প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এমন কোনো চাপ নেই- যা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। এমন অনেক চাপই-তো ছিল। দেশ বিদেশ থেকে এতো টেলিফোন, একজন লোককে একটি ব্যাংকের এমডি করে রাখতে হবে। কারণ এমডি হিসেবে থাকলে মানি লন্ডারিং করা যায়। গরীবের রক্ত চুষে খাওয়া যায়, এ কারণে। সে চাপও তো পার করে আসলাম।’
তিনি বলেন, ‘তার ৭০ বছর বয়স হয়েছে। ৭০ বছর বয়সে তাকে কিভাবে একটি বাংকের এমডি করে রাখা হবে?’
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় গণভবনে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে - আসছে নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মহল থেকে কোনো ধরনের চাপ আসছে কি না?- এমন প্রশ্ন করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি এমন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্যে সম্প্রতি কাতার সফরের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা কেউ কি পারবেন নিজের বাবা-মা’র হত্যাকারীর সাথে বসে সংলাপ করতে? তারপরও দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে তাদের সাথে সংলাপে বসেছিলাম। সংলাপ করে লাভ কি? তারা নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা করেছেন।
এর আগে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কি উত্তর দেব জানি না। তবে আমার একটি প্রশ্ন আছে। তিনি একজন নোবেল বিজয়ী মানুষ। তার জন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে বিজ্ঞাপন দিতে হবে কেন? তা-ও আবার বিদেশি পত্রিকায়। এই যে প্রজ্ঞাপন, প্রজ্ঞাপন কেন দিতে হলো? আমাদের দেশের একটি আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী সব চলবে এবং সব চলে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমরা শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ করি। তারা ট্যাক্স ঠিকমতো দেয়,সেটা আলাদা বিভাগ আছে। ট্যাক্স আদায় করে। কেউ যদি এখন এ সমস্ত বিষয়ে কোনো রকম আইন ভঙ্গ করে বা শ্রমিকদের কোনো অধিকার কেড়ে নেয়, শ্রম আদালত আছে- সেটা দেখে। এই বিষয়ে আমারতো কোনো কিছু করার নেই- সরকার প্রধান হিসেবে। সেইখানে আমাকেই কেন বলা হলো। এর বাইরে আমি আর কি বলব?’
সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিনয় মোহন কোয়াত্রা
মন্তব্য করুন
গ্রেপ্তার কাচ্চি ভাই বেইলি রোড
মন্তব্য করুন
জাল ভোট নির্বাচনী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’