ইনসাইড বাংলাদেশ

মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের মিয়ানমারে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমারে চলমান আভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ২৫ এপ্রিল ও প্রয়োজনে ২৬ এপ্রিল সম্পন্ন হবে। কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যাগমনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইন বাংলাদেশে এসেছে এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যান্যদের নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে দুই দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ও ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে মিয়ানমারের নিকট প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় উক্ত নাগরিকগণের বাংলাদেশে যাচাই কার্যক্রম অতিদ্রুত শেষ করা হয়। প্রথমে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কারাভোগ শেষ করেছেন অথবা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন এমন ১৪৪ জন যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়।

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তৎপরতায় মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ, কারাভোগরত এবং বিচারাধীন সকল নাগরিকত্ব যাচাইকৃত বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সম্মত হয়। ফলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আরও ২৯ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি প্রদান করে। ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ এবং সিট্যুয়েতে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের প্রতিনিধি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বয় করেন।

কক্সবাজার সদরের  স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জেটিঘাটে উপস্থিত থেকে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান।

মিয়ানমারের জাহাজযোগে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যান্য সদস্যদের প্রেরণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা সিভিল সার্জন ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পাদনের পর বাংলাদেশি নাগরিকদের তাদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

জাহাজযোগে আসা মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বুধবার বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করবে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজযোগে আসা বিজিপি সদস্যদের নিকট আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হবে।

চলতি বছরে এ পর্যন্ত ছয় শতের অধিক আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমারের বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় প্রদান ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজিবি কর্তৃপক্ষ আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার বিজিপি, সেনা সদস্য ও অন্যান্যদের মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।


মিয়ানমার   বিজিপি   সদস্য   হস্তান্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের পাঁচ ইস্যুতে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের পর ধারণা করা হয়েছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বিশেষ করে, ভারতের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবেই বাংলাদেশে তারা স্বার্থরক্ষা করতে চায়। নির্বাচনের পরপরই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে যে, নতুন সরকারের উপর নতুনভাবে চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা শুরু করেছেন। মন্ত্রীদের মধ্যে থেকেও কেউ কেউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি এবং ইস্যু সমালোচনা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সময়ে দুটি বক্তৃতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্রের সংকট ইত্যাদি নিয়ে সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন। সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর নানা ইস্যুতে নতুন করে চাপ প্রয়োগ করতে চাচ্ছে। আর এ কারণেই সরকার আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে নজর রাখছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

মূলত পাঁচটি ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর নজর রাখছে বলে কূটনৈতিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে-

১. ড. ইউনূস প্রসঙ্গ: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হচ্ছে, সেই মামলাগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনের চার্জশিট, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা- ইত্যাদি বিষয়গুলোর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক কোন বক্তৃতা-বিবৃতি না দিলেও এই ড. ইউনূস ইস্যুর পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সে ব্যাপারে মার্কিন দূতাবাস এবং ওয়াশিংটন সার্বক্ষণিকভাবে খবর রাখছে বলে জানা গেছে।

২. শ্রম আইন: শ্রম আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রকাশ্য এবং তারা বারবার শ্রম আইন নিয়ে কথা বলছে। সংশোধিত শ্রম আইনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও করেছেন। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার বিষয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

৩. নির্বাচন: ভবিষ্যতে নির্বাচন গুলো কতটা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং এসব নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মতামত পাওয়া যায় কিনা সেটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি অগ্রাধিকার এজেন্ডা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কারভাবেই বলছে যে, কোন দেশের গণতন্ত্রের কি অবস্থা সেটি নজর রাখা তাদের কুটনৈতিক দায়িত্ব।

৪. মানবাধিকার: মানবাধিকার ইস্যুতেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর নজর রাখছে। বিশেষ করে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কীভাবে মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে এবং সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির গতি-প্রকৃতি সম্পর্কেও তারা লক্ষ্য রাখছে।

৫. বেগম জিয়া: বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়া, তার কারাজীবন এবং তার চিকিৎসা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খোঁজখবর রাখছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিষয়ে মানবাধিকার রিপোর্টে বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি হিসেবে দাবি করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার প্রতিবাদ জানানো হয়। তারা বলেছে যে, বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন, তিনি জামিনে রয়েছেন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেগম জিয়ার ইস্যুটি সম্পর্কে নজর রাখছে।

আর এই সবকিছুই হচ্ছে বাংলাদেশে অবস্থানরত কিছু ব্যক্তি যারা সরকারবিরোধী, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিনিয়ত এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়গুলোতে তাদের অবস্থান নির্ধারণ করছে এবং বাংলাদেশের উপর নতুন করে এক ধরনের চাপ সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।


বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   ড. ইউনূস   খালেদা জিয়া   মানবাধিকার   শ্রম আইন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পরিবেশ সাংবাদিকতায় সুরক্ষা নিশ্চিত করবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ সাংবাদিকতার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

শনিবার (০৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত 'জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে তৃণমূলে, গ্রামে-গঞ্জে, মফস্বলে যদি কোনো সাংবাদিক বা কোনো প্রতিবেদক স্থানীয় বা তথাকথিত প্রভাবশালী দ্বারা যদি কোনো ধরনের সমস্যায় পড়েন, সে ক্ষেত্রে সরকার সেই সাংবাদিকদের বা প্রতিবেদকদের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন, সহযোগিতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। এর কারণ জাতীয়ভাবে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে। 

তিনি আরও বলেন, পরিবেশকে বিপর্যয়ে ফেলার জন্য বাংলাদেশ সবচেয়ে কম দায়ী কিন্তু বড় শিকার। যে কারণে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীর যে কোনো প্লাটফর্মে আমরা এ বিষয়ে উচ্চকণ্ঠ থাকি এবং এখানে একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় আমরা কাজ করি সরকার, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম সবাইকে নিয়ে। 

তিনি যোগ করেন, দেশের ভেতরে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী পরিবেশকে বিপর্যয়ের সম্মুখে ফেলেন এবং সেই বিষয় নিয়ে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোন সাংবাদিক বা প্রতিবেদককে বিপদে পড়তে হয়, সরকার তাদের পাশে দাঁড়াবে এবং তাদের সুরক্ষা দেওয়ার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা করবে। দরকার হলে এ বিষয়টি নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে। কারণ সরকার মনে করে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে যারা স্থানীয় পর্যায়ে বিচ্যুতি-ব্যত্যয়ের বিষয়গুলো তুলে ধরবেন তারা সরকারকে সহযোগিতা করছেন, দেশ ও জনগণকে সহযোগিতা করছেন। 

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা পরিবেশ-প্রতিবেশকে মাথায় রেখে টেকসই উন্নয়ন করতে চাই। আমরা যেমন পরিবেশের সুরক্ষা করতে চাই, তেমনি পরিবেশ-প্রতিবেশের সুরক্ষা করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন চালিয়ে রাখতে চাই, এগিয়ে যেতে চাই। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অনেকে বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা করে থাকে। পরিবেশকে অনেক ক্ষেত্রে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উন্নয়ন-অগ্রগতিকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতা হয়, সেটা পেশাদার সাংবাদিকতা বলা যায় না। 

তিনি আরও বলেন, যারা সততা, সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা করবেন তাদের জন্য বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা থাকা দরকার। সাংবাদিকতার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের কল্যাণে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুদান দিয়ে এ ট্রাস্টের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। সত্যিকার অর্থে যারা সাংবাদিকতা পেশার সাথে সম্পৃক্ত, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তাদের নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য এ ধরণের আরও কিছু উদ্যোগ নেয়া হবে। সাংবাদিকদের আর্থিক স্বাধীনতা তৈরির জন্য যে ধরণের পলিসি নেওয়া দরকার সেটা নিয়েও সরকার কাজ করছে।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)-এর করা বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থান প্রসঙ্গে এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরএসএফ-এর সূচক প্রকাশ ভালো উদ্যোগ। তবে তাদের মেথডোলজির মধ্যে অনেক দুর্বলতা আছে। আরএসএফ বিভিন্ন দেশে স্কোরিং করার ক্ষেত্রে যাদের মতামত নিচ্ছে, তাতে কিছু মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটছে। সেটা কোনভাবেই গোটা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিবেশের প্রতিফলন হচ্ছে না। এটা কোনো দেশের ক্ষেত্রেই হচ্ছে না। তবে একইসাথে এ ধরণের প্রতিবেদনে কোন সত্য বা আমাদের দুর্বলতা থাকলে সেটা বিবেচনায় নিয়ে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করা হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক ও ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন। 

আলোচনা সভায় 'জলবায়ু রাজনীতি: সাংবাদিকদের ভূমিকা' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক ড. লিয়াকত আলী।


তথ্য প্রতিমন্ত্রী   পরিবেশ সাংবাদিকতা   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিক্ষকের মর্যাদা-বেতনের বিষয় নিয়ে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৬:৩১ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতনের বিষয়টি নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

শনিবার (০৪ মে) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।


ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ‌‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে, তারা যেন মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত আসতে পারে এবং তারা যেন ঝরে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আর শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতনের বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’


শিক্ষামন্ত্রী   মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করা হবে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তর রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ বাঁচাতে দুইটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু প্রকল্প গ্রহণ করলে চলবে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকতে হবে হ্রদ বাঁচাতে। সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।

শনিবার (০৪ মে) দুপুর ১টায় রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের উদ্যোগে কাপ্তাই হ্রদে মাছ অবমুক্ত করণ ও মৎস্যজীবীদের বিজিএফ খাদ্য শষ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য এসব কথা বলেন মৎস্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, এ হ্রদের সাথে শুধু মৎস্য সম্পদ নয়, জড়িত এ অঞ্চলের মানুষের ভবিষ্যত। সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে হ্রদকে পুনরুদ্ধার করতে। সরকারের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের সভাপতিত্বে এতে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দীন, সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. আবদুল আলীম মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য ইনস্টিটিউট ড. মো. জুলফিকার আলী, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। 

উদ্বেগ প্রকাশ করে মৎস্যমন্ত্রী আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদ তার যৌবন হারিয়েছে। শুধুমাত্র রক্ষানাবেক্ষণের জন্য। হ্রদকে অপব্যবহার করা হয়েছে। হ্রদ বাঁচাতে হলে এ অঞ্চলের মানুষকে আরও আন্তরিক হতে হবে। এ হ্রদে শুধু জেলে পরিবার নয়, জীবন বাঁচে লাখো মানুষের পরিবারের। হ্রদকে বাঁচাতে, হ্রদের মৎস্য প্রজনন ঠিক রাখতে অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সচেতন হতে হবে সবাইকে। তবেই হ্রদের প্রকৃত চিত্র ফিরে আসবে। পলিজমে হ্রদের যে তলদেশ ভরাট হয়েছে। তা ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ঠিক করা যাবে। তবে পানি দূষণমুক্ত করতে হলে মানুষকে সচেতন হতে হবে। 

এর আগে মৎস্যজীবীদের রঙিন ছাতা ও খাদ্য শষ্য বিতরণ করেন অতিথিরা। একই সাথে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। 


মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী   মো. আব্দুর রহমান   কাপ্তাই হ্রদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হলেন কৃষিমন্ত্রীর ভাই

প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের আপন ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ (বুলবুল)। অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন দাখিল করেন।

চেয়ারম্যান পদে অন্যরা হলেন সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুর রহমান, চা-শ্রমিক নারীনেত্রী গীতা রানী কানু ও প্রবাসী চমন উদ্দিন।  

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সিদ্দেক আলী, মো. আলমগীর চৌধুরী, সুনীল কুমার মৃধা, মাওলানা এম এ ওয়াহাব ও নিরঞ্জন দেব।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দু'জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেত্রী বিলকিস বেগম এবং উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মুন্না দেব রায়। এ উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৫৪৭ জন। 

বৃহস্পতিবার নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। 

কমলগঞ্জের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  এ উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৫৪৭ জন।


কৃষিমন্ত্রী   মৌলভীবাজার   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন