ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টি-তাপপ্রবাহ: কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ

প্রকাশ: ০৫:১৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত মাসে তীব্র তাপপ্রাহে পুড়েছে পুরো দেশ। দফায় দফায় হিট এ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেয় সংস্থাটি। এদিকে তীব্র দাবদাহ যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে তখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।

আবহাওয়া অফিস সতর্কবার্তা দিয়ে বলছে- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে। আর চলতি মে মাসে তিন থেকে পাঁচদিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।

এপ্রিলের পুরো মাসজুড়েই ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। গত মাসের এই তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবন হয়েছে নাভিশ্বাস। তপ্ত গরম থেকে স্বস্তির দিতে সরকার যেমন নানান পদক্ষেপের মাধ্যমে মোকাবিলা করেছে তেমনি জনগণও তাদের স্বস্তির জন্য তপ্ত গরমেও সতর্ক ভাবেই করেছে মোকাবিলা। কিন্তু দেশেরে মানুষ তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করতে পারলেও পারছে না ঝড়-বৃষ্টির মোকাবিলা করতে!

গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গতকাল শনিবার (৪ মে) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মা ও তার ৫ বছর বয়সী ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (০৫ মে) খাগড়াছড়ির রামগড়ে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির উঠানে দুটি গরুসহ গনজ মারমা (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুধু চলতি মাসেই নয়, এপ্রিলের কিছু কিছু অঞ্চলেও কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত হয়। সেই ঝড়ে ছয় জেলায় অন্তত ১১ জন নিহত ও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন।

যেখানে গেল মাসের দাবদাহ মোকাবিলায় যেমন মানুষ নিজেদের সুরক্ষার্থে সর্তক হয়ে স্বস্তির খোঁজে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা কার্যকর করেছে ঠিক, সেখানে ঝড়ো বৃষ্টিতে কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সময় নিজেরা সচেতন হয়ে তা মোকবিলা করতে পারছে না। তবে কি সাধারণ মানুষ নিজেদেরে সুরক্ষার্থে সচেতন হতে পারে না। শুধু সাধারণ মানুষ নয় সরকারের উপরও কিছু দায়িত্ব থেকে যায়। যাতে করে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠেী থেকে সকলেই সতর্ক হয়ে তা মোকাবিলা করে নিজেদের এবং পরিবারের সুরক্ষা নিতে পারে।

বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের মোকবিলায় জনগণের প্রতি দিকনির্দেশনা
সাধারণত কালবৈশাখী ঝড়ের সময়ে দেশকে জনস্বার্থে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কালবৈশাখী ঝড়ের আগেই মেটারোলজি বিভাগ এবং অঞ্চলের নিকটস্থ সংস্থার পূর্বাভাস করে বিপদগ্রস্ত হলে পূর্বেই পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সরকার সংগঠন বা প্রশাসনিক সংস্থাগুলো আগাম বিপদ জনস্বার্থে জনগণকে সাবধানতা প্রকাশ করতে পারে। প্রয়োজনে সরকারী অথবা অন্য সংস্থা গুলি মানুষদের নিরাপত্তার জন্য তথ্য দিতে পারে। এবংকি সকল প্রয়োজনীয় সাহায্য ও সহযোগিতার ব্যবস্থা করা উচিত যার মধ্যে খাবার, পানি, ও প্রাথমিক চিকিৎসা। বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারী অথবা অর্গানাইজেশ সংস্থা সহযোগিতা করে সাহায্যের অভিযান চালাতে পারে। সময়ে ও সঠিকভাবে বাস্তবায়নের পর্যায়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। শুধু তাই নয় বাস্তবায়নের পর্যায়ে মানুষদের সঠিক তথ্য প্রদান করলেও জনগণ কালবৈশাখী ঝড়ের বিপদ থেকে নিজেদের সুরক্ষা করার জন্য সহায়তা হবে।

মানুষকে সচেতন হওয়া উচিত
জলবায়ুর প্রভাবে দেশের ঝড়ো বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির একটি প্রবল আবহাওয়া ঘটনা যা ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সময়ে মানুষকে সাবধান থাকা অতিব জরুরী। পূর্বানুমানিক নিরাপদ অঞ্চলে থাকা। আকাশের দিকে লক্ষ্য রাখা ও আবহাওয়া অফিসের দিক নির্দেশনা মেনে মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালবৈশাখী ঝড়ের সময় নিজ কাজেস্থলে বা কর্মক্ষেত্রে বা প্রয়োজনে নিরাপ স্থান থেকে বের হওয়া যাবে না। আবার, কৃষি কাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারেন। সুতরাং, সাবধানে থাকা জরুরি। প্রয়োজনে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় আশ্রয় নিতে হবে। এটি আপনাকে সুরক্ষিত করতে সাহায্য করতে পারে। বিদ্যুৎ, পানি, ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবাগুলো বন্ধ না হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়েরি মধ্যে যত্ন নেওয়া উচিত। এবংকি আপনার পোষা প্রাণী থাকলে তার যত্ন নিন। প্রাণীর জন্য যত্ন নেওয়া উচিত, যেমন পাখি, বিড়াল, ও গরুর জন্য আবাস পরিষ্কার করা, অবশ্যই খাদ্য ও পানি খাওয়ানো ও সংরক্ষিত করা উচিত। কেননা, কালবৈশাখী ঝড়ের সময়টাতে নিজেদের সুরক্ষাটা যেমন জরুরী তেমনি বিপরীতে প্রাণীর সুরক্ষাটাও জরুরী।

এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। দেশের আবহাওয়ায় যখন এমন দূর্বিসহ যাচ্ছে তখন সরকার থেকে সাধারণ মানুষ সকলের পদক্ষেপেই মিলতে পারে স্বস্তি। দেশের জনগণকে নিজেদেরে সচেতন হয়ে তাপপ্রবাহ, বজ্র, বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড় মোকাবিলা নিতে হবে। বিশেষ করে দেশপ্রেমের ভাবনা থেকেও সাধারন মানুষ সরকারের দিক নির্দেশনা মেনে সহযোগিতা করতে হবে। এতে করে কমবে কালবৈশাখী ও বজ্রে নিহতের সংখ্যা, মারা যাবে না আর হিট স্ট্রোকে মানুষ। বাড়বে জনসচেতনতা। স্বস্তিতে থাকবে পুরো দেশের জনগণ।


ঝড়   বজ্রসহ বৃষ্টি   আবহাওয়া   তীব্র তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ


Thumbnail

আগামী ২১ মে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২ জন। এর মধ্যে জনগণের ও সরকার দলীয় কর্মীদের পছন্দের প্রার্থী তালিকায় অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ অন্যতম। অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদের আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা।

অপর প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তবে তার বিরুদ্ধে চরের জমি নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আইন অমান্য করে মাছ শিকারসহ জেলেদেরকে দিয়ে নদী দখল ও বাস্তুচ্যুতদের মহিষ দিয়ে চর দখলে রেখেছেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে নানা কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য দিতেও সংকোচ বোধ করছেন না অনেকে।

এদিকে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি  মেনে চলার  আহ্বান জানিয়েছে।


বিজয়   অধ্যক্ষ   মামুনুর রশীদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে ডিবি কার্যালয়ে যান মামুনুল হক

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ডিবির কার্যালয় ত্যাগ করেন।

সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।

ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।

মোবাইল ফোনটি তিনি ফেরত পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই হেফাজতের এই নেতা গাড়িতে উঠে যান।


মোবাইল   ডিবি   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাঙ্গা থেকে যশোর রেলপথ চালু হবে অক্টোবরে : রেলমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে আগামী অক্টোবরে। ভাঙ্গা জংশনের নির্মাণকাজ শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত যে চন্দনা কমিউটার ট্রেন চলছে, তা ফরিদপুরে স্টপেজ দেওয়ার ব্যাপারে আন্দোলন চলছে।

এ ব্যাপারে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ফরিদপুরে চন্দনা ট্রেনের রিশিডিউল দিয়ে দেব। আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে আশ্বস্ত করছি। ওদের আশ্বস্ত করে দেন। আন্দোলন করতে হবে না।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা এলাকায় অবস্থিত ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবির, রেলের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত ঢালী, প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, প্রজেক্ট ম্যানেজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবির হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত এ খুদা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও চায়না রেলওয়ে কোম্পানিসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।


ভাঙ্গা   যশোর   রেলপথ   অক্টোবর   রেলমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী চান সোনালি আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে: নানক

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চান সোনালি আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে। যেকোনো মূল্যেই আমরা পাটের গৌরবময় সোনালি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই।’

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে খুলনায় বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। দেশে ছয় হাজার টন পাটবীজ প্রয়োজন। দেশে এক হাজার পাঁচশত টন উৎপাদন হয়। বাকি সাড়ে চার হাজার বীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। ব্যাপকভাবে পাটবীজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে।’

পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ফ্রাষ্কফুর্টে পাঠালেন। আমাদের দেশের পাটপণ্যের ৫০ টি স্টল, ভারতের ২১টি স্টল। বিদেশে পাটপণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কাঁচাপাট রপ্তানি করেও বড় অংকের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী চান সোনালী আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে। পাটচাষি, পাট ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দেওয়া দরকার।’ 

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। উৎস কর কমিয়ে আনতে সবার সঙ্গে কথা বলা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী অর্থ সচিব এবং প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ৬ মার্চকে পাট দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। মাননীয় নেত্রী এই পাটকে কৃষি পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু পাট চাষিরা যখন ব্যাংকে যান, পাট ব্যবসায়ীরা যখন ব্যাংকে যান তখন গাত্রদাহ হয়। সেইভাবে তারা একসেপ্ট করে না পাট ব্যবসায়ীদের। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটার জন্য যা যা করা দরকার আমি আছি। আমি আপনাদের পক্ষ হয়ে সেই দায়িত্ব পালন করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি পরিবেশবান্ধব এই সোনালি ব্যাগকে অতি দ্রুত উৎপাদনে নিয়ে আসার। পলিথিনের ব্যাগ বন্ধ করতে বলবো কিন্তু বিকল্প ভোক্তার হাতে দেব না বা বিক্রেতার হাতে দেব না, এটি হতে পারে না! বাজারে গিয়ে পাঁচ রকমের সবজি যদি কিনেন তাহলে পাঁচটা ব্যাগে পাঁচ রকম সবজি বিক্রেতা দেয় বিনা পয়সায়। তারপরও যদি বলেন সবগুলো আরেকটা ব্যাগে দিয়ে দেন সেটাও দিয়ে দেয় বিনা পয়সায়। কিন্তু আমাদের যে সোনালি ব্যাগ হচ্ছে সেটির উৎপাদনে যে দাম হচ্ছে সেটিকে আমরা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। সেটিকে আমরা মানুষের ক্ষয়ক্ষমতার মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নানক বলেন, ‘আমি হেভিওয়েট মন্ত্রী না। আমরা রাস্তা থেকে বেড়ে ওঠা মানুষ। আমরা খুব সহজ মন্ত্রী। কাজেই আমাদের কাছে আসবেন। আমাদের দরজা খোলা। আমাদের কাছে আসবেন যেকোনো সমস্যা নিয়ে যেকোনো প্রয়োজনে আপনারা ডাকবেন। প্রয়োজনবোধে এই খুলনায় চলে আসব।’

বিজেএর চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ আহমেদ আকন্দের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন।

 


আওয়ামী লীগ   পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী   অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। শনিবার (১৮ মে) বিকেলের দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মামুনুল হক ডিবিতে যান।

গত ৩ মে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগের দিন রাতে মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি মুক্তি পাননি। তখন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলার সুপার সুব্রত কুমার বালা জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তার জামিনের কাগজপত্র যাচাইবাছাই চলছে।

গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’ গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। 


ডিবি   কার্যালয়   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন