একটি
শক্তিশালী, আধুনিক ও প্রশিক্ষিত সশস্ত্র
বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অন্যতম পূর্বশর্ত বলে মন্তব্য করেছেন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে। এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম, যা নিঃসন্দেহে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে। সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আজ (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সোমবার (২০ নভেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় সশস্ত্র বাহিনী দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘যার নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সাতজন বীরশ্রেষ্ঠকে, যারা মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে দেশ ও দেশের বাইরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদের। তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করি। সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধাহত সদস্য ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্ব ও আস্থার প্রতীক। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। তিন বাহিনীর সম্মিলিত এই প্রয়াস আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর এক স্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্বগাথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনী প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মহামারি মোকাবিলায়ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করে চলেছেন।’
মহান
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা রাষ্ট্র ও নেতৃত্বের প্রতি
পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন
ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখতে
সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন- এ প্রত্যাশা করেন
রাষ্ট্রপতি। এসময় তিনি সশস্ত্র
বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং বাহিনীসমূহের সব
সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের
অব্যাহত সুখ, শান্তি ও
সমৃদ্ধি কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনী দিবস
মন্তব্য করুন
কোটা সংস্কার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন গণঅধিকার পরিষদ ভিপি নুরুল হক নুর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অনির্বাচিত সরকার কোটা আন্দোলন সুশীল সমাজ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ড. ইউনূস
মন্তব্য করুন
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় মুহাম্মদ ফারুক খান
মন্তব্য করুন
আবার একটি অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর ষড়যন্ত্র চলছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে। সরকার কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিয়েছে। আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী পরিপত্র জারি করা হয়েছে। নতুন জারি করা পরিপত্র শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়ার সাথেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এখন পুরো আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এই আন্দোলনে যে প্রাণহানির ঘটনাগুলো ঘটেছে সেই ঘটনাগুলোকে সরকারের ব্যর্থতা এবং সরকারের ওপর দায় চাপানোর এক ধরনের চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখন শিক্ষার্থীরা সরব নয়। শিক্ষার্থীরা দ্বিধান্বিত নিষ্ক্রিয়। কিন্তু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং অন্যান্য মহল তৎপরতা শুরু করেছে। আর এই তৎপরতার মূল লক্ষ্য হলো বর্তমান সরকারকে সরিয়ে একটি অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় আনা। এই অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি বিবৃতি।