চলছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ। দেশের ১৩৯ টি উপজেলায় আজ বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট। বিকেল ৪টা পর্যন্ত
চলবে এই ভোটগ্রহণ। এই ধাপে ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪ ধাপে।
প্রথম ধাপের ভোট হবে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা,
ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে।
তবে, গত ১২ মে মার্চ প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের
তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে মামলাসহ অন্যান্য কারণে ৮টি উপজেলার নির্বাচন
স্থগিত হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি পদের প্রার্থী বিনাভোটে নির্বাচিত হওয়ায় ৫টিতে ভোটগ্রহণের
প্রয়োজন পড়ছে না।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া, মুন্সিগঞ্জ
সদর, বাগেরহাট সদর, ফেনীর পরশুরাম ও মাদারীপুরের শিবচর এই পাঁচটি উপজেলার সব পদের প্রার্থীরা
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
বিনা প্রদিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচতি হয়েছেন হাতিয়া
উপজেলায় আশিক আলী, মুন্সীগঞ্জ সদরে মো. আনিসুজ্জামান আনিছ, বাগেরহাট সদরে সরদার নাসির
উদ্দিন, পরশুরাম বীর মুক্তিযোদ্বা ফিরোজ আহাম্মদ মজুমদার এবং শিবচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদে মো. সেলিম মিয়া। এরা সবাই আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির
সঙ্গে জড়িত।
প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় মোট দুই কোটি ৮৫ লাখের বেশি ভোটার রয়েছেন।
এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক কোটি ৪৩ লাখের বেশি, নারী ভোটার এক কোটি
৪০ লাখ এবং হিজড়া (তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার) ১৭০ জন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন