ইনসাইড বাংলাদেশ

শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী সার্বভৌমত্ব রক্ষার পূর্বশর্ত: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ২১ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

একটি শক্তিশালী, আধুনিক ও প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অন্যতম পূর্বশর্ত বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে। এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম, যা নিঃসন্দেহে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে। সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

আজ (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সোমবার (২০ নভেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় সশস্ত্র বাহিনী দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘যার নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সাতজন বীরশ্রেষ্ঠকে, যারা মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে দেশ ও দেশের বাইরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদের। তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করি। সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধাহত সদস্য ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্ব ও আস্থার প্রতীক। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। তিন বাহিনীর সম্মিলিত এই প্রয়াস আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর এক স্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্বগাথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনী প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মহামারি মোকাবিলায়ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করে চলেছেন।’

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা রাষ্ট্র ও নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন- এ প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপতি। এসময় তিনি সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং বাহিনীসমূহের সব সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।


রাষ্ট্রপতি   সশস্ত্র বাহিনী দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও নানা বাস্তবতায় আমাদের কোন কর্মসূচি নেই বলে জানিয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী  বরিশাল শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক সুজয় বিশ্বাস শুভ।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫ টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

লিখিত সংবাদ সম্মেলন পাঠকালে সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায় আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগ তা অনুসরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

তিনি বলেন, আমরা বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন করে আসছিলাম। কিন্তু আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দেশব্যাপী নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের অনেক ভাই-বোন আহত ও নিহত হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কারও অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে চাইনি। নির্বাহী বিভাগ আমাদের কোটা সংস্কারের দাবির প্রেক্ষিতে যে সমাধন করেছে, আমরা মনে করি তাতে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে।

তবে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের দাবির পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে কিছু দাবি রয়েছে। আমাদের দাবিসমূহ হল-১. অনতিবিলম্বে হল খুলে দিতে হবে; ২. বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণকে কোনো ধরনের মামলা বা হয়রানি করা যাবে না; ৩. শিক্ষার্থীদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না; ৪. ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও ক্যাম্পাস খোলার পর ক্যাম্পাসের নিরাপদ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাহী বিভাগ আমাদের কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে। আমরা অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী এবং আমাদের উপর্যুক্ত দাবিসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ও নানা বাস্তবতায় আমাদের কোন কর্মসূচি নেই। সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা আমাদের পরবর্তী করণীয় আপনাদের জানাবো। পরিশেষে, আমরা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করছি যে, সন্ত্রাস ও সহিংসতার সাথে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং এটাকে আমরা ঘৃণা করি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কোটা সংস্কারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে থাকা মাহমুদুল আলম রাজিব, ভূমিকা সরকার, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

কোটা সংস্কার   বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে চার লাখ টাকা পেয়েছেন নুর

প্রকাশ: ০৮:২৩ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি সময়ে চলা কোটা সংস্কার আন্দোলনে এক নেতার কাছ থেকে চার লাখ পেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, নুরকে আমরা রিমান্ডে নিয়েছিলাম। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নুর একটা কথা স্বীকার করেছেন। আন্দোলন চলাকালীন একজন নেতা তাকে চার লাখ টাকা দিয়েছেন। আমরা সেই নেতাকেও নিয়ে এসেছি। তিনি চার লাখ টাকা নুরকে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।

কী জন্য সেই নেতা নুরকে টাকা দিয়েছেন সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে ডিজিটাল যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।

এদিকে, রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় নুরুল হক নুরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 
গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে নুরুল হক নুরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। 

অন্যদিকে, তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহম্মদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কোটা আন্দোলন   গণঅধিকার পরিষদ   ভিপি নুরুল হক নুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘকে বিশিষ্টজনের চিঠি

প্রকাশ: ০৮:১৩ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘটিত সহিংসতা ও বর্তমান ঘটনাপ্রবাহে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্ককে লেখা এক চিঠিতে এ উদ্বেগ জানান তারা। এই চিঠিতে ১৪০ জনের বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এ চিঠিতে সই করেছেন। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, ভয়ভীতি ও নির্যাতনের এমন পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার হিসেবে ফলকার টুর্কের কাছে তারা ওই সব ঘটনায় একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনার জন্য চাপ প্রয়োগের অনুরোধ জানাচ্ছেন; যাতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী সহিংসতা ঘটানো এবং সংবাদ প্রকাশ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনা যায়।

এতে বলা হয়, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও অন্যদের হতাহত হওয়ার ঘটনায় তাঁরা (চিঠিতে সই করা বিশিষ্টজনেরা) গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ওই ঘটনা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মৌলিক অধিকারই শুধু খর্ব করেনি; বরং বাংলাদেশ সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীন মানুষের জীবনধারণের অধিকারের নিশ্চয়তাকে উপহাস করেছে।

তথ্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে অব্যাহত বাধা সৃষ্টি করার কারণে সহিংসতার শিকার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও অন্যদের বিষয়ে খুব কম খবরই পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলেন, এ অবস্থায় বাংলাদেশে থাকা সহকর্মীদের কাছ থেকে তাঁরা জেনেছেন, পুলিশের হাতে কয়েক শ বিক্ষোভকারী নিহত ও হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

চিঠিতে এই বিশিষ্টজনেরা বাছবিচারহীন গ্রেপ্তার, শোকজ ছাড়াই আটক, আটক বা গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের আইনজীবীর সহায়তা পাওয়ার সুযোগ না দেওয়া, আহত করা, নির্যাতন—মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন ঘটনা থামাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।


জাতিসংঘ   কোটা আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবার অনির্বাচিত সরকার আনার ষড়যন্ত্র

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আবার একটি অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর ষড়যন্ত্র চলছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে। সরকার কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিয়েছে। আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী পরিপত্র জারি করা হয়েছে। নতুন জারি করা পরিপত্র শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়ার সাথেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এখন পুরো আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এই আন্দোলনে যে প্রাণহানির ঘটনাগুলো ঘটেছে সেই ঘটনাগুলোকে সরকারের ব্যর্থতা এবং সরকারের ওপর দায় চাপানোর এক ধরনের চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখন শিক্ষার্থীরা সরব নয়। শিক্ষার্থীরা দ্বিধান্বিত নিষ্ক্রিয়। কিন্তু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং অন্যান্য মহল তৎপরতা শুরু করেছে। আর এই তৎপরতার মূল লক্ষ্য হলো বর্তমান সরকারকে সরিয়ে একটি অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় আনা। এই অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি বিবৃতি। 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট সহিংসতা এবং ধ্বংসাত্মক তৎপরতার পর একটি মনগড়া ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক বিবৃতি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে দেন। এই বিবৃতিতে তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আর এই বিবৃতির সূত্র ধরে আন্তর্জাতিক মহল এখন বাংলাদেশের ব্যাপারে অতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ঘিরে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। 

পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। অন্যদিকে জাতিসংঘেও বাংলাদেশের ব্যাপারে নানা রকম বিষেধাগার করা হয়েছে। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ট্যাঙ্কে ইউএন লোগো ব্যবহার নিয়ে জাতিসংঘ প্রশ্ন তুলেছে। যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটি ভুলক্রমে করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও এটিকে নিয়ে জলঘোলা করার চেষ্টা করছে। 

আন্তর্জাতিক মহল যদি বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাহলে সুশীলরা এগিয়ে আসবে এবং তখন একটি তথাকথিত জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পুরো ঘটনাকে নতুন করে মূল্যায়ন করার একটি দাবি সামনে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর তারই একটি আভাস পাওয়া গেছে শুক্রবার রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতি থেকে। 

জানা গেছে যে, সুশীল সমাজের সাথে পরামর্শ করে বিশেষ করে ড. ইউনূসের মতামতের প্রেক্ষিতেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত রাতে বিবৃতি দিয়েছেন, যেখানে তিনি এক দফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যমতের ডাক দিয়েছেন।সমস্ত রাজনৈতিক দল, শ্রেণি পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেছেন। অর্থাৎ নির্বাচনের সময় যে ষড়যন্ত্রটি সরকারের বিরুদ্ধে করা হয়েছিল, সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। এখন নতুন করে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে করে বর্তমান সরকারকে আন্তর্জাতিক মহল চাপ দেয় এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপের প্রেক্ষিতে বিরোধী দলগুলো নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং সেই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সুশীল সমাজ মাঠে নেমে এবং বর্তমান সরকারকে হটানোর জন্য একটি জনমত তৈরি করে। সেখানে আরও কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়ে পুরো পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের পর পরিস্থিতি আস্তে আস্তে সরকারের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন দেখার বিষয় সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে সরকার কতটা বিচক্ষণের পরিচয় দেয়।


অনির্বাচিত সরকার   কোটা আন্দোলন   সুশীল সমাজ   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   ড. ইউনূস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কার্গো দ্রুত খালি করতে নির্দেশ মন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৬:৪৩ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইমপোর্ট কার্গো ভিলেজ ও বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কার্গো দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি।

শনিবার (২৭ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর মোঃ সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ভূঞা, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোঃ কামরুল ইসলাম সহ মন্ত্রণালয়,বেবিচক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত কার্গো আমদানির পর দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে পড়ে আছে তা আইন ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিলামের মাধ্যমে দ্রুত ডিসপোজ অফ করতে হবে।

ফারুক খান বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, ঢাকা কাস্টমস হাউস, বিমান, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও সিএন্ডএফ এজেন্টসকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে আমদানিকৃত পণ্যের দ্রুততার সাথে খালাস নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে কারও অবহেলা সহ্য করা হবে না। কোন আমদানিকারক আমদানিকৃত পণ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খালাস না করালে দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে।

এছাড়াও, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমদানিকৃত কার্গো খালাস নিশ্চিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিভিন্ন অংশীজনের সমন্বয়ে প্রতি মাসে বৈঠকের মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী বিমানবন্দরের ব্যাগেজ এড়িয়া, লস্ট এন্ড ফাউন্ড শাখা এবং ইমপোর্ট কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন করেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়   মুহাম্মদ ফারুক খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন