ইনসাইড বাংলাদেশ

কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কাঁচা মরিচের দাম আরও বেড়েছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে এই পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের এই সময়ে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি থাকে। ফলে আমদানি করে মরিচের প্রয়োজন মেটাতে হয়। তবে এবার দাম বাড়তে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

এবার কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে ঈদুল আজহার মাসখানেক আগে থেকেই। গত বছর কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল।

গত পাঁচ বছরের বাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বছরের এই সময়ে উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বাড়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে বৃষ্টিসহিষ্ণু মরিচের জাত কম। ফলে বৃষ্টি বেশি হলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যায়। তখন আমদানি করে কাঁচা মরিচের চাহিদা মেটানো হয়। সাধারণত ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। তবে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকেও কিছু কাঁচা মরিচ আসে। মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে কাঁচা মরিচ আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়নি। তবে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।


কাঁচা   মরিচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বেনজীরের পার্টনারদের তদন্তের আওতায় আনা হবে: দুদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পার্টনারদের খোঁজ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেশে-বিদেশে বেনজীর আহমেদের সঙ্গে যারা বিভিন্নভাবে অংশীদার এবং ব্যবসায়িক পার্টনার রয়েছেন-তাদের তদন্তের আওতায় আনা হবে। দুদকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, ধাপে ধাপে সবকিছু তদন্ত করা হবে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু নাম পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সময় হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেনজীরের অগাধ সম্পদের তদন্ত করতে গিয়ে তার অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের হদিস মিলেছে। দুবাইকেন্দ্রিক ব্যবসার অনুসন্ধান করতে গিয়ে তার কয়েকজন পার্টনারের সন্ধান পাওয়া গেছে। লন্ডনেও তার দু-একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী রয়েছেন। চাকরিতে থাকা অবস্থায় তিনি একাধিকবার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। সেসব দেশে তার ব্যবসার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দুবাইয়ে তার হোটেল ব্যবসার বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। সেখানেও রয়েছে ব্যবসায়িক অংশীদার। বন বিভাগের জমি দখল করে গড়ে তোলা গাজীপুরে ভাওয়াল রিসোর্টের পার্টনারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। গুলশানসহ বিভিন্ন স্থানে তার ল্যান্ড ব্যবসার সঙ্গে একাধিক পার্টনারের সন্ধান মিলেছে। মিডিয়া এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত তার পার্টনারদের তদন্তের আওতায় নেওয়া হচ্ছে। সূত্র জানায়, কক্সবাজার, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া ছাড়াও সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে তার জমির সন্ধান পাওয়া গেছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক . ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, সাবেক আইজিপির দুর্নীতির সহযোগীদেরও অবশ্যই তদন্তের আওতায় আনতে হবে। তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে সম্পদের বিকাশ ঘটিয়েছেন এটি একা করেননি। যোগসাজশে করেছেন। তিনি যে সম্পদ এবং অর্থ উপার্জন করেছেন, সেটি ক্ষমতার অপব্যবহারেই করেছেন তা পরিষ্কার। এক্ষেত্রে তিনি তার প্রাতিষ্ঠানিক এবং পেশার অবস্থানকে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু তিনি এটা এককভাবে করেননি। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতায় করেছেন সেটি নয়, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়ও করেছেন। তার সঙ্গে অনেক যোগসাজশকারী ছিল, সহকারী ছিল এবং অংশীজন ছিল। অনেক ক্ষেত্রে সুরক্ষাকারী ছিল। যারা সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছিল এমন ব্যক্তিবর্গও ছিল। সত্যিকার অর্থে যদি তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হয়, তাহলে তার সহযোগীদেরও এর মধ্যে আনতে হবে। অবশ্যই তাদের দায়ী করতে হবে। কিন্তু তার সহযোগীদের বাদ দিয়ে সত্যিকার জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে না এবং ন্যায়বিচার হবে না।

এরই মধ্যে বেনজীর আহমেদ সপরিবারে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য জানা যাচ্ছে। দুদক সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে বিদেশেও তার সম্পদ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে দুদক। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি  দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে বেনজীর আহমেদ তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ অনুসন্ধানের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) অনুসন্ধানে এসব দেশে সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেলে শুরু হবে পরবর্তী কার্যক্রম। এক্ষেত্রে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্টের (এমএলএআর) আওতায় তথ্য চেয়ে চিঠি দেবে সরকার। তার ভিত্তিতে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনাসহ বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশন আগামী জুন বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে তলব করেছে। কিন্তু এই দুই দিন বেনজীরের পরিবারের সদস্যরা দুর্নীতি দমন কমিশনে আসবে কি না তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।


বেনজীর   পার্টনার   তদন্ত   দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৮:১৬ এএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে আরিফুল ইসলাম নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শনিবার (০১ জুন) রাত আটটার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ভাটারা থানার উপপরিদর্শক মনির হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি বলেন, গত ১৭ মে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি-ব্লকের ওই বাসা ভাড়া নেন আরিফুল ইসলাম। তিনি বিবাহিত বলে জানিয়েছিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা মনির হোসেন আরও বলেন, আরিফুলের বুকে গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।


রাজধানী   বসুন্ধরা   মরদেহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ থেকে শুরু ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি

প্রকাশ: ০৮:১০ এএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আজ থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম টিকিট বিক্রির বিষয়টি ঘোষণা করেন।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ জুনকে ঈদের দিন ধরে আগামী ২ জুন আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

এবার দুই সময়ে ট্রেনের আসন বিক্রি করা হবে। পশ্চিমাঞ্চলের আসন বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে। আর পূর্বাঞ্চলের আসন বিক্রি শুরু হবে দুপুর ২টায়। রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে সহজেই যাত্রীরা এই আসন সংগ্রহ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।

রেলওয়ের ওয়েবসাইটে (https://eticket.railway.gov.bd) প্রবেশ করতে হবে। এরপর ওয়েবসাইটের ওপরে থাকা রেজিস্ট্রেশন ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এতে রেজিস্ট্রেশনের জন্য নতুন একটি পেজ আসবে। এ পেজে মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে I'm not a robot বক্সে ক্লিক করতে হবে। তারপর ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করতে হবে। তখন মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি চলে আসবে। সব তথ্য ঠিক থাকলে রেজিস্ট্রেশন সফল হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে নতুন একটি পেজ আসবে। এখানে ইউজার অটো লগইন হয়ে যাবে।

ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কিনবেন যেভাবে-

এবারও প্রথমে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। লগইন না হয়ে থাকলে পুনরায় লগইন বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর যে পেজ আসবে তাতে কাঙ্ক্ষিত ভ্রমণ তারিখ, প্রারম্ভিক স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন, শ্রেণি পূরণ করে ফাইন্ড টিকিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ট্রেন অনুযায়ী ভিউ সিটস বাটনে ক্লিক করে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে পছন্দের আসন সিলেক্ট করে কন্টিনিউ পারচেজে ক্লিক করতে হবে। ভিসা, মাস্টার কার্ড কিংবা বিকাশে পেমেন্ট করলে একটি ই-টিকিট অটো ডাউনলোড হবে। পাশাপাশি যাত্রীর ইমেইলে টিকিটের কপি চলে যাবে।


ট্রেন   অগ্রিম টিকিট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪০ শতাংশ ভবন ধসবে

প্রকাশ: ১০:১০ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর অদূরে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর ফল্টে যদি দিনের বেলায় দশমিক মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তাহলে রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ আর সর্বোচ্চ ৬৫ শতাংশ ভবন ধসে পড়বে।

শনিবার ( জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আয়োজিত ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলাবিষয়ক এক সেমিনারে তথ্য জানানো হয়।

সেমিনারে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল লতিফ হেলালী বলেন, ঢাকায় কাঁচা-পাকা মিলিয়ে ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৬টি ভবন আছে। এগুলোর মধ্যে লাখ ১৩ হাজার ৫০৭টি পাকা বা কংক্রিটের ভবন। আধা পাকা ভবন আছে লাখ ৭৭ হাজার ৬২০টি। টাঙ্গাইলের মধুপুরে দিনের বেলা দশমিক মাত্রার ভূমিকম্প হলে রাজধানীর ঢাকায় লাখ ৬৫ (৪০.২৮ শতাংশ) হাজার ভবন ধসে পড়বে। দিনের বেলায় এই ভূমিকম্প হলে মারা যাবে লাখ ১০ হাজার মানুষ, আহত হবে লাখ ২৯ হাজার। ভূমিকম্পে আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। ভূমিকম্পের পর ভবন মেরামত পুনর্নির্মাণে সরকারকে ব্যয় করতে হবে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা।

হেলালী বলেন, সিলেটের ডাউকি চ্যুতি রেখায় দশমিক মাত্রার একটি ভূমিকম্প হলে ঢাকার কমপক্ষে ৪০ হাজার ৯৩৫টি (.৯১ শতাংশ) ভবন ধসে পড়বে। দিনের বেলায় ভূমিকম্পটি হলে ১৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। আহত হবে ২৮ হাজার মানুষ। এই মাত্রার ভূমিকম্পে আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভূমিকম্পের পর ভবন মেরামত পুনর্নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা  সালমান এফ রহমান বলেন, ১২৫ বছর ধরে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সহসাই একটি বড় ভূমিকম্প হতে পারে। তাই বিষয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছে সরকার। যত দ্রুত সম্ভব কাজটি করতে হবে। সরকার ভূমিকম্প সহনীয় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এলাকা চিহ্নিত করছে। ঢাকা শহরকে ভূমিকম্প সহনশীল করে তুলতেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

গৃহায়ন গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, দ্রুত নগরায়ণ, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবের কারণে ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা শহর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত স্থানসমূহ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার দ্রুত বৃদ্ধি এবং অভিবাসনের ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে। ভবনের তদারকির সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম চাপিয়ে না দিয়ে জনগণের মাঝে ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সবাই একত্রে কাজ করেই রাজধানীকে ভূমিকম্প সহনশীল করতে হবে।

রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম। ছাড়া গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকা, এডিবি, আইইবি, বিআইপি, আইডিইবির প্রতিনিধিসহ দেশীয় আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।


ঢাকা   ভূমিকম্প   ভবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টির পূর্বাভাসে সিলেটে ফের বন্যার শঙ্কা

প্রকাশ: ০৮:২৩ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সিলেটের কোথাও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, আবার কোথাও অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে শনিবার (১ জুন) সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৪টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সিলেট মহানগরীর বেশ কিছু বাসা-বাড়িতে নতুন করে ঢুকছে পানি। সিলেট বিভাগে আগামী তিন দিনের বৃষ্টির পূর্বাভাসে নতুন করে বন্যার শঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। তবে নতুন করে বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হবে না বলে আশা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ গণমাধ্যমকে বলেন, পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ৭ উপজেলা ও সিলেট নগরী বন্যাকবলিত হয়। শনিবার (১ জুন) নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে নগরীর কিছু এলাকা। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলগুলো দ্রুত প্লাবিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, গত কয়েক দিন আগে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও নতুন করে বেড়েছে সিলেট পয়েন্টের পানি। এরই মধ্যে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে সিলেট নগরীতে আবারও বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শনিবার (১ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার এবং জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে কুশিয়ারা দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে অমলসিদ পয়েন্টে ১৯৪ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।


বৃষ্টি   পূর্বাভাস   সিলেট   বন্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন