ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত ডিসি এসপিরা

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপাররা (এসপি)। প্রভাব বিস্তারকারী মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হলে নির্বাচন কমিশন পাশে থাকবে কি না সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ এসব কর্মকর্তা। তাদের আশ্বস্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নেওয়া যে কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে কমিশন অবশ্যই পাশে থাকবে।

ইসি বলেছে, উপজেলা পরিষদে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় কমিশন। বদলির ভয়ে কারও কাছে অবস্থান না বিকিয়ে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে অটল থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে ইসির এক সভায় এসব বিষয় উঠে আসে।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, আইজিপি, সব বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনার (সংশ্লিষ্ট), রেঞ্জের ডিআইজি, ডিসি, এসপি ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন। নির্বাচন ভবনে সকাল ১১টা থেকে টানা তিন ঘণ্টা এ সভায় সদস্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, ইভিএম, নির্বাচনে ডিউটিরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভাতা, নির্বাচনী আচরণবিধি ও মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভা থেকে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে মাঠ প্রশাসনকে নানা দিকনির্দেশনা দেয় ইসি। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া মোবাইল আর্থিক সেবা সার্ভিসের মাধ্যমে নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানো বন্ধে কীভাবে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে—সে বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠকের শুরুতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা ব্যর্থ হবে। উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।

তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। এর মধ্যেও ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি আমরা ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেছেন সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে।

সিইসির বক্তব্যের পর উপজেলা নির্বাচনের মাঠ পরিস্থিতি জানতে ডিসি-এসপিদের কাছ থেকে বক্তব্য আহ্বান করা হয়। এরপর দুজন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ছয় থেকে সাতটি জেলার ডিসি ও এসপি, দুজন ডিআইজি ও দুজন বিভাগীয় কমিশনার তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন সচিব এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার মাঠ প্রশাসনের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, বক্তব্যে কয়েকজন ডিসি ও এসপি মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তোলেন। এক্ষেত্রে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মন্ত্রী এমপিদের ভূমিকা ও বাড়াবাড়ি নিয়েও কথা বলেন কেউ কেউ। ফলে উপজেলা নির্বাচনে তাদের নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মানাতে মাঠ প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নেবে কি না, সে সম্পর্কে কমিশনের কাছে জানতে চান। কারণ দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই নিজ স্বজনকে প্রার্থী করেছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে মাঠে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। সঙ্গে প্রশাসনকে তাদের পরিবারের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন।

এ নিয়ে সভায় পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে আর্জি জানানো হয়। তারা বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের পক্ষে কাজ না করলে অনেক সময় বদলির হুমকি আসে। পদোন্নতিসহ সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হতে পারে।

কোনো কোনো ডিসি ও এসপি প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপিদের নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে কমিশন আমাদের পাশে থাকবে কি না, আশ্রয় দেবে কি না। নাকি মন্ত্রী এমপিরাই উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তদবির করে আমাদের বদলি করে দেবেন।

জবাবে সিইসি শঙ্কিত ডিসি-এসপিদের আশ্বস্ত করে বলেন, কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বদ্ধপরিকর। আপনাদের সবার আন্তরিক সহযোগিতা ও জোরালো ভূমিকার কারণে সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সরকারও ওই নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করে কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।

এবারের উপজেলা নির্বাচনেও সরকার আমাদের পাশে রয়েছে। সেজন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে আপনারা যে ভূমিকা রাখবেন কমিশন সব সময় তার পাশেই থাকবে। নির্বাচন কমিশনের কথা শোনার কারণে উচ্চমহল থেকে নির্বাচনে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বদলির জন্য সুপারিশ এলে তা কমিশন যথাযথ যাচাইয়ের পর প্রমাণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে। এ জন্য দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

বরিশালের পুলিশ কমিশনার বলেন, আমাদের ওপর চাপ রয়েছে। জবাবে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ভয়ের কিছু নেই। সর্বোচ্চ শাস্তি বদলি করবে। আরেক জায়গায় অর্থাৎ নতুন কর্মস্থলে চাকরি করবেন সমস্যা নেই, তবুও মাথা নত করা যাবে না। এ সময় সিইসিসহ সব কমিশনার এ বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন।

তারা বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। এটা চাকরির অংশ। কারও কথায় আপনাদের বদলি করা হবে না। কমিশন নিজস্ব উৎস থেকে তদন্ত করবে। সিইসি আরও স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনে চাপ থাকবে। চাপ সবার ওপরই থাকে। তদন্তে প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কমিশনকে জানালে তাৎক্ষণিক সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

বৈঠকে কোনো কোনো বক্তা মাঠের চিত্র তুলে ধরে জানান, নির্বাচনে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী যেসব উপজেলায় রয়েছেন, সেখানে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে যে কটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি বা জামায়াতের প্রার্থী রয়েছেন সেসব উপজেলায় এ আশঙ্কা আরও প্রকট। সেজন্য শুরু থেকেই এসব এলাকায় বিশেষ নজর দিতে হবে, যাতে বড় ধরনের কোনো কিছু না ঘটতে পারে।

বৈঠকে পার্বত্য এলাকার সর্বশেষ পরিস্থিতির চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ওই এলাকার চারটি উপজেলা ভোট স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান তারা। এ ছাড়া পুরো পাহাড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদারের পরামর্শ আসে বৈঠক থেকে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সেভাবে নেই। সেজন্য তারা এ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে নানা ষড়যন্ত্র করতে পারে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় বিশেষ নজর রাখতে হবে।


সভায় জামালপুরের ডিসি তার এলাকার সব নির্বাচন ইভিএমে হচ্ছে জানিয়ে বলেন, কিছু ইভিএমে ত্রুটি রয়েছে। সেগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। তার এ বক্তব্যের পর ইভিএমের চাহিদা দিলে নতুন করে তাকে ইভিএম সরবরাহ করা হবে বরণ জানায় কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন বাবদ বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধেরও দাবি জানান এই ডিসি।

বৈঠকে কেউ কেউ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে সহায়ক হিসেবে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসারদের দায়ী করে পাশের উপজেলা থেকে তাদের আনা যায় কি না সেটি বিবেচনার অনুরোধ জানান। একইভাবে গ্রাম পুলিশ বা আনসার বা চৌকিদার-দফাদার সদস্যদের নিয়েও প্রশ্ন তোলে তাদেরও পাশের ইউনিয়ন থেকে আনার অনুরোধ করেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তবে কমিশন সেটি নাকচ করে দেয়।

এ ছাড়া সকালে ব্যালট ও ইভিএম কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া নিয়ে বাড়তি খরচ দাবি করেন জেলা প্রশাসকরা। সেটিও নাকচ করে দেওয়া হয়। কুড়িগ্রামের ডিসি দুর্গম এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানোর দাবি জানান।

সভার পরে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভোট সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে প্রতিটি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। ইসি সচিব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ে কী ধরনের প্রস্তুতি নেবে প্রশাসন, তাদের কী ধরনের সহযোগিতা করতে হবে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিজ নিজ জেলার সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেছেন কর্মকর্তারা।

অনেক জেলা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স চাওয়া হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে যেভাবে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেভাবেই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ে দায়িত্বপালনরতদের দু-তিন দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিনের ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।


মন্ত্রী-এমপি   উদ্বেগ   ডিসি   এসপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিয়ের ২৪ দিনের মাথায় ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৬:৫২ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিয়ের মাত্র ২৪ দিনের মাথায় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে চাঁদপুরের এক ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। 

সোমবার (৬ মে) দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্তব্যপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।  

মারা যাওয়া নারীর নাম নুসরাত জাহান মাহি (১৯)। তিনি গন্তব্যপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেনের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, ঈদুল ফিতরের পরের দিন জাকির ও নুসরাতের বিয়ে হয়। পারিবারিক কোন্দল নাকি অন্য কোনো কারণে নুসরাত আত্মহত্যা করেছেন তা কেউ জানেন না।

গন্তব্যপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, আমি শাহরাস্তির চেরিয়ারা স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক হিসেবে রয়েছি। দুপুরে ফোনে খবর পেলাম নুসরাত গলায় ফাঁস দিয়েছে। বাড়িতে গিয়ে দেখি ও মারা গেছে। আমি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশীদ বলেন, আমরা লাশ থানায় এনেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ছাত্রলীগ   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০৬:৫৩ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই চার জন পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সোমবার (০৬ মে) সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।


এর আগে, রবিবার (০৫ মে) সন্ধ্যায় আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ ও শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন ফেসবুক লাইভে এসে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। 

 

নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ- সভাপতি শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন। 



এদিকে গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর আবুল কালাম আজাদ (কাপ পিরিচ), শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন (ঘোড়া), জাহিদ হাসান বিপ্লব (হেলিকপ্টার) ও আবেদ হাসান মিলন (আনারস) প্রতীক পেয়েছিলিন। প্রতীক বরাদ্দের পর তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগও চালিয়েছেন।

 

অভিযোগ কারীরা জানান, ‘উপজেলায় সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে আমরা ইতিমধ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন শেষ করেছি। সরকার ও আওয়ামী লীগ দলের নির্দেশে এবং খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির ভাবমূর্তি ও সম্মান রক্ষা করার জন্য সবসময় তাকে নিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা আইন ও নির্দেশ অমান্য করে খাদ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের নাম ব্যবহার করছে। আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে তারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অধিকাংশ নেতাকর্মীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই প্রতিদ্বন্দ্বির পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানগণকে বাধ্য করা হচ্ছে ওই পক্ষের হয়ে কাজ করতে। এমত অবস্থায় নিয়ামতপুর উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হানাহানি ও দ্বন্দ্ব ইত্যাদি রক্ষায় আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলাম।’

 

উল্লেখ্য, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ছয় জন প্রার্থীই প্রতীক পেয়েছিল। এখন নির্বাচনী মাঠে রইলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন।


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান প্রার্থী   বর্জন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন (আনারস) ও রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে (দোয়াত কলম) শোকজ করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

 

সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনকে ১২ ঘণ্টা এবং দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে শোকজের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

 

শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, রাশেদ ইউসুফ জুয়েল (দোয়াত কলম) আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কর্মী-সমর্থক দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন মর্মে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩ ও বিধি ৩১ এর পরিপন্থি।

 

এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে রাশেদ ইউসুফ জুয়েলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে গতকাল রোববার নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

 

রিয়াজ উদ্দিনের নোটিশে বলা হয়েছে, রোববার (৫ মে) রাতে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাদাই গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে অর্থ লেনদেনের চেষ্টা করেছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থক রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুর রহমান ফজলু আনারস প্রতিকের টি-শার্ট পরে শহরের মাহমুদপুর এলাকায় ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণ করেছেন মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী  রাশেদ ইউসুফ জুয়েল। এমন কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ১৭ এর পরিপন্থি।

 

এ অবস্থায় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রসঙ্গত, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোট পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান প্রার্থী   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে পটুয়াখালীতে স্বস্তির বৃষ্টি


Thumbnail

দীর্ঘ তীব্র তাপপ্রবাহের শেষে অবশেষে পটুয়াখালীতে দেখা মিলেছে স্বস্তির বৃষ্টির। সোমবার (৬ মে) বিকেল ৪ টার দিকে আকাশে মেঘ করে শীতল হাওয়া বইতে শুরু করে তারপর সাড়ে ৪ টার দিকে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। মুষলধারে বৃষ্টি না হলেও তীব্র গরমে হাঁপিয়ে ওঠা জনজীবন একটু হলেও স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে।

 

মানুষ বৃষ্টি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে গা ভিজিয়ে নিচ্ছেন মনের আনন্দে। অনেকে আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান দেন স্বস্তির বৃষ্টি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন।

উল্লেখ্য, এবার এপ্রিলে দীর্ঘতম তাপদাহ বয়ে গেছে দেশজুড়ে। ১৯৮১ সালের পর এবারের এপ্রিল ছিল শুষ্কতম মাস। শুধু উষ্ণতম নয়, এই এপ্রিল ছিল গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্কতম। দেশের গড় বৃষ্টিপাত ছিল এক মিলিমিটার।


বৃষ্টি   স্বস্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মঙ্গলবার থেকে খুলছে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশ: ০৬:১৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২৪) বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী চলবে।

ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সারা দেশে তীব্র দাবদাহের কারণে বন্ধের মেয়াদ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যেই গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরদিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

প্রাথমিক বিদ্যালয়   প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন