ইনসাইড বাংলাদেশ

গৃহিণী থেকে নগরমাতা, কে এই জায়েদা খাতুন?

প্রকাশ: ০৯:৫০ এএম, ২৬ মে, ২০২৩


Thumbnail

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই। সবার মনে একটাই জিজ্ঞাসা- কে এই জায়েদা খাতুন? অনেকেই তার সম্পর্কে বিস্তারিতও জানতে চান।

জায়েদা খাতুন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা। একইসঙ্গে তিনি গাজীপুর সিটির নির্বাচিত প্রথম নারী মেয়র ও দেশের দ্বিতীয় নারী মেয়র।

জানা যায়, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে গাজীপুর সিটির তৃতীয় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা। 

জীবনের প্রথম নির্বাচনেই বাজিমাত করেছেন এ প্রার্থী। গৃহিণী থেকে একটি নগরীর দায়িত্ব নিতে যাওয়া জায়েদা হারিয়েছেন ক্ষমতাসীন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকেও। নির্বাচন তো দূরের কথা কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেননি তিনি। এমনকি রাজনীতি বা সামাজিক কোন ক্ষেত্রে তার নাম শোনা যায়নি।

জায়েদা খাতুনের ছেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন এ নগরীর দ্বিতীয় মেয়র। ২০১৮ সালে তিনি বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। তবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠায় তিনি মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। 

স্থানীয়রা বলছেন, এলাকায় জনদরদি হিসেবে পরিচিত জায়েদা। শিক্ষার্থীসহ গরিব-দুঃখী মানুষকে বরাবরই আর্থিক সহায়তা করেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানেও সহায়তা করেন তিনি।

হলফনামা সূত্রে জানা যায়, জায়েদা খাতুন গৃহিণী ও স্বশিক্ষিত। তার জন্ম গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কানাইয়া এলাকায় ১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। জাহাঙ্গীর আলমসহ তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

তার স্বামী মো. মিজানুর রহমান পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলার তথ্য নেই।

মহানগরের উন্নয়ন ও নগরবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন জায়েদা খাতুন।নির্বাচিত হলে পাঁচ বছরের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের অসমাপ্ত কাজ শেষ করারও অঙ্গীকার করেন। এছাড়াও সেখানে নানা উন্নয়ন কার্যক্রমের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের জন্যই পরিচিতি অর্জন এবং নির্বাচন-রাজনীতিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন জায়েদা খাতুন। এমনকি জাহাঙ্গীরের জনপ্রিয়তাকেই ভিত্তি করে চমক দেখিয়েছেন মা জায়েদা খাতুন। এছাড়া তার নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়কারীও ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।

এদিকে নির্বাচনের দিন কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। সেসময়ও তিনি বলেন, জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী, হানড্রেড পারসেন্ট।

প্রসঙ্গত, দেশের প্রথম নারী সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি। এরপর দেশের দ্বিতীয় নারী মেয়র হলেন জায়েদা খাতুন। আর গাজীপুরবাসি পেল তাদের প্রথম নগরমাতা।

প্রথম নারী মেয়র পেয়ে গাজীপুরবাসীর উল্লাস

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটির নির্বাচন। আর প্রথম নারী মেয়র পেয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে নগরবাসী। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টায় ফল ঘোষণার পর রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের বাইরে ও বিভিন্ন এলাকায় বিজয় মিছিল বের করছেন জায়েদার কর্মী সমর্থকদের। এসময় তাদের ঘড়ি ঘড়ি স্লোগানে উল্লাসে মেতে ওঠতে দেখা যায়।

মায়ের বিজয়ে যা বলছেন জাহাঙ্গীর

নতুন মেয়র ঘোষণা হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদার ছেলে ও গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাজীপুরের নির্বাচনে নৌকার জয় হয়েছে, ব্যক্তির পরাজয় হয়েছে। 

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মা বলেছে, সবাইকে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের গার্ডিয়ান। দেশের উন্নয়নে তাকে সহযোগিতা করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘এই জয়ের জন্য আল্লাহ্র পর আমি সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি মায়ের কর্মী হিসেবে তার কাজে সহযোগিতা করব, আমি আমার মেয়র থাকাকালীন অভিজ্ঞতা দিয়ে গাজীপুরের জন্য কাজ করব। মায়ের সঙ্গে থেকে গাজীপুরকে পরিকল্পিত নগরী করে দেব। কোন সন্ত্রাসীর কাছে মাথা নত করবো না।’

৪৮০ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফল

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জায়েদা খাতুন ঘড়ি প্রতীকে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন। আর আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। অন্য কোন প্রার্থী এই দুইজনের ভোটের কাছাকাছি ছিলেন না।

মাছ প্রতীকের আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, লাঙ্গল মার্কার এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, হাতপাখার গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২, গোলাপ ফুল প্রতীকের মো. রাজু আহমেদ পেয়েছেন ৭ হাজার ২০৬ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশিদ ২ হাজার ৪২৬ ও হাতি প্রতীক নিয়ে সরকার শাহনূর ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী চাইলে নির্বাচনকালীন ছোট সরকার গঠন করবেন: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:২৩ পিএম, ০৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তিতে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করবেন নির্বাচনকালীন সময়ে তিনি একটি ছোট সরকার করতে চান, এই সময়ে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং তার পরে তিনি তার সরকার গঠন করবেন।

তিনি বলেন, আমার মনে হয় এ ব্যাপারে কোনো অস্পষ্টতা নেই। কারণ প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই বলে দিয়েছেন নির্বাচনকালীন সরকারের কথা। নির্বাচনকালীন সরকারের কারা কারা থাকতে পারেন এই রূপরেখা তিনি দিয়ে দিয়েছেন।

আজ রোববার (৪ জুন) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সেমিনার হল রুমে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, প্রশিক্ষণ ব্যক্তিকে শানিত করে। প্রশিক্ষণ অনেক বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং ভুলে যাওয়া অনেক বেশি মনে করিয়ে দেয়। পৃথিবীর সব দেশেই দুর্নীতি আছে, তবে মাত্রায় পার্থক্য আছে।  

তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য যেহেতু অভিন্ন সে কারণে প্রশিক্ষণ ভালো ভূমিকা রাখবে। আমাদের প্রলোভন থেকে মুক্ত থাকতে হবে। নিজের দায়িত্বের বাইরে গিয়েও পারিবারিক সামাজিক জীবনেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভূমিকা রেখে যেতে হবে। দুর্নীতির মামলা প্রমাণ করে চার্জশিট দেওয়া অনেক কঠিন। তারপরেও আমাদের কাজ করে যেতে হবে একসাথে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:১০ পিএম, ০৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail

কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে এরশাদুল (২৪) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ওই আসামিকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাতে মৃত ঘোষণা করেন।

কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার আবু ছায়েম হাজতি মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) মাদক পরিবহনের সন্দেহে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ তাকে আটক করে। নিহতের পরিবারের দাবি, ওইদিন আটকের পর পুলিশ এরশাদের কাছে কিছু পায় নি। পুলিশ তাকে ‘শারীরিক নির্যাতন’ করেছে। এ কারণে কারাগারে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

এরশাদুল (২৪) ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামের মৃত শওকত আলীর ছেলে। এলাকায় তিনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। তার নামে একা‌ধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ।

নিহতের বড় বোন শিউলি বেগম অভিযোগ করে বলেন, নতুন বউ নিয়ে সীমান্ত এলাকা দেখতে গেছেন তারা। একটি অটোরিকশায় পরিবারের অনেক ছিলেন। পথে পুলিশ তাদের অটোরিকশার গতিরোধ করে তল্লাশি চালায়। এ সময় তাদের কাছে কিছু না পাওয়ায় তাদের সাথে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। পুলিশ এসে তাকে ধরে পেটাতে পেটাতে নিয়ে গেছে। আমার ভাইয়ের কাছে কোনও কিছু পায় নাই। থানায় নিয়ে গিয়ে আবার পিটিয়েছে। আমার ভাই তর্ক করেছে বলে তার জীবন নষ্ট করে দিতে চেয়েছে। আমার ভাইকে টর্চার করার কারণে সে মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই।’

এরশাদের স্ত্রী আদুরি বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর সাথে অন্যায় হইছে। আমি এর বিচার চাই।’

ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এরশাদকে আটকের সময় সে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি করে পড়ে গিয়ে আঘাত পায়। এজন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে ১৫১ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে কোন প্রকার নির্যাতন করা হয়নি।

কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার আবু সায়েম জানান, ওই আসামিকে হাসপাতালের কাগজসহ (চিকিৎসাপত্র) কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। কাগজে ফিজিক্যাল এ্যাসল্ট লেখা ছিল। আমরা তাকে কারা হাসপাতালে রেখেছিলাম। শনিবার দুপুরে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ০৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail

নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে রাজধানী ঢাকার পথে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার সকাল ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নতুন এই আন্তঃনগর টেনের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নীলফামারী প্রান্তে অন্যদের মধ্যে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আন্তঃনগর ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৬টায় চিলাহাটি থেকে ছেড়ে বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছবে। আবার সোয়া ৪টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে রাত ১টায় চিলাহাটি পৌঁছবে। আর এ ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে শনিবার। অর্থাৎ শনিবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন ট্রেনটি এ রুটে চলাচল করবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোনারগাঁয়ে মহাসড়কে ডাকাতিকালে চিহ্নিত ডাকাত আটক

প্রকাশ: ১১:৫৯ এএম, ০৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে মো. সেন্টু মিয়া (৩২) নামের এক চিহ্নিত পরিবহন ডাকাত ও চাঁদাবাজকে আটক করেছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। আটককৃত মো. সেন্টু মিয়া সোনারগাঁয়ের সোনাখালি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।  

শনিবার (৩ জুন) রাতে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুরের নয়াবাড়ী এলাকা থেকে উত্তরবঙ্গে চলাচলকারী একটি পরিবহন বাস থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ক্যাশ লুটকালে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার নিকট থেকে লুটকরা ৫ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি (টিআই) মো. ইব্রাহিম জানান, সেন্টু দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চাঁদাবাজি করে আসছিল। উত্তরবঙ্গের যানবাহনগুলো থেকে ক্যাশবাক্স লুট করা তার প্রধান টার্গেট ছিল। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ১২টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রেল দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ০৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail

মোবাইল ফোন কানের দিয়ে রেললাইনে হাঁটা এবং রেলগেট পড়ার পরও গাড়ি চলাচলের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। এর ফলে অল্প খরচে মানুষ যাতায়াত করতে পারে। আরামদায়ক ভ্রমণ করতে পারে।

রোববার (৪জুন) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।  

তিনি বলেন, রেল দুর্ঘটনা ঘটে, ভারতে কী ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে, আপনারা দেখেছেন। এরকম দুর্ঘটনা সচরাচর চোখে দেখা যায় না। একসঙ্গে তিনটি রেল দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে ২৮৮ জন মারা গেছেন। আমি তাদের ও পরিবারের প্রতি শোক জানাচ্ছি। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে শোক বার্তা জানিয়েছি। এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমাদের দুজন বাংলাদেশিও আহত আছেন। এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা সত্যি চিন্তার বিষয়।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন