ইনসাইড বাংলাদেশ

আনিসুল হক: একজন স্বপ্নবাজ নগরপিতা

প্রকাশ: ০৮:১৭ এএম, ৩০ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail আনিসুল হক: একজন স্বপ্নবাজ নগরপিতা

নগর জীবনে একটু প্রশান্তি, একটু সহজ করতে তিনি কাজ করে গেছেন ক্রমাগত। নিয়েছেন নানা উদ্যোগ। অনিয়মের বিরুদ্ধে হয়েছেন পাহাড়ের মতো দৃঢ়। তারুণ্যের উদ্দীপনায় কাজ করেছেন। শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশের মানুষের প্রিয়মুখ ছিলেন। ছিলেন সফল উদ্যোক্তা এবং দর্শকপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক। তিনি এক স্বপ্নবাজ নগরপিতা প্রয়াত আনিসুল হক। আজ তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী।

আনিসুল হক জন্মেছিলেন ১৯৫২ সালে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জে। নোয়াখালীর ছেলেটিই স্বপ্ন দেখেছিলেন রাজধানী ঢাকাকে বদলে দেওয়ার। ব্যবসায়ী থেকে হয়ে উঠেছিলেন ঢাকার নগরপিতা। ফেনীর সোনাগাজীর নানাবাড়িতে শৈশব কেটেছে তার। আর স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

আনিসুল হকের কর্মজীবন শুরু হয় টেলিভিশনে উপস্থাপনার মধ্যে দিয়ে। ১৯৮০ সালে টেলিভিশনে উপস্থাপক হিসেবে অভিষেক হয় তার। ১৯৯০-এর দশকে বিনোদন জগতে বেশ পরিচিতি লাভ করেন। আশির দশকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন আনিসুল হক। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন সফল ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা। ১৯৮৬ সালে গড়ে তোলেন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘মোহাম্মদী গ্রুপ’। ২০০৭ সালের জরিপ অনুযায়ী মোহাম্মদী গ্রুপে কাজ করছেন প্রায় ৭ হাজার মানুষ।

২০০৫ সালে আনিসুল হক বিজিএমইএ’র সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেখানে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন ২০০৬ সাল পর্যন্ত। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি নির্বাচিত হন। সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বিআইপিপিএ’রও সভাপতি ছিলেন।

২০১৫ সালে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন আনিসুল হক। তিনি চেয়েছিলেন একটি পরিকল্পিত ঢাকা গড়ে তুলতে। সে কারণেই রাজনীতিতে নামেন। ২০১৫ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন লাভ করেন। নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকার একাংশের মেয়র নির্বাচিত হন। খুব দ্রুত পৌঁছে যান মানুষের কাছে। উত্তর সিটির উন্নয়নে বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ নেন। মেয়রের দায়িত্ব নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনালের সামনের সড়ক দখলমুক্ত করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ চালকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। পরে তার নেতৃত্বে ডিএনসিসি ঐ সড়ক দখলমুক্ত করে। বছরের পর বছর অবৈধ ট্রাক স্টান্ডের কাছে জিম্মি এলাকাটি উদ্ধারে তার পদক্ষেপে দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা পায়। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মধ্যেই তিনি ঢাকা শহর থেকে সব বিলবোর্ড উচ্ছেদ করেন, যা নগরবাসীর কাছে ছিল অবিশ্বাস্য। শ্যামলী থেকে গাবতলী পর্যন্ত বিভিন্ন পরিবহনের যানবাহনে রাস্তা দখল ছিল। ফলে দীর্ঘসময় যানজটে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তিনি শ্যামলী থেকে গাবতলী পর্যন্ত রাস্তা গতিময় করে তোলেন। 

দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করেন নগরীর পার্কগুলো। পথচারী নাগরিকদের জন্য নগরীজুড়ে নির্মাণ করেন আধুনিক টয়লেট। গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় বিশেষ রঙের রিকশা এবং ‘ঢাকা চাকা’ নামে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস সেবা চালু করেন মেয়র আনিসুল হক। বিমানবন্দর সড়কে যানজট কমাতে মহাখালী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সড়কে ইউলুপ করার উদ্যোগ নেন আনিসুল হক।  এছাড়াও ঢাকার খালগুলো উদ্ধারে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। তার নির্দেশে বনানীর ২৭ নম্বরে যুদ্ধাপরাধী মোনায়েম খানের বাড়ি বাগ এ মোনয়েম-এর অবৈধ দখলে থাকা অংশ উদ্ধার করে সড়ক প্রশস্ত করা হয়। স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সবুজ ঢাকার। এ জন্য ৫ লাখ গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

২০১৭ সালের ২৯ জুলাই সপরিবারে যুক্তরাজ্যে সফরে যান আনিসুল হক। সেখানেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৩ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা যায় মস্তিষ্কের রক্তনালি প্রদাহের সমস্যায় (সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস) ভুগছেন তিনি। সেখানে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়। ৩১ অক্টোবর অবস্থার উন্নয়ন হলে আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ২৮ নভেম্বর ফের আনিসুল হকের অবস্থার অবনতি হয়। রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার থেকে তাকে আবার আইসিইউতে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ৩০ নভেম্বর, বাংলাদেশ সময় তখন রাত ১০টা ২৩ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে আনিসুল হকের মৃত্যু হয়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বসুন্ধরা এমডির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ‘ক্রস পার্টি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশন’ টিমের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের পাঁচ এমপির নেতৃত্বে ক্রস পার্টি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশন টিম।

রোববার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় তারা বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাসবভবনে সাক্ষাৎ করতে আসেন।

এ সময় তারা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখায় বসুন্ধরা গ্রুপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সেইসঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে তার অসামান্য নেতৃত্বের জন্য অভিনন্দনও জানান তারা।  

আলোচনায় বসুন্ধরা গ্রুপের সামাজিক উদ্যোগ ও ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলে বিপুল কর্মসংস্থানের জন্য গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের অবদানও তুলে ধরে যুক্তরাজ্যের এই প্রতিনিধি দল।  

ব্রিটিশ এমপিদের নিয়ে গঠিত ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন- পল ব্রিস্টো এমপি, পলেট হ্যামিল্টন এমপি, অ্যান্থনি হিগিনবোথাম এমপি, মিসেস জেন ম্যারিয়ন হান্ট এমপি, টমাস প্যাট্রিক হান্ট এমপি, কাউন্সিলর আলেক্সান্ডার টার্নার ব্রেন্টউডসহ কমনওয়েলথের ক্লিয়ার ইন্স্যুরেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের পরিচালক রডনি ফ্লাওয়ার, লাইভ টেস্টিং সলিউশন্সের সিইও মিসেস জো লি, জেডআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জিল্লুর হুসেন এমবিই, এসএমআর-এর ভাইস চেয়ার আইভেলিনা বানিয়ালিভা, পস স্পাইস লিমিটেডের চেয়ারম্যান গোলাপ মিয়া এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশি ইয়াং ট্যালেন্টের প্রতিষ্ঠাতা জোবায়ের আলম।  

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবসায়িক ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, কৌশল, বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি, উৎপাদন ও টেকসইতায় প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া কমনওয়েলথের ৫৬টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সু-সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ সফরে আসায় যুক্তরাজ্যের ক্রস পার্টি সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেছেন জেনে দারুণ উচ্ছ্বসিত হন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সায়েম সোবহান আনভীর যে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্য টমাস হান্টও একই স্কুলের ছাত্র। গোটা আলোচনায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।  

মূলত, জেডআই ফাউন্ডেশন ও এসএমআর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জিল্লুর হুসেন এমবিই-এর আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছে ক্রস পার্টি পার্লামেন্টারিয়ান ডেলিগেশন। তারা বাংলাদেশে মেন্টাল হেলথ সেন্টার খোলার বিষয়ে এই সফরে এসেছেন।  

এর আগে ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ভূমিকার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিনিধি দল তারও প্রশংসা করেন। এছাড়া পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা বাংলাদেশে একটি মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বসুন্ধরা গ্রুপ   সায়েম সোবহান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান, দখলমুক্ত এক একর জায়গা

প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান, দখলমুক্ত এক একর জায়গা।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মালিকানাধীন মিরপুরস্থিত কল্যাণপুর রেগুলেটিং পন্ড এর ভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা ও অবকাঠামো উচ্ছেদ করে এক একর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।

সকালে অভিযান শুরু হলে দখলদাররা সংঘবদ্ধ হয়ে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে এবং উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ বাধা প্রদানকারীদের প্রতিহত করে। এ সময় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান ও ঘর থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে কিছুটা সময় দেয়া হয়। মালামাল সরিয়ে নেয়ার পরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে পুরো এক একর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়। 

অভিযানে ডিএনসিসির মালিকানাধীন কল্যাণপুর রেগুলেটিং পন্ড এর ভূমি হতে অন্তত অবৈধ ৩০টি  দোকান, ২০টি ঘর ও ২টি রিকশার গ্যারেজসহ অবৈধভাবে রাখা বিভিন্ন মালামাল উচ্ছেদ করে প্রায় এক একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।

প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম বলেন, ‘এই স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছিলো। বিভিন্ন সময় তাদের নোটিশ দিলেও তারা সাড়া দেয়নি। আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ডিএনসিসির মালিকানাধীন এই ভূমির  অবৈধ সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় এক একর জায়গা দখলমুক্ত করেছি। অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলবে।’


ডিএনসিসি   উচ্ছেদ অভিযান   দখলমুক্ত   এক একর   জায়গা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মজুদদার, মুনাফাখোরদের ঠিকানা হোক জেলখানা: শিরীন আখতার

প্রকাশ: ০৪:২৩ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail জাসদের সাধারণ সম্পাদক এবং সাংসদ শিরীন আখতার।

প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যারা জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে- সেই মজুদদার, মুনাফাখোরদের ঠিকানা হোক জেলখানা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সাধারণ সম্পাদক এবং সাংসদ শিরীন আখতার। 

সোমবার (২০ মার্চ) সকাল ১১ টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ জাসদ চত্ত্বরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ঢাকা মহানগর সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অযৌক্তিক-অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সাথে যুক্ত অসৎ ব্যবসায়ী, মজুদদার, মুনাফাখোরদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তরা। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, পল্টন, মুক্তাঙ্গনসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।  

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিরীন আখতার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যারা জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে তাদের ঠিকানা হোক জেলখানা। প্রধানমন্ত্রীর বার বার হুঁশিয়ারির পরও প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের পিছুটান রহস্যজনক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেই আমদানি করা পণ্যের হিসাব নিকাশ আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তালিকা নিয়ে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির সাথে জড়িত মুনাফাখোর, মজুদদার, কালোবাজারীদের আইনের আওয়াতায় আনার দাবি জানান তিনি।

ঢাকা মহানগর উত্তর জাসদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদের সহ-সভাপতি নুরুল আকতার, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জাসদের কোষাধ্যক্ষ মোঃ মনির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসদের সভাপতি হাজী ইদ্রিস ব্যাপারী, ঢাকা মহানগর পূর্ব জাসদের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ন-মা) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাশিদুল হক ননী, ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাজা, জাতীয় যুব জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম নুর, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহনাজ আক্তার প্রমূখ।


জাসদ   সাধারণ সম্পাদক   সাংসদ   শিরীন আখতার   মজুদদার   মুনাফাখোর   নিত্যপণ্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু বঙালির সামনে যাওয়ার সোপান রচনা করে গেছেন: মোস্তাফা জব্বার

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail ডাক ও টেলিযেগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ডাক ও টেলিযেগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির সামনে যাওয়ার সোপান রচনা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, বাংলা এবং বাঙালি এক অভিন্ন সত্তা। বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন চিরকাল বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে- পথ দেখাবে। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি  তৈরি করেছিলেন।’

সোমবার (২০ মার্চ) ডাক ও টেলিযেগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একব সংবাদ বিজ।প্তিতে জানানো হয়, গতকাল রোববার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব  আবু হেনা মোরশেদ জামান-এর সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার চলমান সংগ্রাম এগিয়ে নিতে মন্ত্রী সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানানোর জন্য তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেয়ে ভাল কাজ আর কিছু হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু বাঙালি ও বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে কালজয়ী নাম।’ 

তিনি বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি, শিক্ষা, ভূমি ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে তার গৃহীত কর্মসূচিগুলো ছিলো আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি হিসেবে টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, আইটিইউ, ইউপিইউ এর সদস্যপদ অর্জন, কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্বারোপ, কুদরাত এ  খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন জ্ঞান ভিত্তিক জাতি বিনির্মাণের সোপান। দীর্ঘকাল আগে কী করে বঙ্গবন্ধু আজ ও আগামী দিনের প্রয়োজনীয়তার কথা ভাবলেন এবং এই সব প্রতিষ্ঠানকে সবল ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন তা অভাবনীয়।’ 

১৯৪৮ থেকে ১৯৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৮-এর আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬ দফা, ১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে ষাটের দশকের রাজপথে ছাত্র লীগের লড়াকু সৈনিক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির বড় সম্পদ। পাকিস্তানের জন্মের পর থেকে সত্তরের নির্বাচন পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রামের পথ বেয়ে একাত্তরের জনযুদ্ধ ছিলো পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।’ 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান তিনি। মন্ত্রী উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, পাঠ্য বইয়ের শিক্ষার পাশাপাশি  সন্তানদের মানুষ এবং বাঙালি বানাতে ভুলবেন না। জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা রাষ্ট্রীয় এই চার মূলনীতির ভিত্তিতে দেশ গড়ার মন্ত্রে উজ্জ্বিবীত হয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ড. শাহজাহান মাহমুদ স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, ৭ই মার্চের ভাষণ এবং মার্চে স্বাধীনতা ঘোষণার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

পরে মন্ত্রী  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। 


বঙ্গবন্ধু   বঙালি   মোস্তাফা জব্বার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রাক-চাঁদের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৬

প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বান্দরবানের রুমায় ট্রাক ও চাঁদের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও আটজন।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুর পৌনে ২টার দিকে রুমা-কেওক্রাডং সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, থাইখিয়ং পাড়া থেকে রুমা উপজেলা সদরে আসার পথে ঢালু রাস্তায় একটি যাত্রী বহনকারী ট্রাককে পেছন থেকে অন্য একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে দুটি ট্রাকই উল্টে যায়।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে হতাহতদের উদ্ধারে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন