ইনসাইড বাংলাদেশ

উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সময়মতো আয়কর দেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ৩০ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সময়মতো আয়কর দেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে করদাতাদের সময়মতো আয়কর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। 

আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ‘জাতীয় আয়কর দিবস-২০২১’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। 

 জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ৩০ নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে  তিনি সব করদাতা এবং কর বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এ বছর জাতীয় আয়কর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, সবাই মিলে দেব কর’ যথার্থ হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন। 

তিনি বলেন, আয়কর কেবল রাজস্ব আহরণের প্রধান খাত নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি অন্যতম মাধ্যম। প্রত্যক্ষ কর বা আয়করকে পৃথিবীর সব উন্নত রাষ্ট্রের প্রধান কর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশ রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে সফলতার পথ ধরে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর বিকল্প নেই।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আয়কর সম্পর্কে জনগণের মধ্যে পর্যাপ্ত সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে একদিকে যেমন কর বিষয়ক ভীতি দূর হয়, তেমনি সমাজে কর পরিপালনের সংস্কৃতিও বিকশিত হয়। আয়কর সম্পর্কে ভীতি ও অসচেতনতা দূর করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর বিভাগ বিগত বছরগুলোতে অনেক উদ্ভাবনীমূলক ও কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে জাতীয় আয়কর দিবস উদযাপন, আয়কর দেওয়াদের ট্যাক্স কার্ড দেওয়া, পুরস্কার ও স্বীকৃতি দেওয়া ইত্যাদি। ইতোমধ্যে আয়কর ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারসহ বেশ কিছু সংস্কার হয়েছে। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল, ই-টিডিএস, এ চালান এবং নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীর সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) চালু করা হয়েছে। এসব ইতিবাচক সংস্কার ও কার্যক্রমের ফলে আয়কর ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে। 

তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নভেম্বর মাসব্যাপী সারা বাংলাদেশে সব কর অফিসে করসেবা দিয়েছে। কোভিড মহামারির কারণে করমেলা অনুষ্ঠিত না হলেও করদাতাদের মাসব্যাপী করসেবা দেওয়ার উদ্যোগ একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। করদাতাদের কর দিতে উৎসাহিত করার অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবার ১৪১ জন দীর্ঘমেয়াদি করদাতাসহ সারাদেশে ৬৬৬ জন সর্বোচ্চ করদাতাকে সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড দিয়েছে। আমি আশা করি, এর মাধ্যমে অন্যান্য করদাতারাও আয়কর দিতে উৎসাহিত হবেন। 

 ‘জাতীয় আয়কর দিবস-২০২১’ উপলক্ষে নেওয়া সব কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লুটতরাজ মোড়লগিরির খবরদারির শেষ প্রান্তে

প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail

বয়সে নবীন রাষ্ট্রনীতি ঠিক বুঝি না, তার উপরে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে অহেতুক অর্বাচীনদের মত আলোকপাত করার চেষ্টা করছি শুধুমাত্র একটা দর্শন মেনে ছাত্ররাজনীতির মানুষ হিসাবে এই পর্যন্ত যতটুকু আয়ত্ত করেছি সেখান থেকেই চীনে গণতন্ত্র নাই, সৌদিতে গণতন্ত্র নাই, কোরিয়ায় গণতন্ত্র নাই তাদের উপরে লুটতরাজ মোড়লদের কোন ছবক কিন্তু নাই। রাজতন্ত্র একনায়কতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষার জন্য যারা গণতন্ত্র নামক শাসন ব্যবস্থার ছবক দিচ্ছে তাদের শাসন ব্যবস্থা সারাপৃথিবীর প্রত্যেক দেশে কার্যকর করতে না পারে তাহলে সেটা সোভিয়ত ইউনিয়নের সমাজতন্ত্রের মত দিকভ্রান্ত হবে, সেটা তারা বুঝতে পেরে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক অপকৌশল নিয়ে মাত্তবারি করছে।

সামাজিকয়নের এই যুগে মানুষ পৃথিবী নামক গ্রহ ছেড়ে মঙ্গল কিংবা চাঁদে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আগামীর প্রজন্ম। উন্নত দেশের তকমা পাওয়া নাগিরকরা সেভাবেই জীবনযাপন করছে। সেখানে মোড়লগিরি থাকবে না একক কারো হাতে। মোড়লগিরির ঠিকানা পরিবর্তন হবে সংকটে জলযুদ্ধের মালিকানা নিয়ে।

তৃণমূল থেকে সমস্ত জাতির কূল যারা নিয়ন্ত্রণ করে সেই জাতিসংঘের অবস্থাও হয়ছে আমাদের প্রেসক্রিপশনে তৈরি নেতাদের মত কিংবা হালের ভিউ লাইক কমেন্ট শেয়ার খোড় সুপারস্টারদের মত।

সততা সত্যর বালাই নাই, সৎ সাহস নিয়ে কোন সময় অন্ত্রব্যবসার প্রতিবাদ টুকু করতে পারলো না, মধ্যপ্রাচ্য আফ্রিকার কোথাও শান্তি ফেরাতে পারলো না, তাদের কাজ হচ্ছে মানুষের জন্য, বড় বড় পদক বিসুময় চুক্তি করে যাদেরকে এজেন্ট তৈরি করছে তারাও নির্দিষ্ট কোন দেশে অশান্তি ছাড়া শান্তি এনে দিতে পেরেছে এমন নজির কিংবা দৃষ্টান্ত পৃথিবীর বুকে নাই।

তাদের নিয়ন্ত্রিত তাবেদারি গোষ্টি বিভিন্ন সংস্থা এবং পরিক্ষিত এজেন্টরা কিছু পারুক না পারুক উচ্চসুদে বিনিয়োগ করে বহু রাষ্টকে সর্বশান্ত করে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করেছে। এই মিশন যখন ব্যর্থ হয়েছে তখন সেখানে মৌলবাদীদের দ্বারা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে সবকিছু নিজেদের অনূকূলে নিয়ে সম্রাজ্যবাদের ব্রিটিশদের মত আয়তনে কিংবা সম্পদে ছোট ছোট দেশগুলাকে তাদের কবজায় রেখে সম্পদ লুট করাই তাদের মূল এজেন্ডা। সেটা বাস্তবায়নে তারা উন্নত, উন্নয়নশীল, অন্নুনত ধারণা নির্ধারন করে।

বহুকাল ধরে যাদের সূর্য মধ্যগগনে ছিলো তাদের সূর্য ও পশ্চিমে হেলে পড়েছে। আপনাদের সূর্যও যে ডুববে না পৃথিবী নামক গ্রহে এই নিশ্চয়তা কোন পলিসি মেকাররা সেই নিশ্চয়তা আগেও দিতে পারে নাই, ভবিষ্যতেও পারবে না। সময়ের বির্বতনে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয় মোঘল ব্রিটিশ জমিদার, নীলচাষীদের হপ্তা নেওয়া শোষক শাসকদের নিপীড়িণ থেকে আজকে গণতন্ত্রের খামখেয়ালিপনা, উপমহাদেশের আবেগী মানুষদের উত্তরসূরি হিসাবে আমরা পড়েছি দেখছি, শুনছি বহু কিচ্ছা কাহিনি রেহাই পেয়েছি কি অত্যাচারী কেউ প্রকৃতির নিয়মে সবই এখন ঢেউ।

ব দ্বীপের যে অংশটি আপনারা শুরু থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছেন সেটা আজ একটি স্বাধীন স্বার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র হিসাবে পরিপূর্ণ বয়সে বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে মাথা উচুঁ করে বিশ্বের বুকে লাল সবুজের পতাকা উড়াচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা শত্রু ছিলো এখনও তারা সজাগ দৃষ্টিতে শত্রুতা করছে। আমাদের সমাজের পাড়ার মোড়ের মাস্তান কিংবা গলির টোকাইয়ের মত বংশীয় অত্যাচারকারী হিসাবে আপনারাও মোড়ল সেজে সম্পদ লুট করবেন। আর প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নের জন্য মাধ্যম আয়ের দেশ গুলো ব্যবহার করবেন এটাও রুখে দাড়িয়ে প্রতিবাদের সময় এসেছে।

কেউ মুখ ফসকে ভাসুরের নাম মুখে নিতে না পারলেও শেখের বেটির কলিজা আছে। তাই কোন রাখঢাক না রেখেই সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করে অন্ধকারে সিন্ধুতীরে হেঁটে চলা ঐ মেয়েটি।

জয় হোক সত্যর, জয় হোক শেখ হাসিনার।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘অখণ্ড ভারত’ নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাখ্যা দিল নয়াদিল্লি

প্রকাশ: ০৯:১১ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ম্যুরালের মাধ্যমে ‘অখণ্ড ভারতের’ মান‌চিত্রে কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকে দেখানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির বাংলাদেশ মিশন ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। জবাবে নয়াদিল্লি জানিয়েছে, সম্রাট অশোকের রাজ্যের ব্যাপ্তি বোঝাতে ম্যুরালটি স্থাপন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

মুখপাত্র বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যা জানতে পেরেছি- সম্রাট অশোকের রাজ্যের ব্যাপ্তি এবং সেসময়ে সম্রাট অশোকের নেতৃত্বে সংগঠিত জবাবদিহিতামূলক এবং মানুষের উন্নয়ন ব্যবস্থার প্রতীকী হিসেবে আলোচিত ম্যুরালটি স্থাপিত হয়েছে।

রফিকুল আলম বলেন, এ ম্যুরালটি স্থাপনের মূল ভাবনা ছিল ঐতিহাসিক প্রাচীন ভারত। বিশেষত, সম্রাট অশোকের রাজত্বকে ফুটিয়ে তোলা। আমাদের জানানো হয়েছে- ম্যুরালটিতে অশোকের সাম্রাজ্য খচিত হয়েছে, যা কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘অখণ্ড ভারত’ নামে প্রচার করা হয়েছে।

এদিকে গত ৫ জুন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানান, ‘অখণ্ড ভারত’ নিয়ে ভারতের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা জানতে দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনকে দেশ‌টির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা।

অখণ্ড ভারত   বাংলাদেশ   নয়াদিল্লি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ড. ইউনূসকে নিয়ে সুশীলদের বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail

কর ফাঁকির মামলার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্তের পর আবার তৎপর হয়েছে সুশীল সমাজ। ড. ইউনূসকে নিয়ে সুশীল সমাজের একটি গোপন বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। এই বৈঠকে দেশের বিদ্যমান রাজনীতি, সুশীলদের করণীয় এবং ড. ইউনূসের ভবিষ্যত ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়। উল্লেখ্য যে গুলশানের একটি বাসভবনে এই বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুশীল সমাজের অন্তত ৫ জন প্রতিনিধি। এই সাক্ষাৎ ছাড়াও ড. ইউনূসের সাথে এখন নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন হোসেন জিল্লুর রহমান, বদিউল আলম মজুমদার, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সহ একাধিক সুশীল। যারা বাংলাদেশের বিরাজনীতিকরণের অন্যতম প্রবক্তা হিসেবেও পরিচিত। এই সমস্ত সুশীলরা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার বিরোধী একটি অবস্থান গ্রহণের জন্য তাকে প্ররোচিত করছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দেশে এবং বিদেশে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই বৈঠকে। মূলত ড.  ইউনূস তার মামলার চাপ সরকারের ওপর সরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই আয়োজন করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সরকারকে চাপে ফেলার জন্য ড. ইউনূস তিন ধাপের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। প্রথমে তিনি তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের মামলা এবং কর ফাঁকির মামলা ইত্যাদি বিষয়গুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানাবেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যানরা এ বিষয় নিয়ে চিঠি দেবে। এমনকি ইউনূসের ঘনিষ্ঠরা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইউনূসের বিষয়টি নিয়ে সরকারকে চিঠি দিতে পারেন। এই চিঠির পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে সেটির ব্যাপারেও ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে লবিং করা শুরু হচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাহলে সরকার নির্বাচন নিয়ে বড় ধরনের বেকায়দায় পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

দ্বিতীয় ধাপে ড. ইউনূস বাংলাদেশে যারা সুশীল বুদ্ধিজীবী রয়েছেন তাদেরকে একত্রিত করবেন। খুব শীগ্রই বাংলাদেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুশীলরা এই বিবৃতিতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘প্রতিহিংসা এবং অযাচিত মামলা’ প্রত্যাহারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাবেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে। 

তৃতীয় ধাপে ড. ইউনূস বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তার ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন এবং রাজনৈতিক দলগুলো যেন তার বিষয়ে সোচ্চার হয় সেই আহ্বান জানাবেন। উল্লেখ্য, ড. ইউনূস ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পালাক্রমে বৈঠক করেছিলেন এবং একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু তার সেই উদ্যোগ সেসময় ব্যর্থ হয়ে যায়। রাজনৈতিক দল গঠন না করলেও সেই সময় এক-এগোরো আনার ক্ষেত্রে ড. ইউনূসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন ছিল। 

ড. ইউনূসের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অবস্থান প্রকাশ্য হলেও বিএনপির অবস্থান অনেকটাই অস্পষ্ট। ২০০৬/২০০৭ সালে ড. ইউনূসের ব্যাপারে বিএনপির এক ধরনের উচ্ছ্বাস ছিল। কিন্তু এক-এগারোর সেই উচ্ছ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে। এখন বিএনপির অনেক নেতাই তাকে এক-এগারো আনার একজন কুশীলব মনে করে এবং ইউনূসের ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করার পক্ষপাতী। তবে ইউনূসের মূল শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তার ঘনিষ্ঠরা মনে করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ব্যাপারটিকে সহজ ভেবে নেবে না। তারা নিশ্চয়ই সরকারের ওপর বড় ধরনের চাপ দেখাবে। 

ড. ইউনূস   সুশীল   বদিউল আলম মজুমদার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদেশি কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: লাগাম টেনে ধরবে সরকার

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন রাজনীতিবিদরা যতটা সচেতন, রাজনীতিবিদদের কথাবার্তা যত না শোনা যাচ্ছে তার চেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে বিদেশি কূটনীতিকদের। তাদের দৌড়ঝাঁপ রীতিমতো বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে। বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস এখন বাংলাদেশের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। প্রতিদিনই তাকে কোনো না কোনো রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি কথাবার্তা বলছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে কূটনৈতিক শিষ্টাচারও তিনি লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

সম্প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন যে কূটনীতিকরা যদি সীমা লঙ্ঘন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে কোনো রাষ্ট্রে একজন বিদেশী কূটনীতিক তার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী। ভিয়েনা কনভেনশনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে একজন কূটনীতিক কি কি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখতে পারবেন। এই ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কোন রাষ্ট্রদূত বা কূটনীতিক ওই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না এবং ওই দেশের আইন কানুন এবং শৃঙ্খলপরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ড করতে পারবেন না। একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যদি কোন রাষ্ট্রদূত হস্তক্ষেপ করে তাহলে সেটি ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে। এই ভিয়েনা কনভেনশনের আলোকে সরকার এখন বিদেশি কূটনীতিকদের লাগাম টেনে ধরার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতরা যেভাবে দৌড়ঝাঁপ করছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রকাশ্য এবং গোপন বৈঠক করছেন এই গুলোর দিকে নজর রাখা হচ্ছে। এই বৈঠক গুলোর মধ্যে কতটুকু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ সেটিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সব রাষ্ট্রদূতদেরকে এ ব্যাপারে প্রথমে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়া হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রগুলো বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। চিঠিতে প্রত্যেক রাষ্ট্রদূতকে ভিয়েনা কনভেনশনের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন করা হলে একটি দেশ কি ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে সে সম্পর্কেও অবহিত করা হবে। এরপরও যদি কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ বন্ধ না হয় এবং তারা যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় অবিরত নাক গলাতে থাকে তাহলে সরকার আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও বিভিন্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, আমাদের কূটনীতিকরা যখন বিদেশে থাকেন তখন তারা ওই দেশের নিয়ম-নীতি মেনে চলেন। ওই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন না। কোন রাজনীতিবিদদের সাথে দেখা করতে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হয় এবং সরকারকে জানিয়ে করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন কিছু হচ্ছে না। ওই কূটনীতিক এটাও বলেছেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। নির্বাচন কি হবে না হবে এ বিষয় নিয়ে এখনই আগ বাড়িয়ে কূটনীতিকদের কথা বলার কোনো কথা না। তারা এটি নিয়ে বিভিন্ন  রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন না। আর এই বিষয়গুলো এখন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে। তাই যে সমস্ত কূটনীতিকরা এ ধরনের বাড়াবাড়ি করছেন তাদের ব্যাপারে সরকার নজর রাখছে। কারণ বাংলাদেশ যেমন কোন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না তেমনি অন্য কোন রাষ্ট্রকেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া হবে না। 

প্রধানমন্ত্রী গতকাল ঐতিহাসিক ৭ জুন উপলক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, দেশী-বিদেশী কোনো চাপের কাছে বাংলাদেশ নতি স্বীকার করে না। কাজেই বাংলাদেশ বিদেশি কূটনীতিকদের শিষ্টাচারের ক্ষেত্রে ভিয়েনা কনভেনশনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বাস্তবায়ন দেখতে চায় এবং সেটি অনুসরণ করবে।

পিটার হাস   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   শাহরিয়ার আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে’

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, ‘চলতি সরকারই আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’ 

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবন মিলনায়তনে ৮ জুন বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষে ঢাবি সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ  আয়োজিত সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তো আন্তর্জাতিকভাবে কারো সমর্থন পায়নি। তাই এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়ে 'নিরপেক্ষ' সরকারের কথা বলছে। তারা যে সমস্ত দেশের হাতে-পায়ে ধরে, সে সকল দেশে যেভাবে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে, আমাদের দেশেও ঠিক তাই হবে।’ 

সম্প্রতি বিদ্যুৎ সরবরাহে সময়ে সময়ে ছেদ নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবরা বড় গলায় কথা বলেন, অথচ তারা মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারে নাই, বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছে। মানুষকে বিদ্যুৎ দেবে বলে ছেলে-ভোলানো চকলেট আর মোয়ার মতো শুধু বিদ্যুতের খাম্বা লাগিয়েছে। আমরা মানুষকে বিদ্যুৎ দিয়েছি, মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন হয়েছে, দেশ পরিবর্তন হয়েছে, শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বিদ্যুতের ব্যবহার এখন বহুমাত্রিক।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন ৩ হাজার ৬ শত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এখন যে কোনো সময় ১৮ থেকে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা সরকারের আছে। এবং বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন দেশে ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো। এখন দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।’

‘আসলে বিদ্যুৎ সুবিধা দিয়ে মানুষের অভ্যাসের পরিবর্তন হয়ে গেছে' উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, 'মানুষ এখন গ্রামেও এসি চালায়, মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডায় এখন এসি চলে, প্রতিদিন হাজার হাজার ইজি বাইক এবং ১৭ কোটি মানুষের দেশে সাড়ে ১৫ কোটি মোবাইল চার্জ করতে বিদ্যুৎ লাগে, এমন কি গ্রামেও রাইস কুকারে ভাত রান্না করে। অর্থাৎ বিদ্যুতের বহুমাত্রিক ব্যবহারে গত ১৪ বছরে মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে গেছে। মানুষকে এতো বিদ্যুৎ সুবিধা দিয়ে নিশ্চয়ই ভুল করা হয়নি, সবার খানিক ধৈর্য্যের প্রয়োজন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, এখন বিশ্বমন্দা ও যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই অসুবিধাটা সাময়িক, ১৫-২০ দিনের মধ্যে দূর হবে।’ 

এর আগে ব্লু ইকোনমি'র সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন (Revealing the Potentials of Blue Economy) শীর্ষক সেমিনারে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের খন্ডকালীন শিক্ষক পরিবেশবিদ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ভারত ও মায়ানমারের সাথে সমঝোতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে প্রায় দেশের সমআয়তনের সমুদ্রসীমা অধিকার করেছি। এই সমুদ্রসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার আরো ২ থেকে ৩ শতাংশ বাড়বে। 

সেমিনারে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কে এম আজম চৌধুরী উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. কাউসার আহাম্মদ, জার্মান সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড'র প্রিন্সিপাল এডভাইজার ড. স্টেফান আলফ্রেড গ্রোয়েনেওল্ড (Stefan Alfred Groenewold) এবং ঢাবি'র আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: জিল্লুর রহমান। 

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অভ ন্যাচার (আইইউসিএন) কান্ট্রি ডিরেক্টর মো: রকিবুল আমিন সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যপক জোবায়ের আলম।

আন্তর্জাতিকভাবে 'প্লানেট ওশান : টাইডস আর চেঞ্জিং (পরিবর্তিত তরঙ্গে গ্রহের মহাসমুদ্র)' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ওশান গভারন্যান্স (আইসিওজি), জিআইজেড, ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক এন্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউট (নোয়ামি) ও জিআইজেড  এর সহযোগিতায় দিবসটি উপলক্ষে সেমিনারের পাশাপাশি সকালে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের র‍্যালিটি কার্জন হল প্রদক্ষিণ করে।

তথ্যমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ   নির্বাচনকালীন সরকার   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন