ইনসাইড বাংলাদেশ

কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসে যশোরে হামলা

প্রকাশ: ০৮:৪৭ এএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের ঢাকাগামী একটি বাসে যশোরে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে যশোর-নড়াইল মহাসড়কের ধলগা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।  এতে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, শ্যামলী পরিবহনের ঢাকা-কলকাতা রুটের একটি বাস কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরছিল। এসময় যশোর-নড়াইল মহাসড়কের ধলগা এলাকায় দুর্বৃত্তরা ইট মেরে গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলে। এ সময় গাড়ির ভাঙা কাঁচের আঘাতে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।

আহত ব্যক্তির নাম ডি এন চ্যাটার্জি। তিনি অ্যাসোসিয়েট বিল্ডার্স করপোরেশন লিমিটেড (এবিসি) কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ঢাকেশ্বরী মন্দির ব্যবস্থাপনা কমিটির সেক্রেটারি। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, বিআরটিসি শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের গাড়িটি দুপুর দেড়টায় কলকাতা থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। রাত সাড়ে আটটার দিকে যশোর সদর থেকে ১০-১২ কিলোমিটার সামনে তুলারামপুর বাজারে এলে বাস লক্ষ্য করে একটি বড় পাথর ছুড়ে মারা হয়। আমি তখন ঘুমের মধ্যে ছিলাম। এ অবস্থায় বাসে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। চালক ৩-৪ কিলোমিটার সামনে গিয়ে বাসটি থামান। এরপর স্থানীয় ফার্মেসিতে গিয়ে আমি চিকিৎসা নিই। আমার মাথার ডানদিকে কিছু অংশ ফেটে যায়। আমার ধারণা, ডাকাতি কিংবা সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এই হামলা হতে পারে। আন্তঃদেশীয় একটি পরিবহনে এ রকম হামলার ঘটনা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত। গাড়িতে কোনো পুলিশ ছিল না, প্রাথমিক চিকিৎসারও কোনো ব্যবস্থা ছিল না।

তিনি আরও জানান, বাসটির সুপারভাইজার তাকে জানিয়েছেন- এ রোডে মাঝেমধ্যেই এ রকম ঘটনা ঘটিয়ে ডাকাতি হয়। ঘটনাটি যশোর ও নড়াইলের পুলিশ সুপার এবং খুলনা রেঞ্জের ডিআইজিকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষকেও জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, গাড়িতে বাইরে থেকে ইট ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এটি নাশকতা কি না এখনো নিশ্চিত নই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


শ্যামলী পরিবহন   যাত্রীবাহী   বাস   যশোর   হামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফিল ছিল ৪২

প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল, মঙ্গলবার গরমের তীব্রতা বেশি থাকবে। বাতাসে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে অস্বস্তিও বেশি বিরাজ করবে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র গরম অনুভূত হতে দেখা গেছে। সকাল ১০টায় গুগল সার্চ ইঞ্জিনে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখালেও 'ফিলস লাইক'-এ দেখাচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি হলেও গরম অনুভূত হচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৫৫ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৩ কিলোমিটার। 

বেশিরভাগ মানুষ গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তায় তাপমাত্রা দেখেন। তবে গুগলে তাপমাত্রা দেখার সময় দুই রকম তথ্য সামনে আসে। নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা জানতে সার্চ করলেই বিরাজমান তাপমাত্রা বড় করে দেখানো হচ্ছে। বড় অক্ষরে লেখা ওই তাপমাত্রার নিচে ছোট করে লেখা থাকে 'ফিলস লাইক'...। যেটি মূলত অনুভূত হওয়া তাপমাত্রা নির্দেশ করে। কোনো এলাকায় তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে 'ফিলস লাইক'। এ তার চেয়ে তিন থেকে চার ডিগ্রি বেশি দেখানো হয়। 

এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের  খো. হাফিজুর রহমান জানান, আমরা যেভাবে তাপমাত্রা রেকর্ড করি তাতে 'ফিলস লাইক' বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ, আমরা সরাসরি রোদের মধ্যে তাপ মাপি না। আমরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করি। স্বীকৃত পদ্ধতি হলো স্টিভেনসন স্ক্রিনের মাধ্যমে তাপমাত্রা রেকর্ড করা। সে পদ্ধতিতে থার্মোমিটার থেকে বাতাসের তাপমাত্রা নেওয়া হয়। 

তিনি বলেন, যদি আমরা সরাসরি রোদের তাপমাত্রা রেকর্ড করতাম, তাহলে প্রকৃত তাপমাত্রা আরও বেশি হতো। রোদে গেলে যেটা 'ফিল' হচ্ছে সেটাকেই গুগল 'ফিলস লাইক' বলছে। এছাড়া বর্তমানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। এজন্য গরমে বেশি অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে। 


তাপমাত্রা   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত

প্রকাশ: ১২:২০ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখ দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।

 

প্রজ্ঞাপন সুত্রে জানা গেছে, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে পৌরসভার ১১ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর স্বেচ্ছাচারি আচরণ, সরকারি গুদামের মালামাল লুট, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা এনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ প্রেরণ করেন। এর প্রেক্ষিতে দীর্ঘ তদন্তের পর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার (২৯ এপ্রিল) এই আদেশ জারি করা হয়। পাশাপাশি অপর আরেকটি প্রজ্ঞাপনে পৌরসভার ১নং প্যানেল মেয়র দেলোয়ার হোসেন লেবুকে প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের সুবিধার্থে দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।  

উল্লেখ্য, বিগত ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর ইসলামপুর পৌরসভার ১১ জন কাউন্সিলর মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, সরকারি মালামাল লুট, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগে লিখিত অনাস্থাপত্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। 


পৌর মেয়র   দুর্নীতি   বরখাস্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জি কে শামীমের জামিন ঘিরে ফের প্রতারণা

প্রকাশ: ১১:২৬ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমের জামিন ঘিরে আবারো প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে তার আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে আগামী ১ সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জি কে শামীমের জামিনের আদেশ কার্যতালিকার ৪ নাম্বার সিরিয়ালে ছিলো যা দেখে অবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘এটি কি ভাবে আদেশের জন্য আসে, এ বিষয়ে শুনানিই তো হয়নি।’

পরে এবিষয়ে আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এজলাসে ডাকেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আইনজীবীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, ‘এটা কি করে হলো?’ এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী নিখিল কুমার। এ সময় প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘চালাকি করেন? কটা টাকার জন্য এসব করেন! কেন করেন?’

পরে নিখিল কুমার সাহাকে ১ সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এসময় তিনি পাল্টা যুক্তি দিতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেশী কথা বললে ১ বছর নিষিদ্ধ করা হবে।

এর আগেও জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিলো হাইকোর্টে। ২০২০ সালে মার্চ মাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাস খানেক আগে করা জামিন আবেদনে পুরো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও জামিন আদেশে ঠিকই লেখা ছিল পুরো নাম।


জি কে শামীম   জামিন   প্রতারণা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের পথে রওনা হয়েছে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। কয়লা নিয়ে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবার সময় জিম্মি জাহাজটি এবার দেশের পথে বহন করছে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ।

আগামী ১২ বা ১৩ মে জাহাজটি কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে বলে জাহাজটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং আশা করছে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। 

শনিবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে কয়লা খালাস করে মিনা সাকার বন্দরে যায় এমভি আবদুল্লাহ। সেখান থেকেই ৫৬ হাজার মেট্রিক টন জাহাজিকরণ করা হয়। চুনাপাথরের চালানটি চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, 'মিনা সাকার বন্দরের লাইম স্টোন লোড করা শেষে আমরা ২৯ এপ্রিল রাতে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এ চুনাপাথর কুতুবদিয়ার কাছাকাছি গভীর সমুদ্রবন্দরে নোঙর করে খালাস করা হবে।' 

এর আগে চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এস আর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, 'এমভি আবদুল্লাহ ফেরার পথে একটি বন্দর থেকে তেল ও খাবার সংগ্রহ করবে। আশা করছি আগামী ১২ বা ১৩ মে জাহাজটি দেশে পৌঁছাবে। কুতুবদিয়ায় জাহাজের কার্গো খালাস করে চট্টগ্রাম বিচে নোঙর করবে। তখন নাবিকরা বাড়িতে যাবেন।'

উল্লেখ্য, ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। ১২ মার্চ বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে সোমালি দস্যুরা। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জিম্মি করা হয়।

এর ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় জলদস্যুরা। এরপরই সেটি সোমালিয়া উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। টানা এক সপ্তাহের সমুদ্রযাত্রা শেষে ২১ এপ্রিল বিকেলে জাহাজটি আল হামরিয়াহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।


এমভি আবদুল্লাহ   জাহাজ   সংযুক্ত আরব আমিরাত   সমুদ্রবন্দর   সোমালি জলদস্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাকিম মন্ডলের নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তবে দুলাল মিয়া সরদার এবং অভিযুক্ত সমর্থক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

 

ঘটনার পর পর মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীমের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা দলবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

 

এনিয়ে সোমবার (২৯ এপ্রিল) মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থক মেহেদী হাসান রিটার্নিং অফিসার ও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের পলাশের মোড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাকিম মন্ডলের মোটরসাইকেল প্রতীকের একটি নির্বাচনী প্রচারণা অফিস স্থাপন করা হয়। সেখানে ঘটনার দিন দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম দলীয় রাজনৈতিক কোন্দলের জেরে ১০/১২ জনের দলবল নিয়ে সেই অফিসে চেয়ার টেবিল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। 

 

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার এবং মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম।

 

তাদের অভিযোগ মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল ষড়যন্ত্র করে নিজেই নিজের অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।

অভিযুক্ত মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো। মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা সেখানে টাঙানো আমাদের দোয়াত কলম প্রতীকের পোস্টার ছিড়ে ফেলে। পরে আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও ওসি স্যারকে জানিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। পরে তারা ভয় পেয়ে নিজেরাই নিজেদের অফিসে ভাংচুর করে আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে এবং গা বাঁচাতে মোস্তাকিম মন্ডলের পক্ষ নিয়ে ভোটের মাঠে নেমে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। এমনকি তারা আমাকে বাড়ি থেকে তুলে চৌমুহনী বাজারে নিয়ে গিয়ে মারবে বলেও হুমকি দিয়েছে।’


উপজেলা নির্বাচন   নির্বাচনী অফিস   ভাঙচুর   অগ্নিসংযোগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন