রাজধানীর রামপুরায় রাইদা পরিবহনের বাস থেকে ইম্পিরিয়াল কলেজের এক ছাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে নামানোর অভিযোগে ৫০টি রাইদা বাস আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো রাস্তায় রাইদা পরিবহন বন্ধ ছিল।
এ বিষয়ে বিকেলে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, দুপুরের দিকে ইম্পিরিয়াল কলেজের এক ছাত্রী মুগদা এলাকা থেকে করোনার টিকা নিয়ে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে করে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় মেরুল বাড্ডা ইউলুপের কাছে তাকে রাইদা পরিবহন থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয় বাসের হেলপার। এমন অভিযোগ পেয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রামপুরা টিভি সেন্টার এলাকায় আনুমানিক রাইদা পরিবহনের ৫০টি বাস থামিয়ে চাবি নিয়ে নেয় এবং প্রতিবাদ করতে থাকে।
তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে একই প্রতিষ্ঠান ছাত্রদের আন্দোলনে তাদের দাবি অনুযায়ী রাইদা পরিবহন হাফ ভাড়া নিয়ে থাকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। তবে আজকের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি জানায়। তাদের দাবি-বাস স্টাফদের যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার পরিহার করতে হবে। এছাড়া বাসে নারী ও প্রতিবন্ধীদের ৯টি আসন খালি রাখতে হবে এবং নিরাপদ সড়ক আইন মেনে চলতে হবে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও রাইদা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় রাইদা পরিবহন চলাচল শুরু করে।
মন্তব্য করুন
চীন ভারত বাংলাদেশ নির্বাচন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন আন্তর্জাতিক মহল বিএনপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি পশ্চিমা নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভবত বিশ্বে বিরল এবং একমাত্র রাজনীতিবিদ যাকে ভারত এবং চীন উভয়ই পছন্দ করে। ভারত এবং চীন বিশ্ব রাজনীতিতে পরস্পর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে। শুধু পরস্পর বিরোধী অবস্থানই নয়, এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই তাদের মধ্যে প্রকাশ্য। ভারত এবং চীনের বিরোধ এখন কোনো নতুন বিষয় নয়। বরং দুই দেশের কূটনীতি এবং বাণিজ্য নীতি একে অন্যকে ঘায়েল করবার জন্যই ব্যবহৃত হয়। অথচ সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে এবং উপমহাদেশের কর্তৃত্বে লড়াইয়ে থাকা চির শত্রু দুই দেশ মাত্র একটি বিষয়ে একমত। তা হল বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাখা। এই একটি বিষয়ে ভারত এবং চীন অবিশ্বাস্যভাবে অভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করছে। এই অভিন্ন অবস্থান তারা কোনো রাখঢাক ছাড়াই ঘোষণা করেছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে হবে তা নিয়ে রাজনীতি অঙ্গনে নানা জল্পনা-কল্পনা, আলাপ-আলোচনা চলছে। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তাও রয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। তিন ভাবে এই নির্বাচন হতে পারে। এই তিন রকম নির্বাচনে তিন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবার সম্ভাবনা রয়েছে। যে তিন ভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো চায় আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হোক। প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এটাই তাদের প্রত্যাশা। আর এই প্রত্যাশা পূরণের জন্য তারা ভিসা নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নীতি সহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কিন্তু এসব আশ্বাসের পরও বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অটল। তারা মনে করছে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় এবং এ ধরনের নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে না বলেও এখন পর্যন্ত তাদের অবস্থান জানিয়েছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো বিএনপিকে আশ্বস্ত করছে যে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও এবার সরকার ২০১৪ বা ২০১৮ এর মতো নির্বাচন করতে পারবে না। এই ধরনের নির্বাচন মোকাবিলা করার জন্য এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আর তাই বিএনপিকে আস্বস্ত করা হচ্ছে, তাদেরকে নির্বাচনে যেতে বলা হচ্ছে। নির্বাচনে গেলে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে এমন আশ্বাসও দেওয়া হচ্ছে।