ইনসাইড বাংলাদেশ

কেবল কেক কেটে নয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন হোক মূলত আদর্শ চর্চার মাধ্যমে

প্রকাশ: ০৮:১২ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ অস্ট্রেলিয়া এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার যৌথ উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ মার্চ) সিডনির স্থানীয় এক রেস্টুরেন্টে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি কৃষিবিদ আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট আইনজীবী সনির্মাল্য তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধে অপারেশন জ্যাকপটে অংশগ্রহণকারী অন্যতম বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমেদ মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন, মো. শফিকুল আলম, এমদাদ হক, ডা. লাভলী রহমান, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান শামীম, অপু সারোয়ার, মাসহুদা জামান ছবি, ড. সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম রুবেল, আলী আশরাফ হিমেল, সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিদেশ কবিরাজ, সাজ্জাদ সিদ্দিক, প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন লেখক ও আবৃত্তিকার আরিফুর রহমান, এবং শাহানা চৌধুরী। 

সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পঁচাত্তরের পনেরো আগস্টে নিহত সকল শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধে জীবনোৎসর্গকারী তিরিশ লক্ষ শহীদকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। 

আলোচনা সভার আগে সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাষ্কর্যে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয়। 

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশ হতো না, আমরাও সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে আসতে পারতাম না। তাঁর নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যেন আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত না করি। কেবল কেক কেটে নয়, আমরা যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চার মাধ্যমে তাঁর জন্মদিন পালন করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও অসমাপ্ত কাজসমূহ বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। প্রবাসে বসে আমাদের এমন কিছু বলা বা করা উচিত হবে না, যাতে শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্থ হন। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে-বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে নানামুখি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমাদের চোখ-কান খোলা রেখে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। ব্যক্তিজীবনে কী পেলাম আর কী পেলাম না, এই হিসেব না করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

সভায় আরও বলা হয়, পোয়েট অব পলিটিক্স এর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন ‘ফিলোসফার অব পলিটিক্স’ও।

বঙ্গবন্ধু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘দেশকে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতেই এ সহিংসতা’

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতেই দেশজুড়ে সহিংসতা চলানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) সাম্প্রতিক সহিসংতায় আহতদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও এঘটনায় দেশবাসীর কাছে নাশকতাকারীদের বিচার চাইলেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। আন্দোলনের নামে এতগুলো পরিবারের ক্ষতি হলো এর দায়িত্ব কার? দেশবাসীর কাছে নাশকতাকারীদের বিচার চাই।

 এছাড়াও সরকার আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করবে বলেও জানান শেখ হাসিনা। 

এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি চিকিৎসক এবং নার্সদের সাথে কথা বলেন এবং আহতদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে সারা দেশে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি নামানো হয়।

এছাড়া গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। যদিও প্রতিদিন এর মাঝে কয়েক ঘণ্টা করে শিথিল করা হয়। পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাওয়ায় ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রী   সহিংসতা   ভিক্ষুকের জাতি   অর্থনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উত্তরায় যুবলীগ কর্মীকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে জামায়াত-শিবির

প্রকাশ: ১০:৩৮ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন যুবলীগ কর্মী জুয়েল মোল্লা। ১৯ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় নৃশংস ঘটনা ঘটে। ওই দিন যুবলীগ কর্মী জুয়েলকে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। পরে তাকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখে। একপর্যায়ে তার লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে তারা। ইতোমধ্যে এই দুই ঘটনার ছবিই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

নিহত জুয়েল মোল্লার বাড়ি গাজীপুরের গাছা থানার চান্দুয়া গ্রামে। তার এক ভাই দুই বোন রয়েছে। ছাত্রজীবনে টঙ্গী সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। হত্যাকান্ডের দিন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে ছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৬ জুলাই সারা দেশে সংঘর্ষ শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৯ জুলাই পর্যন্ত চলা সেই সহিংসতায় দুই শতাধিক নিহতের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে তিনজন পুলিশ সদস্য এবং একজন আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। সময় হাজার ১১৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ১৩২ জন। তিনজন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন। র‌্যাবের শতাধিক এবং আনসার বাহিনীর শতাধিক সদস্য আহত হয়েছেন।


উত্তরা   যুবলীগ   কর্মী   জামায়াত   শিবির  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান চলছে

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ, সংঘাত, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে ‘ব্লক রেইড’ দিয়ে চলছে অভিযান।

অভিযান সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যখন কোনো এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয় তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শত শত সদস্য গিয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলেন। ওই এলাকা থেকে কেউ যেন বের হয়ে যেতে না পারেন, এ জন্য সব পথে তাঁরা অবস্থান নেন। এরপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটিকেই মূলত তাঁরা ‘ব্লক রেইড’ বলছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো বলছে, আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় জড়ানো ব্যক্তিদেরকেই তারা গ্রেপ্তার করছে। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এদের বড় অংশ বিএনপি-জামায়াত ও তাঁদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর নেতা-কর্মী। এর বাইরে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশি সহিংসতা হয়েছে এমন এলাকায় তাঁরা জোরদার অভিযান চালাচ্ছেন। তা ছাড়া সহিংসতার মদদদাতা হিসেবে সন্দেহভাজন বিএনপি–জামায়াতের নেতাদের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনাও পেয়েছেন তাঁরা। এসব নেতাদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন মহানগর, জেলা ও থানা-পুলিশ সূত্রে গত ১০ দিনে (গতকাল পর্যন্ত) ঢাকাসহ ৫৩টি মহানগর ও জেলায় ৫৫৫টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। ঢাকার বাইরে নতুন ২২টি ও ঢাকায় আরও আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। ঢাকায় এ নিয়ে মোট মামলার সংখ্যা ২০৯।

সারা দেশ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১০ দিনে (১৭-২৬ জুলাই) সারা দেশে মোট গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৬ হাজার ২৬৪ জন। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৭৬৫ জন। এই সময়ে রাজধানীতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ২০৭ জন। শুধু রাজধানীতে ১০ দিনে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা অন্তত ২ হাজার ৪১৬ জন। আটককৃতদের অনেককে পুরনো মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর শাহিনবাগ এলাকায় ‘ব্লক রেইড’ দিয়ে যৌথ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার উড়তে দেখেন এলাকাবাসী ও আশপাশের বাসিন্দারা। হেলিকপ্টার থেকে নিচে আলো ফেলতে দেখে অনেকে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন।


আইনশৃঙ্খলা   বাহিনী   সাঁড়াশি   অভিযান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতে পাচারকালে ১৬ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ জব্দ

প্রকাশ: ১০:১৯ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে পাচারকালে ১৬ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ জব্দ করেছে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। 

 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিজিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে মুল্যবান সাপের বিষ পাচার করা হচ্ছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ দামোদরপুর মাঠের ২৮৯/৪১ নম্বর সীমানা পিলার এলাকায়  অভিযান চালায় বিজিবি। 

এসময় পরিত্যক্ত ২ টি কাঁচের জারে মোট ২ কেজি ৪৬৬ গ্রাম বিষ জব্দ করা হয় যার আনুমানিক মুল্য ১৬ কোটি ২লাখ ৯০ হাজার টাকা বলে জানা গেছে।


সাপের বিষ   ভারতে পাচার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ১৭৯ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চালানো সন্ত্রাসী তাণ্ডব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ১৭৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক। শুক্রবার (২৬ জুলাই) কে. এইচ. মাসুদ সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা নিন্দা জানান। নাগরকি সমাজের নেতৃবৃন্দ যুক্ত বিবৃতিতে দেশবাসীকে এই ধ্বংস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের বিষয়টি সামনে রেখে সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশব্যাপী সন্ত্রাসী তাণ্ডব ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বহু মূল্যবান প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিনের সন্ত্রাসী ঘটনায় পথচারী, ছাত্র, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং আহত হয়ে যারা চিকিৎসাধীন তাদের সুস্থতা কামনা করছি।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এরই মধ্যে দেশের অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত জনগণের সমর্থন নিয়ে জাতি তা দ্রুত পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা দেশবাসীকে এই ধ্বংস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানাই।

তারা বলেন, গত ১৬ জুলাই থেকে নাশকতামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, বাংলাদেশের মানুষের বহু আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেতু ভবন, মেট্রোরেল, বিআরটিএ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ডিজিটাল ডাটা সার্ভার স্টেশন, কারাগার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, নবনির্মিত এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করেছে। অস্ত্রলুটসহ জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ায় সহায়তা করেছে। জনজীবন বিপন্ন দুর্বিষহ করে তুলছে এবং কর্তব্যরত আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ হত্যার মাধ্যমে নিজেদের স্বরূপ উন্মোচন করেছে।

আমরা ধরনের দেশবিরোধী কার্যক্রমের নিন্দা জানাই। বিষয়ে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও যারা বিদেশি হস্তক্ষেপ আহ্বান করে তাদের নেতিবাচক ভূমিকার নিন্দা জ্ঞাপন করছি। এই গোষ্ঠী ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যা, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আক্রমণ নাশকতা চালিয়েছে। এরই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বর্তমানের এই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম।যোগ করেন তারা।

নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ বলেন, এরই মধ্যে কোটা সংস্কারে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করায় আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা বিশ্বাস করি এর মাধ্যমে ছাত্রদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে। এখন ছাত্রদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়ার সময়। একই সঙ্গে আমাদের সবার প্রত্যাশা, কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে যে সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে পুনরায় অগ্নিসন্ত্রাস, রাষ্ট্রীয় গৌরবোজ্জ্বল প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং জনজীবন বিপন্ন করেছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্র, জাতীয় সম্পদ জনগণের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সামগ্রিক বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন-অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, রাষ্ট্রদূত সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর . আতিউর রহমান, চিত্রশিল্পী রফিকুন্নবী, আবুল বারক আলভী, সাবেক মুখ্যসচিব আবদুল করিম, সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নূরুল হুদা, . হাসান মাহমুদ খন্দকার, অধ্যাপক নিসার হোসেন, . নিজামুল হক ভূইয়া, অধ্যাপক . মিজানুর রহমান, অধ্যাপক . মো মোতাহার হোসেন, অধ্যাপক . জিনাত হুসা, অধ্যাপক . মো. মমিন উদ্দীন, অধ্যাপক . আব্দুর রহিম, অধ্যাপক . সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, অধ্যাপক . শফিউল আলম, সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, মনজুরুল আহসান বুলবুল, ওমর ফারুক, শ্যামল দত্ত, শুকুর আলী শুভ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য . মো. মশিউর রহমান, অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, বিচারপতি সামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক, চিত্রনায়ক আলমগীর, সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ, অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা, সাবেক আইজিপি কে এম শহীদুল হক, সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কে এম শামীম চৌধুরী, নাট্যব্যক্তিত্ব হামিদ, অভিনেত্রী জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার এস এম মনজুরুল হক মঞ্জু, কাজী খায়রুল বাশার, আবুল কালাম হাজারী, নুরুজ্জামান, শাহাদত হোসেন, আবদুর রশিদ, মনিরুজ্জামান, একেএম হামিদ, মো. শামসুর রহমান, এইচ কে নাথ, অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. উত্তম বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. এস এম আমিন, অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।


সন্ত্রাস   নৈরাজ্য   বিশিষ্ট নাগরিক   বিবৃতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন