ইনসাইড বাংলাদেশ

তারুণ্যের জয়যাত্রা: বাংলাদেশের স্মার্ট লাইভস্টোক (ভিডিও)

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বায়নের এ যুগে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী। এক দেশ থেকে আরেক দেশে নানা প্রয়োজনে ছুঁটছে মানুষ। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের অনেক তরুণ তরুণী উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। কেউ কেউ শিক্ষা জীবন শেষে দেশে ফিরলেও খাপ খাওয়াতে না পেরে ভুগছে হতাশায়। অনেকেই আবার উচ্চশিক্ষা থেকে থেকে যাচ্ছে বিদেশে। ফলে একদিকে যেমন মেধাবী শিক্ষার্থীদের হারাচ্ছি আমরা, অন্যদিকে তারাও দেশকে দিতে পারছেন না শিক্ষার ফসল।

উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান আলভিন আলী শাহীন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইউনিভার্সিটি লা ভার্ন থেকে ম্যানেজমেন্ট এবং ফিন্যান্সে ব্যাচেলর ডিগ্রি চলাকালীন সময়েই তার ভাবনায় আসে দেশে ফিরে নিজে একজন খামারি হবেন। স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় গিয়ে অনেকেই নিজের শেকড় ও দেশকে ভুলে গিয়ে সেখানে থিতু হবার পরিকল্পনা করলেও নিজের লালন করা স্বপ্ন পূরণে অবিচল ছিলেন শাহীন। স্নাতক শেষ করে দেশে ফিরে এখন পুরোদস্তুর একজন সফল খামারি হয়ে উঠেছেন আলভিন আলী শাহীন। নিজের জ্ঞান ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলেছেন “মেঘডুবি” নামের একটি স্মার্ট ও আধুনিক গরুর খামার। 

বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপকালে শাহীন বলেন, আমি দেশের বাইরে থাকতেই দেখেছি এই খাতে অনেক কিছু করার আছে। আলাদা একটা সম্ভাবনায়ময় খাত বলতে পারেন এটিকে। আমাদের দেশে একটা সময় ইসলামপুরের কাপড় ব্যবসায়ীদের মানুষ কাপড়ওয়ালা বলে ডাকত। কিন্তু আপনি দেখেন এই ইন্ডাস্ট্রিটি আজ দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ আমাদের দেশের অর্থনীতিকে পাল্টে দিয়েছে। ভবিষ্যতে প্রাণিসম্পদ খাত সেখানে দাঁড়াবে বলে আমার কাছে মনে হয়। দেশে এসে আমার বন্ধুরা আমাকে খামারি বলে ডাকে। কিন্তু আমি এটা বেশ উপভোগ করি।

আলভিন আলী শাহীন, পরিচালক, মেঘডুবি এগ্রো
আলভিন আলী শাহীন আরও জানান যে, আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবারও আমাদের খামারে প্রায় ১১০০ পশু প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। প্রতিবছর রোজার পরপরই আমাদের কোরবানির গরু বিক্রি শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি অনলাইনেও আমরা গরু বিক্রির ব্যবস্থা করি। কোরবানির সময়ে অনলাইনে ৬০ হাজার থেকে এক লাখ ১০ হাজার এই মূল্যের গরুর চাহিদা বেশি থাকে। আমরা আমাদের খামারে সর্বনিম্ন ৬০ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০ লাখ পর্যন্ত দামের গরু বিক্রি করে থাকি।

বিদেশে ডিগ্রি নিয়ে দেশে এসে কেন খামারি হলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে আলভিন আলী শাহীন বলেন, আমাদের দেশে এখনও অনেক খামারি আছেন যারা এই খাতে লাভ-লোকসান না বুঝে ব্যবসা করতে আসেন। অথচ এটি একটি সম্ভাবনাময় খাত। আমাদের মতো শিক্ষিত মানুষেরা যদি কাজ এই খাত নিয়ে কাজ না করি তাহলে তো দেশ উপকৃত হবে না। আমি দেশের বাইরে পড়াশুনা করেছি বটে কিন্তু আমার কাছে দেশের চাওয়া আছে। দেশের প্রতি আমার একটা দায়িত্বরোধ আছে। আমি উচ্চ শিক্ষিত হয়েছি এবং এর ফল শুধু আমার পরিবার ভোগ করবে সেটা আমার কাছে ঠিক মনে হয়নি। দেশেরও প্রত্যাশা আছে আমার কাছে। সেজন্য আমি  বিদেশে থাকিনি। দেশে এসেছি।

শাহীনের মতো আরও অনেক তরুণের হাত ধরেই প্রাণিসম্পদ খাত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, কুটির শিল্পের মতো গড়ে ওঠা এই খাতটি এখন শিল্পে রুপ নিয়েছে। ভারত ও মিয়ানমার নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টায় চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ এখন গরু পালন করছে। কোরবানিতে পশু বিক্রয়ের মাধ্যমে বছরের বৃহৎ অংশ জুড়ে পরিবারিক অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হচ্ছে। স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে গরু ও ছাগল উৎপাদনে। দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি কর্মসংস্থান হচ্ছে গ্রামীণ জনপদের হাজার হাজার নারী পুরুষের। কয়েক বছর আগেও কোরবানিতে পশুর চাহিদার বড় অংশ মিটতো প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত এবং মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি করে। বর্তমানে সে চিত্র আর নেই। 


প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, দেশে এবার প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭ টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ৭১৬টি গরু ও মহিষ, ৭৬ লাখ ১৭ হাজার ৮০১টি ছাগল-ভেড়া, এক হাজার ৮৫০টি অন্যান্য প্রজাতির প্রাণী প্রস্তুত আছে। দেশের চাহিদা কোটি ৭ লাখ দুই হাজার ৩৯৪টি। অর্থাৎ কোনরকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কায় থাকতে হয় না দেশের মানুষদের। অথচ কয়েক বছর আগেও চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। কিন্তু বর্তমান সরকারের সাহসী ও যুগোপযোগী নানা পদক্ষেপের কারণে গবাদি পশু উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। উল্লেখ্য যে, গরু-মোটাতাজাকরণে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে আড়াই শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হয় খামারিদের। ওই সুবিধা পেয়ে সারাদেশে অসংখ্য শিক্ষিত তরুণ গরুর খামার গড়ে তুলতে শুরু করেন, যার সুফল পাচ্ছে দেশ।

সম্প্রতি রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও পরিবহন নিশ্চিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান জানান, এবার কোনবানির জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। খামারিদের নানা ধরনের পরামর্শ ও কোরবানির পশুর স্বাস্থ্যগত সেবা দেওয়া হয়। মাঠ পর্যায়ে মনিটরিংয়ের জন্যও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা নেমে পড়েছেন। কেউ যাতে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণে ওষুধ ব্যবহার না করেন, সে বিষয়েও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। 

গবাদি পশু উৎপাদনে বাংলাদেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বেসরকারি খাতকে সাথে নিয়ে একযোগে প্রাণিসম্পদের বিকাশ। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ক্ষুদ্র খামারিদের নিয়ে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন, তাদের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে একটি সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠেছে প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাতে সম্ভাবনা থাকায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসায় নামছেন নতুন নতুন খামারি। এক দশকে ১৪২ শতাংশের বেশি গবাদিপশুর উৎপাদন বেড়েছে। অনেকে গৃহস্থ থেকে এখন পুরোপুরি খামারিতে পরিণত হয়েছেন। যুক্ত হচ্ছেন উচ্চ শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি সারাদেশে গরু-ছাগলের চাষ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে যেসব এনজিও কাজ করছে, তাদের অধিকাংশ এখন ঋণ দিচ্ছে গরু পালনে। এ খাতে বিনিয়োগ করছে ব্যাংকগুলোও। এতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গরু ও ছাগল পালন বৃদ্ধির পাশাপাশি চামড়াশিল্পেও রপ্তারি আয় বাড়ছে।

বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ইমরান হোসেন বলেন, দেশি গরুর চাহিদা বাড়ায় শিক্ষিত তরুণ ও প্রবাসীরা গবাদিপশুর খামারে বিনিয়োগ করছেন। গরু আমদানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে এ খাতে বিনিয়োগ আরও বাড়বে। কোরবানির হাটে ক্রেতারা দেশি গরু খোঁজেন হন্য হয়ে। তারা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে মোটা করা বিদেশি গরু কিনতে চান না। তাই বর্তমানে দেশী গরুর চাহিদা বাড়ায় স্বস্তিতে আছেন আমাদের দেশী গরুর খামারিরা। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।
প্রাণিসম্পদ খাতে শিক্ষিত তরুণদের উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, যারা একদম ছোট পর্যায়ে শুরু করার চিন্তা ভাবনা করে আমরা তাদেরকে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার একটা পরিকল্পিত প্রস্তাব চিন্তা ভাবনা করছি। এটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলার বিষয়টি নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। ধরুন, একজন মানুষের দুটি গাভীর দাম ৫ লাখ টাকা। সেক্ষেত্রে যদি তার নিজস্ব একটা পুঁজি থাকে এবং বাড়তি পুঁজি যদি লোনভিত্তিক হয় তাহলে তার একটা মনস্ততাত্ত্বিক সাহস বা আগ্রহ সেটা বাড়বে। এছাড়া আমাদের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। যেটা বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে চলছে। সেক্ষেত্রে যারা নিজেরা খামার করতে চায় তাদের জন্য ৬০:৪০ এই অনুপাতে একটা সহযোগিতা আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে সেটা অনুদান হিসেবেও দেওয়া হয়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এটা লোন আকারে দেওয়া হয়। সুতরাং যারা এই ব্যাপারে উৎসাহী হবে এবং আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসবে তাদের জন্য এই সুযোগগুলো আছে। 

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে নানা উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আছে এবং একদমেই যাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উপার্জন করার বিকল্প কোন ব্যবস্থা নাই সেক্ষেত্রে আমরা একটা সাহায্য তাদের দিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে কিছু ছাগল বা বকনা বাছুর আমরা দিয়ে থাকি।

সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তরুণরা দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে আজ সম্ভাবনা ছড়াচ্ছে। শাহীনদের মতো উচ্চশিক্ষিত তরুণরা একদিকে যেমন উন্নত ও নতুন নতুন প্রযুক্তির সমন্বয়ে গড়ে তুলছে স্মার্ট ও আধুনিক খামার, তেমনি অনেক বেকার যুবক দরকারি প্রশিক্ষণ, জ্ঞান এবং প্রয়োজনীয় ঋণ নিয়ে নিজেরাই শুরু করছে আধুনিক ও স্মার্ট খামার। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের এই খাত, স্মার্ট লাইভস্টোকের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।  




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার ঘটনায় পলাতক আসামী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৬:৪২ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে স্ত্রী পরকীয়া ও বিদেশ থেকে সৌদি প্রবাসী শাশুড়ির পাঠানো ৩ লাখ টাকা চেয়ে না পেয়ে স্ত্রী ও খালা শাশুড়িকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর পলাতক আসামি রুবলে হোসনেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 


রোবাবার (২ মে) সন্ধ্যায় বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মাসুন্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রুবেল হোসেন নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

সোমবার (৩ মে) দুপুরে জয়পুরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান।   

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ১২ বছর আগে রুবেল হোসেন আক্কেলপুর উপজেলার হলহলিয়া গ্রামের সোলায়মান আলীর মেয়ে মিতুকে বিয়ে করে ঘর জামাই থাকেন। গত সোমবার (২৭ মে) সকালে স্ত্রী নিজ বাড়িতে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে  ফোনে কথা বলছিলেন। এসময় রুবেল ফোনে কথা বলা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ফোনটি ভেঙে ফেলেন। এরপর  সৌদি প্রবাসী শাশুড়ির পাঠানো ৩ লাখ টাকা চেয়ে না পেয়ে  তাকে ধারালো  ছুরিকাঘাত করলে মিতু চিৎকারে খালা শাশুড়ী এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন রুবেল। বোন কে বাচাঁতে আসলে আহত হন শ্যালক নীরবও।

তিনি আরও জানান, পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলেয়া বেগম সেখানেই মারা যান। আর মিতুকে বগুড়া নেওয়ার পথে পথিমধ্যেই মারা যান।

ঘটনার পর থেকে রুবেল পলাতক ছিলেন বলে তাকে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার   করা হয়। রুবলের দেওয়া  তথ্য মতে খুনরে কাজে ব্যবহার করা চাকুটি উদ্ধার করা হয়েছে।

আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পরর্বতী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মামুন খান চিশতী,আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নয়ন হোসেন।


স্ত্রী   শাশুড়ি   হত্যা   আসামী   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিমতলী ট্রাজেডি: দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এড়িয়ে গেছেন দায়িত্ব

প্রকাশ: ০৬:২৫ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘নিমতলী ট্রাজেডিতে শিল্প মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ দায় এড়াতে পারে না। দায়ীদের বিচারের আওতায় এনে সুবিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।

তিনি বলেন, দেশে অগ্নিকাণ্ডের অন্যতম বড় দুর্ঘটনা নিমতলী ট্র্যাজেডি। আজ সেই মর্মস্পর্শী ও হৃদয়বিদারক ঘটনার ১৪ বছর অভিক্রান্ত হলো। এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, এটি দেশে আইনের শাসনের দীর্ঘসূত্রতা, বিচারহীনতা আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট উদাহরণ।

সোমবার (৩ জুন) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি এ কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১০ সালের ৩ জুন রাতে ভয়াবহ আগুনে ঝরে যায় ১২৪টি প্রাণ। রাসায়নিকের গুদামে রক্ষিত দাহ্য পদার্থের কারণেই পুরান ঢাকার নবাব কাটরার নিমতলীতে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ হতাহতের ঘটনায় ডিএমপির বংশাল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। কোনো মামলা হয়নি। এতে আগুনের ঘটনার জন্য দায়ীদের শনাক্ত করা যায়নি। বহুল আলোচিত এ ঘটনায় কাউকে দোষী করা যায়নি। এঁ ঘটনায় নিয়মিত মামলা দায়ের না হওয়ায় দায়ীদের বিচারের বিষয়টি আড়ালেই থেকে গেছে। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি “টেক্সটবুক” উদাহরণ হিসেবে স্বীকৃতির দাবি রাখে।

নিমতলীর ঘটনার পর পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারি নানা নির্দেশনা জারি হয়। নিমতলী ও ঢুরিহাট্রা ট্রাজেডির যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি এখন পর্যন্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই মর্মস্পর্শী দুর্ঘটনায় সব হারিয়ে ফেলা তিন বোনের বিবাহের ব্যবস্থা করেন, তাদের স্বামীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। মন্ত্রিপরিষদ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। অথচ মর্মবেদনা জাগানো এই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এড়িয়ে গেছেন দায়-দায়িত্ব অথবা দায় চাপিয়েছেন অন্যের উপর। ২০১০ সালে এলাকাবাসীর গণদাবীর মুখে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সরকার উদ্যোগ নেয়। 

সেই উদ্যোগের পর পেরিয়ে গেছে আরও ১৪টি বছর। এই ১৪ বছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন চারজন মন্ত্রী; মন্ত্রণালয়টিতে আটজন সচিব দায়িত্ব পালন করেছেন; ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনসহ) তিনজন মেয়র দায়িত্ব পালন করেছেন; ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক পদে দায়িত্বরত ছিলেন পাঁচজন। কিন্তু রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থের গুদামঘর স্থানাস্তরের অগ্রগতি খুবই মন্থুর। নিমতলীর ঘটনায় বংশাল থানায় দায়ের করা জিডির কপি থানা কর্তৃপক্ষ খুঁজে পাচ্ছে না মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নিয়ম হচ্ছে, কোনো ঘটনায় জিডি হলে পুলিশকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হয়। কিন্তু ১৪ বছর পরও প্রতিবেদন দেয়নি পুলিশ। উল্টো জিডির নথিপত্রও এখন থানায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এত বড় একটি হৃদয়বিদারক ঘটনায় জিডির কপি হারিয়ে ফেলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের বংশাল থানার দায় রয়েছে; এই দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

চুড়িহাট্রা দুর্ঘটনায় ৭১ জন, সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকান্ডে ৫২ জন শ্রমিক, বনানীর এফআর টাওয়ার অগ্নিকান্ডে ২৬ জন, আর সাম্প্রতিক সময়ে বেইলি রোডের গ্রীণ কোজি কটেজের অগ্নিকান্ডে ৪৬ জন প্রাণ হারায়। এইরূপ দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে, বিপুল সংখ্যক প্রাণহানিও ঘটেছে; অথচ এ সকল দুর্ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদানের একটি নজিরও নেই। মানবাধিকার ও সুশাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দায়িত্বে অবহেলাজনিত ব্যর্থতার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

নিমতলী ট্রাজেডি   জাতীয় মানবাধিকার কমিশন   ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুসংস্কার ভাঙতে চাই সামাজিক সচেতনতা

প্রকাশ: ০৬:২৭ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মাসিক বা ঋতুস্রাব প্রজনন চক্রের সবচেয়ে প্রাকৃতিক এবং অপরিহার্য অংশগুলোর একটি। কিন্তু এখনো এটি সমাজে একটি নিষিদ্ধ বা ট্যাবু বিষয়। ঋতুস্রাব নিয়ে সমাজে কুসংস্কারের জন্য দৈনন্দিন কাজে নারীদের তৎপরতা বাধাগ্রস্ত হয়। এই ট্যাবু ভাঙতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস উপলক্ষ্যে ব্র্যাকের ‘অধিকার এখানে, এখনই প্রকল্প’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

 

সোমবার (৩জুন) নওগাঁ শহরের দয়ালের মোড় চক এনায়েত উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আসুন, সবাই মিলে গড়ি মাসিক বান্ধব পৃথিবী।’

 

অনুষ্ঠানে নারী ও কিশোরীদের পাশাপাশি মাসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং প্রচারে অবদান রেখেছেন এমন বিভিন্ন খাতের ব্যক্তি এবং অভিভাবকেরা অংশ নেন। এ আয়োজনে কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালিন বিভিন্ন সমস্যার সচিত্র প্রদর্শনী, নাটিকা, গল্প ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা, কুইজ, প্রশ্নোত্তর, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পরিবর্তনের গল্প, সরকারি অঙ্গীকার এবং উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।

 

ব্র্যাকের ইয়ুথ সদস্য সুমাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় ইয়ুথ সদস্য লামিয়া মেহজাবিনের উদ্বোধনী ভাষণ দিয়ে। তিনি মাসিক স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর গুরুত্ব দেন।

 

নওগাঁ জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল আজিম বলেন, কুসংস্কারের কারণে নারীরা মাসিকের সময় অস্বাস্থ্যকরভাবে মাসিক ব্যবস্থাপনা করেন। ফলে তাঁরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। এজন্য নারীদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদার সাথে মাসিক ব্যবস্থাপনার জন্য নীতিগত ও পদ্ধতিগত সমাধানের পাশাপাশি মাসিকের প্রয়োজনীয় উপকরণের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার দাবী জানান তিনি।

 

মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সালমা আক্তার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এক হাজার স্কুলে শুরু হওয়া “জেনারেশন ব্রেকথ্রু” প্রোগ্রামটি ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেয়েছে। যা কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও উন্নয়নের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের কথা বলে।’

 

অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ পর্ব ছিল যুব ও কিশোর সম্মিলন। এখানে তরুণ অংশগ্রহণকারীরা মাসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা প্রকাশ করার সুযোগ পায়।

 

অনুষ্ঠানে পরিবর্তনমূলক গল্প তুলে ধরেন ব্র্যাকের অধিকার এখানে,এখনই প্রকল্পের এরিয়া কোঅর্ডিনেটর মাধুরী সুত্রধর এবং জেলা যুব সংগঠক ফারজানা রেজা রুমী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইলয়াস তুহিন রেজা, ব্র্যাক প্রধান কার্যালয়ের কমিউনিকেশন এন্ড নলেজ ম্যানেজমেন্টের সিনিয়র অফিসার চৌধুরী নওশীন তাবাসসুম, খান ফাউন্ডেশনের মাসুদুর রহমান ও প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম।


কুসংস্কার   সামাজিক ব্যাধি   মাসিক   ঋতুস্রাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের পদক্ষেপ

প্রকাশ: ০৫:০৪ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিপুল সংখ্যক মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের শেষ সময়ে যেতে না পারার ঘটনায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সোমবার (৩ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও উড়োজাহাজের টিকিট সংকটে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো উড়োজাহাজে আসনসংখ্যা বাড়িয়ে এবং বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা এ জন্য দায়ী করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি ও উদাসীনতাকে।

তারা বলছেন, গত মার্চেই মালয়েশিয়া বিদেশি কর্মী প্রবেশের জন্য ৩১ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেও মন্ত্রণালয় এ নিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দেয় ১৬ মে। ফলে শেষ মুহূর্তে উড়োজাহাজের টিকিটের তীব্র সংকট তৈরি হয়। অন্যদিকে ৩১ মে এর মধ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের ডেডলাইনকে ঘিরে মে মাসের শেষ দশ দিনে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীর কাছ থেকে টিকিটের অজুহাতে মাথাপিছু অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া মালয়েশিয়া বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ইতিপূর্বে বাংলাদেশী শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করলেও পরবর্তীতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগে দেশটিতে পুনরায় শ্রম বাজার খোলা হয়। মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন যে, তারা মালয়েশিয়ার ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও কতিপয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে মালয়েশিয়া যেতে পারছেন না। জমি বিক্রি করে ও চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার টাকা জোগাড় করেও শেষ পর্যন্ত যেতে না পেরে তারা এখন নিঃস্ব। শেষ দশ দিনে বিমানের টিকিটের অজুহাতে ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীর নিকট থেকে অর্থ আদায়ের বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সক্রিয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের হয়রানি ও তাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং সেই দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীরা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বলে জানা যায়।

আর এতে করে চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে তাদের মানবাধিকার। এজন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কমিশন মনে করে, এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য অনতিবিলম্বে তদন্তপূর্বক প্রভাবশালী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে অভিযোগে উল্লিখিত শ্রমিকদের হয়রানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছে তার মধ্যে রয়েছে-

১. মালয়েশিয়ার প্রবেশের শেষ সময়সীমাকে কেন্দ্র করে যারা শেষ দশ দিনে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীর কাছ থেকে বিমানের টিকিটের অজুহাতে মাথাপিছু অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগটি তদন্ত করে দায়ী প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২.  ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও যথাসময়ে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে না পারার পেছনে দায়ী প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভিসা প্রাপ্ত শ্রমিকদের মালয়েশিয়া প্রেরণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

৩. প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায়পূর্বক নাম-সর্বস্ব কোম্পানিতে শ্রমিকদের প্রেরণ এবং মালয়েশিয়া যাওয়ার পর কাজ না পাওয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করার জন্য সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-কে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১০ জুলাই ২০২৪ তারিখ প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হয়েছে।


মালয়েশিয়া কেলেঙ্কারি   মানবাধিকার কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাড়ল সরকারি অফিসের সময়সূচি

প্রকাশ: ০৪:৪৩ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন অফিস সূচি নির্ধারণ করেছে মন্ত্রিসভা। ঈদুল আজহার পর নতুন সূচি ধরে স্বাভাবিক নিয়মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে অফিস।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত করা হয়। তবে আসছে ঈদুল আজহার পর থেকে অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।


সরকারি অফিস   ঈদুল আযহা   অফিস টাইম   রমজান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন