ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে উন্নয়ন, অর্জন আধুনিকতায় বাংলাদেশ বদলে গেছে। গ্রাম হয়েছে শহর। সেই বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার এক কথায় শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তেজগাঁওয়ের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটির ত্রাণ সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি।

তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে অধিষ্ঠিত আছেন। এই ১৫ বছর আগে আর পরে বাংলাদেশের আজকে কী পার্থক্য দেখতে পান? ওই বাংলাদেশের সাথে এই বাংলাদেশের কোনও মিল নেই। ১৫ বছর আগের আর আজকের ঢাকা শহর দিন-রাত পার্থক্য।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ফিরে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। সংসদে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা আমরা করতে পেরেছি। স্বপ্নের মেট্রোরেল হয়েছে। নিজের টাকায় পদ্মাসেতু করতে পেরেছি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।


বাংলাদেশ   রূপকার   শেখ হাসিনা   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এক দশকে দেশে দুধের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আজ ১ জুন। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের গুরুত্ব বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরা এবং দুধ উৎপাদনের ব্যাপারে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করে ডেইরি শিল্পের প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপন করা হয়।

২০০১ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ১ জুনকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ওই বছর থেকে বৈশ্বিক খাদ্য হিসেবে দুধের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্তকরণে উৎসাহিত দিতে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদা সাথে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৪ উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। এ অনুষ্ঠানে দেশের নির্বাচিত সফল দুগ্ধ খামারি/ উদ্যোক্তা! প্রতিষ্ঠানকে ডেইরি আইকন হিসেবে সেলিব্রেশন করা হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান এমপি। এক ভিডিও বার্তায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। 

পুষ্টিবিদমতে, সুস্থ্-সবল শরীরের জন্য সব বয়সী মানুষেরই নিয়মিত দুধ পান করা উচিত। দুধের মধ্যে ভিটামিন সি ছাড়া রয়েছে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান। 

দুধের উপকারিতা সম্পর্কে পুষ্টি বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, পুষ্টি গুণে দুধ হলো একটি সেরা খাবার। দুধ হলো ক্যালসিয়ামের খুব ভালো একটি উৎস। আর ক্যালসিয়াম সব বয়সের মানুষের জন্য জরুরি উপাদান। আমরা জানি, মানবজীবনের শুরু হয় দুধ দিয়ে। শিশু কিশোরসহ সব বয়সের মানুষের জন্য দুধ ভীষণ প্রয়োজনীয় খাবার। যেসব শিশু জন্মের পর ঠিকভাবে দুধ খেতে পায় না, তারা অধিকাংশ সময় কোয়াশিয়রকর (kwashiorkor), ম্যারাসমাস (Marasmus) নামক অপুষ্টিজনিত অসুখে আক্রান্ত হয়। তাছাড়া দুধ ও দুধজাতীয় খাবারের অভাবে বয়স্ক ব্যক্তিরা অস্টিওআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিস অর্থাৎ হাড়ের দুর্বলতা ও হাড়ের ভঙ্গুরতাজনিত অসুখে আক্রান্ত হন। কিন্তু মাথাপিছু দুধপানও কাঙ্খিত মাত্রার চেয়ে কম। আবার উৎপাদন বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে দিন দিন বাড়ছে দুধের দাম।

দুধের উৎপাদন বেড়েছে

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর দেশে তরল দুধের উৎপাদন বেড়েছে ১৩ গুণ। আর গত এক দশকে বাংলাদেশে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬ গুণেরও বেশি। স্বাধীনতা উত্তর ১৯৭১-৭২ অর্থ বছরে দুধ উৎপাদন ছিল ১০ লাখ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দুধ উৎপাদন হয়েছে ১৪০ দশমিক ৬৮ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দুধ উৎপাদন ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে জনপ্রতি দৈনিক ২৫০ মিলি হিসেবে দেশে দুধের চাহিদা ১৫৮ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন। এ হিসেবে দুধের ঘাটতি রয়েছে ২৫ দশমিক ৯৪ লাখ মেট্রিক টন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে দুগ্ধ খামারির সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। ২০২২-২৩ বছরে ১৪০ দশমিক ৬৮ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম সারির দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিগুলো ৭-৮ লাখ টন দুধ প্রক্রিয়াজাত করে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুত করছে। 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে দুধের মূল উৎস গরু। শতকরা ৯০ ভাগ দুধ আসে গরু থেকে। ৮ শতাংশ ছাগল এবং ২ শতাংশ আসে মহিষ থেকে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বেশ কয়েক বছর ধরে ছাগলের দুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে মোট দুধ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ২৩তম। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ দুধ উৎপাদন হয় এশিয়ায়। 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে দুধ উৎপাদন হতো প্রায় ৬০ দশমিক ৯২ লাখ মেট্রিক টন। পরের তিন অর্থবছরে তা বেড়ে ৭২ দশমিক ৭৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি হয়। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুধের উৎপাদন হয় ১৪০ দশমিক ৬৮ লাখ মেট্রিক টন।  তবে এতে দেশে দুধের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। কারণ, দেশে বছরে চাহিদা ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড অনুযায়ী, একজন মানুষের দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধ পান করা দরকার। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে দিনে মাথাপিছু দুধ উৎপাদিত হয় ২২১ দশমিক ৮৯ মিলিলিটার।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর অগ্রগতি প্রতিবেদন (জানুয়ারি ২০১৯- ডিসেম্বর ২০২৩) অনুযায়ী দেশে দুধের ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে মিল্ক কালেকশন সেন্টার, প্রসেসিং জোন উল্লেখ্যযোগ্য।


জাতিসংঘ   এফএও   বিশ্ব দুগ্ধ দিবস   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আনার হত্যাকাণ্ডে শিলাস্তিকে নিয়ে বেরিয়ে আসলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ৩১ মে, ২০২৪


Thumbnail

কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে খুন হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। এমপি আনোয়ারুল আজীম (আনার) হত্যায় গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামি- শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে।

ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, এমপি আনারকে হত্যা করার আগে কলকাতার সেই ফ্ল্যাটে ওঠেন শিলাস্তি রহমান। তার দায়িত্ব ছিল এমপি আনার ফ্ল্যাটে গেলে তাকে রিসিভ করা। শিলাস্তি রহমান সেটাই করেন। শিলাস্তি রহমান রিসিভ করার পর থেকে আর এমপি আনারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (৩১ মে) আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান। ৮ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত শিমুল ভূঁইয়া (৫৬) জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) শীর্ষস্থানীয় নেতা। তিনি খুলনা, জিনাইদহ, যশোরসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে তথা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে তাদের নিষিদ্ধ দলের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে ভুক্তভোগীর আদর্শগত বিরোধ ছিল। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান ওরফে শাহিনের সঙ্গেও আনারের বিরোধ ছিল।

এই দুই বিরোধকে কেন্দ্র করে শাহিন ও শিমুল ভূঁইয়া আনারকে হত্যা জন্য পরিকল্পনা করে আসছিলেন। গত জানুয়ারি ও মার্চ মাসে দুবার তাকে হত্যার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। পরে শাহিন কলকাতার নিউটাউন অভিজাত এলাকায় গত এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সেই পরিকল্পনায় যুক্ত হন শিলাস্তি রহমান। পরে তাদের সঙ্গে হত্যা পরিকল্পনার মিটিং করে শাহিন গত ১০ এপ্রিল বাংলাদেশে চলে আসেন।

শিমুল ভূঁইয়া ও শাহিনের নির্দেশে অন্য আসামিরা আনারকে কৌশলে ব্যবসার কথা বলে কলকাতার ওই ফ্লাটে নিয়ে যান। পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শিমুল ভূঁইয়া অন্য আসামিদের সহায়তায় আনারকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার মরদেহের হাড় মাংস আলাদা করে, মাংসের ছোট ছোট টুকরো করে ফ্লাটের টয়লেটের কমোডে ফেলে ফ্লাশ করা হয়। এছাড়া হাড়সহ শরীরে অন্যান্য অংশ ট্রলিব্যাগে করে কলকাতার নিউটাউন থেকে দূরে একটি খালে ফেলে দেওয়া হয়।


আনার হত্যাকাণ্ড   শিলাস্তি রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অনুমতি না নিয়ে সম্পদ ক্রয়: সরকারি কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ৩১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেনজীর আহমেদ চাকরিতে থাকাকালীন সময়ে তিনি তার স্ত্রী এবং কন্যাদের নামে যে বিপুল সম্পদ বানিয়েছিলেন তার কোনটার জন্যই সরকারের কোন অনুমতি নেননি। অথচ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী চাকরি বিধি অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি কোন স্থাবর সম্পত্তি কিনতে চান তাহলে সরকারের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করতে হবে। এবং সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে তিনি ওই সম্পদ কিনতে পারবেন। তাছাড়া কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর স্বামী, স্ত্রী বা পরিবারের কোন সদস্য যদি কোন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রেও তাদেরকে অনুমতি দিতে হবে। 

অতীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সমস্ত সরকারি কর্মকর্তারা ছিলেন, তাদের স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যবসা বাণিজ্যের বিষয়টি সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে করা হতো। কিন্তু বেনজীর আহমেদ যেন ছিলেন আইন বিচারের ঊর্ধ্বে। তিনি কোন কিছুই মানতেন না। চাকরিতে থাকা অবস্থায় তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছিলেন, জমি কিনেছিলেন। যদিও এসব তার নিজের নামে নয়। তার স্ত্রী এবং নাবালিকা সন্তানদের নামে করেছিলেন। কিন্তু সরকারি কর্মচারী আচরণ এবং শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী এ ধরনের সম্পদ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। 

বেনজীর আহমেদের এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে যে, সরকারি কর্মকর্তাদেরকে আইনের কথাটা নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আগামী সপ্তাহে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে প্রেরণ করা হবে। নতুন করে তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। তারা যদি কোন স্থাবর সম্পদের মালিক হন যেমন জমি জমা ফ্ল্যাট ইত্যাদি, সেক্ষেত্রে তাদেরকে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এছাড়াও ওই চিঠিতে একজন সরকারি কর্মকর্তার স্বামী, স্ত্রী বা সন্তান কোন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হন, সে ক্ষেত্রেও সরকারের অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতার কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর কোন কোন সরকারি কর্মকর্তার কী কী স্থাবর সম্পত্তি আছে এবং সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদেরকে অবহিত করা হয়েছে কি না সে সম্পর্কে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এই তালিকা অনুযায়ী যারা সরকারের কোন অনুমতি না নিয়েই সম্পদের মালিক হয়েছেন, সেই সমস্ত সম্পদগুলোকে অবৈধ সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এ ক্ষেত্রে তাদেরকে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন। 

আইন থাকার পরও কেন এতদিন মানা হয়নি- এ ব্যাপারে অবশ্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখনই কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, সাধারণত প্রশাসন ক্যাডারে যাদের স্ত্রী ব্যবসা বাণিজ্যিক করেন বা প্রশাসন ক্যাডারের কোন কর্মকর্তা যদি স্থাবর সম্পত্তি যেমন ফ্ল্যাট জমি ইত্যাদি কেনেন তাহলে তারা চাকরি বিধি মেনেই অনুমতি নেন। কিন্তু বেনজীর আহমেদের ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটেছে বলেও তিনি স্বীকার করেন। 

তিনি বলেন, এই বিষয়টি সামনে আসার আগে পর্যন্ত সরকারের কেউই জানতেন যে, বেনজীর আহমেদ এতো বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক। তবে এই ঘটনা সরকারকে সতর্ক করেছে বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল মহল বলছে। এখন থেকে এই বিষয়টি কড়া নজরদারি আরোপ করা হবে এবং অনুমতি না নিয়ে যারা সম্পদ কিনেছে তাদের তালিকা করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়   বেনজীর আহমেদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শব্দ বাদ দেওয়া দুঃখজনক: মোমেন

প্রকাশ: ০৮:১৩ পিএম, ৩১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ (Except Israel) শব্দ দুটি বাদ দেওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। 

শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিরসনে করণীয় বিষয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আব্দুল মোমেন বলেন, আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অন্য কেউ তার সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই এ পরিবর্তন করা হয়েছে। 

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল-দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব উল্লেখ করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রনায়ক জনতার রায়ে নির্বাচিত নয়। তাই আরব বিশ্ব ফিলিস্তিন ইস্যুতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে না। তবে বাংলাদেশের সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘পাসপোর্টকে আরও মানসম্পন্ন করা এবং খরচ কমানোর জন্য জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করেছে বলে আমাকে জানানো হয়েছিল।’

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট নিরসনে ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতিত্বকারী দেশগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক  চাপ সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলার চিত্র তুলে ধরা, শান্তিচুক্তি নিশ্চিত করা, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয়ের জন্য আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার মানদণ্ড মেনে চলা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের ব্যবস্থা করা, ফিলিস্তিনিদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সহযোগিতা নিশ্চিত করা, অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের দাবিও জানানো হয় এই আয়োজন থেকে।

এই ছায়া সংসদের সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী।


পাসপোর্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ থেকে ৫০টি অ্যাকাউন্ট ও ৯৮টি পেজ সরিয়েছে ফেসবুক

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ৩১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মোট ১৪৮টি অ্যাকাউন্ট ও পেজ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে পঞ্চাশটি অ্যাকাউন্ট ও ৯৮টি পেজ রয়েছে। 

মেটার চলতি বছরের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন সূত্রে  বিবিসি বাংলা এসব তথ্য জানিয়েছে।

মেটার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ফেসবুকের নিয়ম লঙ্ঘন করায় আমরা ৫০টি অ্যাকাউন্ট ও ৯৮টি পেজ ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলেছি। যারা এই কাজ পরিচালান করেছেন তারা সকলেই বাংলাদেশের জনগণ এবং নির্দিষ্ট এক স্থানীয় অডিয়েন্সকে টার্গেট করে এমন নেতিবাচক প্রচারণা করা হয়েছে।

এসব অ্যাকাউন্ট ও পেজগুলোর মোট প্রায় ৩৪ লাখ ফলোয়ার ছিল। একই সাথে এসব পেজ থেকে প্রায় ৬০ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বিজ্ঞাপনে ব্যয় করা হয়েছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত বছর আগস্টে মেটার কর্মকর্তারা ঢাকায় এসে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলো। তখন মেটা বলেছিলো, গুজব ঠেকাতে সারাবিশ্বে ৯০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে তারা।

পরবর্তীতে মেটা জানায়, তাদের প্ল্যাটফর্মের নিয়মকে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অনেকে কনটেন্ট তৈরি করে থাকে, যে বিষয়ে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে যেন এমন প্রচারণা প্রতিহত করা হয় সেই জন্য আরও কড়া নিয়ম নিয়ে আসবে মেটা।


ফেসবুক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন