প্রথম ধাপের উপজেলার নির্বাচনে রাজশাহীর দুটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে। সারাদেশের ন্যায় বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টায় একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীন ভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে চলছে ভোট গ্রহণ। প্রথম ধপের নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে এই দুই উপজেলায় ভোটারদের উপস্থিতি অনেক কম। অনেক কেন্দ্রেই সকালের দিকে ভোটাদের উপস্থিতি ছিল না। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছু ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়।
দেখা গেছে, সকালের দিকে এই দুই উপজেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতে শুধু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিস ছাড়া কেউ ছিল না। বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের তেমন দেখা যায়নি।
তবে দুপুর ১২টার পর থেকে ভোটারদের আগমন দেখা যায়। তবে সকাল থেকে হাতে গোনা কিছু নারী ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বেলা বাড়ার সাথে সাথে।
গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মনজেল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোটারদের উপস্থিতিও ভালো। তবে সকালে ভোটার কম থাকলেও বেলা বাড়লে ভোটারও বাড়বে।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনে গোদাগাড়ী ও তানোর দুই উপজেলার মোট ১৬৮ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে ১৫৫ টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ ও ১৬ জন আনসার সদস্য রয়েছে। গোদাগাড়ীতে ৫ প্লাটুন ও তানোরে ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এই দুই উপজেলায় ১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া র্যাব ও পুলিশের টহল সার্বক্ষনিক নজরদারি করছে।
গোদাগাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ শত ৭টি, ভোট কক্ষ ৭ শত ১৫টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৮১ হাজার ১ শত ৬০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৮ শত ৭০ জন ও নারী ভোটার ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ২ শত ৮৯ জন এবং হিজড়া ভোটার ১ জন।
অন্যদিকে তানোর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬১টি, ভোট কক্ষ ৪ শত ২৫টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ১ শত ৭৩ জন। এ উপজেলার মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮১ হাজার ৯শত ৭ জন ও নারী ভোটার ৮৪ হাজার ২ শত ৬৬ জন।
উপজেলা নির্বাচন ভোটগ্রহণ ভোটার উপস্থিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন