রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
বলেছেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয় সেদিকে সরকারের পাশাপাশি
নাগরিক সমাজকেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। নাগরিকদের প্রতি যেকোনো ধরনের বৈষম্য আইনের
শাসনের পরিপন্থি। কাজেই কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয়।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।’
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ডিজিটাল মাধ্যমকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করুন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ুন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে জানুন। মননে, বোধে, জীবনাচরণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে লালন করে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ২১ বছর পর ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে শুরু হয়ে এই আন্দোলনের প্রাজ্ঞ নেতৃবৃন্দ প্রায় ৩৩ বছর ধরে নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এই সংগঠনকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন। কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারই নয়, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এই মহাসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস পৌঁছে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দীক্ষিত করার ক্ষেত্রেও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সাহাবুদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও মানবিক সমাজ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আগামী দিনগুলোতেও ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও ঘাতক-দালাল চক্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাসহ আমাদের সাফল্যকে ম্লান করে দিতে অবিরাম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন হলেও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কাজ কখনও শেষ হবে না। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভূমিকা অতীতের মতো ভবিষ্যতে উজ্জ্বলভাবে কার্যকর থাকবে।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক ও তথ্য-প্রযুক্তির নানা সূচকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করেছি আমরা। এই অগ্রযাত্রার পথে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মৌলবাদ ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্ব এবং জঙ্গিবাদের প্রতি সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণেই জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলন-২০২৪ এর সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলিম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানবাধিকার নেতা নির্মল রোজারিও, আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, ন্যায় অধিকার তৃতীয় লিঙ্গ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান সমাজকর্মী আনোয়ারা ইসলাম রাণী এবং ৮ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কাজী মুকুল বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্বের
ব্যয়বহুল শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে মার্সার কস্ট অব লিভিং সার্ভে।
২০২৪ সালের এ তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১৪০ তম, যা ২০২৩ তালিকায় ছিল
১৫৪। অর্থাৎ ১৪ ধাপ এগিয়েছে ঢাকা। অন্যদিকে, এ তালিকায় বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে হংকং।
সোমবার
এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। খবর সিএনএনের।
২০২২
ও ২০২৩ সালেও তালিকায় শীর্ষে ছিল হংকং। এরপরেই রয়েছে সিঙ্গাপুরে। ব্যয়বহুল শহরের তালিকা করতে বিশ্বের ২২৬টি শহরের অন্তত ২০০টি বিষয়কে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েেছে
পরিবহন, খাদ্য, পোশাক, গৃহস্থালী সামগ্রী ও বিনোদন।
যুক্তরাষ্ট্রের
সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর নিউইয়র্ক তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, গত বছর লন্ডন
ছিল এই তালিকায় ১৭তম
স্থানে। কিন্তু এবার যুক্তরাজ্যের এই শহরটি অষ্টম
স্থানে উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক শহর লস অ্যাঞ্জেলেস রয়েছে
১০তম স্থানে।
২০২৪ সালের শীর্ষ ১০ ব্যয়বহুল শহর হলো— হংকং, সিঙ্গাপুর, জুরিখ, জেনেভা, বাসেল, বার্ন, নিউইয়র্ক, লন্ডন, নাসাউ ও লস অ্যাঞ্জেলেস।
রাজধানী ঢাকা হংকং মার্সার কস্ট অব লিভিং সার্ভে
মন্তব্য করুন
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর সারাদেশে কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২ টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১০৬ টি গবাদিপশু বেশি কোরবানি হয়েছে। এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ১৮২ টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫২০ টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১১১টি, খুলনা বিভাগে ১০ লাখ ৮ হাজার ৮৫৫ টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৩৮টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪২টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৩ টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫১৭ টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।
কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর মধ্যে ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৯টি গরু, ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৮ টি মহিষ, ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৯টি ছাগল, ৪ লাখ ৭১ হাজার ১৪৯ টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৭৩ টি অন্যান্য পশু।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫৪ টি গরু, ৬ হাজার ৪৬৫ টি মহিষ, ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭২ টি ছাগল, ৮৯ হাজার ৯১ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮০০ টি পশু, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ১৭ হাজার ৭৪৭ টি গরু, ৯১ হাজার ৮১০টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ১৩০ টি ছাগল, ৯৫ হাজার ৪৮৩টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৫০ টি পশু। রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ২০ হাজার ৪৭২টি গরু, ৯ হাজার ৫৬৮ টি মহিষ, ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৬টি ছাগল ও ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৭টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৮টি, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৬৭টি গরু, ১ হাজার ৫০৬ টি মহিষ, ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭৩৫ টি ছাগল, ৫৭ হাজার ৫৫৯ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৮টি পশু। বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৮০ হাজার ৩৭৭ টি গরু, ১হাজার ১ টি মহিষ, ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৩ টি ছাগল ও ২০ হাজার ১৯০ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৭ টি। সিলেট বিভাগে ২ লাখ ১ হাজার ১৪৩ টি গরু, ১ হাজার ৩৫৮ টি মহিষ, ১ লাখ ৭৩ হাজার ২২৩টি ছাগল ও ১৮ হাজার ১৪ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৪ টি। রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৪ টি গরু, ৩০৪ টি মহিষ, ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬১৬ টি ছাগল, ৬০ হাজার ২২৮ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ১১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৯০ হাজার ৮০৫ টি গরু, ৯০৬ টি মহিষ, ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৪ টি ছাগল ও ১৮ হাজার ৭ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ০৫ টি কোরবানি হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর সারাদেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭ টি।
মন্তব্য করুন
ঈদুল আজহার দিনেও থেমে নেই সড়ক দুর্ঘটনা। এদিনে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) দেশের সাত জেলায় মোট আটটি দুর্ঘটনায় এসব প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে গাজীপুরে। এ জেলায় দুটি দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও দিনাজপুরে দুইজন করে এবং বগুড়া, নওগাঁ ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে।
গাজীপুর: ঈদের দিন ভোর পৌনে ৪টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়াল সেতুর ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাণ হারিয়েছেন দেলোয়ার ও রাকিব নামে দুই মোটরসাইকেল আরোহী। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে নাজিম নামে অপর বন্ধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়ায় গাড়ি চাপায় প্রাণ হারান অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: একইদিন সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ঘটে আরেকটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারান রবিউল খান (৫০) ও হুমায়ুন খান (৪৫) নামে আপন দুই ভাই।
দিনাজপুর: এদিকে দিনাজপুরের বিরামপুরে ঈদের দিনের জন্য সেমাই কিনতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এম এ কে আজাদ (৭০) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। একই দুর্ঘটনায় তার সঙ্গে মৃত্যু হয় এনামুল হক (৪২) নামে আরেক ব্যক্তির। সকালে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের দিওড় বটতলী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বগুড়া: ঈদের দিন সকাল ৭টার দিকে বগুড়ার আদমদীঘিতে বাবার সঙ্গে কোরবানির গরু আনতে যাওয়ার পথে ভটভটি উল্টে প্রাণ হারায় আহোনা আবিদ দোহা (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র। বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের বাবলা তলা নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত দোহা নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ হারান শুকুর হালসানা (৫৫) নামে এক বৃদ্ধ। মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এ সময় জীবননগর–চ্যাংখালি সড়কের পিচমোড়ে পৌঁছালে পিছন থেকে আসা একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয়রা তাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নওগাঁ: ঈদুল আজহার দিন বেলা ১১টার দিকে নওগাঁর নিয়ামতপুরে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণ হারান হৃদয় (১৮) নামে এক তরুণ।
ময়মনসিংহ: একইদিন দুপুরে আরেকটি মর্মান্তিক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে ঈশ্বরগঞ্জে। ঈদ উপলক্ষে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়ে প্রাণ হারায় রনি (১৮) ও আশিক (১৭) নামে দুই বন্ধু। উপজেলার পৌর সদরের পাইভাকুরী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য করুন
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১১ জিলহজও ইসলামে বিশেষ সম্মানিত ও মর্যাদাপূর্ণ দিন। হাদিসে এ দিনটিকে ঈদুল আজহার প্রথম দিনের পরে সবচেয়ে মর্যাদপূর্ণ দিন বলা হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনে কুরত থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
إِنَّ أَعْظَمَ الأَيَّامِ عِنْدَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى
يَوْمُ النَّحْرِ ثُمَّ يَوْمُ الْقَرِّ
দিনগুলোর মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল, নহরের দিন (অর্থাৎ কোরবানির প্রথম দিন) এরপর এর পরবর্তী দিন ( অর্থাৎ কোরবানির দ্বিতীয় দিন)। (সুনানে আবু দাউদ: ১৭৬৫)
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন সারা দিনই কোরবানি করা যায়। ফজরের পর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমনকি রাতেও পশু কোরবানি করলে কোরবানি শুদ্ধ হবে। তবে রাতে কোরবানি করা অনুত্তম যদি পশু জবাইয়ে ভুল হওয়ার আশংকা থাকে।
শরিয়তে কোরবানির মোট সময় তিন দিন। ১০ জিলহজ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে শুরু করে জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোরবানি করা যায়। জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পর আর কোরবানি করার সুযোগ থাকে না।
কেউ যদি কোরবানির দিনগুলোতে ওয়াজিব কোরবানি দিতে না পারে তাহলে কোরবানির পশু ক্রয় না করে থাকলে তার ওপর কোরবানির উপযুক্ত একটি পশুর মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করে থাকে, কিন্তু কোনও কারণে কোরবানি দেয়া হয়নি, তাহলে ওই পশু জীবিত সদকা করে দেবে।
কেউ যদি কোরবানির সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর অর্থাৎ ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পর কোরবানির পশু জবাই করে ফেলে, তাহলে ওই পশুর সব মাংস সদকা করে দিতে হবে। এ রকম ক্ষেত্রে গোশতের মূল্য জীবিত পশুর চেয়ে কমে গেলে যে পরিমাণ মূল্য কমবে, তাও সদকা করতে হবে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) ৭৫টি ওয়ার্ডের সব ওয়ার্ড হতে কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। সোমবার রাত সোয়া ১২টায় ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণের মধ্য দিয়ে কোরবানি দেওয়া সব পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির পশু হাটের মধ্যে ৬টি হাট হতে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানান দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের।
এর আগে ৬ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের দাবি করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন উত্তর সিটি কর্পোরেশন বর্জ্য
মন্তব্য করুন
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর সারাদেশে কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২ টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১০৬ টি গবাদিপশু বেশি কোরবানি হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঈদুল আজহার দিনেও থেমে নেই সড়ক দুর্ঘটনা। এদিনে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) দেশের সাত জেলায় মোট আটটি দুর্ঘটনায় এসব প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে গাজীপুরে। এ জেলায় দুটি দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও দিনাজপুরে দুইজন করে এবং বগুড়া, নওগাঁ ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে।