দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের
প্রতিনিধিদল। আগামী রবিবার (২১ এপ্রিল) তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে তাদের।
মার্কিন এই প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে থাকবে বাণিজ্য প্রতিনিধি
কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ।
এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সফরের সময় বাণিজ্য সম্প্রসারণ ছাড়াও শ্রম আইন সংস্কার, তথ্য আইনের
সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও
বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) নিয়ে বৈঠক করবে বলেও জানা গেছে।
তবে, দুদেশের এই বৈঠকে কারা উপস্থিত থাকবেন তা এখনো জানা যায়নি।
সেই সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস থাকবেন কি না তাও পরিষ্কার নয়।
কূটনীতিক সূত্রে জানা যায়, আগামী ২১ এপ্রিল ঢাকায় আসবেন ব্রেন্ডান
লিঞ্চ। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র শ্রম অধিকারের বিষয়ে সবচেয়ে জোর দেবে। তাই সেভাবেই প্রস্তুতি
নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যেখানে আওয়ামী লীগ পুনরায় নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে। এ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা
ও সুষ্ঠুতা নিয়ে কয়েকবার নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ঢাকা মার্কিন প্রতিনিধিদল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন মহান মে দিবস। আজ পহেলা মে শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনটি সারা বিশ্বে একযোগে ‘মহান মে দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা শ্রমের উপযুক্ত মূল্য ও দৈনিক অনধিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ঐ দিন আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে অনেক শ্রমিক হতাহত হন। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা করার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে দিনটি মে দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো দিনটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও টক শো সম্প্রচার করবে। বাংলাদেশে এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শ্রমিক মালিক গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ।’
মহান মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। মহান দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থসামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী মানুষের কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে শ্রমিকের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং নতুন বেতনকাঠামো ঘোষণা করেন।
মে দিবসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বাণীতে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, সমৃদ্ধি ও নিরাপদ জীবন কামনা করি।’
জেপির বিবৃতি: মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি—জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং দলের মহাসচিব ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশের মেহনতি মানুষদের একই সঙ্গে বিশ্বের মেহনতি সব মানুষকেও আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে জেপির নেতৃদ্বয় বলেন, ‘মেহেনতি মানুষের শ্রম ও ঘামে আমাদের এই সভ্যতা গড়ে উঠেছে। মহান মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা সংগ্রামের এক অনন্য দিন। আমরা এই দিনে বাংলাদেশের তথা বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য সংগ্রামের প্রতি এবং তাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্যের দাবির প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন ঘোষণা করছি। আমরা এই দিনে সব মেহনতি মানুষের সর্বাঙ্গীণ সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করছি এবং মহান মে দিবসে যারা আমেরিকার শিকাগোতে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন, সেই শহরের শ্রমিকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’
মহান মে দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শ্রমিকসমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আজ বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আজ বেলা ৩টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে এক শ্রমিক জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্তব্য করুন
একটি দেশের আর্থসামাজিক দুরবস্থার দরুন
শিশুশ্রমের আধিক্য দেখা যায়। বাংলাদেশেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। বর্তমানে শ্রমে নিয়োজিত
শিশুর সংখ্যা ১৭ লাখ ৮০ হাজার। এর মধ্যে ১০ লাখ ৭০ হাজার শিশু নিয়োজিত রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ
কাজে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ-২০২২’ এ তথ্য পাওয়া
যায়। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ৭ অনুযায়ী দেশে ২০২৫ সালের মধ্যে সব সেক্টর
থেকে শিশুশ্রম নিরসনের পরিকল্পনা নেয় সরকার। ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে
সব শিশুকে সরিয়ে আনার উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বিবিএসের জরিপের তথ্য বলছে, লক্ষ্য
অর্জনে পিছিয়ে আছে দেশ।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও‘র সংজ্ঞায়
৫ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত মানুষকে শিশু ধরা হয়। এরমধ্যে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুরা সপ্তাহে
এক ঘণ্টা, ১১ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশু সপ্তাহে ২৫ ঘণ্টা এবং ১৪ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের
সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজ করালে তাকে শিশু শ্রম বলা হয়।
২০২২ সালে বাংলাদেশ আইএলও সনদ অনুমোদন
করে। আর তখন মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলা হয় ১৪ বছর পর্যন্ত কোনো শিশুকে শ্রমে নিযুক্ত করা
যাবেনা। আর কোনো শিশুকেই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাবেনা। কিন্তু বাংলাদেশে শ্রমে
নিযুক্ত শিশুদের বেশির ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত।
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এবং ২০১৩-এর সংশোধন অনুসারে কর্মরত শিশু বলতে বোঝায়, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে যারা সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টা পর্যন্ত হালকা পরিশ্রম বা ঝুঁকিহীন কাজ করে। এ শ্রম অনুমোদনযোগ্য। অথচ, আইনের এই বিষয়টিকে তোয়াক্কা না করে অনিয়মতান্ত্রিক শিশুশ্রম চলছে দেশের আনাচে-কানাচে সর্বত্রই। যা শিশু সুরক্ষা তথা শিশু অধিকারের পরিপন্থি। এখনও দেশের বহু বাসাবাড়িতে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুরা কাজ করছে। কাজ করছে হোটেল রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে। এ ধরনের শ্রম বন্ধে সরকার নিতে পারছে না কোন কার্যকর উদ্যোগ। এ রকম অবস্থায় ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম নিরসনে অনিশ্চয়তা রয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও,
অবহেলিত প্রান্তিক নারীরা। কারণ দেশের একেক অঞ্চলের নারীদের জীবন সংগ্রামের ধরন একেক
রকম। উপকূলীয় অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল, এমনকি পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের জীবনাচরণ অঞ্চলভেদে
ভিন্ন। অন্যদিকে প্রান্তিক নারীরা অভিবাসন শ্রমিক হয়ে অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন।
তবে এখনো তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শহরের নারীরা
এগিয়ে থাকলেও এখনো অবহেলিত গ্রামের প্রান্তিক নারীরা। গ্রামীণ নারীরা গৃহশ্রম, কৃষি-শিল্প
খাতে কাজ করলেও তারা প্রত্যাশিত মর্যাদা ও স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত।
পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় যে
পরিমাণ খাদ্য উত্পাদন হচ্ছে, তার ৮০ শতাংশ নারী উত্পাদন করছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
নারীরা উত্পাদনে অনেক অবদান রাখছেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কৃষিতে নারীদের যে অবদান সেটি
খুব ছোট করে দেখানো হচ্ছে। শিল্পকারখানায়ও নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। এক পরিসংখ্যানে
দেখা গেছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২.৬৮%;
যা পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৬.৩%।
সূত্র জানায় ,কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ
দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। পাঁচ দশকে মোট দেশজ উত্পাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি
অর্জনের বড় ধরনের অবদান রেখেছেন তারা। পাকিস্তানকে যে সব ক্ষেত্রে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ,
তার একটি হলো কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০১৯
সালের তথ্যমতে, দেশের কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৮ শতাংশ, যা পাকিস্তানে ২৩
শতাংশ।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৯১ দশমিক ৮ শতাংশ
নারী অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করছেন। শস্য সংরক্ষণ থেকে শুরু করে বীজতলা নির্মাণ, শস্য
বাজারজাতের কাজ করছেন নারীরা। তারা ৩৫ থেকে ৪০ ধরনের কাজ করছেন। কিন্তু তার আনুষ্ঠানিকতা
দেখা যায় না। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের কৃষিতে ৪০ শতাংশ নারী শ্রমিক কাজ করছেন। কিন্তু
অর্থনীতিতে তাদের অবদান মাত্র ১৩ শতাংশ। নারীদের উদ্যোক্তা হতে ব্যাংকঋণ প্রদানের কথা
বলা হচ্ছে। কিন্তু এসব ব্যাংকের কর্মীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে যান না। ফলে প্রান্তিক নারীদের
যে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন, তা তারা পাচ্ছেন না।
শ্রমবাজার প্রান্তিক নারী মে দিবস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন মহান মে দিবস। আজ পহেলা মে শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনটি সারা বিশ্বে একযোগে ‘মহান মে দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা শ্রমের উপযুক্ত মূল্য ও দৈনিক অনধিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ঐ দিন আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে অনেক শ্রমিক হতাহত হন। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা করার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে দিনটি মে দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
একটি দেশের আর্থসামাজিক দুরবস্থার দরুন শিশুশ্রমের আধিক্য দেখা যায়। বাংলাদেশেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। বর্তমানে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ১৭ লাখ ৮০ হাজার। এর মধ্যে ১০ লাখ ৭০ হাজার শিশু নিয়োজিত রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ-২০২২’ এ তথ্য পাওয়া যায়। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ৭ অনুযায়ী দেশে ২০২৫ সালের মধ্যে সব সেক্টর থেকে শিশুশ্রম নিরসনের পরিকল্পনা নেয় সরকার। ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সব শিশুকে সরিয়ে আনার উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বিবিএসের জরিপের তথ্য বলছে, লক্ষ্য অর্জনে পিছিয়ে আছে দেশ।
শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও, অবহেলিত প্রান্তিক নারীরা। কারণ দেশের একেক অঞ্চলের নারীদের জীবন সংগ্রামের ধরন একেক রকম। উপকূলীয় অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল, এমনকি পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের জীবনাচরণ অঞ্চলভেদে ভিন্ন। অন্যদিকে প্রান্তিক নারীরা অভিবাসন শ্রমিক হয়ে অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন। তবে এখনো তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।