ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর কী বার্তা দেয়?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এই লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী ৪ জুন জানা যাবে নতুন সরকার কারা গঠন করছে। নির্বাচন নিয়ে চলছে অনিশ্চয়তা। বিজেপির কপালে ভাঁজ। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা সফরে আসছেন। দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাতেই বিনয় মোহন কোয়াত্রার এই বাংলাদেশ সফর বলে কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বিনয় মোহন কোয়াত্রা তার বাংলাদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। এছাড়া পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। 

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী জুলাই মাসে ভারত সফরে যেতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে। আর এটি হলে নির্বাচনে টানা চতুর্থবার জয়ী হওয়ার পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর হবে ভারতে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে এমন এক সময় যখন ভারতে নির্বাচন চলছে। নতুন সরকার কারা গঠন করবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত অনিশ্চয়তা রয়েছে। সাধারণত নির্বাচনকালীন সময়ে ভারত এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না। নির্বাচনের পর নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কাকে তারা আমন্ত্রণ জানাবে এবং পররাষ্ট্র নীতির কলাকৌশল কী হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভারতের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কারণ ভারতে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হবে না। বিনয় মোহন কোয়াত্রার বাংলাদেশ সফর এই বার্তাটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত করেছে। 

ভারতে ইন্ডিয়া জোট বা এনডিএ জোট যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে গত এক যুগে যে সম্পর্কের অগ্রযাত্রা সেটিকে দুই পক্ষই অব্যাহত রাখতে চায়। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের মধ্য দিয়ে সেটি সুস্পষ্ট করা হল।

জুনের ৪ তারিখে নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন। 

ভারত কতগুলো বিষয়ে রাজনৈতিক বিরোধের বাইরে অবস্থান গ্রহণ করে। বিশেষ করে ভারতের পররাষ্ট্র নীতি এমন একটি অবস্থানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, পররাষ্ট্র নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন তারা করে না। আর এ কারণেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে যাচ্ছেন। 

নানা কারণে বাংলাদেশের ওপর ভারত অনেকখানি নির্ভরশীল। সবচেয়ে বড় কারণ হল যে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় ভূমিকা। বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চল অতীতে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হত। কিন্তু ২০০৯ সালে দায়িত্বগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে, বাংলাদেশের ভূখণ্ড কোনদিন কোন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটিতে পরিণত হবে না এবং ঘাঁটি হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতেও দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে তিনি শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেন। 

এছাড়াও অসাম্প্রদায়িক চেতনা জঙ্গিবাদ মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান ভারতকে বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল করেছে। এ কারণেই বিগত নির্বাচন গুলোতে ভারত সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছে। এ অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা যে গুরুত্বপূর্ণ এই বক্তব্যটি ভারত কোন রকম রাখঢাক ছাড়াই দিয়েছে। এটির পিছনে প্রধানত ভারতের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। বিশেষ করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপদ্রব বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানের কারণে অনেক খানি কমে গেছে। আর এ কারণেই ভারতের ক্ষমতায় যারাই আসুক না কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তারা সম্পর্কের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে। এই বার্তাটি দিতেই বিনয় মোহন কোয়াত্রা ঢাকায় আসছেন।


ভারত   পররাষ্ট্র সচিব   বিনয় মোহন কোয়াত্রা   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে, মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদাভাই) এর ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

রোববার (১৯ মে) মাদারীপুর জেলার শিবচরের দত্তপাড়ায় তার নিজ বাড়িতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তার বড় পুত্র জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও কনিষ্ঠ পুত্র ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনসহ তার পরিবার মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। 

মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, ফরিদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান,  চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনসহ পরিবারে সদস্যগণ ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাই জনপ্রিয় দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন। তিনি আরামবাগ ক্রীড়া চক্রের সভাপতি ও খুলনা আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সভাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন সফল ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এবং খুলনা অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। দাদাভাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। 

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীকে ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তিনি তৎকালীন জাতীয় সংসদে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রস্তাবকারী। 

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ১৯৩৪ সালের ১৫ আগস্ট মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দাদাভাইয়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয় দত্তপাড়ার টিএন একাডেমি থেকে, মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাস করেন। বাবা নুরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং মা ফাতেমা বেগম। ফাতেমা বেগম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন। 

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের ১৯ মে ৫ম জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এই মহান নেতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী   মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে বিদেশি মদের চালান সহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বিদেশি মদের চালান সহ আমির হোসেন নামে এক পেশাদার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে ওই মদের চালান মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, ‘থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার্স সহ পুলিশের একটি টিম নিয়ে উপজেলার লাউড়গড় গ্রামের আমির হোসেনের বসত ঘরের শয়ন কক্ষ থেকে বস্তা ভর্তি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২২ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করেন।

সময় মাদক কারবারে জড়িত থাকায় বসতবাড়ির মালিক পেশাদার মাদক কারবারি আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


মদের চালান   মাদক কারবারি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কামরুল আহসানই হচ্ছেন পরবর্তী আইজিপি?

প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ১১ জুলাই চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর প্রধান বা আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের। তিনি এখন দেড় বছরের চুক্তিতে আছেন। তাঁর দেড় বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ১২ জুলাই। কাজেই ১১ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন একজন পুলিশ প্রধান নিয়োগ দিতে হবে সরকারকে।

গত বছরের ১২ জানুয়ারি বর্তমান পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপর সরকার তাকে দেড় বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। পুলিশেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ঘটনা ব্যতিক্রমী ঘটনা। এক্ষেত্রে নির্বাচন এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছিল। নতুন করে তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। নতুন আইজিপি কে হবেন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানামুখী আলোচনা চলছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসানের নামই এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

মেধাবী ও কর্মঠ এই পুুলিশ কর্মকর্তা বর্তমানে পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান ছিলেন। ২০২০ সালের ৩ মে তিনি পুলিশের এই সংস্থার প্রধান হন। সেসময় কামরুল আহসানের নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়।

কামরুল আহসান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ছিলেন। পরে দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম (সেবা) পেয়েছেন দুইবার। এছাড়া দু’বার আইজি ব্যাজ অর্জন করেন।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ইমামপুর গ্রামে ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন কামরুল আহসান। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে (এমবিএ) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৯১ সালে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে যোগদান করেন তিনি। মৌলিক ও বাস্তব প্রশিক্ষণ শেষে খাগড়াছড়ি জেলার সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়িত হওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী সার্কেল এএসপি, এএসপি ডিএসবি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি, ফেনী জেলার অ্যাডিশনাল এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কামরুল আহসান।



অতিরিক্ত আইজিপি   কামরুল আহসান   চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশ: ০৭:০৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান।

 

চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, মোঃ শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া) এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ (মোটর সাইকেল) ।

 

জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া) প্রতীকের পক্ষে প্রায় ২-৩ হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে কালিবাড়ি বাজার এলাকায় নির্বাচনী মিছিল করেন এবং মিছিলে অংশগ্রহনকারী কর্মী সমর্থকরা সরকারি ও বেসরকারি যানবাহনে আঘাত করে ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন। অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হাই আকন্দের (মটর সাইকেল) প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে কর্মী-সমর্থকেরা একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১১ (২) নির্বাচন পূর্ব সময়ে কোন প্রকার মিছিল বা কোনরূপ শো-ডাউন করা যাইবে না এর পরিপন্থি। উভয় প্রার্থীকে লিখিতভাবে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের উপযুক্ত কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।

 

আচরণ বিধি লঙ্ঘনের জবাবে লিখিতভাবে আব্দুল হাই আকন্দ (মোটর সাইকেল) জানান, ‘আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে মোটরসাইকেল প্রতীকের একটি শোভাযাত্রা করার অভিযোগ করা হয়েছে। যার বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না এবং আমার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কেউ সশরীরে এমন কোন শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিল না। তবুও আমার কিছু আবেগ তাড়িত সমর্থক এই শোভাযাত্রা করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি নির্বাচন আচরণ বিধির প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল হওয়ার দরুণ আপনাকে আশ্বস্থ করছি।’

 

এ প্রসঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান জানান, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বাজায় রাখতে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে দুই জন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ করে উপযুক্ত কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’


উপজেলা নির্বাচন   আচরণ বিধি   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্ঠা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ: ০৬:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার সুজানগরে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

 

রোববার (১৯ মে) বিকেলে সুজানগর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মামলার বাদী ভুক্তভোগী কিশোরীর নানী জহুরা খাতুন।


আরও পড়ুন: পাবনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে প্রকৃতি ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে বারেক মৃধা৷ এ সময় তার সাথে থাকা আরো চারজন কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার শুরু করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। 

 

তিনি অভিযোগ করেন, অথচ এই ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা ধর্ষণের ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে একজন প্রার্থীর লোকজন ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি পক্ষ ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ধর্ষণের ঘটনার সাথে নির্বাচনের কোন সম্পৃক্ততা নেই। 

 

জহুরা খাতুন বলেন, আমি নিজেই চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবকে ভোট দিয়েছি। এখানে তার লোকজন এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। ভুক্তভোগী পরিবার ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে। 

উল্লেখ্য, এই ধর্ষণের ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার লোকজনকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে কয়েকটি গণমাধ্যম। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে এলাকাবাসীর মাঝে।


ধর্ষণ   ভিন্নখাতে প্রবাহ   সংবাদ সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন