ইনসাইড বাংলাদেশ

‘হজযাত্রীদের লাগেজ লোডিং-আনলোডিংয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবেন’

প্রকাশ: ১১:৫২ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, আমাদের দেশের অনেক হজযাত্রী আছেন যারা তিল তিল করে জমানো সঞ্চয় দিয়ে হজ করে থাকেন। তাদের আবেগ অনুভূতিকে সম্মান দেখাতে হবে। হজযাত্রীদের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। এ কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ অন্যান্য এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাব, আপনারা সর্বোচ্চ সেবা দেবেন। হজযাত্রীদের লাগেজ লোডিং-আনলোডিংয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবেন।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

মো. ফরিদুল হক খান বলেন, হজযাত্রীদের আবেগ-অনুভূতিকে সম্মান দেখাতে হবে। হজযাত্রা যাতে আরামদায়ক হয় এবং কোনোভাবে যাতে যাত্রীরা কষ্ট না পান, সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া তাদের স্ন্যাকস বা খাবারের দিকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে।

ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ এবং সৌদি সরকারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় হজের সাতটি কার্যক্রম সম্পাদিত হয়ে থাকে। আমরা উভয় দেশই পারস্পরিক যোগাযোগ এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে এ কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে যাচ্ছি। হজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা তাদের সর্বোত্তম সেবা দিতে বদ্ধপরিকর। আল্লাহর রহমতে এবার সেবায় কোনো সমস্যা হবে না। প্রত্যেকের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে, যার যার আঙ্গিকে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৬ হাজার ৫২৭ জন পবিত্র হজ পালনে যাবেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ হাজিদের পরিবহন করবে। বাকি যাত্রী পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফাইনান্স এয়ারলাইন্স। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


ধর্মমন্ত্রী   মো. ফরিদুল হক খান   হজযাত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ অগ্নিকান্ডে ৩ টি ঘর পুড়ে ছাই

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অগ্নিকান্ডে বসত বাড়ির তিনটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। 

 

রবিবার (১৯ মে) সকালে উপজেলার চন্দনগাঁতী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মনো দেবের বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

 

মনো দেব জানান, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে প্রথমে আগুনের সুত্রপাত্র হয়। আমার ঘরে প্রথম আগুন লেগে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়লে মা ও ছোট ভাইয়ের ঘরে আগুন লাগে। তিনটি ঘরসহ আসবারপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। এতে আমাদের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এসে ছিলো কিন্তু রাস্তা উপরে নিচু নিচু গাছের ডাল থাকার করনে কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।’

বেলকুচি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাষ্টার শহিদুল ইসলাম জানান, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হই। কিন্তু যেখানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা সেখাকার রাস্তা নিচু নিচু গাছের ডাল থাকার কারণে আমাদের গাড়ি পৌঁছাতে পারিনি। আমারা প্রায় ১ কিলোমিটার পথ হেটেঁ যাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে দেখি স্থানীদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে এসেছে।'


আগুণ   বসতঘর   ক্ষয়ক্ষতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ থেকে ৬৫ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য আজ (২০ মে) থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা এর উপধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে এই নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য   প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সময় সমুদ্রযাত্রার প্রবেশপথগুলোতে মনিটরিং জোরদার করা হবে এবং মৎস্য নৌযানের সমুদ্রযাত্রা শতভাগ বন্ধ রাখা হবে। সামুদ্রিক মৎস্য পরিবহন বন্ধের লক্ষ্যে সমুদ্র তীরবর্তী বরফকলসমূহ সীমিত পর্যায়ে চালু রাখা হবে সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী নৌযান নোঙ্গরস্থলে আবদ্ধ রাখা হবে।

মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের আপদকালীন বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে দুই কিস্তিতে ৬৫ দিনের জন্য ৮৬ কেজি হারে লাখ ১১ হাজার ৬২ জেলে পরিবারকে ভিজিএফ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।


সামুদ্রিক   জলসীমা   মৎস্য আহরণ   নিষিদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ০৮:২১ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও সেবা প্রদানের পাশাপাশি শিল্পায়ন ও দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সোমবার (২০ মে) ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আজকের পরিমাপ’।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবার সব ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করতে সরকার গতানুগতিক পদ্ধতির ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন, ২০১৮’ ও ‘পণ্য মোড়কজাতকরণ বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সব ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানে জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআইকে আরও দক্ষ, জবাবদিহিমূলক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ ও পরিমাপ বিজ্ঞানের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ব্যক্তি কিংবা জাতীয় জীবনে সঠিক পরিমাপ ব্যতীত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। পরিমিতি জ্ঞান ও পরিমাপ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস’ পালন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

রাষ্ট্রপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথ পরিক্রমায় দেশকে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এমন প্রত্যাশা করেন।

বাণীতে মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

তিনি বলেন, সঠিক পরিমাপের আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্প, কলকারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণসহ আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি সহজতর হচ্ছে; যা দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করছে।


রাষ্ট্রপতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বিএসটিআই

প্রকাশ: ০৮:১৪ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করতে বিএসটিআই বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

সোমবার (২০ মে) ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ উদযাপন করছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আজকের পরিমাপ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে বিএসটিআই আন্তর্জাতিক মান সংস্থা (আইএসও) এবং ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিয়াস কমিশনের সদস্যপদ লাভ করে ন্যাশনাল কোডেক্স কন্টাক্ট পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে চলেছে। পরে প্রতিষ্ঠানটি ওজন ও পরিমাপের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের সংস্থার পূর্ণ সদস্য এবং আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগী সদস্যপদ লাভ করে।

তিনি বলেন, বিএসটিআই ২০১০ সালে ওজন ও পরিমাপের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অব ওয়েট অ্যান্ড মেজারের অ্যাসোসিয়েট সদস্য এবং ২০২১ সালে ওজন পরিমাপ ও মান বিষয়ক ইসলামিক দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। সদস্যপদ অর্জন করার পর আন্তর্জাতিক মান ও পরিমাপে প্রণীতমান অনুযায়ী বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সামগ্রী ও যন্ত্রপাতির মান নির্ধারণ।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার ২০১০ সালে জাতীয় মেট্রোলজি ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করে যা ওজন ও পরিমাপের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ল্যাবরেটরি হিসেবে কাজ করছে। এই ল্যাব সারা দেশের শিল্প ও বৈজ্ঞানিক কাজে ব্যবহৃত ওজন ও পরিমাপক যন্ত্রপাতির সক্ষমতা নিশ্চিত করে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার টেকসই উন্নয়ন করছে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, শিল্পোদোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট সবাই ওজন ও পরিমাপের সঠিকতা নিশ্চিত করে দেশীয় শিল্পের বিকাশ, দেশে মানসম্পন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের অবস্থান সুসংহত করে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি টেকসই উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।


বিএসটিআই   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৯ মে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা যেন কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে না যায় বা না সমর্থন করে এমন নির্দেশনা থাকলেও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই চলছে।

জানা গেছে, আনোয়ারায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। তবে এর মধ্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান কাজী মোজাম্মেল হককে (আনারস) ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এম এ মান্নান চৌধুরীকে (মোটরসাইকেল) সমর্থন দিচ্ছেন। ভোট ছাপিয়ে উপজেলা নির্বাচন পরিণত হয়েছে সাবেক ও বর্তমান দুই মন্ত্রীর লড়াইয়ের মঞ্চ। তবে দুই নেতার বাইরে আলাদাভাবে প্রচারণা এগিয়ে নিচ্ছেন দুবারের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী (দোয়াত কলম)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা ডেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করে। ওই সভায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাকে সমর্থন দেন। একই দিন রাতে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনীসহ বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল করেন ওয়াসিকার অনুসারীরা। 

তবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী কাজী মোজাম্মেল হক উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনী পরিবেশের মোড় ঘুরে যায়। মোজাম্মেলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেকে থাকায় জমে উঠেছে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আমেজ।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে আনোয়ারায় তিন পক্ষ একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে আছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রীর প্রার্থী এম এ মান্নানকে জেতাতে ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এককাট্টা হলেও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মাঠে নেমেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হককে জেতাতে। ওই দুই প্রার্থীর বাইরে জেলা-উপজেলার বেশ কিছু নেতাকে নিয়ে মাঠে আছেন তৌহিদুল হক চৌধুরী।

উল্লেখ্য, আনোয়ারা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৭৪টি ভোটকেন্দ্র আছে। তার মধ্যে স্থায়ী ভোটকক্ষ ৪৮৪টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৫০টি। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ২২১ জন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন