পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও চীন। আজ (শনিবার) ঢাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে দুই দেশের সামগ্রিক বিষয় ছাড়াও আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যু গুরুত্ব পাবে। এ ক্ষেত্রে কিছু রোহিঙ্গাকে পাইলট প্রকল্পের অধীনে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে।
ঢাকার পক্ষে এফওসিতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বেইজিংয়ের পক্ষে ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন।
এফওসিতে নেতৃত্ব দিতে চীনের ভাইস মিনিস্টার ওয়েইডং একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে শুক্রবার (২৬ মে) রাতে ঢাকায় পৌঁছায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইস্ট এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক অনুবিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
এফওসিতে আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আলোচনায় অনেক কিছু আসতে পারে। দ্বিপাক্ষিক সব ইস্যু থাকবে। আঞ্চলিক ইস্যুও আসবে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলো কোন অবস্থায় আছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। চলমান বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও আলোচনা হতে পারে। দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ে সফর বিনিময়ের প্রসঙ্গও আলোচনায় আসবে।
আলোচনায় রোহিঙ্গাদের পাইলট প্রকল্পের অধীনে প্রত্যাবাসনে বিশেষ গুরুত্বের কথা জানান এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে মিয়ানমার ইস্যুতে আলোচনা হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মূল আলোচনা হবে। নির্বাচনের আগে কিছু রোহিঙ্গা পাঠানো দরকার। প্রসেসটা আমরা শুরু করতে চাই।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, দুই দেশের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে হতে যাওয়া সভায় থাকছে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে (জিডিআই) ঢাকার যুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গ। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত বিস্তর আলোচনা ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যু আলোচনায় থাকছেই।
চীনের ভাইস মিনিস্টার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
এছাড়া ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি পদ্মা সেতু দেখতে যাবেন চীনের ভাইস মিনিস্টার এবং তার সঙ্গে থাকা প্রতিনিধিদল।
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন আল জাজিরা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ও জিজ্ঞাসাবাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তারা এখন ডিবি কার্যালয়ে আছেন।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ এবং আবু বাকের মজুমদারকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোটা আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবি
মন্তব্য করুন
গত ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে যে সন্ত্রাস, নাশকতা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য, মিথ্যা এবং অপপ্রচার করা হচ্ছে নজিরবিহীনভাবে। বিশেষ করে জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনে এ ঘটনাগুলোকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য, গুজব এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে নানারকম বানোয়াট তথ্য এবং ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। আর এর ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে আবার বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে, না হলে আবার বাংলাদেশের উপর মানবাধিকার, সুশাসন ইত্যাদি বিষয়ে বিদেশি চাপ আসতে পারে বলে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
উল্লেখ্য যে, নির্বাচনের আগে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের ওপর বিদেশি চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয় এবং সেই চেষ্টায় বিএনপি জামায়াত অনেকটাই সফল হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি। বাংলাদেশের র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এছাড়াও বাংলাদেশের সুশাসন এবং গণতন্ত্র নিয়ে তারা অনেক নেতিবাচক মন্তব্য করেছিল। এমনকি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু না হলে ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগের ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের বিচক্ষণতায় এবং কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে সেই চাপ বাস্তবে রূপ নেয়নি।
কিন্তু এখন আবার সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন সহ সহ নানা রকম অভিযোগ উত্থাপিত করা হচ্ছে এবং বাংলাদেশের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা এবং চাপ আসতে পারে সে ব্যাপারে ষড়যন্ত্র চলছে।
সবচেয়ে বেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার জন্য। সহিংসতা এবং বীভৎস নাশকতা ঠেকানোর জন্য সরকার বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেনাবাহিনী সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী কোথাও কোন জায়গায় আগ্রাসী আচরণ করেনি।
কিন্তু আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে ডয়চে ভেলেতে ইউএন লোগো ব্যবহার করে ট্যাংক ব্যবহার করার প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে। কিন্তু ওই ট্যাংক কখনোই কোন বিদ্রোহ দমন বা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়নি এবং ঐ সাজোয়া যানগুলোর মালিকানাও বাংলাদেশের।
কিন্তু এটিকে নিয়ে এখন জাতিসংঘ পর্যন্ত ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য হল শান্তি মিশনে যেন বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি বিতর্কিত করা যায় সেই চেষ্টা। আর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রতিনিয়ত নানারকম মনগড়া অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।
এই বিষয়গুলোর ফলে সরকার নতুন করে চাপে পড়তে পারে। বিশেষ করে মানবাধিকার ইস্যুটিকে তারা বড় করে আনছে সরকারকে দুর্বল করার জন্য। বাংলাদেশের ওপর যেন বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় সেজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এ কারণেই এখন সরকারের এসব ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন অনেকে।
বাংলাদেশ থেকে কিছু স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি দোসর, বিএনপি-জামায়াতের পেরোলে থাকা বুদ্ধিজীবীরা এসব ভুল, অসত্য এবং অতিরঞ্জিত তথ্য বিদেশে পাঠাচ্ছেন। বিষয়টি এখনই নজরদারিতে আনা উচিত বলে অনেকে মনে করেন। নাহলে সরকার আরেকটি নতুন সংকটের মুখোমুখি হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।
বিদেশি চাপ আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ মন্ত্রিসভা
মন্তব্য করুন
গত ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে যে সন্ত্রাস, নাশকতা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য, মিথ্যা এবং অপপ্রচার করা হচ্ছে নজিরবিহীনভাবে। বিশেষ করে জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনে এ ঘটনাগুলোকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য, গুজব এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে নানারকম বানোয়াট তথ্য এবং ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। আর এর ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে আবার বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে, না হলে আবার বাংলাদেশের উপর মানবাধিকার, সুশাসন ইত্যাদি বিষয়ে বিদেশি চাপ আসতে পারে বলে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন।