যশোর-২ (ঝিকরগাছা ও চৌগাছা) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বাবা ও ছেলে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তারা।
নৌকার প্রার্থী হতে চাওয়া বাবা-ছেলে হলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ
সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে যশোর জেলা আওয়ামী
লীগের সদস্য মোস্তফা আশিষ ইসলাম।
জানা গেছে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের
রাজনীতি শুরু করেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালের
দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হলেও তিনি পরাজিত
হন। পরে ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে যশোর-২
আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয়
সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত
হন। তিনি শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ
মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অপরদিকে তার ছেলে মোস্তফা আশিষ ইসলাম ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের উপজেলা
কমিটিতে সদস্য হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে তার রাজনীতি শুরু করেন। ২০২১ সালে যশোর
জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটিতে সদস্য পদ লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, যশোরের ঝিকরগাছা-চৌগাছা এই দুই উপজেলা নিয়ে সংসদীয় এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯০৩ জন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নাসির উদ্দিন সহ একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে।
যশোর মনোনয়ন প্রত্যাশী নির্বাচন
মন্তব্য করুন
পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিল করা হবে।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে সহিংসতার জেরে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে সরকার। এ সময় গত শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিন নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য করুন
গত ১৭ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে যে সহিংসতা এবং তাণ্ডব চলে তার প্রেক্ষিতে সরকারকে বেশ কিছু কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সারাদেশে সেনা মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কয়েক দিনের জন্য মোবাইলের ফোর জি সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল চার দিন। সবকিছু মিলিয়ে সরকারকে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
বেশ কিছু শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে এই সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। আস্তে আস্তে জনজীবনে এখন স্বস্থি ফিরে আসতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহ থেকে যে কারফিউ ছিল তা ধাপে ধাপে কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এবং আজ ভোর ৬ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। কারফিউ কতদিন থাকবে এবং জনজীবন কত দিনে স্বাভাবিক হয়ে ফিরে আসবে- এটি এখন মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এই সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমাদের শিক্ষা খাত। বিশেষ করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার মাঝপথে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। যারা এইচএসসি পাস করেছিল তাদের কলেজে ভর্তি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার ফলে সেশনজটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষাঙ্গনে একটা জটিল পরিসিস্থির তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চায়।
এই সংকটে অর্থনীতিও বড় ধাক্কা খেয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ ৭৭ হাজার কোটি টাকা বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া হবে সেটিও এখন একটি বড় প্রশ্ন এবং এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য অর্থনীতিতে যে গতি আনা যাবে তা আনতে হবে। সেই বাস্তবতা বাংলাদেশের আছে কিনা তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
সবকিছু মিলিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলে মনে করছেন যে ক্ষয়ক্ষতি এবং বিভীষিকা হয়েছে সেখান থেকে ঘুড়ে দাঁড়াতে হলে বাংলাদেশকে দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে হবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পুনরায় জীবনযাত্রা শুরু করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে সবকিছুর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কবে এবং কীভাবে স্বাভাবিক হবে? এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয় নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু কবে এবং কিভাবে সেই সম্পর্কে তিনি কিছু বলেন নি। বিভিন্ন সূত্র থেকে বর্তমানে জানা যাচ্ছে যে সহিংসতা এবং তাণ্ডব হয়েছিল তাদের মূল হোতা এবং তাণ্ডবকারীদের অনেকে এখনও ‘গা ঢাকা’ দিয়ে আছে। সরকার গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছে। এখনও শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের একাংশ দাবি করছে , তারা চার দফা, আট দফা ইত্যাদি না মানা হলে আবার আন্দোলন করবে। কাজেই এই পরিস্থিতি সরকারকে সামাল দিতে হবে। যারা এই নাশকতা এবং সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি যে সমস্ত ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেই সমস্ত ঘটনাগুলোর নির্মোহ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন। এই তদন্ত নিশ্চিত করার পর পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হবে বলে অনেকে মনে করছেন। এটি করতে গেলে আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ লাগতে পারে।
কেউ কেউ মনে করছেন আগামী মাস জুড়ে সরকার পরিস্থিতি
পর্যবেক্ষন করবেন এবং কারফিউসহ অন্যান্য বিধিনিষেধগুলো বহাল রাখবেন। কারণ আগস্ট মাস
অত্যন্ত স্পর্শকাতর মাস। তারপর হয়তো সেপ্টেম্বর নাগাত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তবে
আগস্টের প্রথম সপ্তাহ নাগাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া,এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়াসহ শিক্ষার জরুরি কার্যক্রম
গুলো চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন আল জাজিরা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গত ১৭ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে যে সহিংসতা এবং তাণ্ডব চলে তার প্রেক্ষিতে সরকারকে বেশ কিছু কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সারাদেশে সেনা মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কয়েক দিনের জন্য মোবাইলের ফোর জি সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল চার দিন। সবকিছু মিলিয়ে সরকারকে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।