মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মির্জা আজম ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়া রুহুল কবির রিজভী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জহিরউদ্দিন স্বপন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, উচ্চমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তরাও এখন পশু কোরবানি করার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছেন। সরকার মানুষের ঈদের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। তাই গরুর হাটে লোক নেই। এরপরে যারাও আছেন, হাটে গরু কিনছেন তাদের বেশির ভাগ সরকারের দুর্নীতিবাজ লোক।
রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় কোরবানির বাজারে পশুসহ নানা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরকারকে দায়ী করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই চরম অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শেয়ারবাজার থেকে আরম্ভ করে পাড়া-মহল্লার কাঁচাবাজার পর্যন্ত প্রতিটি সেক্টরেই সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অসহায় সাধারণ জনগণ। বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা, এলাচির কেজি চার হাজার টাকা, লবঙ্গের কেজি প্রায় দুই হাজার, দারুচিনির কেজি প্রায় ৬০০ টাকা, তেজপাতার কেজি ৩০০ টাকা। জনগণ যেন খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির এক আগ্নেয়গিরির ওপর বসে আছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে
ব্যাংকগুলো শূন্য হয়ে গেছে। তারল্য সংকটে সাধারণ গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছে না। বুথে
টাকা নেই। ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছেন না। উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা
বিদেশে যেতে পারছেন না। ব্যাংকগুলোকে অনিরাপদ করে তোলা হয়েছে।
মিয়ানমার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
সেন্টমার্টিন সীমান্তে মিয়ানমার যা করছে তা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। সরকার
এহেন কাণ্ডে নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।
আজিজ-বেনজীরদের বিরুদ্ধে তদন্ত
শুরু হলে সরকারি আরও দুর্নীতিবাজদের তথ্য বের হয়ে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার কখনো নতজানু আচরণ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। সেন্টমার্টিন ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিব দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখছেন। ‘কোরাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন দখল হয়ে যাচ্ছে এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বিএনপি-জামায়াত এসব গুজব ছড়াচ্ছে,' বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রোববার (১৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা ইস্যু নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রেখেছেন। তিনি কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও কৌশলের বাইরে গিয়ে এমন কথা বলেছেন যা শুনে মনে হয় পরিস্থিতি নিয়ে তাদের ন্যূনতম ধারণা নেই।
মির্জা ফখরুল ইসলামের বলার আগেই আমি বলেছি সরকার এখানে নিষ্ক্রিয় নয়। আক্রান্ত হলে পাল্টা আক্রমণে প্রস্তুত আছে সরকার। সেখান থেকে যুদ্ধজাহাজ এরইমধ্যে প্রত্যাহার হয়েছে। যান চলাচল নিয়মিত হয়ে গেছে, লোকজন যাওয়া আসা করছে। আমরা গায়ে পড়ে ঝগড়া করব না। মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই এখানে উসকানি দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধাব? সারা বিশ্ব রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। যেকোনো সমস্যা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চায় সরকার।
রোহিঙ্গারা যখন দলে দলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছিল ওইদিক থেকে তখনও কিছু উসকানি ছিল, আমরা উসকানিতে পা দেইনি। গায়ে পড়ে যুদ্ধ বাঁধানোর ইচ্ছে নেই। আলাপ আলোচনার দরজা এখনও খোলা আছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আগ্রহী শেখ হাসিনার সরকার। ভিশনারি লিডার শেখ হাসিনা জানেন কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে বিএনপি বেহুদা মন্তব্য করেছিল। এখনো তারা সেটাই করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। সেনাবাহিনীসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা সতর্ক আছে। সেন্টমার্টিন সীমান্তে গোলাগুলি নিয়ে উদ্বিগ্ন, তবে আমরা সতর্ক আছি। সেন্টমার্টিনে গুলিটা আরাকানরা করেছে, মিয়ানমার সরকার করেনি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের উপর বোঝা হয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের প্রথম বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েছিল বিএনপি সরকার। রোহিঙ্গাদের জঙ্গি কাজে ব্যবহার করেছে। রোহিঙ্গারা বোঝা হয়ে আছে তাদের ফিরে যেতেই হবে। সে প্রয়াস অব্যাহত আছে। আমরা নতজানু আচরণ কখনো করিনি, ভবিষ্যতেও করব না।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
মন্তব্য করুন
বিএনপির গঠনতন্ত্রের একটি কপি নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে রাত ৯ টার দিকে ফিরোজায় প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাকে উদ্বিগ্ন, বিমর্ষ এবং ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল। আগে থেকেই বেগম জিয়ার সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা ছিল তার। বেগম খালেদা জিয়ার একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে তিনি জানিয়েছিলেন যে, অত্যন্ত জরুরি তাকে আসতেই হবে। বেগম জিয়াও সম্মতি জানান। রাত ৯ টার দিকে তাকে আসতে বলেন।
রাতের খাবার শেষে বেগম খালেদা জিয়া শুয়ে ছিলেন। শোবার আগে তার চিকিৎসা প্রক্রিয়াগুলো চলছিল। একজন নার্স বেগম জিয়ার প্রেশার মাপ ছিলেন। তার জ্বর, ব্লাড সুগার সহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। এরপর হুইল চেয়ারে করে বসার ঘরে আসেন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়াকে দেখে দাঁড়িয়ে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার পর তাদের মধ্যে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে দলের সর্বশেষ সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। কিন্তু এই আলোচনায় কোন ফলাফল হয়নি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য যে, গত দুদিনে তারেক জিয়ার তাণ্ডব চলছে বিএনপিতে। বিএনপিতে তিনি ইচ্ছামতো কমিটিগুলো বাতিল করছেন, নতুন করে কমিটি করছেন, অনেকে পদোন্নতি দিচ্ছেন। আবার কাউকে বাদ দিচ্ছেন। সবচেয়ে মজার ব্যপার হল যে, এই সমস্ত কর্মকাণ্ডে তিনি দলের মহাসচিবকে রাখছেন অন্ধকারে। মহাসচিবের কোন ক্ষমতা নেই। মহাসচিব সংবাদপত্রের পাতায় দেখছেন যে, কাকে পদোন্নতি দেওয়া হল, কাকে বাদ দেওয়া হল কিংবা কোন কমিটি বাতিল হল। লন্ডন থেকে রুহুল কবির রিজভীর ব্যক্তিগত ই-মেইল পাঠানো হচ্ছে এসব কমিটির সংবাদ। তারপর রিজভীর কাছে ফোন আসছে। ভাইয়া, এই কমিটি এখনই ঘোষণা করতে বলেছেন।
রুহুল কবির রিজভীর নির্ঘুম রাত কাটছে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে দলীয় প্যাডে এই নির্দেশনামা টাইপ করছেন এবং সংবাদপত্র দিচ্ছেন। রুহুল কবির রিজভীর কাছে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোন অবস্থাতেই যেন এটি গণমাধ্যমে যাওয়ার আগে ফাঁস না হয়ে যায়। কারণ ফাঁস হলে অন্যরা ব্যবস্থা নেবে। অন্যরা দেনদরবার তদবির করবে, এটি নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ হতে পারে বা লন্ডনে ফোন যেতে পারে। আর এই কারণেই একেবারে গোপনে হচ্ছে এই সমস্ত রদবদলের কাজ। সামনের দিনগুলোতে আরও রদবদল হবে।
রুহুল কবির রিজভী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। কিন্তু দলের মহাসচিবকেও তিনি কোন কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করছেন না। রিজভী ঘনিষ্ঠরা বলছেন, এটি ভাইয়ার নির্দেশ, যেন কেউ ঘুণাক্ষরেও কোন কিছু না জানতে পারে। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটাই যে গঠনতন্ত্রবিরোধী এটি বলার জন্যই বেগম জিয়ার কাছে গতকাল গিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন যে, এভাবে একটি দল চলতে পারে না। একটি দলের কমিটি পরিবর্তন বা কমিটি বাতিল স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করতে হয়। আর দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলে কোনো পদ নেই। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতেই পারে না। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।তিনি বলেন যে, বিএনপিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে খালেদা জিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খালেদা জিয়া ধীর স্থিরভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সব কথাই শোনেন। তারপর তিনি বলেন যে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান আমি, এটা সত্যি কথা। কিন্তু চেয়ারম্যানের সব ক্ষমতা আমি লিখিতভাবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দিয়েছি অর্থাৎ তারেক জিয়াকে দিয়েছি। তাই এখন আমার কিছু করার নেই। তবে তিনি মনে করেন, যেভাবে কমিটিগুলো হচ্ছে তা সঠিকভাবে হচ্ছে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হওয়া উচিত।
দুজনের এই আলাপ-আলোচনায় কোন ইতিবাচক ফলাফল হয়নি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই বিষয় নিয়ে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার সঙ্গে আলাপ করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে তার অসুস্থতার কথা এবং অক্ষমতার কথা জানান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ জানান।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম শূন্যপদ পূরণ নিয়ে নানামুখী আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত দুজনকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, তাদের পদোন্নতি হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের পদ নিয়ে এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন করে আলাপ আলোচনা চলছে। আগামী ২৩ জুন দলটির ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আর এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পরপরই আওয়ামী লীগ তাদের সাংগঠনিক বিষয়ে মনোযোগ দেবে। দলের ভেতর নতুন করে শুদ্ধি অভিযান শুরু হবে। যারা দলের ভেতর বিভক্তির সৃষ্টি করছে, কোন্দল তৈরি করছে তাদেরকে শেষবারের মতো সতর্ক করা হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্যপদ পূরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার কখনো নতজানু আচরণ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। সেন্টমার্টিন ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিব দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখছেন। ‘কোরাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন দখল হয়ে যাচ্ছে এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বিএনপি-জামায়াত এসব গুজব ছড়াচ্ছে,' বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রোববার (১৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির গঠনতন্ত্রের একটি কপি নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে রাত ৯ টার দিকে ফিরোজায় প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাকে উদ্বিগ্ন, বিমর্ষ এবং ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল। আগে থেকেই বেগম জিয়ার সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা ছিল তার। বেগম খালেদা জিয়ার একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে তিনি জানিয়েছিলেন যে, অত্যন্ত জরুরি তাকে আসতেই হবে। বেগম জিয়াও সম্মতি জানান। রাত ৯ টার দিকে তাকে আসতে বলেন।