প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আগামী ৬ তারিখে বাজেট দেবো।
বাজেট আমরা ঠিক মতো দিতে পারবো, বাস্তবায়নও করবো। দেশি-বিদেশি নানা কারণে জিডিপি কিছুটা
হয়তো কমবে, সেটা পরবর্তীতে উত্তরণ করতে পারবো, সে আত্মবিশ্বাসও আছে।
আজ (শুক্রবার) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের অর্থনীতি পাল্টে গেছে। যারা একবেলা
ভাত খেতে পারতো না, তারা চারবেলা খায়। হাট বারের বাইরে কিছু পাওয়া যেত না, এখন সুপার
মার্কেট হয়েছে। আমাদের গ্রামের বাজার পাটগাতি থেকে ঈদের আগে ২০০ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে।
গ্রামীণ অর্থনীতি যত বেশি মজবুত হচ্ছে, শিল্প কলকারখানা বাড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আজ অর্থনীতি সমিতির প্রোগ্রামে আসছি। এখানে
অনেকের অনেক বড় বড় ডিগ্রি আছে। আমার কিন্তু তা নেই। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ
পাস করেছি। অর্থনীতির সুক্ষ ও জটিল বিষয়াদি আপনাদের মতো আমি বুঝি না। এতটুকু বুঝি কীভাবে
দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়। কীভাবে মানুষের উপকার হবে। আমার বাবা জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকেই আমি এটা শেখেছি। তিনি তো বেশিরভাগ সময়ই জেলে থাকতেন।
যতক্ষণ বাইরে থাকতেন। আমাদের সঙ্গে গল্প করতেন- কীভাবে তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ
করতে চান, কীভাবে গ্রামগুলোকে সাজাবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, দুদুকের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে তাতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অপরাধলব্ধ আয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এ তথ্য জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, এখন মামলা কখন হবে সেটা দুর্নীতি দমন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ এবং ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল পৃথক দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এরপর দুদকের উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করছে। টিমের অপর সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক নিয়ামুল আহসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন।
পাশাপাশি সালাহ উদ্দিন রিগ্যান নামের একজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। পরে ২৩ এপ্রিল পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের করা কমিটির অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মাসের মধ্যে কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
এরপর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন দফা তার এবং পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দ ও ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। আদেশ অনুসারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ সম্পদগুলো তত্ত্বাবধানে নেয়।
সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে সে বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, উনার সন্দেহজনক লেনদেন আছে। অপরাধলব্ধ আয় আছে। অপরাধ লব্ধ সম্পত্তি আছে। এগুলো যাচাই করছি, দেখছি। আরও সম্পদ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছি। সাবেক আইজিপির যে কর্মকাণ্ড অপরাধলব্ধ আয় এটা খুব বিপদজনক। আমি ব্যক্তিগতভাবে হতাশ। সর্বোচ্চ পদে একজন পুলিশ বাহিনীর সাবেক প্রধান হিসেবে এভাবে অপরাধলব্ধ আয়ের সঙ্গে কীভাবে জড়িয়ে গেলেন। কেন এত অপরাধলব্ধ আয় তার পরিবারের জন্য করলেন। এটা বিশাল প্রশ্ন। কোনো বাহিনী প্রধানের বিরুদ্ধে এমন হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
এর আগে দুই দফায় গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর, তার স্ত্রী ও তিন কন্যার নামে থাকা প্রায় ৬১২ বিঘা সম্পত্তি ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক ও বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার আদেশ দেন আদালত। গত ৬ জুন এসব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দেন আদালত।
গতকাল বুধবার পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জাসহ মেয়েদের নামে থাকা আটটি ফ্ল্যাটসহ আরও সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের অনুসন্ধানকারী টিমের প্রধান উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন। যার মধ্যে রূপগঞ্জে ২৪ কাঠা, উত্তরায় ৩ কাঠা, বাড্ডায় ৩৯.৩০ কাঠা জমির ওপর দুটি ফ্ল্যাট, বান্দরবান জেলায় ২৫ একর জমি (লিজ), স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে বাদাবরানার পিসি কালচার এলাকায় ৬টি ফ্ল্যাট ক্রোক করা হয়েছে। এছাড়া গুলশানে বাবার কাছ থেকে পাওয়া ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ মূলে সম্পত্তিতে ৬তলা ভবন, সিটিজেন টিভিতে শেয়ার ও টাওয়ার অ্যাপারেলস (গার্মেন্টসে) শেয়ার অস্থাবর জমি ফ্রিজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিটিজেন টেলিভিশনের শেয়ারসহ কোম্পানির শেয়ার জব্দের আদেশ হয়েছে।
আইজিপি বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ বিরোধীদলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জিএম কাদের
মন্তব্য করুন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কোরবানির পশুর হাটে ষাঁড়ের গুতোয় মনু মিয়া (৫৫) নামে প্রাণ
হারিয়েছে এক কৃষক।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে জেলার সর্ব বৃহৎ কোরবানীর পশুর হাট তাহিরপুরের বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা
ঘটে।
নিহত মনু মিয়া সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ভোলাখালী গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে।
নিহত কৃষক মনু মিয়ার পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার ভোলাখালী গ্রামের কৃষক মনু মিয়া তার সহোদর ভাই নানু মিয়ার লালিত একটি ষাঁড় বিক্রির জন্য উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে থাকা কোরবানীর পশুর হাটে নিয়ে আসেন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে। দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই ষাঁড়টি উক্তোজিত হয়ে মনু মিয়ার গোপনাঙ্গে শিং দিয়ে গুতো মাড়লে তিনি হাটেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এরপর পরিবার ও স্বজনরা তার মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম বলেন, কোরবানির পশুর হাটে ষাঁড় বিক্রি করতে এসে সেই ষাঁড়ের গুতোতে এক কৃষক মৃত্যু বরণ করেছেন বলে জানতে পেরেছি।
কোরবানি গরু পশুর হাট ষাঁড় কৃষকের মৃত্যু
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নওগাঁ জেলার বৃহত্তর পশুর হাটগুলোর মধ্যে একটি বদলগাছী উপজেলার কোলাহাট। সব ধরনের গরুর আমদানী থাকলেও মাঝারি সাইজের গরুর বেচাকেনায় জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট।
ঈদুল আজহা (কুরবানী) উপলক্ষ্যে সপ্তাহে দুইদিন শুক্র ও মঙ্গলবার এখানে বসছে পশুর হাট। তবে হাসিল আদায়ে সরকারি কোন নির্দেশই তোয়াক্কা করছেনা হাট ইজারাদার। গরু প্রতি নেওযা হচ্ছে ৬৫০, ছাগলের জন্য ৪৫০টাকা। ক্রেতা- বিক্রেতা প্রতিবাদ করলেও অনেকটা জোড় করেই আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত হাসিল। তবে খাজনার টাকা নিলেও রশিদে লেখা হচ্ছে না টাকার পরিমান। এতে করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাটে আসা ক্রেতা- বিক্রেতারা। এমন দৃশ্য শুধু কোলা হাটের নয়, গোবরচাপাঁ হাট, ভান্ডারপুর হাট, ধামইরহাট, মাতাজীহাট, দিঘীরহাট, চৌবাড়িয়া,মহাদেবপুর, আহসানগঞ্জ সহ জেলার প্রতিটি হাটেই সরকার নির্ধারিত মূল্যকে উপেক্ষা করে চলছে অতিরিক্ত হাসিল আদায়। কোন হাটে ৬৫০, কোন হাটে ৭০০, কোন হাটে ৮০০, আবার কোন হাটে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হাসিল জোড় করে আদায় করা হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে এ যেন অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের প্রতিযোগিতা ও উৎস শুরু হয়েছে। তবে প্রশাসন দুই একটি অভিযানের মাধ্যমে জরিমানা করলেও সেটি দৃষ্টান্তমূলক না হওয়ায় কোন কিছু তোয়াক্কায় করছেনা হাট মালিক পক্ষ। কৃষক ও খামারিদের দাবী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান না করলে তাদের থামানো যাবেনা। অবিলম্বে অবৈধ এই হাসিল আদায় বন্ধন করা হোক।
কোলাহাট থেকে কুরবানীর গরু কিনেছেন বিপ্লব হোসেন বলেন, তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আমি কোলাহাট থেকে ৯৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি। সেই গরুর জন্য লেখনি বাবদ ১০০টাকা ও খাজনা বাবদ ৬০০টাকা আমার কাছ থেকে নিয়েছে হাসিল আদায়কারী। কিন্ত ৭০০টাকা নিলেও রশিদে একটি টাকাও লিখে দেননি।
ছাগল ক্রেতা নওগাঁর মুরুফ হোসেন বলেন,আমি কোলাহাট থেকে একটি ছাগল কিনেছি। ঔ ছাগলের জন্য খাজনা বা টোল দিয়েছি ৪০০টাকা। তবে আদায়কারী খাজনা বাবদ ৪০০টাকা নিলেও খাজনা রশিদে কোন প্রকার টাকা লিখে দেননি। শুধু তাই নয় হাট থেকে বের হওয়ার সময় আবার একজন এর কাছে রশিদ গুলো জমাদিয়ে ছাগল নিয়ে আসতে হয়েছে।
হাসিল আদায়কারীদের মধ্যে একজন বলেন, আমাদের যেই ভাবে ইজারাদার আদায় করতে বলেছেন সেই ভাবে আদায় করতেছি। কি ভাবে আদায় করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, লেখনি বাবদ ১০০টাকা ও গরু-মহিষ ৬০০টাকা নিচ্ছি। টোলের টাকা রশিদে উল্লেখ নেই জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনে কোলা হাট ইজারাদার এর কাছে থেকে জেনেনিন বলেন তিনি।
কোলাহাট ইজারাদার ফেরদৌস হোসেন অস্বীকার করে বলেন, ইতি পূর্বে যেই ভাবে গরু ছাগলের খাজনার টাকা ৬০০টাকা করে আদায় করা হতো। তবে সেই ভাবেই এবারও খাজনা আদায় করা হচ্ছে। তবে তিনি স্বীকার করে বলেন সারা বাংলাদেশের পশুর হাট গুলোতে যেই ভাবে খাজনা আদায় করা হচ্ছে সেই ভাবে আমরাও সেই খাজনা আদায় করছি। তিনি আরও বলেন কুরবানীর পশুর হাটকে কেন্দ্র করে লেখনি ৫০টাকা ও খাজনা ৬০০টাকা আদায় করেন। ছাগলের খাজনার কথা জনতে চাইলে তিনি বলেন খাজনা ৪০০টাকা নয় ২০০টাকা করে আদায় করা হয় ।
জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বিভিন্ন হাটে অভিযান করছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি হাটে জরিমানা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া আছে নিজ নিজ উপজেলার হাটগুলোতে নজরদারী বাড়ানোর জন্য।’
কোরবানি গরু পশুর হাট অতিরিক্ত হাসিল
মন্তব্য করুন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, দুদুকের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে তাতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অপরাধলব্ধ আয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এ তথ্য জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, এখন মামলা কখন হবে সেটা দুর্নীতি দমন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ এবং ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল পৃথক দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।