লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নে রাতের অন্ধকারে মা ও বোনকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এমন অভিযোগ করেন দুই ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী ২ ব্যক্তি হলেন, পঁয়ষট্টি বছর বয়সী বৃদ্ধা সমমেহেরা বেগম ও তার মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা জান্নাত আক্তার মুন্নি। অভিযুক্ত ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী পান্না বেগম সম্পত্তি ও টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এমন কাজ করেছে বলে জানায় ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী সমমেহেরা বেগম ও মুন্নি উত্তরজয়পুর ইউনিয়নের খন্ডলী পুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত জাহাঙ্গির আলম ও পান্না বেগম সম্পর্কে ছেলে ও ছেলের স্ত্রী।
ভুক্তভোগী সমমেহেরা বেগম ও মুন্নি বেগমসহ ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, স্বামী পরিত্যক্তা মুন্নি নিজের অর্থ দিয়ে পৈত্রিক কিছু সম্পত্তি ক্রয় করেন। নিজের টাকা দিয়ে বসতঘর নির্মাণ করে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বসবাস করছেন। সম্প্রতি তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী পান্নাকে ওই বাড়িতে থাকতে দেন তিনি। গভীর রাতে সম্পত্তি ও বসতঘর দখলের জন্য বৃদ্ধা মা ও বোনকে বের করে দেন জাহাঙ্গীর। বাড়ির চারপাশে টিন দিয়ে বন্ধ করে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেয় রাতারাতি। বৃদ্ধা ওই দুই নারী এখন রাত্রি যাপন করে রাস্তায়।
মুন্নি বেগম আরো বলেন, তার সঞ্চয়কৃত দুই লাখ টাকা জাহাঙ্গীর ধার নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। পাওনা টাকা দাবি করলে ও তার সম্পত্তি বিবাদীদের কাছে বিক্রি করবে না বলে জানালে তারা জোর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এখন তারা চরম নিরাপত্তাহীনতার সাথে বাগানে, খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে বলেও জানায়।
এদিকে এ ঘটনায় বক্তব্য নিতে গেলে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী পান্না বেগম কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কোন ধরনের বন্টন নামা ছাড়া তার বোন সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। এ ধরনের ক্রয় শুদ্ধ নয় বলে দাবি করেন তিনি।
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ আনোয়ার বলেন, তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে জাহাঙ্গীর বাড়িতে নেই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়ার কথা জানান এই জনপ্রতিনিধি।
মাকে ঘর ছাড়া সম্পত্তির লোভ অর্থ আত্মসাৎ
মন্তব্য করুন
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ওসি
মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা
ও দায়রা জজ আদালতে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের
শিকার আব্দুল বারেক।
মামলা দায়ের করা আব্দুল বারেক সিরাজদিখান
উপজেলার বড়বর্তা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা
ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাই-পূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন
দেওয়ার জন্য পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে বাদী তথা ভুক্তভোগীদের জখমের
বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জামাল
হোসাইন জানান, গত ১৮ এপ্রিল জেলার সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ২৪ এপ্রিল
ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি দেখিয়ে উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আব্দুল বারেকসহ ১১
জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ওই দিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের থানা
পুলিশের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে
পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, জেল হাজতে থেকে আব্দুল
বারেক বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানার ওসি ও অন্যান্য আরো ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশের
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন আদালতে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান
সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি আদালতে একটি পিটিশন মামলা হয়েছে। তবে ওই
ঘটনার সময় আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন