সরকারের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ
কমিটির (এফপিএমসি) হিসাব অনুযয়ী, দেশে বিগত পাঁচ বছরে মোটা চালের দাম ৫৬ শতাংশের বেশি
বেড়েছে। আর পাঁচ বছর আগের তুলনায় এখন খোলা আটার দাম ৫৭ শতাংশ বেশি।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, ২০২০ সালের মার্চে
দেশে মোটা চালের গড় দাম ছিল ৩১ টাকা ৪৬ পয়সা, যা গত মার্চে দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ১১ পয়সা।
এই পাঁচ বছরে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে চালের দাম।
এমনকি এতে খোলা আটার দামের পরিস্থিতিও
তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, ২০২০ সালের মার্চে খোলা আটার গড় দাম ছিল প্রতি কেজি ২৭ টাকার
কিছু বেশি। গত মার্চে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৩ টাকা। অবশ্য গত বছর খোলা আটার দাম আরও
বেশি ছিল, প্রতি কেজি প্রায় ৫৯ টাকা। পণ্যটির দাম গত বছরের তুলনায় কমলেও ২০২০ সালের
চেয়ে এখনো ৫৭ শতাংশ বেশি।
গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে
মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। কমিটিতে ৮ জন মন্ত্রী ও ১০ জন সচিব সদস্য।
গতকালের কমিটির এ সভায় উপস্থিত ছিলেন
কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
রোকেয়া সুলতানা, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম প্রমুখ।
এতে চলতি বছর বোরো মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে ৫ লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এবার দাম প্রতি কেজিতে দুই টাকা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,
প্রয়োজনে কৃষকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টনের বেশি ধান কেনা হবে। ধানের পাশাপাশি এবার ৪৫
টাকা কেজি দরে ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হবে। গতবার এটি ৪৪ টাকা কেজি দরে কেনা
হয়েছিল। এ ছাড়া ৪৪ টাকা কেজি দরে এক লাখ টন আতপ চাল কিনবে সরকার। ৩৪ টাকা কেজি দরে
৫০ হাজার টন গমও কেনা হবে।
আগামী ৭ মে থেকে ধান কেনা শুরু হবে
এবং ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বেশি ধান কেনা হবে হাওর থেকে। তিনি
বলেন, কৃষক যাতে তার উৎপাদনের ন্যায্যমূল্য পান,
সে জন্য এবার ধানের দাম কেজিতে দুই
টাকা বাড়ানো হয়েছে। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, বিশ্ববাজারে
দাম, দেশের দর, মজুত ইত্যাদি পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
এতে দেখা যায়, ২০২২–২৩ অর্থবছরে চাল
উৎপাদিত হয়েছে ৩ কোটি ৯১ লাখ টন। যদিও কৃষি মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ছিল প্রায় ৪ কোটি ১৬
লাখ টন। চাল, গম ও ভুট্টা মিলিয়ে খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল প্রায় ৪ কোটি ৮৫ লাখ
টন। উৎপাদিত হয়েছে ৪ কোটি ৪৮ লাখ টনের কিছু বেশি।
চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়
৪ কোটি ৩৪ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করেছে। দুটি মৌসুমের হিসাব পাওয়া গেছে। যেখানে
দেখা যায় আউশের উৎপাদন গত মৌসুমের প্রায় সমান হয়েছে—প্রায় ৩০ লাখ টন। আমনের সাময়িক
প্রাক্কলনে প্রায় ১ কোটি ৬৬ লাখ টন চাল উৎপাদিত হয়েছে বলে ধরা হয়েছে, যা গত মৌসুমের
চেয়ে ১২ লাখ টন বেশি।
চাল ও আটা দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য।
চালের দাম যখন বাড়তি, তখন আটার দামও চড়া। যদিও বিশ্ববাজারে গমের দাম ২০২০ সালের পর্যায়ে
নেমে এসেছে। এমনকি বাংলাদেশে গম আমদানির দুটি উৎস রাশিয়া ও ইউক্রেনে গমের দাম ২০২০
সালের মার্চের চেয়েও কম।
খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায়
তুলে ধরা হয় যে ২০২০ সালের মার্চে রাশিয়ার গমের প্রতি টনের দর ছিল ২১৪ ডলার, যা ২০২২
সালের মার্চে ৪১০ ডলারে উঠেছিল। গত মার্চে তা নেমে যায় ২০৪ ডলারে।
বাংলাদেশে ২৭ টাকা কেজির আটা ৫৯ টাকায়
উঠে এখন ৪৩ টাকায় নেমেছে। দাম এখনো এত বেশি থাকার বড় কারণ মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধি।
এ সময় ডলারের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। ডলারের দাম বিবেচনায় নিলেও দেখা যায়, বিশ্ববাজারে
গমের দাম যে হারে কমেছে, আটার দাম ততটা কমেনি।
খাদ্যের দাম বাড়লে বিপাকে পড়েন নিম্ন
আয়ের মানুষ। ২০২২ সালে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এক গবেষণায় দেখিয়েছিল,
অতি গরিব শ্রেণিভুক্ত একজন মানুষ তাঁর ব্যয়ের ৩২ শতাংশ খরচ করেন চাল কিনতে। গরিব মানুষের
ক্ষেত্রে এই হার ২৯ শতাংশ। এ ছাড়া গরিব নন, এমন ব্যক্তি তাঁর ব্যয়ের এক-পঞ্চমাংশ চাল
কেনায় খরচ করেন।
সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কম
দামে মানুষকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়। তবে অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, চাহিদার তুলনায় তা
কম। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি যে হারে বাড়ছে, মজুরি বাড়ছে তার চেয়ে কম হারে। মানে হলো,
শ্রমজীবী মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে।
বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের
(সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, চাল ও আটা দুটি গুরুত্বপূর্ণ
পণ্য। এর দাম বাড়লে স্বল্প আয়ের পাশাপাশি মধ্যম আয়ের মানুষও চাপে পড়ে।
তিনি বলেন, মজুরি যতটা বাড়ছে, তার চেয়ে
মূল্যস্ফীতি বাড়ছে বেশি। ফলে অনেকের পক্ষে বাড়তি আয় দিয়েও ব্যয় মেটানো সম্ভব হচ্ছে
না।
এফপিএমসি কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ মোটা চাল
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার (২১ মে)। এ নির্বাচনে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ ও আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৬১৪ কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আগামী ২১ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ ও আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৬১৪ কর্মকর্তাকে নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ৫ ধারা মোতাবেক তফসিলভুক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, নিয়োগ পাওয়া এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবশ্যিকভাবে যোগদান/রিপোর্ট করবেন, সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার অধিক্ষেত্রে যোগদান করা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের যোগদান সংক্রান্ত প্রতিবেদন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ নিশ্চিত করবেন।
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ১৫৭ উপজেলা নির্বাচনে আজ থেকে মাঠে নামছে বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোটের আগে-পরে মোট ৫ দিনের জন্য তারা দায়িত্ব পালন করবে।
রোববার (১৯ মে) মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে এ ভোটের প্রচার এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার(২১ মে)।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা ৫ দিনের জন্য মাঠে নিয়োজিত থাকবে। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে পরিপত্র জারি করেছে।
পরিপত্র অনুযায়ী, সমতলে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ জন করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৯ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। দুর্গম ও পার্বত্য এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতি ইউনিয়নে থাকবে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও, মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবির প্রতিটি মোবাইল টিমের সঙ্গে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।
এদিকে নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে বিচার করার জন্য উপজেলায় থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট
সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ থাকবে বিশেষ টিম। ওই টিম নির্বাচনসংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগ-তথ্যের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরাসরি এলাকাভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেলে প্রেরণ করবে।
উপজেলা নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইসি
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজ উৎপাদন বাড়াতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থনৈতিক ক্ষমতাই নারীদের জন্য সম্মান বয়ে আনবে। শুধু পণ্য উৎপাদন করলেই হবে না। পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে পণ্য বাজারজাত করণের দিকেও নজর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তরুণ প্রজন্মদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ক্ষমতায় এসে কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পণ্য মেলায় উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মূল্যস্ফীতি দেশজ উৎপাদন প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকায়
আসচেন অস্ট্রোলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। ধারনা করা হচ্ছে এই সফরে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলগত জোট বা কোয়াডের গুরত্বপূর্ণ সদস্য দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আঞ্চলিক
ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যু ও দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেয়ার বার্তা
দিবেন।
জানা যায়,
আগামী
২১-২২
মে
ঢাকা
সফর
করবেন
অস্ট্রেলিয়ার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের
দ্বাদশ
জাতীয়
সংসদ
নির্বাচনের
পর
এটি
অস্ট্রেলিয়া
সরকারের
তরফ
থেকে
প্রথম
উচ্চ
পর্যায়ের
সফর
হতে
যাচ্ছে।
ঢাকার
একটি
কূটনৈতিক
সূত্র
জানায়,
ভূ-রাজনৈতিক
পরিস্থিতি
বিবেচনায়
অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশের
সঙ্গে
সম্পর্ক
জোরদারে
আগ্রহী।
বাংলাদেশের
৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে অস্ট্রোলিয়া মনোভাব ছিল নেতিবাচক। তবে
নির্বাচনের
চার
মাসের
বেশি
সময়
পর
সম্প্রতি
দেশটির
প্রধানমন্ত্রী
এন্থনি
এলবানিজ
পুনরায়
প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচিত
হওয়ায়
শেখ
হাসিনাকে
অভিনন্দন
জানিয়েছেন।
এক শুভেচ্ছা বার্তায় এন্থনি
জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রোলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি উন্মুখ।
পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের
একাধিক
কর্মকর্তা
জানিয়েছেন,
ঢাকা
সফরের
সময়
পেনি
ওং
প্রধানমন্ত্রী
শেখ
হাসিনার
সঙ্গে
সৌজন্য
সাক্ষাৎ
করবেন
এবং
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাছান
মাহমুদের
সঙ্গে
দ্বিপক্ষীয়
বৈঠক
করবেন।
এছাড়াও
রোহিঙ্গা
ক্যাম্প
পরিদর্শনে
যাওয়ার
কথাও আছে তার।
পেনির
সফরে
দুই
দেশের
মধ্যে
বাণিজ্য
ও
বিনিয়োগ
জোরদার,
রোহিঙ্গা
সংকট,
অভিবাসন,
শিক্ষা,
ব্লু-ইকোনোমিসহ
বিভিন্ন
ক্ষেত্রে
সহযোগিতা
নিয়ে
আলোচনা
হবে।
এছাড়া
আঞ্চলিক
ও
বৈশ্বিক
নিরাপত্তা
ইস্যু
উঠে
আসবে
আলোচনার
টেবিলে।
সংশ্লিষ্টরা
বলছেন,
যুক্তরাষ্ট্র,
অস্ট্রেলিয়া,
জাপান
ও
ভারত এ
চার
দেশের
জোট
কোয়াড।
চার
জাতির
এ
জোটে
দক্ষিণ
এশিয়ার
একমাত্র
দেশ
ভারত।
এ
অঞ্চলের
অন্য
কোনো
দেশ
এখন
পর্যন্ত
এতে
যুক্ত
হয়নি।
তবে চীন বিরোধী হিসেবে পরিচিত কোয়াড বাংলাদেশকে অনেক আগ থেকেই টানতে আগ্রহী। মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রতো
ইন্দো-প্যাসিফিকে
বাংলাদেশকে
অংশীদার
মনে
করে।
তবে
বাংলাদেশের
স্পষ্ট
বার্তা
ইন্দো-প্যাসিফিকের
কোনও
সামরিক
কর্মকাণ্ডে
নয়,
বরং
অর্থনৈতিক
কোনও
সুবিধা
থাকলে
তাতে
যুক্ত
হতে
আপত্তি
নেই।
ধারণা
করা
হচ্ছে,
ঢাকা
সফরের
সময়
অস্ট্রেলিয়ার
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ইন্দো-প্যাসিফিক
নিয়ে
বিস্তারিত
আলোচনা
করতে
চাইবে।
ক্যানবেরার
বাংলাদেশ
হাইকমিশনের
এক
কর্মকর্তা
মনে
করেন,
সাম্প্রতিক
বছরগুলোতে
বাংলাদেশ
ও
অস্ট্রেলিয়ার
মধ্যে
বাণিজ্যের
পরিমাণ
ও
রপ্তানি
বেড়েছে।
বিশেষ
করে,
বাংলাদেশের
তৈরি
পোশাক
আমদানিতে
গুরত্বপূর্ণ
ভূমিকা
পালন
করছে
অস্ট্রেলিয়া।
টিফা
কাঠামোর
আওতায়
দুই
দেশের
বাণিজ্য
ও
অর্থনৈতিক
সম্পর্ক
আরও
উন্নয়ন
করার
সুযোগ
রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া
থেকে
তরলীকৃত
প্রাকৃতিক
গ্যাস,
উল,
কটন,
গম,
ডালসহ
কৃষিপণ্য
বাংলাদেশে
আমদানি
করার
সুযোগ
রয়েছে।
প্রযুক্তিগত
সেবা,
শিক্ষাসংক্রান্ত
দক্ষতা,
কৃষি
ও
অবকাঠঅমো
উন্নয়নে
বিশেষ
করে,
খাদ্য
প্রক্রিয়াকরণ
ও
হিমায়িতকরণের
প্রযুক্তিতে
অস্ট্রেলিয়া
থেকে
সহযোগিতা
পেতে
পারে
বাংলাদেশ।
এছাড়াও
দ্বৈতকর
প্রত্যাহার,
বিনিয়োগ
সুরক্ষা
চুক্তি,
দুই
দেশের
মধ্যে
সরাসরি
বিমান
চালু,
দক্ষ
অভিবাসীদের
কর্মসংস্থান,
ব্লু-ইকোনোমিসহ
বঙ্গোপসাগর
এবং
আন্দামানসাগরে
মানবপাচার
ও
মাদকপাচার
ও
চোরালান
নিয়ে
দুই
দেশ
সহযোগিতার
পরিধি
আরও
বিস্তৃত
করতে
পারে
বলে
ভাষ্য
এ
কূটনীতিকের।
এর আগে
২০১৯
সালে
তৎকালীন
অস্ট্রেলিয়ান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মেরিস
পেইন
বাংলাদেশ
সফর
করেন।
ভারত
মহাসাগরীয়
তীরবর্তী
দেশগুলোর
জোট
ইন্ডিয়ান
ওশান
রিম
অ্যাসোসিয়েশনের
(আইওআরএ)
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পর্যায়ের
সম্মেলনে
অংশ
নিতে
পেইন
ঢাকা
সফর
করেছিলেন।
অস্ট্রোলিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোয়াড ইন্দো-প্যাসিফিক
মন্তব্য করুন
জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার- ২০২৩ পেয়েছেন ৭ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কার প্রাপ্তদের নগদ পুরস্কার, ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার পেলেন যারা
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার উদ্যোক্তা জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার- ২০২৩
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার (২১ মে)। এ নির্বাচনে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ ও আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৬১৪ কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার- ২০২৩ পেয়েছেন ৭ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কার প্রাপ্তদের নগদ পুরস্কার, ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।