কক্সবাজারের উখিয়ার ক্যাম্প ১২তে দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে মোঃ মাহাবুব নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। নিহত মোঃ মাহাবুব উখিয়ার ১৯ নম্বর ক্যাম্পের আশ্রিত বাসিন্দা।
শনিবার
(১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে
উখিয়ার বালুখালী ১২ নম্বর ক্যাম্পে
এই ঘটনা ঘটে।
রোহিঙ্গা
ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার
দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ
ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত জিআইজি মো: আমির জাফর
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,
নিহত মাহাবুব নিজের আশ্রয় শিবির থেকে এসে বালুখালী
১২ নম্বর ক্যাম্পের একটি দোকানে অবস্থান
করছিলেন। এসময় ৭/৮
জনের দুষ্কৃতিকারী তার উপর গুলিবর্ষণ
করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে
গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার
করে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা
করেন। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের
জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে
পাঠানো হচ্ছে।
নিহত
রোহিঙ্গা মাহাবুব ইসলামী মাহাজ নামে একটি সংগঠনের
সদস্য ছিলেন।
সাধারণ
রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে আধিপত্য
বিস্তারের জের ধরে কয়েকটি
সন্ত্রাসী গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এর সূত্র ধরে
এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
কক্সবাজার উখিয়ার ক্যাম্প রোহিঙ্গা নিহত
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ পুলিশ
মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘স্বাধীনতা কীভাবে এলো তা
ভুলতে বসেছিল একটি প্রজন্ম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ
করেন তারপর থেকে আবারও দেশের চাকা যেন স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছে।’
আজ রবিবার
(২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর রমনায় পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে
পুলিশ অফিসার্স মেসে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন,
‘একটা প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে ছিলেন সেটা ভুলতে বসেছিল। সেই অবস্থা থেকে দেশকে এবং জাতিকে
স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানানোর জন্য আমরা বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন
করা শুরু করেছি। আজকে পুলিশ অফিসার্স মেসে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। এর
মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং নবীন অফিসার ও তাদের পরিবার যারা এখানে আসবেন তারা
দেখবেন বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করার মাধ্যমে।’
তিনি বলেন,
‘বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ ও কী চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল
সেই সম্পর্কে আগামী প্রজন্মের শিশুদের মধ্যে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হবে।’
পরে বঙ্গবন্ধু কর্নার ঘুরে দেখেন আইজিপি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
টানা ৯ মাস
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের
এই স্বাধীনতা। জাতির অহংকার আর গৌরবে গাঁথা আজকের এই দিন। তাই তো বাঙালি জাতি আজ ফুলেল
শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেদের। আজ শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে গেছে জাতির
শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেদি।
আজ ভোর ৫টা ৫৬
মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা
জানান রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান। এরপর
দলে দলে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি
নিয়ে প্রবেশ করতে থাকেন বিভিন্ন
রাজনৈতিক সংগঠন, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক,
সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
তাদের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয় বীর শহীদরা।
জাতীয়
স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের ইনচার্জ উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত
করার পর দলে দলে
শ্রদ্ধার ফুল নিয়ে মানুষ
সৌধ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে। শ্রদ্ধার ফুলে ধীরে ধীরে
বেদি ভরে যাচ্ছে। শ্রদ্ধা
নিবেদনে সুবিধার্থে বেদি থেকে ফুল
অপসারণ করা হচ্ছে।
এদিকে
স্বাধীনতার এই ক্ষণে জাতীয়
স্মৃতিসৌধের চারপাশে ছিল আনন্দঘন পরিবেশ।
সকাল থেকেই ফেরিওয়ালা ও হকাররা তাদের
স্থান দখল করে নিয়েছে।
অনেকে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন
বাংলার লাল-সবুজের পতাকা
বিক্রি করছেন। কেউবা গালে পতাকা ও
স্বাধীনতার প্রতীকী চিহ্ন এঁকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন
সৌধ প্রাঙ্গণে।
মন্তব্য করুন
২৫ মার্চ গণহত্যা
দিবসকে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভের জন্য সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার (২৬
মার্চ) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে
সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন,
মার্চের প্রতিটি দিনই আমরা গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে পালন করি। স্বাধীনতা দিবস ও তার
আগে ২৫ মার্চ। ২৫ মার্চ কালো রাতকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আমরা পালন করে আসছি। বাংলাদেশের
এই গণহত্যার ছয় ঘণ্টার মধ্যে কয়েক হাজার বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছিল।
সেদিন রাতেই
১২টা এক মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সেই ঘোষণাটি আসলো আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। তারপর থেকে
২৬ মার্চকে আমরা স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপন করি।
মন্ত্রী বলেন,
সারা বিশ্বের কাছে গণহত্যা দিবস পরিচিতি লাভের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে যারা খুন করেছিলেন, হত্যা করেছিলেন তাদের আমরা বিচারের মধ্যে
এনে শাস্তির ব্যবস্থা করেছি।
বঙ্গবন্ধুর
খুনিদের কয়েকজন এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদেরকেও ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন
দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমরা চেষ্টা করছি অচিরেই তাদেরকে নিয়ে আসার জন্য এবং তাদের
ফাঁসির রায় কার্যকর করার জন্য।
মন্তব্য করুন
আজ ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের
মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনের পথে এক ইতিহাসখচিত
দিন এটি। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ ডুডল তৈরি করেছে বিশ্বের
জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন সার্চ ইঞ্জিন গুগল। ছবিতে গুগলের নামের মাঝে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের
লাল-সবুজ পতাকা।
বাংলাদেশ
থেকে যে কেউ কোনো
কিছু খোঁজার জন্য গুগলে প্রবেশ
করলেই বাংলাদেশের পতাকা সংবলিত দৃষ্টিনন্দিত এ ডুডল দেখতে
পাবেন। আর এর উপর
ট্যাপ করলে লেখা উঠছে
‘বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে ২০২৩’।
আর তাতে ক্লিক করলেই
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস এবং এ সম্পর্কিত
ওয়েবসাইটগুলো দেখাবে গুগল।
বিশেষ
কোনো দিন, বিশেষ কোনো
ব্যক্তি কিংবা আবিষ্কার নিয়ে সার্চ বক্সের
ওপরে নিজেদের লোগোর পরিবর্তে এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ
নকশার যে লোগো তৈরি
করে গুগল, তাকেই বলা হয় ডুডল।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশের মহান
স্বাধীনতা দিবসে দৃষ্টিনন্দন ডুডল প্রকাশ করেছে
জনপ্রিয় এ সার্চ ইঞ্জিন।
গুগল ডুডল স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ
মন্তব্য করুন
মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে বীর শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৬ মার্চ) ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান।
ঢাকার অদূরে সাভারে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হয়ে প্রথমে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতির পরপরই জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুল-উল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।
এরপর পরই জাতীয় স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
রোববার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে বাঙালি জাতির প্রতি আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালি বিজয় অর্জন করে।
স্বাধীনতা দিবস স্মৃতিসৌধ রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন