ইনসাইড বাংলাদেশ

যারা ঋণ নিয়ে পাচার করছেন সংসদে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হোক: এ কে আজাদ

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

যারা ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করে ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের ছাড় দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু যারা ঋণ নিয়ে অর্থ পাচার করেছেন তাদের বিচারের আওতায় আনা এবং নামের তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ কে আজাদ।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন এ কে আজাদ। এতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। 

এ সময় এ কে আজাদ বলেন, ‘যারা ঋণ নিয়ে কলকারখানায় বিনিয়োগ করে ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের ছাড় দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু যারা ঋণ নিয়ে পাচার করেছেন, বিদেশে বেগম পাড়া, সেকেন্ড হোম বানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনা এবং এই সংসদে তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হোক।’

বাংলাদেশে এখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা (সেপ্টেম্বর ২০২৩, বাংলাদেশ ব্যাংক) উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু অবলেপনের মাধ্যমে ঋণের পরিমাণ কমিয়ে দেখানো হয়।’

ফরিদপুর-৩ আসনের চার লক্ষাধিক ভোটারসহ সর্বস্তরের জনগণকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘(সংসদে বক্তব্য রাখার) এই সুযোগে আমি আমার এলাকার মানুষের আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরতে চাই।’

এ কে আজাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্ব ছাড়া পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হতো না। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগও এক যুগান্তকারী ঘটনা। ঢাকা থেকে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত যে উন্নয়ন হয়েছে, তার সাথে ফরিদপুর শহরকে যুক্ত করা দরকার। আমরা ফরিদপুরকে আধুনিক, উৎপাদনশীল এবং স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ জন্য ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা দরকার। দরকার ফরিদপুর-বরিশাল সড়ককে চার লেনে উন্নীত করা।’

তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে অথচ ফরিদপুরে আজ অবধি একটি বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। উচ্চশিক্ষা বিস্তারে সরকারের আন্তরিকতার প্রতিফলন হতে পারে ফরিদপুরে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।’ 

ফরিদপুর সদরের এমপি বলেন, ‘ফরিদপুরের ৪১৫ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের মধ্যে ২৫০ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা নাজুক। দ্রুত এর মেরামত হওয়া দরকার।’

মানবসম্পদকে উপযুক্ত করে প্রশিক্ষিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে এ কে আজাদ বলেন, ‘বিবিএস-এর ২০২২ সালের প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশের প্রায় ৪১ শতাংশ তরুণ নিষ্ক্রিয়। তারা পড়াশোনায় নেই, কর্মসংস্থানেও নেই; এমনকি কোনো কাজের প্রশিক্ষণও নিচ্ছেন না। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সসীমার এই নিষ্ক্রিয় তরুণের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ। অন্যদিকে, গত ৩১  ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ১৬৭ জন। আমাদের মানবসম্পদকে উপযুক্ত করে প্রশিক্ষিত করতে পারলে যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে তেমনি দেশ থেকে রেমিট্যান্স চলে যাওয়াও ঠেকানো যাবে।’

গত পাঁচ যুগে জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর ছাড়া এশিয়ার কোনো দেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে পদোন্নতি পায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড তো পারেইনি, এমনকি মালয়েশিয়াও এখনও উচ্চ আয়ের দেশ হতে পারেনি। পৃথিবীর প্রায় শ’খানেক দেশ এখন মধ্যম পর্যায়ে পড়ে আছে। একে বলা হচ্ছে মধ্যম আয়ের ফাঁদ।’

এ কে আজাদ বলেন, ‘চারটি বড় শিকল একটি দেশকে মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকে দেয়। ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতা, কর খাতের কম রাজস্ব আদায়, রপ্তানিতে একক পণ্যনির্ভরতা এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে অতি কম সরকারি ব্যয়-এই চার শিকল ভাঙতে না পারলে আমরা মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়ে যাব।’

গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে সংসদকে কার্যকর ও প্রাণবন্ত করতে চান জানিয়ে এই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বলেন, ‘সংসদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে, আমার ভোটারদের কাছে আমরা জবাবদিহি করতে চাই। আমরা গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে সংসদকে কার্যকর ও প্রাণবন্ত করতে চাই। সে ব্যাপারে আপনার সহযোগিতা আমরা প্রত্যাশা করি, মাননীয় স্পিকার।’

বক্তব্যের শুরুতে তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বেদনার সাথে স্মরণ করেন ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের। তিনি স্মরণ করেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছাকে। কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত চার জাতীয় নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকারকারী দুই লাখ নারী, ১৯৫২ সালের ভাষা সংগ্রাম থেকে শুরু করে জাতির সকল ক্রান্তিলগ্নের সংগ্রামী মানুষদের স্মরণ করেন এ কে আজাদ। 

তিনি বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনকে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পঞ্চমবারের মতো এবং পরপর চারবারের মতো সরকার গঠন করেছেন। এই অসাধারণ কীর্তির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই।’

এ কে আজাদ   অর্থপাচার   জাতীয় সংসদ   ঋণ খেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে’

প্রকাশ: ০৮:১৬ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিল করা হবে।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে সহিংসতার জেরে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে সরকার। সময় গত শুক্র শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার, সোমবার মঙ্গলবার পর্যন্ত দিন নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।


পরিস্থিতি   স্বাভাবিক   কারফিউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কত দিনে

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গত ১৭ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে যে সহিংসতা এবং তাণ্ডব চলে তার প্রেক্ষিতে সরকারকে বেশ কিছু কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সারাদেশে সেনা মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কয়েক দিনের জন্য মোবাইলের ফোর জি সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।  ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল চার দিন।  সবকিছু মিলিয়ে সরকারকে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।

বেশ কিছু শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে এই সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। আস্তে আস্তে জনজীবনে এখন স্বস্থি ফিরে আসতে শুরু করেছে।  গত সপ্তাহ থেকে যে কারফিউ ছিল তা ধাপে ধাপে কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এবং আজ ভোর ৬ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। কারফিউ কতদিন থাকবে এবং জনজীবন কত দিনে স্বাভাবিক হয়ে ফিরে আসবে- এটি এখন মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।  এই সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমাদের শিক্ষা খাত। ‍বিশেষ করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার মাঝপথে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।  যারা এইচএসসি পাস করেছিল তাদের কলেজে ভর্তি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার ফলে সেশনজটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।  সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষাঙ্গনে একটা জটিল পরিসিস্থির তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চায়।

এই সংকটে অর্থনীতিও বড় ধাক্কা খেয়েছে।  এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ ৭৭ হাজার কোটি টাকা বলে মনে করছেন  অর্থনীতিবিদরা। এই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া হবে সেটিও এখন একটি বড় প্রশ্ন এবং এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য অর্থনীতিতে যে গতি আনা যাবে তা আনতে হবে।  সেই বাস্তবতা বাংলাদেশের আছে কিনা তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

সবকিছু মিলিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলে মনে করছেন  যে ক্ষয়ক্ষতি এবং বিভীষিকা হয়েছে সেখান থেকে ঘুড়ে দাঁড়াতে হলে বাংলাদেশকে দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে হবে।  স্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পুনরায় জীবনযাত্রা শুরু করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে  সবকিছুর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কবে এবং কীভাবে স্বাভাবিক হবে? এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয় নি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে।  কিন্তু কবে এবং কিভাবে সেই সম্পর্কে তিনি কিছু বলেন নি। বিভিন্ন সূত্র থেকে বর্তমানে জানা যাচ্ছে যে সহিংসতা এবং তাণ্ডব হয়েছিল  তাদের মূল হোতা এবং তাণ্ডবকারীদের অনেকে এখনও ‘গা ঢাকা’ দিয়ে আছে। সরকার গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছে।  এখনও শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের একাংশ দাবি করছে , তারা চার দফা, আট দফা  ইত্যাদি না মানা হলে আবার আন্দোলন করবে।  কাজেই এই পরিস্থিতি সরকারকে সামাল দিতে হবে।  যারা এই নাশকতা এবং সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।  পাশাপাশি যে সমস্ত ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেই সমস্ত ঘটনাগুলোর নির্মোহ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন।  এই তদন্ত নিশ্চিত করার পর পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হবে বলে  অনেকে মনে করছেন।  এটি করতে গেলে আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ লাগতে পারে।

কেউ কেউ মনে করছেন আগামী মাস জুড়ে সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করবেন এবং কারফিউসহ অন্যান্য বিধিনিষেধগুলো বহাল রাখবেন। কারণ আগস্ট মাস অত্যন্ত স্পর্শকাতর মাস। তারপর হয়তো সেপ্টেম্বর নাগাত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ নাগাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া,এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়াসহ শিক্ষার জরুরি কার্যক্রম গুলো চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। 


পরিস্থিতি   স্বাভাবিক   হবে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আল জাজিরাকে যা বললেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫৩ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। 

সাক্ষাতকারে মোহাম্মদ আরাফাত বলেছেন, চরমপন্থি ও সন্ত্রাসীসহ তৃতীয়পক্ষ বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা ছাত্রদের সন্ত্রাসী বা অরাজকতা সৃষ্টিকারী বলছি না। তৃতীয় পক্ষ যারা এই আন্দোলনে ঢুকে এ সব কিছু শুরু করেছে।’

আরাফাত আরও বলেন, ‘আমরা উত্তেজনা কমানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু লোক আগুনে ঘি ঢালার চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে যাতে তারা ফায়দা লুটতে পারে এবং সরকার পতন ঘটাতে পারে।’

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা সরকার এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি। তিনি বলেন, নিহত, হতাহত ও আহতের ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ জনগণ, পুলিশ, বিক্ষোভকারী বা সরকারের সমর্থকদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করতে চাই না।

তথ্যমন্ত্রী জানান, একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিটি পুরো ঘটনা তদন্ত করবে। যাতে এই ঘটনায় যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনা যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আরাফাত বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) শুধু জনগণকে রক্ষা করছেন।’ 

কোটা আন্দোলন   আল জাজিরা   তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ এ আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদেশে কারা, কেন বিক্ষোভ করেছেন জানতে চিঠি দিল সরকার

প্রকাশ: ১২:৪১ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারা, কেন এসব বিক্ষোভ করেছেন তা জানতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে চিঠি দিয়েছে সরকার। 

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘কোথাও কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে, এমন খবর আমরা জেনেছি। তাই বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোয় চিঠি পাঠিয়েছি। আমরা জানতে চেয়েছি কারা, কী বিষয়ে বিক্ষোভ করছে। এ নিয়ে মিশনগুলো যে দেশে কাজ করে, সেখানকার সরকারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের জানাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এত দিন আমরা আমাদের মিশনগুলোর মাধ্যমে এখানকার পরিস্থিতি তাদের অবহিত করেছি যাতে তারা তাদের দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত গুজব ও অসত্য তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়। এবার আমরা তাদের সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।’

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাধ্যমেও পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন এসেছে। সে প্রতিবেদনের পাল্টা হিসেবে আমাদের বক্তব্য যাতে তুলে ধরে, সেটি চিঠিতে বলা হয়েছে।’

কোটা আন্দোলন   বিক্ষোভ   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাইরাল হওয়া নিজের ছবি নিয়ে কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস

প্রকাশ: ১২:৩১ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমের কয়েকটি ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ সমস্ত ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। তবে এ সব নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন সারজিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সারজিস বলেছেন, আপনারা যারা কিছু না জেনে ২-৩টা ছবি দেখে মন মতো অনেক কিছু বলে ফেলছেন, আপনাদের সাথে ক্ষমতাসীন দলের অন্ধ ভক্তদের কোনো পার্থক্য নেই। ক্ষমতায় আসলে আপনিও তাদের মতো হবেন তাতে সন্দেহ নেই। বরং নিজের বিবেকবোধকে কাজে লাগান, দলান্ধ না হয়ে ব্যক্তিত্ব আর কাজ দিয়ে যাচাই করুন।




কোটা আন্দোলন   সারজিস আলম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন