ইনসাইড বাংলাদেশ

হাইকোর্টে হারলেন ড. ইউনূস, দিতে হবে ৫০ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীন টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল ফাইল করতে হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন। একই সঙ্গে বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি বেলা ১১টায় আদালতে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অন্য তিন শীর্ষ কর্মকর্তা।

ওইদিন ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন জানান, নিম্ন আদালতের আদেশে এক মাসের জামিন দেয়া হয়েছিল। সেটিও বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন তারা। আগের দিন ২৭ জানুয়ারি তিনি জানান, রায়ের বিরুদ্ধে ২৫ থেকে ৩০টি পয়েন্টসহ একটি পিটিশন জমা দেবেন তারা।

গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা এক মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনুস এবং এর পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাদের চারজনকেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২৫ দিন কারাদণ্ড দেন আদালত। আর রায়ের পরই পৃথক জামিন আবেদন করলে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে চারজনকেই জামিন দেন আদালত।

এর আগে গত ১৬ নভেম্বর মামলাটিতে তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে রাষ্ট্রপষ্ট। তারও আগে গত বছরের ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলে রাষ্ট্রপক্ষের চার সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান। নথি অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট আইএফইডি কর্মকর্তারা রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের সঙ্গে কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান।

হাইকোর্ট   ড. মুহাম্মদ ইউনূস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপিডিএফ নেতা নিহত

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় জুনেল চাকমা (৩১) নামে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সংগঠক দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ জুলাই) ভোরে উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের শান্তি বিকাশ কার্বারিপাড়ায় একটি বাড়িতে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত জুনেল চাকমা দীঘিনালা সদরের আমতলী গ্রামের তপ্ত কাঞ্চন চাকমার ছেলে। জুনেল চাকমা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসিত গ্রুপের তারাবুনিয়া এলাকার সংগঠক ছিলেন। তিনি ইউপিডিএফের অঙ্গ সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম থেকে সম্প্রতি ইউপিডিএফের সঙ্গে যুক্ত হন। হত্যাকাণ্ডের সময় জুনেল চাকমা কাঙারীমা ছড়ায় মাস্টার ললিত চাকমার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।

দীঘিনালা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


খাগড়াছড়ি   দুর্বৃত্ত   ইউপিডিএফ   নেতা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাঁদপুরে ভরা মৌসুমেও নেই পর্যাপ্ত ইলিশ

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চাঁদপুরে পাইকারি বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম আছে ঠিকই। কিন্তু এমন ভরা মৌসুমে বাজারে চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত ইলিশ নেই। এরমধ্যে আবার কারফিউ। তাই আকারভেদে ইলিশের দামও অনেকটা চড়া।

চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুরের বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজারে ঘুরে দেখা গেছে ইলিশের অপর্যাপ্ততা। তারমধ্যে আবার কারফিউসহ বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে বিপাকে পড়েছেন।

দেখা গেছে, বিক্রেতারা দাম হাঁকছেন ইলিশের। আর আকারভেদে সেই ইলিশ দেখতে মোকমে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এতে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম চাঁদপুরের বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজার। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। তাই বাজারে যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বেপারীরা। ফলে ক্রেতা সামাল দিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। তবে সরবরাহ কম থাকার প্রভাব পড়েছে ইলিশের দামে।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শবেবরাত জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনলাইন কিংবা অফলাইন এমনকি চাঁদপুরের বাইরে দেশের অন্য কোথাও ইলিশের বাজার ধরা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে এই মুহূর্তে আর্থিক সঙ্কটের মুখে মাছ ব্যবসায়ীরা। তারপরও যে পরিমাণ সরবরাহ। তার দরদামও বেশ চড়া। এতে মাছ ব্যবসা নিয়ে ব্যবসায়ীরা অনেকটা হতাশ।

তিনি আরও জানান, গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুর বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজারে ৮০০ থেকে হাজার মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। অথচ অন্যবছর একই সময় পাইকারি বাজারে সরবরাহ হতো আড়াই থেকে হাজার মণ ইলিশ। আর আকারভেদে এসব ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৫০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত।


চাঁদপুর   মৌসুম   ইলিশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘এই জল্লাদের উল্লাস মঞ্চ আমার দেশ না’

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত ও বিপ্লবী কবি নবারুণ ভট্টাচার্য। ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’ তাঁর লেখা অন্যতম জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতাটিতে মূলত কবি নবারুণ ভট্টাচার্য তৎকালীন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঘটে যাওয়া অরাজক পরিস্থিতিকে তুলে ধরেছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত ধ্বংসযজ্ঞ যেন মনে করিয়ে দেয় কবিতার একটি লাইন, আর লাইনটি হলো, 'এই জল্লাদের উল্লাস মঞ্চ আমার দেশ না।'

১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাধীনতার শুরু থেকেই একদল কুচক্রী এই দেশের অগ্রযাত্রায় ঈর্ষান্বিত । বরাবরই দেশকে পেছনের দিকে টেনে নিতে অগ্রগামী তারা। বিশ্ববাসীর কাছে দেশকে ছোট করেই যেন এই মহল আনন্দিত হয়। এইসব স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশের উন্নয়নকে কখনোই ভালো চোখে দেখেনি। তাই বারবার আঘাত হেনেছে। সবশেষ গেল ১৭ থেকে ১৯ জুলাই দেশের ভাবমূর্তি আরও একবার বিশ্ব দরবারে ক্ষুণ্ণ করতে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে তারা হামলা চালায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে। এছাড়াও, রাস্তাঘাটে সহিংসতা করে জনমনে তৈরি করা হয় ভীতি।

চলতি মাসের শুরু থেকেই ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ ছিলো এই কোটা সংস্কার আন্দোলন। গত ৫ জুন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কোটা সংক্রান্ত বিষয়ে ২০১৮ সালের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্র বাতিল করে। যার ফলে সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পর পুনরায় কোটা ব্যবস্থা ফিরে আসে। কিন্তু হাইকোর্টের দেয়া এই রায় দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারেনি। তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছোট ছোট মানববন্ধনের মাধ্যমে এই আন্দোলন শুরু হলেও পরবর্তীতে দেশব্যাপী তা ছড়িয়ে পড়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন রূপ নেয় বৃহত্তর এক আন্দোলনে। যেখানে অংশ নেন দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে একাধিক সড়ক-মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে চলে আন্দোলন। এরমধ্যেই সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

এই আন্দোলনটি হয়তো এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ধৈর্য্যহীনতার পরিচয় দেন এবং দেশজুড়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ কার্যক্রমের ঘোষণা দেয়। আর এই সুযোগটি লুফে নেয় স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। ১৪ জুলাই (রোববার) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া একটি বিবৃতি বিকৃত করে শিক্ষার্থীদের উস্কে দেয় তারা। ফলে সেদিন দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সয়লাব হয় ‘রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগানে। এতে ক্ষোভে ফেটে পরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রগতিশীলরা। পরদিন (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ ও ছাত্রলীগ। স্বাধীনতা বিরোধীরা এই সমাবেশেরও ফয়দা লুটে। ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থী উভয়পক্ষকে লেলিয়ে দেয় একের অপরের বিরুদ্ধে। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে পরদিন ১৬ জুলাই। বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হল ছাড়া হয় ছাত্রলীগ।

আরও পড়ুন: সোনালী অতীত থেকে বিতর্কিত ছাত্রলীগ, নেপথ্যে কী?

‘জল্লাদদের উল্লাস’ শুরু হয় এরপর থেকেই। ১৭ থেকে ১৯ জুলাই দেশজুড়ে তাণ্ডবলীলা চালায় তারা। আবারও শুরু হয় আগুন সন্ত্রস। একের পর এক বিনষ্ট করতে থাকে দেশের উন্নয়নের স্মারকচিহ্নগুলো। মেট্রোস্টেশন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, সড়ক-মহাসড়ক, তাণ্ডবের লেলিহান শিখা থেকে বাদ যায়নি কোনকিছুই। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় দেশের একমাত্র সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি ভবনে। সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয় জল্লাদরূপী সন্ত্রাসীরা। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে গেলেও তাদের বাধা দেয় তারা। এমনকি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাতে এগোতে না পারে সেজন্য হামলা করা হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও পুলিশের ওপর। এছাড়াও রাজধানীর উত্তরা, মেরুল বাড্ডা, সাইন্সল্যাব, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর মিরপুর এলাকায়ও চলে ধ্বংসলীলা।

১৭ জুলাই (বুধবার) রাতে সন্ত্রাসীরা তাণ্ডবলীলা চালায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায়। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় টোল প্লাজা। পরদিনও অব্যাহত থাকে সন্ত্রাসীদের ধ্বংসযজ্ঞ। আবারো শুরু হয় জঙ্গিপনা। কোটা আন্দোলনের অন্তরালে দেশবিরোধীরা জ্বালিয়ে দেয় মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ভবন এবং বনানীতে অবস্থিত সেতু ভবন। এতে আগুনে ভস্মীভূত হয় ডেটা সেন্টার। স্থবির হয় পড়ে দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা। ১৯ জুলাই (শুক্রবার) মেট্রোরেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ‘ষোলকলা পূর্ণ’ করে দুর্বৃত্তরা।

গত কয়েকদিনে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনায় দুই ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। একটি আর্থিক ক্ষতি, আর অন্যটি হলো কতগুলো তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়া। স্বাধীনতার বিরোধীদের উস্কানিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন রূপ নেয় সরকার বিরোধী আন্দোলনে। সহিংসতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধী বর্বরদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে বহু পুলিশ, সাংবাদিক। এই সব প্রাণ আর কখনোই ফিরে আসবে না। এই হারানোর ক্ষতি নিরূপণও সম্ভব না।

এ সহিংসতার ঘটনায় রাষ্ট্রীয় সম্পদের সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি। তবে, ‘জুলাই তাণ্ডব’র সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ এবং এর পরবর্তী দেশজুড়ে চলমান কারফিউ প্রভাব ফেলেছে দেশের প্রতিটি অর্থনৈতিক খাতে। এছাড়াও দেশের জিডিপি-তেও এই ধ্বংসযজ্ঞের নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি আসে মূলত, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, পরিবহণ, নির্মাণ ও কৃষি এই পাঁচটি খাত থেকে। আর এই সংঘাতের কারণে এই ৫টি খাতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং তা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে বলেও আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। এছাড়াও চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ সংঘাত দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ১৬ থেকে ২৩ জুলাই সারাদেশে বন্ধ ছিলো যানবাহন। ঘোরেনি কলকারখানার চাকাও। কৃষি ছাড়া বন্ধ ছিলো সব ধরনের উৎপাদনমুখী খাত। তবে কৃষি উৎপাদন চলমান থাকলেও পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সেখানেও লক্ষ্য করা গেছে স্থবিরতা। এই আন্দোলন সহিংসতাকে ঘিরে এখন পর্যন্ত কোন সামগ্রিক ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব প্রস্তুত হয়নি। তবে, সীমিত পরিসরে খাত ভিত্তিক ক্ষয়-ক্ষতির এক চিত্র তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের সহিংসতায় বাংলাদেশের আর্থনীতির ৫টি খাতে ক্ষতি হয়েছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এই ক্ষতির পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি


সহিংসতা   জল্লাদ   কোটা আন্দোলন   জঙ্গিবাদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুষ্টিয়ায় নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০১:১৬ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কুষ্টিয়ায় নাশকতার মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে মেহেদী হাসান জিকুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যাং র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ইউনিটের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার জিকু কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিয়ার রহমানের ছেলে।

জানা যায়, গত ১৭ জুলাই বিকেলে সংঘটিত কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস ফুলতলা মোড় এলাকায় কোটা আন্দোলন চলাকালে যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ হত্যার উদ্দেশ্যে রক্তাক্ত জখম মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, ‘গত ১৭ জুলাই চৌড়হাস ফুলতলা মোড় এলাকায় কোটা আন্দোলন চলাকালে নাশকতার ঘটনায় জড়িত ছিল। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। ঘটনায় ১৮ জুলাই তার বিরুদ্ধে মামলা হলে ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় তাকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’


নাশকতা   গ্রেপ্তার   আওয়ামী লীগ নেতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরছে যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জুনের প্রথম সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আসার পরদিন থেকে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। জুলাইয়ে এসে সেই বিক্ষোভের মাত্রা বেড়ে যায়।

এক পর্যায়ে অচল হয়ে পড়ে পুরো রাজধানী। সংঘাত ছড়ায় সারা দেশে। রাজধানী ঢাকার যেসব এলাকায় বেশি সংঘাত হয় তার মধ্যে অন্যতম যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া। মৃত্যু হয় বেশ কজনের। হানিফ ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী কাজলা পাড়ের দুটি টোল প্লাজা পুড়িয়ে দেয় দুবৃত্তরা।

ভয়ে-আতঙ্কে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ পুরো এক সপ্তাহ ছিলেন ঘরবন্দী। শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে মানুষের মধ্যে এখনও আতঙ্ক রয়ে গেছে। সেই সঙ্গে রয়ে গেছে ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন।

সরেজমিনে যাত্রাবাড়ী,কাজলা শনির আখড়া এলাকা ঘুরে এসব এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে চিত্র পাওয়া গেছে।

শনির আখড়ার আতিকুর রহমান বলেন, দিন পরে দোকান খুলেছি। গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কে ভয়ে দিন ঘর থেকে বের হইনি। খুব কষ্টে দিন কাটিয়েছি। এখনও ৫টায় পুলিশ দোকান বন্ধ করতে বলে। আমরা নির্ভয়ে ব্যবসা করতে চাই।

একই এলাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী রুবেল মিয়া বলেন, কয়েকদিন যে কী আতঙ্কে দিন পার করেছি বলে বোঝাতে পারব না। ১৯ ২০ জুলাই এক মুহূর্তের জন্যও নিচে নামিনি। এই দুইদিন শুধু বিস্কুট পানি খেয়ে থেকেছি। সহিংসতার কথা মনে হলে এখনও ভয় করে। তবে সেনাবাহিনী থাকার ফলে আতঙ্ক কেটে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করছে।


স্বাভাবিক   জীবনযাত্রা   যাত্রাবাড়ী   শনির আখড়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন