২০১৪ সালে যখন আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয়বারে মত বাংলাদেশের ক্ষমতা গ্রহণ করলো তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রায় এক সপ্তাহ পরে অভিনন্দন বার্তা জানায় চীনা সরকার। কিন্তু সেই একই অভিনন্দন ২০১৮ সালের এসে ভারত ও চীনের মাঝে এক প্রকার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রূপ নেয়। নির্বাচনের পরদিন ভারতের পরেই চীন সরকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যেভাবে দ্রুত গতিতে অভিনন্দন জানিয়েছে তাতে অনেকে বেশ অবাক হয়েছে।
আসলে কি ঘটে গেলো ওই পাঁচ বছরে আর কিবা ঘটে গেছে বিগত ১২ বছরে বাংলাদেশের সাথে চীন ও ভারতের মাঝে সম্পর্কে? বিশাল এক প্রশ্নবোধক কিন্তু উঁকি দেয় বাংলাদেশ কিভাবে প্রতিবেশী এই বৃহৎ সুপার পাওয়ারদের সামলে যাচ্ছে বিগত বছর গুলোতে। বাংলাদেশ নিয়ে বৃহৎ শক্তিগুলোর এমন টানা টানিতে মনে হতেই পারে এক নায়িকাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধের ময়দানে নেমে পড়েছে শক্তিশালী দুই নায়ক। হার জিত যারি হোক না কেনো আঁখের লাভ আসলে বাংলাদেশ কতটুকু তুলতে পারলো তাই এখন সবচেয়ে বড় মাথা-ব্যথার কারণ।
চীন ও ভারত দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মাঝে ২০০৯ সাল থেকেই এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশের কাছে ভারত এবং চীনের চাহিদা ভিন্ন-ভিন্ন। অর্থাৎ যার চাহিদা যেরকম ঠিক সেভাবেই বিষয়গুলোকে এগিয়ে নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। এমন ধারণা রয়েছে। রাজনীতি এবং কূটনীতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, ভারতের সাথে শেখ হাসিনার সরকারের সম্পর্ক রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা ইস্যুর সাথে সম্পর্কিত। অন্যদিকে চীনের সাথে সম্পর্কটি পুরোপুরি অর্থনৈতিকভাবে জড়িত। হাসিনা এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই দুই দেশের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি জাল বুনে চলেছেন।
শেখ হাসিনার সরকার ভারতকে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনের ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব সহায়তা প্রদান করে গেছেন এবং এখনো যাচ্ছেন। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে ইসলামি জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটে সেটি যাতে ভারতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্যও পদক্ষেপ নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।
তবে চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক পুরোপুরি ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলে মনে করেন বেশিরভাগ বিশ্লেষক। যেই সরকারী ক্ষমতায় থাকুক না কেনো চীনের তাতে মাথাব্যথা নেই। চীন সবার সাথেই কাজ করতে আগ্রহী। এছাড়া যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকার নানা ধরণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেজন্য চীনও চাইছে শেখ হাসিনার সরকারই ক্ষমতায় থাকুক। কারণ তাতে প্রকল্পগুলো চলমান থাকবে এবং তাতে চীনের লাভ হবে।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার চীন সফরের পর থেকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ভিন্নমাত্রা নিয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং বাংলাদেশ সফর করে। সে সফরের সময় চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে ২৬টি নানা ধরণের চুক্তি এবং সমঝোতা হয়েছে। বর্তমানে চীন বাংলাদেশে পদ্মা সেতুসহ নানা অবকাঠামো প্রকল্পের সাথে সরাসরি জড়িত। এছাড়াও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ, একটি সার কারখানা, চট্টগ্রাম এবং খুলনায় দুটি বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের সাথেও চীন সম্পৃক্ত আছে।
তবে ইদানীং সময়ে ভারত ও চীনের সাথে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের ঝামেলা তৈরি হয়েছে। বিশেষত ২০১৫ সালে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে চীনের সাথে বাংলাদেশের বেশ কিছু মতবিরোধ দেখা দেয়। এসময় ভারত সরকারো বাংলাদেশের সাথে না থেকে মিয়ানমারের পক্ষ নেয় যা বাংলাদেশকে বেশ মনঃক্ষুণ্ণ করে তুলে। এর ফলে চীনের সাথে বেশ কিছু বড় বড় প্রজেক্ট থেকে আস্তে আস্তে সরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। বিশেষ করে বাংলাদেশের সামরিক খাতে চীনের যে একছত্র প্রভাব রয়েছে তা থেকে সরে দাড়াতে শুরু করে হাসিনা সরকার। এর ফলে সবচেয়ে লাভবান হয় পশ্চিমা দেশ গুলো। কারণ উদীয়মান অর্থনীতি হিসেবে বাংলাদেশের বাজার ধরার জন্য অনেক দিন থেকেই চেষ্টা করে আসছে পশ্চিমা দেশ গুলো।
বাংলাদেশের হাইপারফরমেন্স ফ্রিগেট প্রোগ্রাম ও জঙ্গি বিমান ক্রয় সংক্রান্ত প্রোজেক্ট থেকে অনেকটা বাদ পরে গেছে চীন। বাংলাদেশ এখন চীনের বদলে যুক্তরাজ্য, ইতালী, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকে পড়েছে অনেকখানি। যার ফলে আস্তে আস্তে চীনের প্রভাব থেকে খানিকটা বের হয়ে আসতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। তবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এখনো বাংলাদেশে চীনের প্রভাব কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে নি শেখ হাসিনা।
অন্যদিকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের টানা-পোড়োনের শুরুটা টুকরো টুকরো বিষয় নিয়ে এখন বেশ বৃহৎ আকার ধারণ করে গেছে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্ত হত্যার বিষয়টি বেশ পুরনো হলেও ভারত এখনো এই সমস্যার কোন সমাধান করে দিতে পারে নি।
তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে চালু হওয়া নাগরিকত্ব আইনের বলে ভারতে বসবাসরত লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার যে এক প্রচেষ্টা মোদি সরকার হাতে নিয়ে তা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষব্দ মনোভাব প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ থেকে আমলা, মন্ত্রী ও শেখ হাসিনা পর্যন্ত। যেটি কিনা অনেকটা বিস্ময়ের হলেও বাংলাদেশ বেশ ভালো ভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে এতদিনের দাদাগিরি আর এখন থেকে বাংলাদেশের উপর চলবে না। এমন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া চলবে না যাতে বিপদে পড়তে পারে বাংলাদেশ।
তাছাড়া বাংলাদেশের সাথে এই সম্পর্ক আরো অবনতি হয় করোনা ভাইরাসের টিকাকে কেন্দ্র করে। বিশ্বব্যাপী করোনার টিকা দেওয়া শুরু হলে ভারতের উপর টিকা ক্রয়ে একতরফা নির্ভর করে এক বড় ধরণের বাঁধার মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশকে। শুরুতে বিশ্বের ধনী রাষ্ট্র গুলোর সাথে তাল মিলিয়ে টিকা দেওয়া শুরু করতে পারলেও হুট করে বাংলাদেশকে কোন প্রকার আগাম নোটিশ না দিয়ে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এর ফলে দেশের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সরকারকে। যদিও এই সমস্যা থেকে রক্ষায় এগিয়ে আসে চীনা সরকার। অন্য অনেক দেশের থেকে অনেকটা কম মূল্য বাংলাদেশকে টিকা সরবরাহ করে বাংলাদেশের সাথে নিজেদের পুরনো সম্পর্ককে আবার নতুন করে ঝালিয়ে নেয় চীনা সরকার।
এছাড়া ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ককে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কুয়ালালামপুরভিত্তিক সাউথ এশিয়ান মনিটরের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চিতভাবেই মনে হচ্ছে ভারতের সাথে নাড়ির সম্পর্কটি কেটে গেছে বা কাটা পড়ার পর্যায়ে রয়েছে। আর এটিও বেশ নিশ্চিত বলে মনে হচ্ছে যে, ভারতকে তার মুষ্টি শিথিল করতে হচ্ছে। তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমুর মতো আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এবং হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননের মতো সিনিয়র নেতারা ভারতীয় এস্টাবলিশমেন্টের- প্রশাসনিক বা নিরাপত্তা কাঠামোর সাথে আলাদা সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছিলেন। তারা সবাই অপাঙ্ক্তেয় হয়ে গেছেন। তোফায়েল ও আমুর মতো নেতারা দৃশ্যপট থেকে বিদায় নেয়ায় যোগাযোগ লাইনটিই কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যোগাযোগের একমাত্র যে লাইনটি রয়ে গেছে তা একেবারে সরাসরি এবং তা হলো হাসিনার সাথে। মনে হচ্ছে, তিনি এমনটিই চেয়েছেন।’
বিশ্লেষণে আরো বলা হয়েছে, ‘ভারত এখন দূরে থাকায় নিশ্চিতভাবেই যে প্রতিবেশী সুবিধা পাবে সে হলো শক্তিশালী চীন। বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগ করায় ভারতীয় প্রভাবের শক্তিকেন্দ্রগুলো বিচ্ছিন্ন রাখতে চীন কার্যকরভাবে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে চীন সফলভাবে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশী থেকে বাংলাদেশকে সরিয়ে এনেছে। সাধারণভাবে যতটুকু মনে করা হয়ে থাকে, চীনা সংশ্লিষ্টতা তার চেয়ে অনেক বেশি। এমন একটি ধারণা রয়েছে যে বাংলাদেশে চীন কেবল ব্যবসায়িক সুযোগ গ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহী।
বিশাল পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করায় ব্যবসা নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। তবে চীনের কৌশলগত অনুপ্রবেশকে এড়িয়ে যাওয়ার একটি প্রবণতা রয়েছে। নিশ্চিত বিনিয়োগ স্বার্থের সাথে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান ভূকৌশলগত বৈশ্বিক তাৎপর্য থাকার কারণে বাংলাদেশের সরকার পরিচালনাকারীকে নিরঙ্কুশভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চীন অনেক বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞা। সে এখানে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নয়া দিল্লির সাথে ঘনিষ্ঠ কাউকেই দেখতে চায় না। এ কারণেই দিল্লি-অন্তঃপ্রাণদের বাদ দিয়ে মন্ত্রীসভা গঠন করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ কে কেন্দ্র করে ভারত ও চীনের এমন টানাপোড়ন বাংলাদেশ কে বেশ মধুর সমস্যায় না ফেলে বরং বেশ জটিলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে দিনকে দিন। ছোট স্বাধীন একটি দেশ হয়ে বৃহৎ দেশগুলোর মাঝে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা এবং সেখান থেকে নিজেকে বের করে নিয়ে আসার মত ক্ষমতা ব্যাবহার বাংলাদেশ বেশ ভালো করে দেখিয়ে আসলে তা আর কত দিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব তাই শেষ পর্যন্ত দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে নিজেকে সুরক্ষার জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মরত
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৫টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের দু’টি প্রশাসনিক অঞ্চল থেকে সম্প্রতি প্রকাশ করা আলাদা
আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার (পূর্বাঞ্চল) ডা. ইবনে সফি
আব্দুল আহাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় নিচের উপায়গুলো অনুসরণের অনুরোধ করা হলো—
১. পানিশূন্যতা থেকে রক্ষার জন্য প্রচুর পানি পান করুন। অতিরিক্ত
ঘাম হলে নিষেধ না থাকলে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন পান করুন। তৃষ্ণাবোধ না করলেও নির্দিষ্ট
সময় অন্তর পানি পান করতে হবে।
২. ঠান্ডা পানি ও বরফ পানি পান থেকে বিরত থাকুন।
৩. সুতির ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করুন। বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা,
টুপি ব্যবহার করুন।
৪. খাবারের মেন্যুতে আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে শাকসবজি বাড়াতে
হবে।
৫. শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টের রোগী এবং হৃদরোগের
ওষুধ সেবন করেন এমন ব্যক্তির এই আবহাওয়ায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার স্বাক্ষরিত
আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতেও এই পাঁচ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এর সঙ্গে সূর্যের আলো থেকে
চোখ সুরক্ষার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তাপপ্রবাহ রেল মন্ত্রণালয় মাঠ কর্মরতা নির্দেশনা
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে।
আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের
সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার।
দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্র বন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান শেখ হাসিনা।
এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের
লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক
প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার
সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি
বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক
মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে, গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে
পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ
অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী
পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।
থাইল্যান্ড বাংলাদেশ বানিজ্য চুক্তি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়
বৈঠকে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট
হাউসে যান তিনি। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের
লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক
প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে
পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে দুই প্রধানমন্ত্রীর
উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।
বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক
মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে
পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ
অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী
পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।
থাইল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে
উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপাররা (এসপি)। প্রভাব বিস্তারকারী
মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হলে নির্বাচন কমিশন পাশে থাকবে
কি না সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ এসব কর্মকর্তা। তাদের আশ্বস্ত
করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নেওয়া
যে কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে কমিশন অবশ্যই পাশে থাকবে।
ইসি বলেছে, উপজেলা পরিষদে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন
দেখতে চায় কমিশন। বদলির ভয়ে কারও কাছে অবস্থান না বিকিয়ে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে
অটল থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাচন নিয়ে
মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে ইসির এক সভায় এসব বিষয় উঠে আসে।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় চার নির্বাচন কমিশনার,
ইসি সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, আইজিপি,
সব বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনার (সংশ্লিষ্ট), রেঞ্জের ডিআইজি, ডিসি, এসপি ও আঞ্চলিক
নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন। নির্বাচন ভবনে সকাল ১১টা থেকে টানা তিন ঘণ্টা এ সভায়
সদস্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, ইভিএম, নির্বাচনে ডিউটিরত আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভাতা, নির্বাচনী আচরণবিধি ও মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তারসহ
বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভা থেকে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে
মাঠ প্রশাসনকে নানা দিকনির্দেশনা দেয় ইসি। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা
দেওয়া হয়।
এ ছাড়া মোবাইল আর্থিক সেবা সার্ভিসের মাধ্যমে নির্বাচনে কালো টাকা
ছড়ানো বন্ধে কীভাবে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে—সে বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ
নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকের শুরুতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপজেলা নির্বাচনে
ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,
তা ব্যর্থ হবে। উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।
তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা
হয়। এর মধ্যেও ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশে
গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি আমরা ব্যর্থ হই তাহলে
আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেছেন
সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে।
সিইসির বক্তব্যের পর উপজেলা নির্বাচনের মাঠ পরিস্থিতি জানতে ডিসি-এসপিদের
কাছ থেকে বক্তব্য আহ্বান করা হয়। এরপর দুজন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ছয় থেকে সাতটি
জেলার ডিসি ও এসপি, দুজন ডিআইজি ও দুজন বিভাগীয় কমিশনার তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন সচিব এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার মাঠ প্রশাসনের
উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, বক্তব্যে কয়েকজন ডিসি ও এসপি
মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তোলেন। এক্ষেত্রে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ
জাতীয় নির্বাচনে মন্ত্রী এমপিদের ভূমিকা ও বাড়াবাড়ি নিয়েও কথা বলেন কেউ কেউ। ফলে উপজেলা
নির্বাচনে তাদের নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মানাতে মাঠ প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ
নেবে কি না, সে সম্পর্কে কমিশনের কাছে জানতে চান। কারণ দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে মন্ত্রী-এমপিদের
অনেকেই নিজ স্বজনকে প্রার্থী করেছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে মাঠে নিজ ক্ষমতার
অপব্যবহার করছেন। সঙ্গে প্রশাসনকে তাদের পরিবারের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য
চাপ প্রয়োগ করছেন।
এ নিয়ে সভায় পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে আর্জি জানানো
হয়। তারা বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের পক্ষে কাজ না করলে অনেক সময় বদলির হুমকি আসে। পদোন্নতিসহ
সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হতে পারে।
কোনো কোনো ডিসি ও এসপি প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপিদের নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ
করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে কমিশন আমাদের পাশে থাকবে কি না, আশ্রয়
দেবে কি না। নাকি মন্ত্রী এমপিরাই উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তদবির করে আমাদের
বদলি করে দেবেন।
জবাবে সিইসি শঙ্কিত ডিসি-এসপিদের আশ্বস্ত করে বলেন, কমিশন অবাধ,
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বদ্ধপরিকর। আপনাদের সবার আন্তরিক সহযোগিতা ও জোরালো ভূমিকার
কারণে সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সরকারও
ওই নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করে কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।
এবারের উপজেলা নির্বাচনেও সরকার আমাদের পাশে রয়েছে। সেজন্য অবাধ,
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে আপনারা যে ভূমিকা রাখবেন কমিশন সব সময় তার পাশেই
থাকবে। নির্বাচন কমিশনের কথা শোনার কারণে উচ্চমহল থেকে নির্বাচনে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তার
বিরুদ্ধে বদলির জন্য সুপারিশ এলে তা কমিশন যথাযথ যাচাইয়ের পর প্রমাণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত
নেবে। এ জন্য দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
বরিশালের পুলিশ কমিশনার বলেন, আমাদের ওপর চাপ রয়েছে। জবাবে আইজিপি
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ভয়ের কিছু নেই। সর্বোচ্চ শাস্তি বদলি করবে। আরেক
জায়গায় অর্থাৎ নতুন কর্মস্থলে চাকরি করবেন সমস্যা নেই, তবুও মাথা নত করা যাবে না। এ
সময় সিইসিসহ সব কমিশনার এ বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন।
তারা বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। এটা চাকরির অংশ। কারও কথায় আপনাদের
বদলি করা হবে না। কমিশন নিজস্ব উৎস থেকে তদন্ত করবে। সিইসি আরও স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনে
চাপ থাকবে। চাপ সবার ওপরই থাকে। তদন্তে প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ প্রভাব
বিস্তারের চেষ্টা করলে কমিশনকে জানালে তাৎক্ষণিক সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের
আশ্বাস দেন তিনি।
বৈঠকে কোনো কোনো বক্তা মাঠের চিত্র তুলে ধরে জানান, নির্বাচনে
স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী যেসব উপজেলায় রয়েছেন, সেখানে
আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে যে কটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি
বিএনপি বা জামায়াতের প্রার্থী রয়েছেন সেসব উপজেলায় এ আশঙ্কা আরও প্রকট। সেজন্য শুরু
থেকেই এসব এলাকায় বিশেষ নজর দিতে হবে, যাতে বড় ধরনের কোনো কিছু না ঘটতে পারে।
বৈঠকে পার্বত্য এলাকার সর্বশেষ পরিস্থিতির চুলচেরা বিশ্লেষণ করে
ওই এলাকার চারটি উপজেলা ভোট স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান তারা। এ ছাড়া পুরো
পাহাড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদারের পরামর্শ আসে বৈঠক থেকে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সেভাবে নেই। সেজন্য তারা এ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে নানা ষড়যন্ত্র করতে পারে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় বিশেষ নজর রাখতে হবে।
সভায় জামালপুরের ডিসি তার এলাকার সব নির্বাচন ইভিএমে হচ্ছে জানিয়ে
বলেন, কিছু ইভিএমে ত্রুটি রয়েছে। সেগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। তার এ বক্তব্যের পর ইভিএমের
চাহিদা দিলে নতুন করে তাকে ইভিএম সরবরাহ করা হবে বরণ জানায় কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে দায়িত্ব পালন বাবদ বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধেরও দাবি জানান এই ডিসি।
বৈঠকে কেউ কেউ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে সহায়ক হিসেবে ভোটকেন্দ্রে
দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসারদের
দায়ী করে পাশের উপজেলা থেকে তাদের আনা যায় কি না সেটি বিবেচনার অনুরোধ জানান। একইভাবে
গ্রাম পুলিশ বা আনসার বা চৌকিদার-দফাদার সদস্যদের নিয়েও প্রশ্ন তোলে তাদেরও পাশের ইউনিয়ন
থেকে আনার অনুরোধ করেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তবে কমিশন সেটি নাকচ করে দেয়।
এ ছাড়া সকালে ব্যালট ও ইভিএম কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া নিয়ে বাড়তি খরচ
দাবি করেন জেলা প্রশাসকরা। সেটিও নাকচ করে দেওয়া হয়। কুড়িগ্রামের ডিসি দুর্গম এলাকায়
ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানোর দাবি জানান।
সভার পরে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভোট সুষ্ঠু অবাধ
ও নিরপেক্ষ করতে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে প্রতিটি উপজেলায়
২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। ইসি সচিব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ
পর্যায়ে কী ধরনের প্রস্তুতি নেবে প্রশাসন, তাদের কী ধরনের সহযোগিতা করতে হবে এসব নিয়ে
আলোচনা হয়েছে। নিজ নিজ জেলার সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেছেন কর্মকর্তারা।
অনেক জেলা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স চাওয়া হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে যেভাবে
নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেভাবেই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ে
দায়িত্বপালনরতদের দু-তিন দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিনের ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীনকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সংস্থাপন মো. আনিসুজ্জামানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না হওয়া পর্যন্ত সেহেলী সাবরীনকে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ফ্লোরিডাতে কনসাল জেনারেল হিসেবে বদলির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
২০০৫ সালের ২ জুলাই ২৪তম বিসিএসের (পররাষ্ট্র) সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন সেহেলী সাবরীন।
২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব এবং ২০১৪-২০১৭ সালে জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সেহেলী সাবরীন।
ফ্লোরিডা কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপাররা (এসপি)। প্রভাব বিস্তারকারী মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হলে নির্বাচন কমিশন পাশে থাকবে কি না সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ এসব কর্মকর্তা। তাদের আশ্বস্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নেওয়া যে কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে কমিশন অবশ্যই পাশে থাকবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীনকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সংস্থাপন মো. আনিসুজ্জামানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।