ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত ডিসি এসপিরা

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপাররা (এসপি)। প্রভাব বিস্তারকারী মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হলে নির্বাচন কমিশন পাশে থাকবে কি না সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ এসব কর্মকর্তা। তাদের আশ্বস্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নেওয়া যে কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে কমিশন অবশ্যই পাশে থাকবে।

ইসি বলেছে, উপজেলা পরিষদে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় কমিশন। বদলির ভয়ে কারও কাছে অবস্থান না বিকিয়ে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে অটল থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে ইসির এক সভায় এসব বিষয় উঠে আসে।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, আইজিপি, সব বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনার (সংশ্লিষ্ট), রেঞ্জের ডিআইজি, ডিসি, এসপি ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন। নির্বাচন ভবনে সকাল ১১টা থেকে টানা তিন ঘণ্টা এ সভায় সদস্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, ইভিএম, নির্বাচনে ডিউটিরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভাতা, নির্বাচনী আচরণবিধি ও মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভা থেকে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে মাঠ প্রশাসনকে নানা দিকনির্দেশনা দেয় ইসি। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া মোবাইল আর্থিক সেবা সার্ভিসের মাধ্যমে নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানো বন্ধে কীভাবে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে—সে বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠকের শুরুতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা ব্যর্থ হবে। উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।

তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। এর মধ্যেও ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি আমরা ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেছেন সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে।

সিইসির বক্তব্যের পর উপজেলা নির্বাচনের মাঠ পরিস্থিতি জানতে ডিসি-এসপিদের কাছ থেকে বক্তব্য আহ্বান করা হয়। এরপর দুজন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ছয় থেকে সাতটি জেলার ডিসি ও এসপি, দুজন ডিআইজি ও দুজন বিভাগীয় কমিশনার তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন সচিব এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার মাঠ প্রশাসনের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, বক্তব্যে কয়েকজন ডিসি ও এসপি মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তোলেন। এক্ষেত্রে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মন্ত্রী এমপিদের ভূমিকা ও বাড়াবাড়ি নিয়েও কথা বলেন কেউ কেউ। ফলে উপজেলা নির্বাচনে তাদের নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মানাতে মাঠ প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নেবে কি না, সে সম্পর্কে কমিশনের কাছে জানতে চান। কারণ দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই নিজ স্বজনকে প্রার্থী করেছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে মাঠে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। সঙ্গে প্রশাসনকে তাদের পরিবারের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন।

এ নিয়ে সভায় পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে আর্জি জানানো হয়। তারা বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের পক্ষে কাজ না করলে অনেক সময় বদলির হুমকি আসে। পদোন্নতিসহ সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হতে পারে।

কোনো কোনো ডিসি ও এসপি প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপিদের নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে কমিশন আমাদের পাশে থাকবে কি না, আশ্রয় দেবে কি না। নাকি মন্ত্রী এমপিরাই উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তদবির করে আমাদের বদলি করে দেবেন।

জবাবে সিইসি শঙ্কিত ডিসি-এসপিদের আশ্বস্ত করে বলেন, কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বদ্ধপরিকর। আপনাদের সবার আন্তরিক সহযোগিতা ও জোরালো ভূমিকার কারণে সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সরকারও ওই নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করে কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।

এবারের উপজেলা নির্বাচনেও সরকার আমাদের পাশে রয়েছে। সেজন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে আপনারা যে ভূমিকা রাখবেন কমিশন সব সময় তার পাশেই থাকবে। নির্বাচন কমিশনের কথা শোনার কারণে উচ্চমহল থেকে নির্বাচনে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বদলির জন্য সুপারিশ এলে তা কমিশন যথাযথ যাচাইয়ের পর প্রমাণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে। এ জন্য দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

বরিশালের পুলিশ কমিশনার বলেন, আমাদের ওপর চাপ রয়েছে। জবাবে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ভয়ের কিছু নেই। সর্বোচ্চ শাস্তি বদলি করবে। আরেক জায়গায় অর্থাৎ নতুন কর্মস্থলে চাকরি করবেন সমস্যা নেই, তবুও মাথা নত করা যাবে না। এ সময় সিইসিসহ সব কমিশনার এ বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন।

তারা বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। এটা চাকরির অংশ। কারও কথায় আপনাদের বদলি করা হবে না। কমিশন নিজস্ব উৎস থেকে তদন্ত করবে। সিইসি আরও স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনে চাপ থাকবে। চাপ সবার ওপরই থাকে। তদন্তে প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কমিশনকে জানালে তাৎক্ষণিক সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

বৈঠকে কোনো কোনো বক্তা মাঠের চিত্র তুলে ধরে জানান, নির্বাচনে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী যেসব উপজেলায় রয়েছেন, সেখানে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে যে কটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি বা জামায়াতের প্রার্থী রয়েছেন সেসব উপজেলায় এ আশঙ্কা আরও প্রকট। সেজন্য শুরু থেকেই এসব এলাকায় বিশেষ নজর দিতে হবে, যাতে বড় ধরনের কোনো কিছু না ঘটতে পারে।

বৈঠকে পার্বত্য এলাকার সর্বশেষ পরিস্থিতির চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ওই এলাকার চারটি উপজেলা ভোট স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান তারা। এ ছাড়া পুরো পাহাড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদারের পরামর্শ আসে বৈঠক থেকে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সেভাবে নেই। সেজন্য তারা এ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে নানা ষড়যন্ত্র করতে পারে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় বিশেষ নজর রাখতে হবে।


সভায় জামালপুরের ডিসি তার এলাকার সব নির্বাচন ইভিএমে হচ্ছে জানিয়ে বলেন, কিছু ইভিএমে ত্রুটি রয়েছে। সেগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। তার এ বক্তব্যের পর ইভিএমের চাহিদা দিলে নতুন করে তাকে ইভিএম সরবরাহ করা হবে বরণ জানায় কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন বাবদ বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধেরও দাবি জানান এই ডিসি।

বৈঠকে কেউ কেউ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে সহায়ক হিসেবে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসারদের দায়ী করে পাশের উপজেলা থেকে তাদের আনা যায় কি না সেটি বিবেচনার অনুরোধ জানান। একইভাবে গ্রাম পুলিশ বা আনসার বা চৌকিদার-দফাদার সদস্যদের নিয়েও প্রশ্ন তোলে তাদেরও পাশের ইউনিয়ন থেকে আনার অনুরোধ করেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তবে কমিশন সেটি নাকচ করে দেয়।

এ ছাড়া সকালে ব্যালট ও ইভিএম কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া নিয়ে বাড়তি খরচ দাবি করেন জেলা প্রশাসকরা। সেটিও নাকচ করে দেওয়া হয়। কুড়িগ্রামের ডিসি দুর্গম এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানোর দাবি জানান।

সভার পরে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভোট সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে প্রতিটি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। ইসি সচিব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ে কী ধরনের প্রস্তুতি নেবে প্রশাসন, তাদের কী ধরনের সহযোগিতা করতে হবে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিজ নিজ জেলার সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেছেন কর্মকর্তারা।

অনেক জেলা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স চাওয়া হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে যেভাবে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেভাবেই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ে দায়িত্বপালনরতদের দু-তিন দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিনের ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।


মন্ত্রী-এমপি   উদ্বেগ   ডিসি   এসপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কক্সবাজারে গোসলে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় পাহাড়ি ছড়ায় গোস করতে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চেইন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় মৃতরা হলো, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার ফজল আহমদের ছেলে আব্দুর শুক্কুর (১২) এবং একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সালাহ উদ্দিন খোকা (১০)

দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চেইন্দা ইউপি সদস্য জাফর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়া পাহাড়ি ছড়ার বিভিন্নস্থানে সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমেছিল। সকালে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার একটি পাহাড়ি ছড়ায় জমে থাকা পানিতে স্থানীয় কয়েকটি শিশু গোসলে করতে নামে। এক পর্যায়ে শিশু ছড়ার পানিতে ডুবে যায়। পরে ঘটনাস্থলে থাকা অন্য শিশুদের চিৎকারে স্থানীয়রা জনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।

রামু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, দক্ষিণ মিঠাছড়িতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শিশুদের মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতেই আছে।


কক্সবাজার   রামু   পাহাড়ি ছড়া   শিশু মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৪:১৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

''রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ'' এই স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নাগরপুর এর আয়োজনে নয়ানখান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (৬ মে) এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

 

নাগরপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে এ দুর্নীতিবিরোধী এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা মোঃ গোলাম মাসুম প্রধান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইল মোঃ নুর আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাদির আহম্মদ।

 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদুন নাহার ভূইয়া, সদস্য জাহানারা আক্তার, মোঃ সালাউদ্দিন। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কামরুল হাসান, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নুরুল হুদা। এছাড়াও ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা নাগরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি এস এম আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বাবু।  

উল্লেখ্য, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত রাউন্ডে নয়ানখান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও শহীদ শামছুল হক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিচারকগণ শহীদ শামছুল হক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে ঘোষণা করেন।


বিতর্ক প্রতিযোগিতা   দুর্নীতি বিরোধী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ওআইসির সহযো‌গিতা চেয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আইনি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

সোমবার (৬ মে) গাম্বিয়ার বানজুলে ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলনেতা হিসেবে তিনি এ আহ্বান জানান।

সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনের অধিবেশনে পশ্চিম আফ্রিকার স্থানীয় সময় রোববার অপরাহ্নে ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহার উপস্থিতিতে গাম্বিয়ার বিচারবিষয়কমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল দাওদা এ জালও ওআইসি নেতাদের সামনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন।

অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করায় গাম্বিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আইন ও আর্থিক বিষয়ে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে।

সভায় সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, প্যালেস্টাইনসহ উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদৌ তাঙ্গারা মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ   রোহিঙ্গা গণহত্যা   আন্তর্জাতিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জামালপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি


Thumbnail জামালপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন

সারাদেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহকের পেশাগত সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার কারনে কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত, ষ্ট্যান্ড রিলিজ ও বাপবিবোতে সংযুক্ত করার প্রতিবাদে এবং ১৬ দফা দাবিতে অনিদিষ্টকালের জন্য জামালপুরে দ্বিতীয় দিনের মত কর্মবিরতি করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। 

 

আজ সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে দেশব্যাপী কর্মবিরতির অংশ হিসেবে শহরের বেলটিয়া এলাকায় জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কর্মবিরতি শুরু করে।

 

কর্মবিরতি চলাকালে অনন্ত কুমার দাস, হাবিবুর রহমান, হামিদুর রহমানসহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় তারা সারাদেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহকের পেশাগত সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার কারনে ৬ এজিএমকে সাময়িক বরখাস্ত, ষ্ট্যান্ড রিলিজ এবং বাপোবিবোতে সংযক্তি করার প্রতিবাদ করে পদ-পদবী ও পদমর্যাদার বৈষম্য, চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগকে স্থায়ী করা, পদোন্নতির সুযোগ রাখা, ছুটি ভোগের সুবিধা, ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনাসহ ১৬ দফা দাবি তুলেন।

 

তারা বলেন, পদোন্নতি, চাকুরী স্থায়ী না হওয়াসহ নানা সমস্যায় তাদের পারিবারিক জীবনেও এর প্রভাব পড়ছে, এসব কারনে অনেকে তাদের সাথে আত্মীয়তা পর্যন্ত করতে চায়না। তাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্য দূরীকরণে এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন তারা। 


পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি   কর্মবিরতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জামালপুরে কয়লাবাহী ট্রাক উল্টে চালক নিহত


Thumbnail

জামালপুরের মাদারগঞ্জে কয়লাবাহী ট্রাক উল্টে সাইদুর রহমান (৪০) নামে ট্রাক চালক নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ট্রাকের সহকারী এনামুল হক (১৮)। সোমবার (৬ মে) সকালে উপজেলার কড়ইচড়া ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলার কড়ইচড়া ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রামের ভাই ভাই ব্রিকসে ইট পোড়ানোর জন্য ট্রাকটি কয়লা বহন করে নিয়ে যাচ্ছিলো। গত রাতে বৃষ্টি হওয়ায় ওই ইট ভাটায় যাওয়ার কাঁচা রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে যায়। কয়লাবাহী ট্রাকটি ইট ভাটার কাছাকাছি এসে পৌছালে হঠাৎ উল্টে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাক চালক সাইদুর রহমান নিহত হয় ও আহত হয় ট্রাকের সহকারী এনামুল হক। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।


আরও পড়ুন: রাজধানীর ২০ স্থানে বসছে কোরবানির পশুর হাট


মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। নিহত ট্রাক চালক সাইদুর রহমানের বাড়ী মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে, আহত সহকারী এনামুলের বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার মন্ডলপাড়া গ্রামে। নিহতের স্বজনদের সংবাদ পাঠানো হয়েছে তারা এসে পৌছালে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


কয়লাবাহী   ট্রাক   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন