো আয়োজন করেছে ইফতারের এই মহা আয়োজন। 

পুরান ঢাকার ইফতার ঢাকার একটি বিশেষ ঐতিহ্য। আর এই ঐতিহ্যের স্বাদ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে নতুন ঢাকার ভোজনরসিকদের সাথে পরিচিত করাতেই আইসিসিবির এ উদ্যোগ। তাই প্রচন্ড গরম আর যানজটে যেতে হবেনা আর চকবাজারে, ঢাকা উত্তরের ভোজনরসিকদের জন্য সবই থাকছে আইসিসিবি ইফতার বাজারে। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, ধুলাবালি মুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পুরান ঢাকার ইফতার এখন খুব সহজেই পাওয়া যাবে আইসিসিবি ইফতার বাজারে। 



ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার হল ৫ ঘুরে দেখা যায় আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট সহ ঢাকাই খাবারের বিখ্যাত সব স্টলে ক্রেতাদের ভিড় । ঢাকাই ইফতারের মুখরোচক আয়োজন ছাড়াও রয়েছে নানাবিধ শাহী আইটেম, আচার ও তাজা ফলের জুসের সমাহার। দামও রয়েছে মোটামুটি নাগালের ভেতর। জমজমাট আইসিসিবি ইফতার বাজার চলবে প্রতিদিন বিকাল ৩:০০ টা থেকে ২৫শে রমজান পর্যন্ত।

আইসিসিবি   পুরান ঢাকা   ইফতার বাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৭:৩৩ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

খুলনার দীঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আনসার আলীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২৪ মার্চ) জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হলে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

তিনি দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয় লোকজন জানান, শেখ আনসার উদ্দিন শুক্রবার দুপুরে নগরীর খানজাহান আলী থানার শিরোমনি পূর্বপাড়া বায়তুল আকসা জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়েন। এরপর মসজিদ থেকে পাশর্^বর্তী বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় মোটর সাইকেলযোগে আসা সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে।

খানজাহান আলী থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা যায়নি।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন কুমার জানান, আনসার উদ্দিনের বাড়ি দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামে। তার বিরুদ্ধে বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী জাকির হোসেন হত্যা মামলাসহ ৭টি মামলা রয়েছে। বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে গাজী জাকিরের কাছে আনসার উদ্দিন পরাজিত হয়েছিলেন। গাজী জাকির খুন হওয়ার পর উপ-নির্বাচনে আনসার প্রার্থী হলেও ঋণ খেলাপীর কারণে প্রার্থীতা বাতিল হয়ে গিয়েছিল।

আওয়ামী লীগ   খুলনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে আট বিদেশি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ উপস্থাপন

প্রকাশ: ০৫:২০ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail ফরিদপুরে আট বিদেশি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ উপস্থাপন।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আটটি বিদেশি ভাষায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে ফরিদপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এ সময় আটটি বিদেশি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন করেন- জাপানি ভাষায় দিলিপ মণ্ডল, স্প্যানিশ ভাষায় তানভীন ইসলাম, ফারসি ভাষায় নাজমুল ইসলাম, আরবি ভাষায় সাইফুল ইসলাম, ফ্রেঞ্চ ভাষায় কৌশিক মালো, ইংরেজি ভাষায় ফারহানা জানাম, চীনা ভাষায় মারুফ আহমেদ ও হিন্দি ভাষায় শ্রেয়া তুলশিয়ান।

স্বাগত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ৭ মার্চ বাঙালি জাতির একটি ঐতিহাসিক দিন। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে জাতির পিতার ঐতিহাসিক এ ভাষণটি ছড়িয়ে দিতেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার এ ভাষণটি বিভিন্ন ভাষায় উপস্থাপন করার লক্ষ্যই হচ্ছে বিভিন্ন দেশের মানুষ এ ভাষণটি শুনে উদ্বুদ্ধ হবে। আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের এ ভাষণটি আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃতি পাক এবং এই দিনটি ‘আর্ন্তজাতিক ভাষণ দিবস’ হিসেবে পরিগণিত হবে। পরে ৭ মার্চের ভাষণ উৎসব প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


ফরিদপুর আট বিদেশি ভাষা   বঙ্গবন্ধু   ৭ই মার্চ   ভাষণ   উপস্থাপন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রোজার দৈহিক-মানসিক উপকারিতা

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রোজা শুধু ধর্মীয় বিধিবিধানের অংশ, তা নয়। এটি বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যনীতিরও একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে। এর রয়েছে দৈহিক ও মানসিক উপকারিতাও।

আসুন জেনে নেই-

রোজার দৈহিক উপকারিতা-

রোজা থাকলে দিনের বেশিরভাগ সময় না খেয়ে থাকতে হয়। এতে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট ও চর্বি কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকারক টক্সিন কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বের হওয়ার সুযোগ পায়।

দেহকে বিষমুক্ত করার একটি কার্যকরী উপায় হলো রোজা। যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তারা সহজেই এ সময়টা কাজে লাগাতে পারেন। কারণ, রোজা রাখার পাশাপাশি ইফতার ও সেহরিতে পুষ্টিকর খাবারের প্রাধান্য দিলে খুব সহজেই এ সময়ে আপনি নিজের ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন।

রমজানে নিয়মিত রোজা রাখার ফলে  স্বাস্থ্যসম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন: উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদ্‌রোগ ও স্থূলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

রোজায় পেট খালি থাকার কারণে খাবার হজমের অ্যাসিড এই সময় ধীরগতিতে নিঃসরিত হয়, যা হজম শক্তিজনিত নানা সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রোজার কোনো বিকল্প নেই। কারণ দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার ফলে শরীরে কোলেস্টেরল ও গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়।

অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার বদভ্যাস আছে, তারা এ নিয়মিত রোজা রাখার কারণে এই বদভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। তাছাড়া যেকোনো নেশাদ্রব্য থেকে মুক্তি পেতে রোজা একটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

রোজার দৈহিক উপকারিতার সঙ্গে রয়েছে মানসিক উপকারিতাও-

রোজা যেহেতু ধর্মীয় একটি ইবাদত তাই নিয়মিত রোজা রাখার ফলে মানসিক প্রশান্তি অনুভব করা যায়। এ সময় স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়, যা ব্রেনের কর্মক্ষমতাকে অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে।

এছাড়া দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার অভ্যাসে আমরা সঠিক পথে চলার শক্তি পাই। দীর্ঘসময় নিজেকে সংযত রাখার কারণে আমরা সহজেই পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারি।

নিয়মিত রোজায় ও ধর্মপথে থাকায় মানুষ নিজের আত্মপর্যালোচনা এবং চিন্তা-চেতনাকে উন্নত করার সুযোগ পায়।

রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীর নানা ধরনের চাপ নিতে সক্ষমতা অর্জন করে। ফলে রোজাদার ব্যক্তি কখনো খিঁচুনি এবং মানসিক অস্থিরতার মুখোমুখি হয় না।

রোজা   দৈহিক-মানসিক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন