সরকার
পদত্যাগের এক দফা দাবিতে
বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর
ডাকা চতুর্থ দফার অবরোধের প্রথম
দিন আজ রোববার সকাল
থেকে রাজধানীতে যান চলাচল প্রায়
স্বাভাবিক দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাসসহ সব ধরনের যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। সড়কে যাত্রীর
চাপও আছে।
তাছাড়া রাজধানীর
বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যথাসময়ে আসতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। অন্যদিকে, নাশকতা ঠেকাতে
জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।
সরেজমিনে
কাঁটাবন, বাটা সিগন্যাল, সায়েন্স
ল্যাবরেটরি, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, আজিমপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,
সকাল থেকেই সড়কে মানুষ ও
গণপরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের মতো। এসব এলাকায়
অবরোধের তেমন কোনো প্রভাব
লক্ষ্য করা যায়নি। বাস,
মিনিবাস, লেগুনা, সিএনজির পাশাপাশি চলাচল করতে দেখা গেছে
প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও স্টাফ বাস।
এছাড়াও জরুরি খাদ্য পরিবহন, ওষুধ সরবরাহসহ জরুরি
পরিষেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন গাড়িকে সামনে ব্যানার লাগিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
শনির
আখড়া থেকে গুলিস্তান রুটে
চলাচল করা শ্রাবণ পরিবহনের
বাসচালক শামসুল ইসলাম বলেন, ‘গাড়ি না চালাইয়া গাড়িওয়ালারা
কি না খাইয়া মরবো।
ভয় আছে, তারপরও বেশিরভাগই
গাড়ি নিয়ে নামছে। তবে যাত্রী একটু
কম।’
মতিঝিলের
একটি ব্যাংকের কর্মচারী আবুল হোসেন। তিনি
যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে বলেন, গাড়ি অনেক, যেতে কোনো সমস্যা
হবে না। রাতে আবার
এরকম থাকলেই হয়।
সাব্বির
আহমেদ নামের ঢাকা সিটি কলেজের
এক শিক্ষার্থী বলেন, অবরোধের শুরুর দিকে ক্লাসে শিক্ষার্থীর
উপস্থিতি কম থাকলেও এখন
বেড়েছে। প্রথম দিকে একটা আতঙ্ক
কাজ করেছিল, এখন সেটি নেই।
অন্যদিকে,
অবরোধ ঘিরে যেকোনো ধরনের
নাশকতা ঠেকাতে সড়কের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে এবং গাড়ি নিয়ে
টহল দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে নিউমার্কেট থানা,
ধানমন্ডি মডেল থানার পাশাপাশি
সড়কের উভয় পাশেই অবস্থান
নিতে দেখা গেছে ডিএমপির
পুলিশ সদস্যদের।
উল্লেখ্য,
গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে
হামলা, হত্যা, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকার পতনের
এক দফা দাবিতে এর
আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল
এবং ৩১ অক্টোবর, ১
ও ২ নভেম্বর মোট
তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা।
তারপর ৫ ও ৬
নভেম্বর দ্বিতীয় দফায়, ৮ ও ৯
নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি
পালন করে তারা। আর
আজ থেকে শুরু হলো
চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার
অবরোধ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড খুশী কবির
মন্তব্য করুন
সুশীল ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বদিউল আলম মজুমদার আদিলুর রহমান খান
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “গাজায় শান্তি স্থাপন করার বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। তিনি (ডোনাল্ড লু) বলেছেন, ইউএস অত্যন্ত টায়ারডলেসলি (অক্লান্তভাবে) কাজ করছে যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিনি আমাকে যেটুকু বলেছেন- ‘তারা আশাবাদী’।”
‘আমরা বলেছি, গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, নিরীহ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমি বলেছি, টেলিভিশনে যখন এগুলো দেখি, তখন টেলিভিশন দেখা কন্টিনিউ করতে পারি না। সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনিও একমত যে, সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য টায়ারলেসলি কাজ করছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একইসাথে গত ৫৩ বছরের আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে ডোনাল্ড লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।’
‘আমাদের আলোচনা সেই লক্ষ্যেই হয়েছে। একক দেশ হিসেবে আমাদের রফতানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আমি ডোনাল্ড লু’কে অনুরোধ জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও কিছু বিনিয়োগ তারা এরইমধ্যে করেছে।’
হাসান মাহমুদ ডোনাল্ড লু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকায় যেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঢাকার মধ্যে অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ওবায়দুল কাদের অটোরিকশা
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের চাকরির বাজারের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়ার জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি। চাকরিপ্রত্যাশীদের মতে সরকারি চাকরির মত পেশাগত নিরাপত্তা আর কোথাও নেই। আর সেজন্যই অনেক দেশে বেশি বয়সে সরকারি চাকরির আবেদনের সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশে এর সীমাবদ্ধতা ৩০ বছরে রয়েছে। সরকারি চাকরির কোন কোন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতার দরকার হয়। সেই দক্ষতা অর্জনের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া চাকরির আবেদনের বয়স যতই থাকুক না কেন, পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ অনির্দিষ্ট হয় না। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ বা ৭ বার সিভিল সার্ভিসের জন্য আবেদন করতে পারেন। আমাদের দেশেও যেকোন যুক্তিতে বয়স বাড়াতে গেলে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজাদ ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া এবং আই পার্টনার-ইন্ডিয়া যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। জেন্ডার সমতা নিয়ে কর্মরত দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী যে কেউ এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আগামী ৭ জুনের মধ্যে এই আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশে সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি আছেন যাদেরকে মনে করা হয় তারা মার্কিনপন্থী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে তারা গর্ব অনুভব করেন। কথায় কথায় মার্কিন দূতাবাসে যান। সেখানে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজে মিলিত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা বলে তারা তার চেয়ে তিন ধাপ গলা উঁচিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের কোন ভালবাসা নেই, প্রেম নেই, আগ্রহ নাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করাই যেন তাদের প্রধান লক্ষ্য। এই সমস্ত সুশীলদেরকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোফোন।