মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে স্ত্রী পরকীয়া ও বিদেশ থেকে সৌদি প্রবাসী শাশুড়ির পাঠানো ৩ লাখ টাকা চেয়ে না পেয়ে স্ত্রী ও খালা শাশুড়িকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর পলাতক আসামি রুবলে হোসনেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোবাবার (২ মে) সন্ধ্যায় বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মাসুন্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রুবেল হোসেন নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
সোমবার (৩ মে) দুপুরে জয়পুরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ১২ বছর আগে রুবেল হোসেন আক্কেলপুর উপজেলার হলহলিয়া গ্রামের সোলায়মান আলীর মেয়ে মিতুকে বিয়ে করে ঘর জামাই থাকেন। গত সোমবার (২৭ মে) সকালে স্ত্রী নিজ বাড়িতে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। এসময় রুবেল ফোনে কথা বলা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ফোনটি ভেঙে ফেলেন। এরপর সৌদি প্রবাসী শাশুড়ির পাঠানো ৩ লাখ টাকা চেয়ে না পেয়ে তাকে ধারালো ছুরিকাঘাত করলে মিতু চিৎকারে খালা শাশুড়ী এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন রুবেল। বোন কে বাচাঁতে আসলে আহত হন শ্যালক নীরবও।
তিনি আরও জানান, পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলেয়া বেগম সেখানেই মারা যান। আর মিতুকে বগুড়া নেওয়ার পথে পথিমধ্যেই মারা যান।
ঘটনার পর থেকে রুবেল পলাতক ছিলেন বলে তাকে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুবলের দেওয়া তথ্য মতে খুনরে কাজে ব্যবহার করা চাকুটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পরর্বতী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মামুন খান চিশতী,আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নয়ন হোসেন।
স্ত্রী শাশুড়ি হত্যা আসামী গ্রেপ্তার
মন্তব্য করুন
নিমতলী ট্রাজেডি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
মাসিক বা ঋতুস্রাব প্রজনন চক্রের সবচেয়ে প্রাকৃতিক এবং অপরিহার্য অংশগুলোর একটি। কিন্তু এখনো এটি সমাজে একটি নিষিদ্ধ বা ট্যাবু বিষয়। ঋতুস্রাব নিয়ে সমাজে কুসংস্কারের জন্য দৈনন্দিন কাজে নারীদের তৎপরতা বাধাগ্রস্ত হয়। এই ট্যাবু ভাঙতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস উপলক্ষ্যে ব্র্যাকের ‘অধিকার এখানে, এখনই প্রকল্প’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সোমবার (৩জুন) নওগাঁ শহরের দয়ালের মোড় চক এনায়েত উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আসুন, সবাই মিলে গড়ি মাসিক বান্ধব পৃথিবী।’
অনুষ্ঠানে নারী ও কিশোরীদের পাশাপাশি মাসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং প্রচারে অবদান রেখেছেন এমন বিভিন্ন খাতের ব্যক্তি এবং অভিভাবকেরা অংশ নেন। এ আয়োজনে কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালিন বিভিন্ন সমস্যার সচিত্র প্রদর্শনী, নাটিকা, গল্প ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা, কুইজ, প্রশ্নোত্তর, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পরিবর্তনের গল্প, সরকারি অঙ্গীকার এবং উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ব্র্যাকের ইয়ুথ সদস্য সুমাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় ইয়ুথ সদস্য লামিয়া মেহজাবিনের উদ্বোধনী ভাষণ দিয়ে। তিনি মাসিক স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর গুরুত্ব দেন।
নওগাঁ জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল আজিম বলেন, কুসংস্কারের কারণে নারীরা মাসিকের সময় অস্বাস্থ্যকরভাবে মাসিক ব্যবস্থাপনা করেন। ফলে তাঁরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। এজন্য নারীদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদার সাথে মাসিক ব্যবস্থাপনার জন্য নীতিগত ও পদ্ধতিগত সমাধানের পাশাপাশি মাসিকের প্রয়োজনীয় উপকরণের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার দাবী জানান তিনি।
মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সালমা আক্তার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এক হাজার স্কুলে শুরু হওয়া “জেনারেশন ব্রেকথ্রু” প্রোগ্রামটি ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেয়েছে। যা কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও উন্নয়নের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের কথা বলে।’
অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ পর্ব ছিল যুব ও কিশোর সম্মিলন। এখানে তরুণ অংশগ্রহণকারীরা মাসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা প্রকাশ করার সুযোগ পায়।
অনুষ্ঠানে পরিবর্তনমূলক গল্প তুলে ধরেন ব্র্যাকের অধিকার এখানে,এখনই প্রকল্পের এরিয়া কোঅর্ডিনেটর মাধুরী সুত্রধর এবং জেলা যুব সংগঠক ফারজানা রেজা রুমী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইলয়াস তুহিন রেজা, ব্র্যাক প্রধান কার্যালয়ের কমিউনিকেশন এন্ড নলেজ ম্যানেজমেন্টের সিনিয়র অফিসার চৌধুরী নওশীন তাবাসসুম, খান ফাউন্ডেশনের মাসুদুর রহমান ও প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম।
কুসংস্কার সামাজিক ব্যাধি মাসিক ঋতুস্রাব
মন্তব্য করুন
বিপুল সংখ্যক মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের শেষ সময়ে যেতে না পারার ঘটনায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সোমবার (৩ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও উড়োজাহাজের টিকিট সংকটে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো উড়োজাহাজে আসনসংখ্যা বাড়িয়ে এবং বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা এ জন্য দায়ী করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি ও উদাসীনতাকে।
তারা বলছেন, গত মার্চেই মালয়েশিয়া বিদেশি কর্মী প্রবেশের জন্য ৩১ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেও মন্ত্রণালয় এ নিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দেয় ১৬ মে। ফলে শেষ মুহূর্তে উড়োজাহাজের টিকিটের তীব্র সংকট তৈরি হয়। অন্যদিকে ৩১ মে এর মধ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের ডেডলাইনকে ঘিরে মে মাসের শেষ দশ দিনে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীর কাছ থেকে টিকিটের অজুহাতে মাথাপিছু অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া মালয়েশিয়া বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ইতিপূর্বে বাংলাদেশী শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করলেও পরবর্তীতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগে দেশটিতে পুনরায় শ্রম বাজার খোলা হয়। মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন যে, তারা মালয়েশিয়ার ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও কতিপয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে মালয়েশিয়া যেতে পারছেন না। জমি বিক্রি করে ও চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার টাকা জোগাড় করেও শেষ পর্যন্ত যেতে না পেরে তারা এখন নিঃস্ব। শেষ দশ দিনে বিমানের টিকিটের অজুহাতে ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীর নিকট থেকে অর্থ আদায়ের বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সক্রিয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের হয়রানি ও তাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং সেই দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীরা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বলে জানা যায়।
আর এতে করে চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে তাদের মানবাধিকার। এজন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কমিশন মনে করে, এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য অনতিবিলম্বে তদন্তপূর্বক প্রভাবশালী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে অভিযোগে উল্লিখিত শ্রমিকদের হয়রানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছে তার মধ্যে রয়েছে-
১. মালয়েশিয়ার প্রবেশের শেষ সময়সীমাকে কেন্দ্র করে যারা শেষ দশ দিনে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীর কাছ থেকে বিমানের টিকিটের অজুহাতে মাথাপিছু অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগটি তদন্ত করে দায়ী প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও যথাসময়ে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে না পারার পেছনে দায়ী প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভিসা প্রাপ্ত শ্রমিকদের মালয়েশিয়া প্রেরণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৩. প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায়পূর্বক নাম-সর্বস্ব কোম্পানিতে শ্রমিকদের প্রেরণ এবং মালয়েশিয়া যাওয়ার পর কাজ না পাওয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করার জন্য সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-কে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১০ জুলাই ২০২৪ তারিখ প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া কেলেঙ্কারি মানবাধিকার কমিশন
মন্তব্য করুন
দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন অফিস সূচি নির্ধারণ করেছে মন্ত্রিসভা। ঈদুল আজহার পর নতুন সূচি ধরে স্বাভাবিক নিয়মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে অফিস।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত করা হয়। তবে আসছে ঈদুল আজহার পর থেকে অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
সরকারি অফিস ঈদুল আযহা অফিস টাইম রমজান
মন্তব্য করুন
মাসিক বা ঋতুস্রাব প্রজনন চক্রের সবচেয়ে প্রাকৃতিক এবং অপরিহার্য অংশগুলোর একটি। কিন্তু এখনো এটি সমাজে একটি নিষিদ্ধ বা ট্যাবু বিষয়। ঋতুস্রাব নিয়ে সমাজে কুসংস্কারের জন্য দৈনন্দিন কাজে নারীদের তৎপরতা বাধাগ্রস্ত হয়। এই ট্যাবু ভাঙতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস উপলক্ষ্যে ব্র্যাকের ‘অধিকার এখানে, এখনই প্রকল্প’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।