ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও বড় হচ্ছে মন্ত্রিসভা

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুই দফায় ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা আরও বড় হতে পারে বলে সরকারের ভেতরে গুঞ্জন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর বাজেট অধিবেশনের আগেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে আসতে পারে বলে সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এই মন্ত্রিসভা অপূর্ণ ছিল, সেটি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর ১ মার্চ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়। তবে সে দফায় কোন পূর্ণমন্ত্রী দেওয়া হয়নি। বরং ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ২০১৮ সালেও মন্ত্রিসভা ছিল ৪৭ সদস্যের। এবারের মন্ত্রিসভা আওয়ামী লীগের গত তিন বারের মন্ত্রিসভায় চেয়ে আকারে সবচেয়ে ছোট। আর এই কারণেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি বিভিন্নভাবে আলোচিত হয়।  

সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা আরও বড় করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এছাড়া মন্ত্রিসভায় কয়েকটি দপ্তর পরিবর্তনের বিষয়টিও এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া, পানি সম্পদ মন্ত্রণালেয়ও পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়ার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। 

এ ছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার পরিবর্তে অন্য কোন অর্থনীতিবিদ বা অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিজিএমইএ-এর অনুরোধ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সামনের দিনগুলোতে শ্রম আইন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষি করতে হতে পারে এই বিবেচনা থেকে বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে সরকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। যিনি আইনে দক্ষ বিশেষ করে শ্রম আইনে দক্ষ কাউকে যেন এই মন্ত্রণালেয়র দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার সদস্যদের ইতোমধ্যে ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে গত ২১ এপ্রিল। এর মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের ভালো-মন্দ নানান রকম হিসেব নিকেশ প্রধানমন্ত্রী করেছেন। তবে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরকে এখনই বিচার করার সময় হয়নি বলেই সরকারের নীতি নির্ধারক মহল মনে করছেন। তবে টানা দুই থেকে তিনবার যারা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে দু’একজনকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে। এদের মধ্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এদের মধ্যে এক বা একাধিক জনকে পূণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, জুনাইদ আহমেদ পলক ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগের 'গুড বুকে' চলে গেছেন। বিশেষ করে তার শ্যালককে তিনি প্রার্থী থেকে প্রত্যাহার করার ফলে তিনি সরকারের আরও বেশি আস্থাভাজন এবং প্রিয়ভাজনে পরিণত হয়েছেন। তবে মন্ত্রিসভার রদবদল কখন, কীভাবে হবে এবং কতজন নতুন মন্ত্রী হবেন এ বিষয় সম্পর্কে কেউই কিছু বলতে পারেননি। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, এটি একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যখন বিবেচনা করবেন তখনই তিনি এই রদবদল করবেন।

মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরের দত্তপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১২ মে) বিকেলে সদর উপজেলার দত্তপাড়া আলিম মাদ্রাসা ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সভা আয়োজন করে দত্তপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। 

 

দত্তপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নজরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন, দত্তপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাজ বিজয় চক্রবর্তী,  চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এম এ সামাদ, দত্তপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইমাম হোসেন সুমন, সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম সবুজ, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী নিজাম ও দত্তপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন রবিন। 

সভায় আগামী ১৭ মে নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় এসময় প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 


স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস   প্রস্তুতি সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নীলফামারীর ডিমলায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

নীলফামারীর ডিমলায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ মে) বিকালে ডিমলা সদর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুই যুবক হলেন- আদিল শাহারিয়ার ও সাইদুজ্জামান সৈকত।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকালে স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার সময় ডিমলা স্টারল্যান্ড স্কুলের সামনে পৌঁছলে আদিল শাহারিয়ার ও সৈকত ওই ছাত্রীর পথরোধ করে। তারা তাকে মোটরসাইকেলে তুলে ডিমলা ফজিলাতুন্নেসা স্কুলের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে প্রমিত দাস নামে আরেক যুবক ছিল। তিনজন স্কুলছাত্রীকে কুস্তাব দেয় এবং বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায়ও স্পর্শ করে ভিডিও ধারণ করে। প্রমিত দাসের বাড়িতে না গেলে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তিন যুবক।

পরে জোর করে স্কুলছাত্রীকে প্রমিত দাসের বাড়িতে নিয়ে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে এবং স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। রোববার (১২ মে) সন্ধ্যার পর ডিমলা থানায় মামলা করেছে স্কুলছাত্রীর বাবা। পরে তাকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য পাঠানো হয়।

ডিমলা থানার ওসি দেবাশীষ কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


নীলফামারী   ডিমলা   ধর্ষণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যাত্রীবেশে চালকের গলা কেটে অটো রিক্সা ছিনতাই


Thumbnail

নীলফামারীতে ছাপিনুর রহমান (৫৫) নামে এক অটো চালকের গলা কেটে অটো রিক্সা ছিনতাই করার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১২মে) রাত ১২টার দিকে নীলফামারী পৌর শহরের ধনি পাড়া তিস্তা সেচ ক্যানেল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছাপিনুর নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত আবু বক্করের ছেলে।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, যাত্রীবেশে উঠে জনশূন্য রাস্তায় নিয়ে গিয়ে অটো রিক্সা ছিনতাইয়ের জন্য চেষ্টা করে দূর্বৃত্তরা। চালক সাফিয়ার তাদের বাধা দিলে পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে তার অটো রিক্সা নিয়ে যায়। তার গোঙানির শব্দে স্থানীয় লোকজন টের পেলে তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রংপুর যাওয়ার সময় রাত সাড়ে ১টায় মারা যান তিনি। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নীলফামারী সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন,'আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'


অটো রিক্সা   ছিনতাই   যাত্রীবেশে   হত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভৌতিক হোল্ডিং ট্যাক্সের প্রতিবাদে সিলেট নগর বিএনপি’র মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেছেন, সিলেট নগরীতে হোল্ডিং ট্যাক্স ৫ থেকে এক লাফে ৫০০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যা নগরবাসীর জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ এর মতো। সিটি কর্পোরেশনের এমন সিদ্ধান্তে পুরো নগরবাসী ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ।

রবিবার (১২ মে) সিলেট মহানগর বিএনপির উদ্যোগে সিসিক কর্তৃক অস্বাভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিশাল মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিএনপি হোল্ডিং ট্যাক্সের বিপক্ষে নই। তবে তা হতে হবে সহনীয় পর্যায়ে। অবিলম্বে অস্বাভাবিক হারে বর্ধিত ভৌতিক হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সিলেটের জনগণ ক্ষুব্ধ রাস্তায় নেমে গেলে পরিণতি হবে ভয়াবহ’।

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী পরিচালনায় নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সিলেট মহানগর, ৪২টি ওয়ার্ড বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, জিয়াউল হক জিয়া, আমির হোসেন, মহানগর বিএনপির নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মুর্শেদ আহমদ মুকুল, মহানগর যুবদলের সভাপতি নেওয়াজ বক্ত তারেক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি নিগার সুলতানা ডেইজি ও সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা জামান রোজি, মহানগর জাসাসের আহবায়ক তাজ উদ্দিন মাসুম, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফসর খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুবের আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ প্রমূখ।


ভৌতিক হোল্ডিং ট্যাক্স   সিলেট নগর বিএনপি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদের হল রুমের আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলায় ময়নুল হক মনু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। একই মামলায় আরও পাঁচজন আসামি কারাগারে রয়েছেন। নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন ফলাফল ঘোষণার সময় এ ঘটনা ঘটে।

রোববার (১২ মে) ভোরে ডোমার পৌর এলাকার চিকনমাটি ধনীপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে থানা-পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ময়নুল হক মনু ওই এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে। তিনি ডোমার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন আলী বলেন, আমরা ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করছি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৮ মে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে ডোমার উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে (কন্ট্রোল রুম) ফল ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডনের নেতৃত্বে শতাধিক লোক লাঠিসোটা নিয়ে সেখানে হামলা চালান। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত ১১টার দিকে ফল ঘোষণা করা হলে আবারও উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছোড়ে। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।

কারাগারের পাঁচ আসামি হলেন-উপজেলার ছোট রাউতা ফরেস্ট পাড়া এলাকার আবু সুফিয়ান (৪০), সদর ইউনিয়নের বড় রাউতা থানাপাড়া এলাকার রাকিউল ইসলাম (৪০), চিলাই পাগলা বাজার এলাকার মো. দুলু (৩৮), পশ্চিম বোড়াগাড়ি স্কুলপাড়া এলাকার রিমুন ইসলাম (২৪) ও পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মেলাপাঙ্গা এলাকার হারুন অর রশিদ (৩০)।


আওয়ামী লীগ   কারাগার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন