গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও জলিরপাড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিভা মন্ডল।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি। এছাড়াও আরও দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন বলে জানাগেছে।
মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন মুকসুদপুর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মিয়া, সহ-প্রচার সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রনি আহম্মেদ, জলিরপাড় কলেজের অধ্যক্ষ সমির কান্তি শাখারীসহ জলিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর আওয়ামী লীগ সহ-প্রচার সম্পাদক শেখ রনি আহম্মেদ জানিয়েছেন দলীয় মনোনয়ন না পেলেও বিভা মন্ডলকে দলীয় সমর্থন দেয়াহতে পারে।
এ বিষয়ে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার জুয়েল আহম্মেদ বলেন, চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৩ ফেব্রুয়ারী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় এর মধ্যে হয়তো আর কিছু মনোনয়নপত্র দাখিল করবে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৫ ফেব্রুয়ারী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ফেব্রæয়ারী, প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৩ ফেব্রুয়ারী এবং আগামী ৯ মার্চ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, জলিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিহির কান্তি রায় মৃত্যুবরণ করায় চেয়ারম্যান পদটি শ‚ন্য হয়েছে। যে কারনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
গত ১৭ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে যে সহিংসতা এবং তাণ্ডব চলে তার প্রেক্ষিতে সরকারকে বেশ কিছু কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সারাদেশে সেনা মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কয়েক দিনের জন্য মোবাইলের ফোর জি সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল চার দিন। সবকিছু মিলিয়ে সরকারকে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
বেশ কিছু শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে এই সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। আস্তে আস্তে জনজীবনে এখন স্বস্থি ফিরে আসতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহ থেকে যে কারফিউ ছিল তা ধাপে ধাপে কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এবং আজ ভোর ৬ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। কারফিউ কতদিন থাকবে এবং জনজীবন কত দিনে স্বাভাবিক হয়ে ফিরে আসবে- এটি এখন মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এই সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমাদের শিক্ষা খাত। বিশেষ করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার মাঝপথে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। যারা এইচএসসি পাস করেছিল তাদের কলেজে ভর্তি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার ফলে সেশনজটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষাঙ্গনে একটা জটিল পরিসিস্থির তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চায়।
এই সংকটে অর্থনীতিও বড় ধাক্কা খেয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ ৭৭ হাজার কোটি টাকা বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া হবে সেটিও এখন একটি বড় প্রশ্ন এবং এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য অর্থনীতিতে যে গতি আনা যাবে তা আনতে হবে। সেই বাস্তবতা বাংলাদেশের আছে কিনা তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
সবকিছু মিলিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলে মনে করছেন যে ক্ষয়ক্ষতি এবং বিভীষিকা হয়েছে সেখান থেকে ঘুড়ে দাঁড়াতে হলে বাংলাদেশকে দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে হবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পুনরায় জীবনযাত্রা শুরু করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে সবকিছুর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কবে এবং কীভাবে স্বাভাবিক হবে? এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয় নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু কবে এবং কিভাবে সেই সম্পর্কে তিনি কিছু বলেন নি। বিভিন্ন সূত্র থেকে বর্তমানে জানা যাচ্ছে যে সহিংসতা এবং তাণ্ডব হয়েছিল তাদের মূল হোতা এবং তাণ্ডবকারীদের অনেকে এখনও ‘গা ঢাকা’ দিয়ে আছে। সরকার গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছে। এখনও শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের একাংশ দাবি করছে , তারা চার দফা, আট দফা ইত্যাদি না মানা হলে আবার আন্দোলন করবে। কাজেই এই পরিস্থিতি সরকারকে সামাল দিতে হবে। যারা এই নাশকতা এবং সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি যে সমস্ত ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেই সমস্ত ঘটনাগুলোর নির্মোহ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন। এই তদন্ত নিশ্চিত করার পর পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হবে বলে অনেকে মনে করছেন। এটি করতে গেলে আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ লাগতে পারে।
কেউ কেউ মনে করছেন আগামী মাস জুড়ে সরকার পরিস্থিতি
পর্যবেক্ষন করবেন এবং কারফিউসহ অন্যান্য বিধিনিষেধগুলো বহাল রাখবেন। কারণ আগস্ট মাস
অত্যন্ত স্পর্শকাতর মাস। তারপর হয়তো সেপ্টেম্বর নাগাত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তবে
আগস্টের প্রথম সপ্তাহ নাগাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া,এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়াসহ শিক্ষার জরুরি কার্যক্রম
গুলো চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন আল জাজিরা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ও জিজ্ঞাসাবাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তারা এখন ডিবি কার্যালয়ে আছেন।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ এবং আবু বাকের মজুমদারকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোটা আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবি
মন্তব্য করুন
গত ১৭ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে যে সহিংসতা এবং তাণ্ডব চলে তার প্রেক্ষিতে সরকারকে বেশ কিছু কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সারাদেশে সেনা মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কয়েক দিনের জন্য মোবাইলের ফোর জি সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল চার দিন। সবকিছু মিলিয়ে সরকারকে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।